তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মকে তিনি বেছে নেবেন, কার পতাকাতলে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করবেন, আর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ কোন দিকে মোড় নেবে।
রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হলো দুটি শিবির একদিকে তার ঘনিষ্ঠ তরুণদের নিয়ে গড়া নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধাদের সংগঠন গণঅধিকার পরিষদ। দুই দলের সঙ্গেই আসিফের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, রাজনৈতিক যোগাযোগ ও দৃশ্যমান সখ্যতা রয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, তিনি হয়তো এ দুটির কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নেবেন। তবে পদত্যাগের আগের দিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের রাজনৈতিক গন্তব্য নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাননি।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আসিফ মাহমুদ অতীতে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা আছে। মাত্র একদিন আগেও আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। গণঅধিকার পরিষদে যোগদানের বিষয়ে তিনি ইতিবাচক, কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি যদি আমাদের দলে আসেন, তবে তার যোগ্যতা ও অবস্থান অনুযায়ী যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে।”
রাশেদ খান আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি অন্যতম সাহসী ভূমিকায় ছিলেন। বিশেষ করে ৬ আগস্টের কর্মসূচিকে এগিয়ে এনে ৫ আগস্ট করার সিদ্ধান্তটি ছিল দৃঢ় ও ঝুঁকিপূর্ণ, আর এই সিদ্ধান্তই স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের গতি ত্বরান্বিত করে। তিনি চাইলে যে কোনো দলে যোগ দিতে পারেন, নতুন দলও গঠন করতে পারেন। তবে আমাদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলে তার পক্ষে মানিয়ে নেওয়া সবচেয়ে সহজ হবে।”
আসিফের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে রাশেদ বলেন, “তিনি এখনও তরুণ বয়সে অনেক দায়িত্ব নিয়েছেন, ভুল–ভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। সময়ের সঙ্গে তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে তার অতীত ভুল নিয়ে সমালোচনা করা শোভনীয় নয়। বরং তাকে রাজনৈতিকভাবে আরও গড়ে তোলার সুযোগ দেওয়া উচিত।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ শুধু একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ, জোট–বিন্যাস ও তরুণ নেতৃত্বের উত্থানের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে। তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত যে কোনো দলের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।
-রফিক
নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির রোডম্যাপ তুলে ধরলেন নওশীন
চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী–বায়েজিদ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর হেলালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে নারী–শিশুর জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী নওশীন আরজান হেলাল।
]বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ পাহাড়তলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের খীল্লাপাড়া চট্টগ্রাম রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাইস্কুল মাঠে মহিলা দলের আয়োজিত এক বৃহৎ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, মীর হেলাল নির্বাচিত হলে হাটহাজারী ও বায়েজিদের মাঝামাঝি স্থানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল কন্যাশিশুর বিনা খরচে শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, নারীদের জন্য পৃথক পলিটেকনিক, পোশাক খাতের সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নারীদের অন্তর্ভুক্তি এসবই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নারীর অগ্রগতির দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
নওশীন আরজান অভিযোগ করেন, কিছু গোষ্ঠী ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তবে এলাকার সচেতন নারী সমাজ এই প্রচারে বিভ্রান্ত হবে না এবং ধানের শীষের ওপরই তাদের আস্থা রাখবে।
সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে এলাকার নারীর স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি নাছরিন আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মালা বেগম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, গাজী ইউসুফ, শাহাজাহান মঞ্জু, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক লাইলি ইয়াসমিন, নুরী মাহফুজসহ বিএনপি, মহিলা দল, যুবদল এবং ছাত্রদলের নেতারা। সমাবেশে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি নির্বাচনী মাঠে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
-শরিফুল
জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি, কিশোরগঞ্জ–২ আসন বিশ্লেষণ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদী–পাকুন্দিয়া) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ দ্রুত বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে এবার ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার প্রার্থীর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ চাঙা হয়ে উঠেছে। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়, বাজার কিংবা পাড়া–মহল্লার আড্ডা সর্বত্রই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, আগামী সংসদ সদস্য কে?
বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, আইনজীবী অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। প্রার্থিতা ঘোষণা ঘিরে শুরুতে কিছুটা মতভেদ থাকলেও বর্তমানে দলের সব মনোনয়নপ্রত্যাশী ও স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাকে সমর্থন জানিয়ে সম্মিলিতভাবে ভোটের মাঠে কাজ শুরু করেছেন। তাদের দাবি, জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে, আর বিএনপির ঐতিহ্যবাহী অবস্থান কাজে লাগিয়ে এবারের নির্বাচন নিজেদের দখলে রাখতে চায় তারা।
চার দশকের নির্বাচন ইতিহাস বলছে এ আসন বিএনপির শক্ত ঘাঁটি
১৯৭৩ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে আটবারের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি চারবার জয় পেয়েছে।
• ১৯৭৯ সালে আনিসুজ্জামান খোকন
• ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন
• ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ নির্বাচনে হাবিবুর রহমান দয়াল
বিএনপিপন্থী ভোটের ধারাবাহিকতা এখনও অনেকাংশে বজায় আছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়লকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার সমর্থকরা গ্রাম–পাড়া চষে বেড়িয়ে পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতির বার্তা এবার ভোটে প্রভাব ফেলবে।
অন্যান্য প্রার্থীও মাঠে সক্রিয়
এ আসনে আরও কয়েকটি দল ও সংগঠন প্রার্থী দিয়েছে
• গণঅধিকার পরিষদ- কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক
• ইসলামী আন্দোলন- মাওলানা আবুল বাশার রেজওয়ান
• খেলাফত মজলিশ- মাওলানা ছাঈদ আহমদ
• জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম- মাওলানা রশীদ আহমদ জাহাঙ্গীর হোসাইনি
বিশ্লেষকদের মতে, ছোট দলগুলোর প্রার্থীরা বিএনপি–জামায়াতের ভোটে আংশিক প্রভাব ফেললেও আসল লড়াই এই দুই পক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের মতো এবারও বিএনপি–জামায়াতের ভোটব্যাংক শক্ত অবস্থানে থাকলেও প্রায় পাঁচ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে তরুণ ও প্রথমবারের ভোটাররা ফল নির্ধারণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবেন।
বর্তমান ভোটার সংখ্যা: ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৪ জন
• পুরুষ: ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৪
• নারী: ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৫
• তৃতীয় লিঙ্গ: ৫ জন
তরুণদের মধ্যে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির প্রতি ঝোঁক কিছুটা বাড়লেও ঐতিহাসিক ভোট প্রবণতা এখনও ধানের শীষ–দাঁড়িপাল্লার প্রাধান্যই নির্দেশ করছে।
প্রার্থীদের অবস্থান
অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, বিএনপি: “জনগণ আজ পরিবর্তনের অপেক্ষায়। কিশোরগঞ্জ–২ আসন সবসময়ই বিএনপির ঐতিহ্যবাহী আসন। ঐক্যবদ্ধ দলের শক্তিতে ধানের শীষ জয় লাভ করবই।”
মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল, জামায়াত: “ন্যায়ভিত্তিক সমাজের জন্য আমরা কাজ করছি। জনগণ এবার দাঁড়িপাল্লার বিচার করবে বলে আমি আশাবাদী।”
শফিকুল ইসলাম শফিক, গণঅধিকার পরিষদ: “দুই দলের ব্যর্থতায় মানুষ বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণ আমাদের মতো নতুন নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখবে।”
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ অনুপস্থিতি ও বিতর্কিত নির্বাচন ইতিহাস
১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি জয় পাওয়ার পর
• ২০০১ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ডা. আবদুল মান্নান নির্বাচিত হন
• ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন
• ২০১৮ সালে রাতের ভোটে নূর মোহাম্মদ
• ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে সোহরাব উদ্দিন
এ আসনে আওয়ামী লীগের রাখা রেকর্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
-শরিফুল
পদত্যাগ–নির্বাচন দুটিতেই মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জানিয়েছেন, তার পদত্যাগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেই জানানো হবে। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবই এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন। একইসঙ্গে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন, তবে কোন আসন বা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা পরে জানানো হবে।
সরকার–সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিয়মিত মধ্যাহ্নভোজ ও পরবর্তী বৈঠকে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সন্ধ্যার পর সরকারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নিশ্চিত হন যে আসিফ মাহমুদ বুধবারই পদত্যাগপত্র দিচ্ছেন।
তবে উপদেষ্টা নিজে জানিয়েছেন, পদত্যাগ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকেই ঘোষিত হবে। এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কথা বলতে চান না এবং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলেই তার অবস্থান।
অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে এর আগেও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলমকে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দুজনই তখন কিছু অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আরও আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি সরকারের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে চান, তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা তার নেই।
