বায়ুদূষণে শীর্ষে আবার ঢাকা, AQI ২০২ ছুঁইছে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১১:১০:২৯
বায়ুদূষণে শীর্ষে আবার ঢাকা, AQI ২০২ ছুঁইছে
ছবি: সংগৃহীত

শ্বের অসংখ্য শহরের মতোই ঢাকায় বায়ুদূষণ একটি দীর্ঘস্থায়ী সংকট হিসেবে অবস্থান করছে। বছরজুড়ে মহাসড়কে ধুলাবালির উড়চ্ছ্বাস, নির্মাণকাজের অনিয়ম, যানবাহনের ধোঁয়া এবং শিল্পাঞ্চলের নিঃসরণ মিলিয়ে রাজধানীর বায়ুমান প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় পৌঁছে যায়। গত কয়েক সপ্তাহে বৃষ্টির হালকা প্রভাবের কারণে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে উন্নত হলেও সম্প্রতি আবারও ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা দ্রুত বেড়ে চলেছে।

বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার AQI স্কোর দাঁড়িয়েছে ২০২ পয়েন্টে। এই মাত্রাকে বিশেষজ্ঞরা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেন। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সংবেদনশীল গোষ্ঠী সবার জন্যই এমন বায়ুমান উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ২৫৩। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (স্কোর ২৫০), তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের করাচি (স্কোর ২৪৩)। ভিয়েতনামের হ্যানয় চতুর্থ স্থানে ২২৯ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে, আর ভারতের রাজধানী দিল্লি ২১৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, AQI বা বায়ুমান সূচক শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভাল’ হিসেবে গণ্য হয়। ৫১ থেকে ১০০ ‘মাঝারি’, ১০১ থেকে ১৫০ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ এবং ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরকে ধরা হয় ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। এ অবস্থায় শিশু, বৃদ্ধ, হৃদরোগী এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের ঘরের বাইরে থাকা সীমিত করতে বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়, যা যেকোনো নগরবাসীর জন্য তাৎক্ষণিক গুরুতর স্বাস্থ্যের বিপদ তৈরি করতে পারে।

ঢাকার বায়ুদূষণের এই পুনরুত্থান নগরবাসীর স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, শুষ্ক মৌসুমের সূচনায় ধুলাবালির আধিক্য, নির্মাণকাজের গতি বৃদ্ধি, যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং বায়ুপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

-রাফসান


২০ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের নতুন ভাড়া, দেখে নিন রুটভিত্তিক হার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৭:৫০:২৩
২০ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের নতুন ভাড়া, দেখে নিন রুটভিত্তিক হার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলভুক্ত রুটগুলোতে নতুন ভাড়া কাঠামো কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন ব্রিজ ও রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে যে অভিন্ন পয়েন্ট চার্জ আরোপ করা হয়েছে, তার ফলে দূরত্ব পুনর্নির্ধারণ করতে হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী যাত্রীপ্রতি ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা–চট্টগ্রাম বিরতিযুক্ত আন্তঃনগর রুটে পূর্বের ৩৪৬ কিলোমিটারের জায়গায় নতুন দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে শোভন চেয়ার থেকে শুরু করে এসি বার্থ সব শ্রেণির টিকিটে ভাড়া বেড়েছে। শোভন চেয়ার ৪০৫ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, প্রথম সিট ৬২১ থেকে ৬৮৫ টাকা, এসি চেয়ার ৭৭৭ থেকে ৮৫৭ টাকা, এসি সিট ৯৩২ থেকে ১০৩০ টাকা এবং এসি বার্থ ১৪৪৮ থেকে ১৫৯১ টাকা করা হয়েছে। একই রুটের নন-স্টপ ট্রেনেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, যেখানে শোভন চেয়ার ৪৯৫ টাকা এবং এসি সিট ১১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার–ঢাকা নন-স্টপ রুটেও নতুন দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩৫ থেকে ৫৮৩ কিলোমিটার। এর ফলে শোভন চেয়ার ৬৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫৪ টাকা হয়েছে। এসি চেয়ার, এসি সিট এবং এসি বার্থের ভাড়াও যথাক্রমে ১৪৪৩, ১৭২৮ এবং ২৬৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা–সিলেট রুটেও দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫০ কিলোমিটার, যার ফলে সব শ্রেণির টিকিটে ভাড়া বেড়েছে। শোভন চেয়ার এখন ৪১০ টাকা, প্রথম সিট ৬৩৩ টাকা, আর এসি বার্থ ১৪৬৫ টাকা করা হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলে পয়েন্ট চার্জ আরোপের ফলে বর্ধিত ভাড়া ইতোমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। এবার পূর্বাঞ্চলেও ভাড়া সমন্বয় করা হলে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে রেলভাড়ার সুষম সামঞ্জস্য নিশ্চিত হবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা।

