সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে উপকূলীয় সুরক্ষা বন নির্বিচারে কেটে সরকারি জমি দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার নেতৃত্বে অনুসারীরা রাতের আঁধারে মগধরা ইউনিয়নের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কেওড়া এবং অন্যান্য ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ কেটে ফেলছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব কাটা গাছ নদীপথ এবং সড়কপথে হাতিয়া সুবর্ণচরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে। এতে সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী সুরক্ষা বাঁধ এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে গেছে এবং বাড়ছে নদীভাঙনের আশঙ্কা।
বন বিভাগ সূত্র জানায় মগধরা এলাকার বিস্তীর্ণ বনটি ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর কোস্টাল গ্রীণবেল্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বনায়ন করা হয়েছিল। এই বেল্ট উপকূলীয় জনপদকে জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড় এবং নদীভাঙন থেকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্থানীয়দের অভিযোগ ইদ্রিস আলম প্রকাশ্যে বন উজাড় করলেও বন বিভাগ পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মগধরা ইউনিয়নের দ্বীপ সুরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন বনাঞ্চলের প্রায় ২০ একর এলাকায় হাজার হাজার কেওড়া এবং ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশাল গাছের গুঁড়ি ডালপালা এবং কাটা কাঠের স্তূপ। স্থানীয় নারীরাও কাটা গাছের টুকরো সংগ্রহ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ অভিযোগ করেন বন উজাড়ে বন বিভাগের বেশ কিছু অসাধু সদস্য জড়িত। অভিযোগ দেওয়ার পরও কেউ ঘটনাস্থলে আসে না বরং ঘটনাটি উপেক্ষা করা হচ্ছে।
এই বনের ধ্বংসে সন্দ্বীপ চ্যানেল তীরবর্তী সুরক্ষা বনের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নদীভাঙনের ঝুঁকি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বেড়িবাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম বলেন গত এক বছর ধরে বন কাটা চলছে তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই গাছ কাটছে। স্থানীয় এক চা দোকানি জানান রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত একটি গ্রুপ এবং ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত আরেকটি গ্রুপ গাছ কাটে। পুরো কাজটি হচ্ছে ইদ্রিস আলমের নেতৃত্বে এবং তার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে ভয় পান।
তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলম দাবি করেছেন যে তিনি নিজের জায়গার গাছ কাটছেন এবং সেখানে তার লিজ নেওয়া ১০ কানি জমিসহ আরও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। কিন্তু বন বিভাগ তার দাবি সরাসরি নাকচ করেছে। সন্দ্বীপ উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন সরকারি সৃজিত বনের অংশবিশেষ কেউ নিজের দাবি করলে তাকে প্রথমে লিখিত আবেদন করতে হবে এবং সার্ভে শেষে মালিকানা নির্ধারণ করা হবে। অনুমতি ছাড়া বন বিভাগের কোনো গাছ কাটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা জানান বন বিভাগের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন যে উপকূলীয় বন উজাড়ের মতো গুরুতর অপরাধ কোনোভাবেই উপেক্ষিত থাকবে না।
সন্দ্বীপের উপকূল রক্ষাকারী বনের এই ধ্বংস পরিবেশ জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে উপকূলীয় অঞ্চলকে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
-রাফসান
শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলনরত নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন বাংলাদেশের শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং শিক্ষা এখন জাতির অসুস্থতা এবং সরকার ও প্রশাসনের উদাসীনতা দেখলে সেটাই মনে হয়। সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকার প্রতিশ্রুত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সচল সব নন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রতি একাত্মতা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আক্ষেপ করে বলেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষিত মানুষরা আজ ফুটপাতে বসে অনশন করছেন কিন্তু সরকার বা প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি উল্লেখ করেন যে তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে আসছেন অথচ সেই সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই শিক্ষকরা আজ অনাহারে জীবন যাপন করছেন। তিনি মন্তব্য করেন যে এটা শুধু সরকারের লজ্জা নয় বরং এটি পুরো জাতির লজ্জা।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে এবং সব দল মনে করেছে এ সরকারের অধীনে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সেই বিশ্বাস এখনো প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের ওপরে আছে। কিন্তু রিজভী অভিযোগ করেন যে অন্য উপদেষ্টারা জনগণের স্বার্থে বা জনগণের চিন্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন না যা কোনো কার্যকর সরকারের কাজ হতে পারে না।