সম্প্রতি গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবারও উচ্চপর্যায় থেকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ ত্বরান্বিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকা দুই উপদেষ্টার আর সরকারের দায়িত্বে থাকা সমীচীন হবে না। নির্বাচন করুন বা না করুন, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে তাদের দায়িত্ব ছাড়াই সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। জুলাই মাসের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের মধ্যে তিনজন এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান, আসিফ মাহমুদ প্রথমে শ্রম উপদেষ্টা হিসেবে এবং পরে স্থানীয় সরকার বিষয়ক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হন।
-রাফসান
নাহিদ, সারজিস, তাসনিম, নাসীরুদ্দীন-কোন আসনে কে লড়ছেন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীদের প্রথম ধাপের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১২৫টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে দলটি তার নির্বাচনী প্রস্তুতিকে নতুন গতি দিয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ আসনে শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নামবেন। বাড্ডা, ভাটারা এবং রামপুরা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে বিএনপি এরই মধ্যে এম এ কাইয়ুমকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে রেখেছে। দুই রাজনৈতিক দলের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে আসনটিতে উত্তাপ বাড়ার আভাস মিলছে।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে আলোচিত আসনগুলোর একটি পঞ্চগড়-১ এ এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। সদর, তেঁতুলিয়া এবং আটোয়ারীর কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এ আসনে বিএনপি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমিরকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে এ অঞ্চলেও একটি ত্রিমুখী লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।
ঢাকা মহানগরের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসনেও উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দিয়েছে এনসিপি। ঢাকা-৯ আসনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রংপুর-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আর ঢাকা-১৮ আসনে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনীত হয়েছেন, যিনি অনুষ্ঠানে দলীয় ‘ব্যালট বিপ্লব’ ধারণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দলীয় মনোনয়ন ফরম সকলের জন্য উন্মুক্ত করার পর দেড় হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে বলে এনসিপি জানিয়েছে। বহু নতুন মুখ ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধির উপস্থিতির কারণে এবারের প্রার্থী তালিকা দলটির নীতিগত পরিবর্তন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন তাসনিম জারা।
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি সংগঠনিকভাবে যেসব প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই তালিকা প্রকাশ তার একটি বড় পদক্ষেপ। পাশাপাশি গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাওয়ার জন্যও দলীয় পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।
-রফিক
ত্রয়োদশ নির্বাচনে এনসিপির বড় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, কারা আছেন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীদের প্রথম দফার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। বুধবার ১০ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার বাংলামোটরে অবস্থিত দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
এনসিপি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মোট ১২৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঘোষিত তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন নাহিদ ইসলাম ঢাকা ১১, আখতার হোসেন রংপুর ৪, সারজিস আলম পঞ্চগড় ১, হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা ৪, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকা ১৮, তাসনিম জারা ঢাকা ৯, সামান্তা শারমিন ঢাকা ১৩, সারোয়ার তুষার নরসিংদী ২, আব্দুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী ৬ এবং আরিফুল ইসলাম আদিব ঢাকা ১৪।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এর আগে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বক্তব্যে জানান, আসন্ন নির্বাচনে তারা ব্যালট রেভুলেশন ধারণা নিয়ে মাঠে নামছেন। তিনি বলেন, জাতীয় গণভোটে ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ ভোট প্রদান করার আহ্বান জানানো হবে এবং একইসঙ্গে দলীয় প্রতীক শাপলা কলিতে ভোট চাওয়ার প্রচারণা জোরদার করতে প্রার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, প্রথম ধাপে ১২৫ জনের নাম প্রকাশ করা হলেও পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি ধাপে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, মনোনয়ন ফরম সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল এবং এবার দেড় হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। তিনি আরও বলেন, এনসিপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব দেখা যাবে যা দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবে।
-শরিফুল
১৬ বছরের ভয়–নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ এমন এক দমবন্ধ পরিবেশে ছিল, যা যেন দেশের ওপর কালো ছায়া ফেলে রেখেছিল। বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি অতীত পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন।
তারেক রহমান লেখেন, বহু বছর ধরে মানুষ ভেতরে ভেতরে এক অদৃশ্য আতঙ্ক বহন করেছে। কারও কাছে এই অন্ধকার ছিল তীব্র বাস্তবতা, কারও কাছে ছিল নীরব সহনশীলতার যন্ত্রণা। বিশেষত যেসব মানুষ তৎকালীন সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলেন, তারা প্রতিদিন ভয়, দমন-পীড়ন ও হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলা ও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরাই। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও বিএনপি সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও রক্তক্ষয় সহ্য করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ভয় ও দমন-পীড়নের শিকার শুধু বিএনপি নয়, ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, সাধারণ মানুষ সকলেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভীষিকা অনুভব করেছেন। তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বহু বিষয়ে মানুষ নিজেকে অরক্ষিত মনে করেছে।
তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকেও কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের পর থেকে তাঁর বক্তব্য যেন দেশের মিডিয়ায় প্রকাশ না পায়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবুও তিনি দাবি করেন, চাপিয়ে দেওয়া নীরবতার মধ্যেও গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন।
তারেক রহমান বলেন, এই সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রতিরোধের প্রধান প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা এসবই ছিল কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রকাশ। তবুও তিনি গণতান্ত্রিক বিশ্বাস থেকে কখনো সরে যাননি।
তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। বলেন, তাঁর মা খালেদা জিয়া নিজের চোখের সামনে দেখেছেন তাঁর ছেলেকে কারাগারে পাঠানো ও নির্যাতনের বেদনা। তাঁদের আরেক ছেলেকেও হারাতে হয়েছে। অনেকটা দেশের হাজারো ক্ষতবিক্ষত পরিবারের মতো তাঁদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু।
তারেক রহমান লেখেন, কষ্ট মানুষকে কখনো কখনো আরও মানবিক ও মহৎ করে তোলে। তাঁর ভাষায়, অন্যায়কে প্রতিহত করতে হবে ন্যায়-নীতি ও ক্ষমাশীলতার মাধ্যমে, প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে নয়।
তিনি মনে করেন, আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র, যেখানে মানুষের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক মতভেদ থাকবে, কিন্তু ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে কাউকে নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হবে না।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে সমাধানমুখী পথ বেছে নিয়েছে। কোন নাগরিককে যেন রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে না হয় এমন অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, মানবাধিকার দিবস মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে মানবাধিকারই বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত। আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি সহ অসংখ্য নির্যাতনের শিকার মানুষের কথা মনে রেখে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক রহমানের দাবি, বিএনপি বহু ক্ষতি সহ্য করেছে, কিন্তু ভেঙে যায়নি; বরং আরও শক্তিশালী হয়েছে সত্য, জবাবদিহি, পুনর্মিলন ও আইনের শাসনের দর্শনে। তিনি বলেন, তারা এমন একটি বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠস্বর ও মানবাধিকার হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।
-শরিফুল
দুর্নীতি কমাতে নতুন রোডম্যাপ ঘোষণা তারেক রহমানের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণ সুযোগ দিলে বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও অগ্রণী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত তাঁর দল। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, দুর্নীতি এখন দেশের প্রতিটি খাতে গভীরভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের জীবনে প্রতিদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়া যুবক, নিত্যদিন সরকারি সেবা পেতে হয়রানির শিকার হওয়া কৃষক, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে পরিবারগুলোর অসহায় অবস্থান সব কিছুর মূলেই রয়েছে দুর্নীতির প্রভাব। এমনকি নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, শিক্ষার মানহানি এবং সড়কে নিরাপত্তাহীনতার পেছনেও এই একই সমস্যা দায়ী।
তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়। বহু বছর ধরে এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনার বিষয়। তবে তাঁর দাবি, অতীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা সময়ে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস সেই অতীত সাফল্যের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা পুনর্গঠনের মাধ্যমে সুশাসনের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ক্রয় নীতিমালা আধুনিককরণ, কঠোর আর্থিক আইন প্রণয়ন, অডিট ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং সরকারের নানা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়।
তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত ছিল দেশের জবাবদিহির ইতিহাসে বড় অগ্রগতি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এটিকে বাংলাদেশের সংস্কার সম্ভাবনার গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচনা করেছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জনমতেও দুর্নীতি হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা তাঁর মতে বিএনপি সরকারের সংস্কারের বাস্তব ফল।
তারেক রহমান বক্তব্যে বিএনপি সরকারের সাফল্য হিসেবে আরও উল্লেখ করেন শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা, প্রতিযোগিতামূলক সরকারি ক্রয়ব্যবস্থা, টেলিকম ও বিমান পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বাজার উন্মুক্তকরণ এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। তাঁর মতে, এসব ব্যবস্থা জনগণের কাছে সেবা পৌঁছানোর কার্যকারিতা বাড়িয়েছে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমিয়েছে।
ভবিষ্যতে দুর্নীতিবিরোধী লড়াই কীভাবে আরও জোরদার করা হবে সে সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য রিয়েল–টাইম অডিট ব্যবস্থা চালু, বিচারবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা খাতে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি, ই–গভর্ন্যান্স সম্প্রসারণ, হুইসলব্লোয়ার সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন, নৈতিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি এবং সংসদের কড়া আর্থিক নজরদারি।
তারেক রহমান মন্তব্য করেন, বহু বছরের অব্যবস্থাপনা থেকে উত্তরণ সহজ নয়, কিন্তু সৎ নেতৃত্ব এবং জনগণের সমর্থন থাকলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন অবশ্যই সম্ভব। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন, জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের সামনের সারিতে থাকতে প্রস্তুত।
পোস্টটিতে তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন থেকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে দুর্নীতির সূচকের একটি গ্রাফও শেয়ার করেন।
-রফিক
আমিনুল ইসলাম হল ‘দুনিয়ায় পাঠানো আল্লাহর ফেরেশতা’- বিএনপি নেতা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসনের (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে ‘দুনিয়ায় পাঠানো আল্লাহর ফেরেশতা’ বলে অভিহিত করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করার পর বিষয়টি দ্রুতই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সোমবার রাতে ভোলাহাট উপজেলার কালিতলা বাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্মসম্পাদক আল হেলাল কথিত এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলীয় প্রার্থী আমিনুল ইসলাম।
বক্তব্যে আল হেলাল উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে দল ধানের শীষ প্রতীকটি আমিনুল ইসলামকে দিয়েছে, এটি নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। তিনি দাবি করেন যে আমিনুল ইসলাম অতীতে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও কেউ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। এমন অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি নিজেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও ঘোষণা দেন।
তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২ আসনের তিন উপজেলায় আমিনুল ইসলামের মতো চরিত্রবান, গ্রহণযোগ্য ও সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর নেই। তিনি এতটাই সুনাম অর্জন করেছেন যে মনে হয় তাঁকে আল্লাহ বিশেষভাবে পাঠিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমিনুল ইসলাম আল্লাহর ফেরেশতার মতো একজন মানুষ, যাকে সবাই শ্রদ্ধা দিয়ে মূল্যায়ন করে।’
একই অনুষ্ঠানে আল হেলাল দেশের দুই নারী নেত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা দুই নেত্রীর মধ্যে শুধু খালেদা জিয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে মানুষ দোয়া করে, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকেও তাঁর সুস্থতা কামনা করা হয়। বিপরীতে শেখ হাসিনাকে নিয়ে জনগণের মনোভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন দাবি করেন তিনি।
দলের ভেতর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান অভিমান ভুলে দলীয় কাজে সক্রিয় হওয়ার জন্য এবং ধানের শীষের পক্ষে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করার জন্য।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী বিশ্বাস, আর সঞ্চালনা করেন ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলা বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনুষ্ঠানে আল হেলালের মন্তব্য তাঁকে বিস্মিত করেছে। তাঁর মতে, প্রার্থী উপস্থিত থাকা অবস্থায় এ ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত অনুচিত এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সংযত হতে হবে।
-শরিফুল
বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: তারেক রহমান
বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই ধারণার পরিবর্তন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেন গত ১৬ বছর ধরে আমি ভালো আর সব খারাপ এরকম একটি বিষয় আমরা দেখেছি। দুঃখজনক হলেও ২৪ সালের ৫ তারিখের পরে কেন জানি মনে হচ্ছে সেটির বোধহয় পরিবর্তন হয়নি। এটির পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং অত্যন্ত জরুরি। সোমবার ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী যেখানে মানুষ বিভিন্ন মতামত দেবে এবং মতামত দেওয়ার অধিকার তার আছে। কিন্তু বিশেষ একজন ভালো আর বাকি সবাই খারাপ এটি কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। এই ধারণার পরিবর্তন হতে হবে কারণ এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং বিপজ্জনক।