-রফিক


তফসিল ঘোষণার দিন প্রকাশ করল ইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১৪:৩৬:৩৭
তফসিল ঘোষণার দিন প্রকাশ করল ইসি
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার সময়সূচি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অথবা পরদিন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন তফসিল প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার ভাষণসহ পুরো প্রক্রিয়া ইসিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকারই এখন মাত্র আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে বাকি আছে। এ সাক্ষাৎ বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা, অংশগ্রহণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, চূড়ান্ত পোস্টাল ব্যালটে নিষিদ্ধ বা স্থগিত রাজনৈতিক দলের কোনো নির্বাচনী প্রতীক স্থান পাবে না।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে সকল প্রস্তুতি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইসি একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

-রাফসান


কারাবন্দিদের জন্য দেশে চালু হচ্ছে নতুন যোগাযোগ সুবিধা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ১২:৫২:১৩
কারাবন্দিদের জন্য দেশে চালু হচ্ছে নতুন যোগাযোগ সুবিধা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের কারাগারগুলোতে বন্দিদের যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিক করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বন্দিরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে সপ্তাহে একবার নির্দিষ্ট নম্বরে মাত্র ১০ টাকায় ১০ মিনিট অডিও কলে কথা বলার সুযোগ পান। এবার সেই সুবিধার পরিধি আরও বাড়িয়ে ভিডিও কলের ব্যবস্থাও চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে অচিরেই দেশের সব কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারে আইপি ফোন স্থাপন করা হবে। কারা প্রশাসন মনে করছে, এতে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগ সহজ হবে এবং সাক্ষাতের জন্য বারবার কারাগারে ছুটে যাওয়ার ভোগান্তিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্দির আত্মীয়স্বজনদের কারাগারে আসতে প্রায়শই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। পরিবহন, সময়, খাবারসহ নানা খরচ যোগ হয়ে সাধারণত একটি সাক্ষাতে গড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। অনেক পরিবারকে ধারদেনা করে এ ব্যয় বহন করতে হয়। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ভিডিও কলের মাধ্যমে সহজ ও কম খরচে যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নতুন ব্যবস্থার আওতায় বন্দিরা নিজের ডিভাইস বা পিসি ব্যবহার করে সপ্তাহে ১৫ টাকায় ১০ মিনিট সহজেই ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন।

কয়েকটি কারাগারের কর্মকর্তারা জানান, একসময় কারাগারে টেলিফোন স্থাপনা কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হতো। তবে আধুনিক সফটওয়্যার ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে এখন পুরো প্রক্রিয়া সহজে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। ভিডিও কল ব্যবস্থা চালু হলে বন্দিরা কেবল কণ্ঠ নয়, প্রিয়জনদের মুখও দেখতে পারবেন। যা তাদের মানসিক চাপে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি কমাতে সহায়ক হবে।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত–উল–ফরহাদ জানিয়েছেন, "কারাগার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ভিডিও কল চালুর কার্যক্রম গুরুত্বসহকারে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে অডিও কল সুবিধা সফল হওয়ায় এবার আইপি ফোন ব্যবহার করে ভিডিও কল বাস্তবায়নের উদ্যোগকে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।"

কারা প্রশাসন বিশ্বাস করে, এই ডিজিটাল সুবিধা একদিকে যেমন বন্দিদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে, তেমনি কারাগারের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাকেও আরও কার্যকর করে তুলবে।