শেখ হাসিনার আমলে ভারতের একটি প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তির কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন এ চুক্তি পৃথিবীর কোথাও হয়নি। সবচেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও বেসরকারি কোম্পানিকে দিতে হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ। অথচ নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ফুটপাতে অনশন করেন কিন্তু তাদের জন্য সরকারের কোনো টাকাই নেই এবং তাদের জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি হয় না।
অর্থ উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি কখনো গরিব মানুষের পক্ষে থাকেননি। সরকার গরিব মানুষের জন্য হলেও এ সরকার গরিব মানুষের দিকে তাকায় না বরং গরিব মানুষের ওপর কীভাবে স্টিমরোলার চালানো যায় আজ তিনি সেটির নমুনা দেখলেন বলে মন্তব্য করেন। রিজভী প্রশ্ন তোলেন যে কত হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে এবং শত শত কোটি টাকা এখন কয়েকজনের বাড়িতে খোঁজ করলেই পাওয়া যায়। সরকারও কত দিকে কত কাজে টাকা দিচ্ছে তাহলে শিক্ষকদের জন্য টাকা খরচ করতে অসুবিধা কোথায়।
কৃষি ও কৃষকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের ওপর ৮৩ শতাংশ কর বাড়ানো হয়েছে। এতে সারের দাম বাড়বে এবং কৃষক বিপর্যস্ত হবে যা প্রমাণ করে সরকার গরিববান্ধব নয়। রিজভী অভিযোগ করে বলেন আমলাতান্ত্রিক লালফিতার জটিলতা শিক্ষা খাতকে জর্জরিত করে রেখেছে। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি শিক্ষকেরাও ভালো বেতন পান কিন্তু বাংলাদেশে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে এলেও কোনো সমাধান হয় না।
বক্তব্যের শেষে তিনি অবিলম্বে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। তিনি মন্তব্য করেন যারা মানুষ গড়েন তাঁরা নিজেরাই অনাহারে অনশন করছেন এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই শারীরিক অসুস্থতার মুহূর্তে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সোমবার ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। ডা. জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেন যে চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন মহান আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন।
এর আগে রোববার ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে দীর্ঘ ১১৭ দিন অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরার পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন কোনো রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না। তিনি ইসলামকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন যারা আল্লাহর ওপর সন্তুষ্টি ও বিশ্বাস না রেখে শুধু নিজের দলকে ইসলাম ব্যবহারের পন্থা হিসেবে ব্যবহার করতে চান ওই ইসলাম আসল ইসলাম নয়। মদিনার ইসলামই আসল ইসলাম। মওদুদীর ইসলাম আসল ইসলাম নয় বরং ওইটা পাকিস্তানের ইসলাম।
সোমবার ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের করইতলা এলাকায় আয়োজিত ধানের শীষের পক্ষে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শের কঠোর সমালোচনা করেন। এ্যানি বলেন মওদুদীর ছেলে নিজে তাঁর বাবার বিরোধিতা করেছেন। যারা মওদুদীবাদ বা মওদুদী ইসলাম নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে জামায়াত বেহেশতের সার্টিফিকেট দিতে চায় বা জান্নাতের কথা বলে এটা শিরক। এটা হয় না কারণ একটা রাজনৈতিক দল কখনো জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন আমার ঈমান আকিদা ও কর্ম দিয়ে ইহকালে কী করলাম তার ওপর ভিত্তি করেই পরকাল নির্ধারিত হবে।
সমাবেশে তিনি তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে বলেন তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক। তরুণরা এত দিন ভোট দিতে পারেননি তবে এবার তারা ভোট দেবেন। তিনি দাবি করেন ধানের শীষ যখনই দাঁড়ায় তখনই জেতে। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন আপনারা আমাকে ধানের শীষেই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। এ এলাকার ঘরে ঘরে ধান এবং ঘরে ঘরে জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান রয়েছেন যার কারণে যখনই ভোট আসে তখনই ধানের শীষ জেতে।
জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া মাত্র ৩৬ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। তিনি একজন সৈনিক ও মেজর ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যখন যুদ্ধ হয় তখন তিনি সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তাঁর ডাকের কারণেই তরুণ সমাজ যুদ্ধে নেমে পড়েছিল এবং তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়।
বিএনপি যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া আবুল হাশেম মাহবুবুর রহমান লিটন লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটনসহ জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী
বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাংগঠনিক সচিব আল্লামা মুফতি গিয়াসউদ্দিন তাহেরী বলেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বৃহত্তর সুন্নি জোটের পক্ষ থেকে দেশের ৩০০ আসনেই প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে। তিনি বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেন দেশে মব ভাইরাসের তাণ্ডবলীলায় মানুষ এখন অতিষ্ঠ তাই শান্তি কায়েমে মব তাণ্ডব বন্ধ করতে হবে।
সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। গিয়াসউদ্দিন তাহেরী দাবি করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এদেশের একমাত্র শান্তিপূর্ণ দল। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুভূতি এবং শান্তির বার্তা এদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের পদার্পণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দলের আদর্শ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন সুফিবাদী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরা কখনো কারও ওপর জুলুম করে না এবং কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে না। তারা সবসময় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন এবার ভোটে যেন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল না করি। দেশের সুন্নি মুসলমানরা যদি এক থাকে তাহলে আমরাই আগামীতে সরকার গঠন করব।
সবশেষে তিনি সব শান্তিপ্রিয় জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুন্নি জোটকে বিজয়ী করুন। দেশকে শান্তি শৃঙ্খলায় রাখতে হলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং বৃহত্তর সুন্নি জোটের সঙ্গে একতাবদ্ধ হতে সবাইকে হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ৪ বা সীতাকুণ্ড আসনের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন পুরোপুরি সরগরম। শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আনোয়ারুল সিদ্দিকী। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে সীতাকুণ্ডের এই দুই নেতার লড়াই নির্বাচনী মাঠকে মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত করেছে।
মাঠের রাজনীতিতে বিএনপির কাজী সালাউদ্দিন বেশ প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দলের তৃণমূলে তাঁর শক্ত অবস্থান রয়েছে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং সীতাকুণ্ডের প্রতিটি ইউনিটে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্ব এবং ধানের শীষের ঐতিহ্যবাহী ভোটব্যাংক এই আসনে বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে।
অন্যদিকে সীতাকুণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আনোয়ারুল সিদ্দিকীও ছেড়ে কথা বলছেন না। জামায়াতের সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী এবং নীরব ভোটব্যাংক তাঁর বড় শক্তি। আনোয়ারুল সিদ্দিকী এলাকাভিত্তিক গণসংযোগ এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে সাধারণ ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন সীতাকুণ্ডের শিল্প শ্রমিক এবং ধর্মপ্রাণ ভোটারদের একটি বড় অংশ যদি জামায়াতের দিকে ঝুঁকে পড়ে তবে আনোয়ারুল সিদ্দিকী বিএনপিকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।
সীতাকুণ্ডের সাধারণ ভোটাররা এই লড়াইকে বিএনপি বনাম জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তির পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন। একদিকে কাজী সালাউদ্দিনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পরিচিতি ও মাঠের দখল অন্যদিকে আনোয়ারুল সিদ্দিকীর কৌশলগত প্রচারণা ও জামায়াতের একনিষ্ট কর্মী বাহিনী। এই দুইয়ের মধ্যে কে শেষ হাসি হাসবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে পুরো সীতাকুণ্ডবাসী। কার্যত নৌকা না থাকায় সীতাকুণ্ডের ভোটের মাঠ এখন পুরোপুরি কাজী সালাউদ্দিন বনাম আনোয়ারুল সিদ্দিকীর দ্বৈরথে পরিণত হয়েছে।
গত ১৫ বছর গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ লালন করেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার বা বিজেসি আয়োজিত মিডিয়া সংস্কার প্রতিবেদনের পর্যালোচনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন আমাদের প্রতিশ্রুতি খুবই পরিষ্কার। আমরা ৩১ দফার মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলেছি যে আমরা একটি স্বাধীন গণমাধ্যম দেখতে চাই এবং সেটি গড়ে তুলতে চাই। সেজন্যই আমরা তখনই একটি কমিশন গঠনের অঙ্গীকার করেছিলাম। তিনি জানান কমিশনটি ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে এবং রিপোর্টও প্রস্তুত হয়েছে। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন রিপোর্টের কোনো আলোচনা পরবর্তী সময়ে হয়নি। আমরা আশা করি আমরা যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠনের দায়িত্ব পাই তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে এ বিষয়টি অগ্রাধিকার দেব।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন বিএনপি যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে তখনই গণমাধ্যমকে উন্নত ও উপযোগী করে তোলার জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বর্তমান টেলিভিশন চ্যানেলের সময়োপযোগী কাজগুলো শুরুর কৃতিত্ব বিএনপির আমলকেই দেন।