সংসদ নির্বাচনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে তিনি নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন যে নির্বাচনে প্রার্থী মুখ্য নয় বরং ধানের শীষই মুখ্য। তিনি বলেন আজ আমাদের বসে থাকার সময় নেই। বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। হয়তো তুমি একজনকে পছন্দ করতে সে হয়তো পায়নি। কিন্তু ভাইরে তুমি তো প্রার্থীর জন্য কাজ করছ না তুমি তো তোমার ধানের শীষের জন্য কাজ করছ। এখানে প্রার্থী মুখ্য নয় বরং মুখ্য হচ্ছে তোমার দল বিএনপি এবং মুখ্য হচ্ছে দেশ।
২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে তারেক রহমান বলেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে দেশের মানুষ গৃহবধূ মুদি দোকানি রিকশাচালক এবং বাসের হেলপারসহ ছাত্র জনতা। তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছোট ছোট শিশু এবং ওই আন্দোলনে ৬৩ জন শিশু শহীদ হয়েছে।
তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন বাংলাদেশের ইমিডিয়েট ভবিষ্যৎ তোমাদের ওপর। তোমরা যদি এগিয়ে আসো এবং ঐক্যবদ্ধ হও তাহলে দেশের সামনে একটি ভবিষ্যৎ আছে। তা না হলে একটি ভয়াবহ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে। দেশ গড়া পরিকল্পনা শীর্ষক এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত:
- মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ, কোথায় কত উঠল
- আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার
- লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
- ঠান্ডায় জয়েন্ট পেইন বাড়ে কেন এবং কীভাবে কমাবেন
- শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা স্থগিত, জানুন বিস্তারিত
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- আজকের আপডেট মুদ্রাবাজার: কত টাকায় কোন মুদ্রা
- সহজ রেসিপিতে ৭ ধরনের মজার চা বানান
- নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির রোডম্যাপ তুলে ধরলেন নওশীন
- ইউসিএলে আর্সেনালের তুঙ্গে ফর্ম, পিএসজি হতাশ
- জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি, কিশোরগঞ্জ–২ আসন বিশ্লেষণ
- শীতে শিশু অসুস্থ হচ্ছে? কোন রোগ কীভাবে চিনবেন
- শীতে চুল পড়া কমাতে ঘরোয়া ৫টি দারুন উপায়
- যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন
- গণহত্যার আড়ালে ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনায় জয়ের ভূমিকা
- কত দামে মিলবে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ? দেখুন নতুন হার
- বিএনপির বড় কর্মসূচি আজ, সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখুন
- শীতে খুশকি বাড়ছে? লেবুপাতা হতে পারে সহজ সমাধান
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ
- পঞ্চগড়ে আরও নামতে পারে তাপমাত্রা:আবহাওয়া অফিস
- বৃহস্পতিবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা দেখুন
- আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ
- ইউরোপা লিগ ও টি২০, আজকের সব ম্যাচ কখন কোথায়
- কেন রাত ৮টার পর খাবার খাওয়া হজমে সমস্যা তৈরি করে
- প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!
- দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ গ্রহণ, ড. ইউনূসের আবেগঘন বার্তা
- ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান
- পদত্যাগ–নির্বাচন দুটিতেই মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রকাশ
- ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার
- ১০ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১০ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার
- ১০ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর এনএভি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- সিলকো ফার্মা দিল বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর!
- রেকর্ড ডেট শেষে তিন সিকিউরিটির লেনদেন পুনরায় শুরু
- ১৫ বছর মেয়াদি দুই বন্ডে লেনদেন বন্ধ, জানুন বিস্তারিত
- ১৬ বছরের নিচে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ
- মার্জিন ফাইন্যান্সে যেসব শেয়ার যোগ হলো, সম্পূর্ণ তালিকা
- নাহিদ, সারজিস, তাসনিম, নাসীরুদ্দীন-কোন আসনে কে লড়ছেন
- ডিএসই–৩০ সর্বশেষ আপডেট, বিনিয়োগকারীর জন্য জরুরি তথ্য
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে এনসিপির বড় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, কারা আছেন
- ১৬ বছরের ভয়–নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন তারেক রহমান
- শীতে রোগ প্রতিরোধে ১০ সুপারফুড
- ঢাকায় আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কখন? দেখে নিন
- আজ রিয়াল–সিটির মহারণ, দেখুন পুরো স্পোর্টস সূচি
- বুধবার ঢাকায় কোন মার্কেট বন্ধ আজই জেনে নিন
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- ব্যথানাশক নিয়েই খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
- কর্মবিরতি নিয়ে ফার্মাসিস্ট টেকনোলজিস্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল সরকার
- টিভিতে আজকের খেলা: ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খেলার ঠাসা সূচি
- ৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা রহমান
- ডিএসই ডেট মার্কেটে নীরব দিন, দাম বাড়ল একটি বন্ডে
- ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে ও কখন জেনে নিন সময়সূচি