-শরিফুল


বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার শীর্ষস্থান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ০৯:৩৪:৫৮
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার শীর্ষস্থান
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের বড় শহরগুলোতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়। একইভাবে দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানী ঢাকা মারাত্মক বায়ুদূষণের চাপের মধ্যে রয়েছে। কিছু সপ্তাহ আগে শহরটির বায়ুগুণমানে সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে আবারও দূষণের মাত্রা তীব্রভাবে বেড়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২৫৯। এই স্কোর শহরটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকার শীর্ষ স্থানে নিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ মাত্রার বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একই সময়ে ভারতের কলকাতা শহরের একিউআই স্কোরও ছিল ২৫৯, যা তাকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দূষিত শহরের মধ্যে মিশরের রাজধানী কায়রো ২৫৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয়, পাকিস্তানের লাহোর ২৪১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ এবং ভারতের দিল্লি ২২৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

বায়ুমানের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একিউআই স্কোর ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ভালো বায়ু হিসেবে গণ্য হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর হিসেবে ধরা হয়।

একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে বায়ুকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। আর ২০১ থেকে ৩০০–এর মধ্যে স্কোর থাকলে তা ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বায়ুর ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের ঘরের বাইরে চলাফেরা সীমিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

-শরিফুল


এইচএসসি নম্বরপত্র সংগ্রহে নতুন সূচি প্রকাশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৯ ০৯:১৯:০০
এইচএসসি নম্বরপত্র সংগ্রহে নতুন সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার ফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রদান শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।বোর্ড জানিয়েছে, এই বিতরণ কার্যক্রম চলবে ধারাবাহিকভাবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের মূল নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বোর্ডের সনদ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। নম্বরপত্র প্রদান কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে এবং সনদ শাখা অবস্থিত ৪ নম্বর ভবনের পঞ্চম তলা থেকে নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক নম্বরপত্র বিতরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও ঢাকা জেলার নম্বরপত্র দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। নরসিংদী ও ফরিদপুর জেলার শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র পাওয়া যাবে ১১ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র বিতরণ হবে। কিশোরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র দেওয়া হবে ১৫ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নম্বরপত্র বিতরণ করা হবে। রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলার নম্বরপত্র পাওয়া যাবে ১৮ ডিসেম্বর। গাজীপুর জেলার শিক্ষার্থীরা পারবেন ২১ ডিসেম্বর নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে। আর সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর বিতরণ করা হবে ঢাকা মহানগরের শিক্ষার্থীদের মূল নম্বরপত্র।

অফিস আদেশে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নম্বরপত্র গ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিভাগভিত্তিক তালিকা জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে যথাযথ কর্তৃত্ব পত্রসহ তিনটি স্বাক্ষরের নমুনা সত্যায়িত করে নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

-রফিক


আগের ৯৬টি বাতিল করে নতুন ৮১ সংস্থাকে ভোটের মাঠে নামাচ্ছে কমিশন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৯:১০:৩৮
আগের ৯৬টি বাতিল করে নতুন ৮১ সংস্থাকে ভোটের মাঠে নামাচ্ছে কমিশন
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্তভাবে ৮১টি দেশীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন বা ইসি। সোমবার ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রাথমিক তালিকা নির্ধারণপূর্বক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন।

এ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যেকোনো দাবি আপত্তি বা অভিযোগ ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয়েছিল এবং অভিযোগের স্বপক্ষে সহায়ক প্রমাণও জমা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে প্রথম ধাপে ৬৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এই ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ইসির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে যাচাই বাছাই করে আরও ১৫টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ১৫ সংস্থাকে চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০৩০ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হলো। ইসি জানায় বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫ এর ধারা ১৬ মোতাবেক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে ইসি জানায় ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে কমিশন। সেই সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল এবং ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট আয়োজনে নজর রেখেছিলেন।