সাংবাদিকদের দলীয়করণ ও বিভক্তি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন আপনাদের তো অনেকগুলো ইউনিয়ন আছে। বিএফইউজে ও ডিআরইউ আবার দুই দলের দুই ভাগ আছে বা তিন ভাগ আছে। আপনারা নিজেরাই আজকে দলীয় হয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের কাউকে পকেটে নিতে চায় কিন্তু আপনারা যদি পকেটে ঢুকে যান তখন কিন্তু সমস্যা।
আওয়ামী শাসনামলের সময়টায় গণমাধ্যমের অবস্থান সম্পর্কে তিনি অভিযোগ করে বলেন আমরা দেখেছি গণমাধ্যম গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদ লালন করেছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের এখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা থাকলেও অন্যদের নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন রিজভী
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন এই সরকারের আচরণে মনে হয় গরিব শিক্ষকরা দেশের নাগরিক নন। সোমবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তির দাবিতে নন এমপিও শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে রিজভী এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি আগামী নির্বাচন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন বিএনপি বিশ্বাস করে প্রধান উপদেষ্টা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবেন তবে কিছু কিছু উপদেষ্টার আচরণে সেটি মনে হয় না। সরকারের কতিপয় উপদেষ্টার কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
এ সময় নন এমপিও শিক্ষকদের দাবিকে শতভাগ ন্যায়সঙ্গত জানিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা। তিনি শিক্ষকদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য বিগত ২৩ দিন ধরে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্যপরিষদের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। শিক্ষকদের এই দীর্ঘ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েই রিজভী সরকারের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে নতুন জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকে রোববার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে চিকিৎসকদের একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী জানান, গত কয়েক মাস ধরে তিনি ঘনঘন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তবে এবার একসঙ্গে কয়েকটি সমস্যা দেখা দেওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার চেস্টে ইনফেকশন শনাক্ত হয়েছে, আর হার্টের আগের জটিলতা স্থায়ী পেসমেকার, স্টেন্টিং এবং মাইট্রোস্টেনোসিস এর সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণ যুক্ত হওয়ায় তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
হাসপাতালে আনার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা হয় এবং প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে জরুরি অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, আগামী ১২ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট হাতে এলে পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।
হাসপাতালের অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডে দেশের শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও লন্ডন থেকে ডা. জুবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স হসপিটালের বিশেষজ্ঞরা ভার্চুয়ালি যুক্ত রয়েছেন। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অযথা উৎকণ্ঠিত হওয়া কারণ নেই, তবে সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে।
তিনি জানান, লন্ডন থেকে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, আর প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমানও হাসপাতালে উপস্থিত আছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বলে জানান জাহিদ হোসেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন। তবে চলমান জটিলতার সর্বশেষ ধাপটি চিকিৎসকদের মতে আরও সতর্কতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ দাবি করছে, যেখানে হার্ট ও ফুসফুসের সমন্বিত সমস্যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
-রাফসান
পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতার বিএনপিতে যোগদান
কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন ঢেউ তুলেছে আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীর নাটকীয় দলবদল। ২৩ নভেম্বর রাত ৮টায় বারবাকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন ও কাউন্সিলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় ফুল দিয়ে আনুগত্য প্রদর্শন করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইনের কাছে।
বারবাকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জেড এম মিনার।সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, “আজকের এই যোগদান বারবাকিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বদলে দেবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আবু ছিদ্দিক রনি, অ্যাডভোকেট মিনার, ওলামা দলের সদস্য সচিব সানা উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মুজিবুল হক চৌধুরী এবং ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইদ্রিস বাদশা, মেম্বার আলমগীর, ছরওয়ার কামাল, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শওকত হোসেন, ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এটিএম গিয়াস উদ্দিন হায়দার, কৃষক দলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল আলিম, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের হাতে ফুল দিয়ে যে ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-
আবুল কাশেম, মো. শাহাদাত, আমির হোসাইন, মোহাম্মদ কামাল, বদিউল আলম, মো. কাছিম, বাদল চন্দ্র শীল, আবদুল খালেক, নুরুল হোসাইন, নজরুল, নুরুল হক, মো. নাছির মহিউদ্দিন, বশর, বদি আলম (২), মো. করিম, মো. কাশেম, নাজিম উদ্দিন, জসিম, জমির, আলমগীর, মো. কাশেম, উজ্জ্বল চন্দ্র শীল, আবু তালেব, নবীর হোসাইন, আনসার, রাজিব, মনু প্রমুখ।
নতুন যোগদানকারীরা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নেতৃত্ব ও আদর্শেই তারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন।তাদের ভাষায়, “সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে আমরা নিজেদের বিকল্প রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দেখছি।”
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে বড় বৈষম্য NAV বিশ্লেষণে বাজারচাপ স্পষ্ট
- ফরচুন সুজ লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- নতুন পে স্কেলে বড় ঘোষণা সামনে আলোচনার অন্তরালে কী ঘটছে
- এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়
- জামায়াত নেতার বক্তব্যে পুলিশের তীব্র প্রতিবাদ
- দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের সম্ভাবনা
- ২৫ নভেম্বর, আজকের নামাজের সময়সূচি
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কবে খেলছে জানুন বিস্তারিত
- সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
- রাজধানীতে আজ ব্যস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে
- রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার যেসব মার্কেট বন্ধ জানুন এক নজরে
- বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত সরকার
- আগামী ৫ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে আহমাদুল্লাহর জরুরি সতর্কবার্তা
- ইথিওপিয়ায় বিরল অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য এবং ১২ হাজার বছরের নীরবতা ভাঙার গল্প
- কুমিল্লায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
- শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
- এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
- রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি
- গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষের সত্যতা মেলার পরও এসপি পেলেন নামমাত্র শাস্তি
- ক্যানসার থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় আনুন ৫টি সহজ পরিবর্তন
- উপকারী হলেও মেথি ভেজানো পানি যাদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে
- শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী
- প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডক্টর ইউনূসের জরুরি বৈঠক
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- চুক্তি নবায়নের আলোচনা থমকে যাওয়ায় রিয়ালে অনিশ্চিত ভিনিসিয়ুসের ভবিষ্যৎ
- মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম
- গত ১৫ বছর গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ লালন করেছে: মির্জা ফখরুল
- প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা থাকলেও অন্যদের নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন রিজভী
- নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বেড়েছে টার্গেট কিলিং ও ফিল্মি স্টাইলে হত্যা
- ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল
- আজ বিকেল থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির বড় সিদ্ধান্ত
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের হি ম্যান খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বিস্ফোরক মন্তব্য
- মালয়েশিয়ায় জেলের ঘানি টেনে অবশেষে দেশে ফিরতে হলো ৪৯ বাংলাদেশিকে
- জুলাইয়ের গণহত্যা মামলায় এবার সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত
- মামলার জট কমাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ২১টি সংস্কার ও লিগ্যাল এইড নিয়ে উপদেষ্টার বার্তা
- নির্বাচন ও গণভোটের খরচ নিয়ে সরকারের নো টেনশন নীতির কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি দুই বড় প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল লেনদেনে
- ডিএসই ৩০ সূচকে জোরদার উত্থান বাজারে ফিরছে আস্থা
- রেকর্ড ডে সামনে রেখে পদ্মা অয়েলের স্বচ্ছ লেনদেন নির্দেশনা
- প্রবাসী ভোটে নতুন রেকর্ড শীর্ষে যে দুই দেশ
- ভূমিকম্পে বাথরুম কি সত্যিই নিরাপদ? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
- বাংলাদেশি ওষুধশিল্পের রেনাটার মাইলফলক
- ডিএসইতে একযোগে এনএভি প্রকাশ, কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
- ২১–১৮ ক্যারেটেও দাম কমছে, কেমন হবে বাজারের পরবর্তী ধাপ?
- দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- "শেখ হাসিনার রায় কার্যকর হবে না"