গ্রামের গর্ভবতী মা থেকে শহরের কর্মজীবী নারী সবার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৮:৫৩:২৯
গ্রামের গর্ভবতী মা থেকে শহরের কর্মজীবী নারী সবার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন নারীমুক্তি ও মানবাধিকার নিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৯ ডিসেম্বর দেশে নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া স্মরণে বেগম রোকেয়া দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে প্রধান উপদেষ্টা আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন এই অঞ্চলের নারী সমাজকে যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

বাণীতে ডক্টর ইউনূস উল্লেখ করেন ঊনবিংশ শতাব্দীতে রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্য উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি ছিল শিক্ষা। এই উপলব্ধি থেকে বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তারে বিরাট সাহসী ভূমিকা পালন করেন। বেগম রোকেয়া নারী উন্নয়নের পথে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন তার ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্রামীণ অসচ্ছল নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বা ভিডব্লিউবি কর্মসূচি এবং গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের ও শহর এলাকায় স্বল্প আয়ের কর্মজীবী মায়েদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান। এছাড়া দেশব্যাপী তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান প্রান্তিক নারীদের উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা প্রদান করাসহ কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসনের লক্ষ্যে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল পরিচালিত হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিকার ও প্রতিরোধে সমন্বিত সেবা জোরদারকরণ এবং কুইক রেসপন্স টিমের কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় টোল ফ্রি হট লাইন সেবা ১০৯ সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে।

বাণীর শেষাংশে বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণে নারী অধিকার ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য যাঁরা বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় শেখ হাসিনার ১৭ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:৩১:০২
জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় শেখ হাসিনার ১৭ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

চব্বিশের জুলাই আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা ও গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলের সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার ৮ ডিসেম্বর সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় তাঁদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এরপর একে একে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের হাজতখানায় নেন।

এদিন ট্রাইব্যুনাল ১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আনা আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এছাড়া সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম সাবেক এমপি ফারুক খান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকেও হাজির করা হয়েছে।

এর মধ্যে সালমান এফ রহমান আনিসুল হক হাসানুল হক ইনু ও জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় ইতিমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল ১। একইসঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও উপদেষ্টা সালমানের ফরমাল চার্জে কারফিউ জারি করে ছাত্র জনতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর পৃথক মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।


কে হচ্ছেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? জল্পনা চূড়ায়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:১২:৫৯
কে হচ্ছেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? জল্পনা চূড়ায়
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। তার অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় বিচারাঙ্গনে জল্পনা তৈরি হয়েছে কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতার তালিকায় শীর্ষে থাকা বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। রীতি অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া আছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারও আপিল বিভাগ থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থির সময়ে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটি এক অনন্য নজির, কারণ অতীতে সব প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগ থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।

সংবিধানের ৯৫ ও ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন এবং প্রয়োজনে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও সংবিধানে জ্যেষ্ঠতা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ করেছিল। কমিশন আরও বলেছে, জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বর্তমান সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার বাধ্যবাধকতা নেই; রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করতে পারেন। এখন সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির হাতে তিনি কাকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বেছে নেবেন।

আসন্ন নিয়োগকে সামনে রেখে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির প্রোফাইল নিয়েও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নুরুল ইসলাম ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি জাহানারা আরজুর সন্তান। ১৯৮৩ সালে আইন পেশায় প্রবেশ করে তিনি ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০২২ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ধাপে ধাপে উন্নীত হয়ে ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে যোগ দেন। তিনিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পরিবারের সন্তান।

বিচারপতি মো. রেজাউল হক ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন এবং ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি এস.এম. ইমদাদুল হক ১৯৯০ সালে আইন পেশায় প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে উন্নীত হন।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান দীর্ঘ আইনি অভিজ্ঞতার পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০২৫ সালে আপিল বিভাগে ওঠেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আইনজীবী পরিবারের সন্তান হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর ২০২৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগকে ঘিরে এখন আদালতপাড়া সরগরম। আইনজীবী মহলে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের যোগ্যতা, সিনিয়রিটি ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা। সবশেষ সিদ্ধান্ত এখন রাষ্ট্রপতির হাতে, যিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত