নেতানিয়াহু বা পুতিন কাউকেই ছাড় নয়, জোহরান মামদানির কঠোর বার্তা

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি নিউইয়র্ক সফরে যান, তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শহরটির নবনির্বাচিত মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি। ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণ মেয়র বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতের পর একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজের এই কঠোর অবস্থানের কথা জানান। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন মামদানি।
নির্বাচনে জয়ের পরপরই মামদানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, গাজায় গণহত্যার অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, তা তিনি নিউইয়র্ক শহরে কার্যকর করবেন। উল্লেখ্য, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আইসিসি এই পরোয়ানা জারি করেছিল। বিদায়ী মেয়র অ্যাডামসের সঙ্গে আলোচনার সময়ও মামদানি স্পষ্ট করেন যে, এই পরোয়ানা নিউইয়র্কে বহাল থাকবে এবং নেতানিয়াহু এখানে আসামাত্রই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পরবর্তীতে এবিসি৭-এর একটি লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি তার এই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। মামদানি নিউইয়র্ককে ‘আন্তর্জাতিক আইনের শহর’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আইন রক্ষা করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হোন বা ভ্লাদিমির পুতিন—আইনের ক্ষেত্রে কারও জন্যই কোনো ছাড় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি মন্তব্য করেন, "আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো নই। তিনি নিজের ইচ্ছামতো আইন তৈরি করেন, আর আমি বিদ্যমান আইন মেনে চলি।"
আগামী ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে জোহরান মামদানির। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার ইস্যুতে তার এমন দৃঢ় অবস্থান বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
মধ্যরাতে পুলিশি অ্যাকশন: হেফাজতে ইমরান খানের ৩ বোন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের তিন বোনকে হেফাজতে নিয়েছে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আলেমা, ডা. উজমা এবং নওরীন নামের এই তিন বোনকে আটক করে চকরি এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই আটকের মধ্য দিয়ে আদিয়ালা কারাগারের বাইরে টানা ১০ ঘণ্টা ধরে চলা তাদের অবস্থান ধর্মঘটের অবসান ঘটেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন নির্ধারিত দিনে ইমরান খানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য এবং দলীয় নেতাদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে তারা কারাগারের ফ্যাক্টরি চেকপয়েন্টের কাছে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা করে। কিন্তু ইমরান খানের বোন আলেমা খান তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের নির্দিষ্ট সময় না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতি জানান এবং অনড় থাকেন।
পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে মধ্যরাতের দিকে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। প্রথমে তারা সেখানে অবস্থানরত পিটিআইয়ের পুরুষ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর নারী পুলিশের একটি দল এসে ইমরান খানের বোনদের হেফাজতে নেয় এবং তাদের পুলিশের ভ্যানে তুলে চকরির দিকে নিয়ে যায়। পুলিশের এই পদক্ষেপের পর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির অবসান ঘটে এবং বাকি কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে এলাকা ত্যাগ করেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে পিটিআই অভিযোগ করেছে, ইমরান খানের বোনেরা যখন আদিয়ালা কারাগারের বাইরে শান্তিপূর্ণভাবে বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করে এবং সহিংসভাবে আটক করে নিয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: দ্য ডন
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৭ জন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকার তিনটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে এবং গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা শুজাইয়া ও জয়তুনের একটি করে ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা বর্ষণ করে।
আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, আইডিএফের বোমার আঘাতে একটি ভবনে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাবা, মা এবং তাদের তিন সন্তানসহ একই পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, গাজার ফিলিস্তিনিরা বর্তমানে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কাগজে-কলমে যুদ্ধবিরতি চললেও বাস্তবে সেখানে যুদ্ধের পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর নিত্যদিনের সহিংসতায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার কারণ ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব গাজার খান ইউনিস এলাকায় কর্মরত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলি চালিয়েছিল। সেই ঘটনার জবাব দিতেই তারা হামাসের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে এই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আইডিএফ দাবি করেছে, বুধবার গাজায় তারা যেসব জায়গায় আঘাত করেছে, সেগুলো সবই হামাসের ঘাঁটি ছিল। তাদের ভাষ্যমতে, এই হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন হয়নি, বরং যুদ্ধবিরতির শর্তের আওতাতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আইডিএফের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গাজার খান ইউনিস এবং গাজা সিটিতে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মোট পাঁচটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন যেকোনো কিছু ধ্বংস করতে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হামাস এই হামলাকে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা’ সৃষ্টি করার প্রয়াস বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দেওয়া ব্যাখ্যা ও ঘটনার বিবরণ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি ছেড়ে পারমাণবিক শক্তিতে ফিরছে জাপান
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া’ পুনরায় চালু করার জন্য খুব শিগগিরই সবুজ সংকেত দিতে যাচ্ছে জাপান। মূলত দেশে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যেই এই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালে ফুকুশিমায় ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটি তাদের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কিয়োডো নিউজ এবং নিক্কেই বিজনেস ডেইলির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই স্থানীয় গভর্নরের কাছ থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় চালু করার অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মধ্য নিগাতা প্রদেশের গভর্নর হিদেয়ো হানাজুমি আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশাল এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে মোট সাতটি চুল্লি থাকলেও প্রাথমিকভাবে মাত্র একটি চুল্লি পুনরায় কাজ শুরু করবে।
২০১১ সালের প্রলয়ংকরী সুনামি এবং ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর জাপান সরকার দেশের সবকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীতে অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড নিশ্চিত করার পর দেশটির পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলে মোট ১৪টি চুল্লি পুনরায় চালু করা হয়েছে।
যদি কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া চালুর অনুমোদন পাওয়া যায়, তবে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর এই প্রথম ফুকুশিমার অপারেটর কোম্পানি ‘টেপকো’ তাদের কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু করার সুযোগ পাবে।
জাপান সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য এবং ভবিষ্যতের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকে একটি নির্ভরযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উৎস হিসেবে সমর্থন দিয়ে আসছে।
চুক্তি খাতায়-কলমে, বাস্তবে আগ্রাসন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পরেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থামেনি। গত ১০ অক্টোবর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে চুক্তি বহাল থাকার পরেও ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস থেকে দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত ৩৯৩ বার যুদ্ধবিরতির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। তাদের চালানো এসব হামলায় যুদ্ধবিরতি চলাকালীনই ২৭৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ৬৫২ জন আহত হয়েছেন।
গাজার বাইরেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সহিংসতা চলছে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী এক শিশু এবং আল জাজিরার একজন সাংবাদিককে গুলি করেছে। গত মঙ্গলবার পশ্চিম তীরে গাড়ি চাপা দেওয়া এবং ছুরিকাঘাতের পৃথক ঘটনায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় চলা ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন ‘ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস’ এক উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এনেছে। তাদের মতে, গত দুই বছরের কম সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ও আটক ব্যক্তি মারা গেছেন। সংগঠনটির নতুন প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, এসব মৃত্যু পদ্ধতিগত বা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অংশ হতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগের ১০ বছরে ইসরায়েলি হেফাজতে মাত্র ৩০ জন ফিলিস্তিনি মারা গিয়েছিলেন। মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে শারীরিক নির্যাতন এবং চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার কারণেই কারাগারে বন্দিদের মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। ইসরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা আইন মেনেই বন্দিদের পরিচালনা করে থাকে।
দিল্লির ‘কাঁটা’ শেখ হাসিনা, সম্পর্কে টানাপোড়েন কতদিন?
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতেই অবস্থান করছেন। এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ভারত বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে সীমা আখতার নামের ২৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী ফুটবল অনুশীলনের সময় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের খবর পান। তার কাছে এই রায়টি ন্যায়বিচারের এক মুহূর্ত বলে মনে হয়েছে। গত বছর শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে সীমার কয়েকজন বন্ধুও নিহত হয়েছিলেন। সীমা আল-জাজিরাকে বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শাসক ভেবেছিলেন তাকে কখনোই পরাজিত করা যাবে না এবং তিনি চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেন। এই মৃত্যুদণ্ড শহীদদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। তবে তিনি মনে করেন, শুধু সাজা ঘোষণাই যথেষ্ট নয়, এই রায় কার্যকর হতে দেখতে চান তারা।
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া মেলেনি। গত ১৫ মাস ধরে বিষয়টি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় এই উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ভারত শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী, তবুও ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নয়াদিল্লি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে—এমন দৃশ্য কল্পনা করা কঠিন।
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, নয়াদিল্লি কীভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে? শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তিনি টানা ১৫ বছর দেশ শাসন করেন। তার শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর অধিকাংশই বিরোধী দল বর্জন করেছিল অথবা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায়নি। এই সময়ে হাজার হাজার মানুষকে গুম ও বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। যদিও হাসিনা সরকার অর্থনৈতিক সাফল্যকে পুঁজি করে তাদের শাসনের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযানের পর তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের তীব্রতায় ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই সরকার ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেছে, হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নয়াদিল্লির জন্য আবশ্যিক দায়িত্ব। ভারত যদি তাকে ক্রমাগত আশ্রয় দিয়ে যায়, তবে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ।
তবে ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভিন্ন মত পোষণ করছেন। নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ মনে করেন, ভারত এই ঘটনাকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক শক্তির প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে। তার মতে, নয়াদিল্লি মনে করে বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা ভারতবিরোধী। হাসিনাকে হস্তান্তর করার অর্থ হবে সেই 'ভারতবিরোধী শক্তিকে' বৈধতা দেওয়া। প্রত্যর্পণ চুক্তিতে 'রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের' ক্ষেত্রে যে ব্যতিক্রমী ধারার সুযোগ রয়েছে, ভারত সেটি ব্যবহার করতে পারে।
হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রায়ের বিষয়ে অবগত এবং বাংলাদেশের সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। তবে বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ শীতল। ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী মনে করেন, বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই যাবে। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সূচনা হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, হাসিনার বিষয়ে ভারত একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশে তার প্রতি জনগণের ক্ষোভকে উপেক্ষা করা দিল্লির পক্ষে সম্ভব নয়। ভারত হয়তো চাইবে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরুক, কিন্তু বাস্তবতা হলো—হাসিনাকে আর কখনোই সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। তাই ভারতের উচিত ঢাকার অন্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মিত্রতা আগের মতো না থাকলেও একে অপরের প্রতি শিষ্টাচার বজায় রাখা প্রয়োজন।
বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও ব্যক্তিগত। ১৯৭৫ সালে পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে নির্বাসনে ছিলেন। তার শাসনামলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সমৃদ্ধ হয়েছিল। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন তার পালানোর প্রয়োজন হয়, তখন ভারত তাকে আশ্রয় দেয়। পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর মতে, ভারত তাকে থাকতে দিয়েছে কারণ তখন আর কোনো বিকল্প ছিল না। বিশেষ করে এখন যখন তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে, তখন তাকে ফেরত পাঠানো ভারতের জন্য নৈতিকভাবে কঠিন।
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক দক্ষিণ এশীয় বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ভারতে শেখ হাসিনার উপস্থিতি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে একটি 'কাঁটা' হয়ে থাকবে। তবে এর মাধ্যমে ভারত তার মিত্রদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে সক্ষম হয়েছে। কুগেলম্যানের মতে, হাসিনার রাজনৈতিক প্রভাব এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা যায় না। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে দেখা যায়, পরিবারকেন্দ্রিক দলগুলো কঠিন সময়ে পড়লেও পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায় না।
সূত্র: আল-জাজিরা
ট্রুডোর নতুন প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক স্ত্রী
কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে বিচ্ছেদের পর তাঁর নতুন প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার। দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য ভাঙার পর ব্যক্তিগত জীবনের ঝড়ঝাপটা সামলে নিতে যে পথকে তিনি বেছে নিয়েছেন, তা নিয়ে প্রথমবার খোলামেলা কথা বলেছেন এক পডকাস্টে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ‘আর্লিন ইজ অ্যালন’ শিরোনামের একটি জনপ্রিয় পডকাস্টে অতিথি ছিলেন সোফি। সেখানেই উপস্থাপিকা আর্লিন ডিকিনসন জানতে চান, সাবেক স্বামী জাস্টিন ট্রুডোর নতুন সম্পর্কে জড়ানো এবং তা নিয়ে চলমান আলোচনা এসবের পরও কীভাবে তিনি এতটা শান্ত থাকেন। উত্তরে সোফি সোজাসাপটা বলেন, অযাচিত মন্তব্য বা সমালোচনার চেয়ে তিনি গান শুনে নিজের মনকে সামলে নিতে বেশি স্বস্তি বোধ করেন।
তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে যেকোনো কিছুই প্রভাব ফেলে, আর সেটা লুকানোর প্রয়োজন নেই। তবে নিজের শক্তি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি সচেতন থাকার চেষ্টা করেন। তাঁর ভাষায়, “আমাকে অনেকেই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আক্রমণ করতে পারে, তাই আমি নিজের পথটা নিজেই বেছে নিই। অনুভূতিহীন হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।”
গত সেপ্টেম্বরে ট্রুডো ও তাঁর প্রেমিকা, হলিউডের সুপরিচিত গায়িকা কেটি পেরির একটি ছবি পথচারীর ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এরপর অক্টোবরে প্যারিসে পেরির জন্মদিনে তাঁদের হাত ধরাধরি অবস্থায় দেখা গেলে সম্পর্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে আসে।
সোফি এবং ট্রুডোর বিচ্ছেদ হয় ২০২৩ সালের আগস্টে। ২০০৫ সালে বিয়ে করা এই দম্পতির তিন সন্তান জেভিয়ার, এলা-গ্রেস ও হ্যাড্রিয়েন এখনো তাঁদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।
-রফিক
বন্ধু দেশেই অপহরণের ফাঁদ! বাধ্য হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ইরানের কঠোর পদক্ষেপ
ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ইরানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে তাদের জন্য আর থাকছে না ভিসামুক্ত সুবিধায় দেশটিতে ঢোকার সুযোগ। মানব পাচার এবং জালিয়াতির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ইরান সরকার এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ইরানে প্রবেশ করতে হলে অথবা ট্রানজিট নিতে হলেও ভারতীয় নাগরিকদের আগে থেকেই ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
অথচ পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে মাত্র গত বছরের (২০২৪) ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতীয়দের জন্য এই ভিসামুক্ত সুবিধা চালু করেছিল তেহরান। কিন্তু সেই সুবিধার অপব্যবহারের কারণেই তা বাতিল করতে হলো। এই সুবিধা চালু হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু অপরাধমূলক ঘটনা সামনে আসতে থাকে। দেখা গেছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে পাঠানোর কথা বলে ভারতীয়দের ইরানে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত ভিসামুক্ত প্রবেশের সহজ সুযোগটিকেই কাজে লাগাচ্ছিল মানব পাচারকারীরা।
ভারতে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ২২ নভেম্বর থেকে সাধারণ পাসপোর্টধারী ভারতীয় নাগরিকদের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রবেশ বা ট্রানজিটের জন্য ভিসা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে যারা প্রকৃত পর্যটক, তাদের ভিসা পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১৭ নভেম্বর) জানিয়েছে, মানব পাচারকারী চক্রের লাগাম টানতেই ইরানের এই সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, দালালচক্র বহু ভারতীয়কে ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে ইরানে পাঠাচ্ছিল। অনেককে বলা হয়েছিল ইরানে গেলে উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ রয়েছে, কিংবা সেখান থেকেই সহজে উপসাগরীয় দেশ বা ইউরোপের পথে যাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তবে ইরানে পৌঁছানোর পর অনেককেই অপহরণ করে জিম্মি করা হয় এবং তাদের পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে পাচারকারীরা।
তদন্তে দেখা গেছে, ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতীয়দের ইরানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার ঘটনা বাড়ছে। ক্রমাগত কয়েকটি অপহরণ ও পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি ভারত সরকারের নজরে আসে। এর আগে গত মাসেও ভারত সরকার নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছিল যে, ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা কেবল পর্যটনের জন্য, কাজের উদ্দেশ্যে নয়।
ইরানে এমন জালিয়াতির একটি ভয়াবহ উদাহরণ দেখা যায় চলতি বছরের মে মাসে। অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া তিনজন পাঞ্জাবি যুবক—জাসপাল সিং, অমৃতপাল সিং এবং হুশানপ্রীত সিংকে ইরানে অপহরণ করা হয়। পাঞ্জাবের এক এজেন্ট তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে দুবাই ও ইরান হয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হবে। কিন্তু ১ মে ইরানে নামার পরপরই তাদের অপহরণ করা হয়। ভুক্তভোগীদের পরিবারের দাবি, অপহরণকারীরা তাদের মুক্তির বিনিময়ে ১ কোটি রুপি দাবি করেছিল। পরে ভারতের অনুরোধে ইরানি কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করার পর ওই তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
অভিমান ভুলে কি ট্রাম্পের ডিনারে যাবেন মাস্ক? নজর এখন হোয়াইট হাউসে
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আয়োজনে টেসলার প্রধান নির্বাহী এবং একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত ইলন মাস্কও অংশ নিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সৌদি যুবরাজের যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যেখানে তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পাঞ্চবোল নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পাঞ্চবোল নিউজের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের ‘ইস্ট রুম’-এ আয়োজিত এই নৈশভোজে বিশ্বখ্যাত গলফার টাইগার উডসও অংশ নিতে যাচ্ছেন। তবে ইলন মাস্ক শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি তেল এবং নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও মজবুত করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এটিই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
জানা গেছে, হোয়াইট হাউসের জন এফ. কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসে ট্রাম্প এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। রয়টার্সের একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানে শেভরন, কোয়ালকম, সিসকো, জেনারেল ডায়নামিক্স এবং ফাইজারের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত জুন মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা ফাটল ধরেছিল। সে সময় ডিওজিই-এর প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মাস্ক। ওই বিরোধের জের ধরে হোয়াইট হাউসে শীর্ষ প্রযুক্তি ও ব্যবসায়ী নেতাদের জন্য আয়োজিত একটি নৈশভোজে যোগদানের জন্য ট্রাম্পের আমন্ত্রণও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড 'খুবই উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক': শশী থারুর
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই রায়কে 'খুবই উদ্বেগজনক এবং হতাশাজনক' বলে অভিহিত করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
গত বছরের আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে 'মানবতাবিরোধী অপরাধের' দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন।
এই রায়ের বিষয়ে শশী থারুর তার ব্যক্তিগত অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, তিনি দেশ বা বিদেশ—কোথাও মৃত্যুদণ্ডের পক্ষপাতী নন। তাই এই রায় তাকে বিশেষভাবে বিচলিত করেছে। তিনি বিচারের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। থারুর বলেন, "অনুপস্থিতিতে বিচার, যেখানে অভিযুক্ত নিজের পক্ষে সাফাই দেওয়ার বা আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ পান না—এ ধরনের রায়কে ইতিবাচক বলা কঠিন।" তিনি আরও যোগ করেন, "অন্য দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়, তবে এটাকে খুব ইতিবাচক কিছু বলা যায় না—এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।"
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের এই রায় ভারতের জন্য কূটনৈতিকভাবে একটি অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ যদি এখন তাকে ফেরত চায়, তবে ভারতকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে দুই দফায় তাকে ফেরত চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু ভারত এখন পর্যন্ত তাতে কোনো সাড়া দেয়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। বর্তমানে ভারতের কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায় এবং শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক জটিলতা ভবিষ্যতে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পাঠকের মতামত:
- নেতানিয়াহু বা পুতিন কাউকেই ছাড় নয়, জোহরান মামদানির কঠোর বার্তা
- নারীদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের ৫ প্রতিশ্রুতি
- রায়ের পর নতুন সমীকরণ: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলবে ‘হাসিনা ইস্যু’
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরল, তবে আগামী নির্বাচন কার অধীনে?
- বিড়াল পালনের সঙ্গে মানসিক রোগের ঝুঁকি, আন্তর্জাতিক গবেষণায় নতুন ইঙ্গিত
- হিমালয়লঘেঁষা জনপদে জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দিকে তেঁতুলিয়া
- বৃহস্পতিবারের রাশিফল: জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন যাবে
- সকালে নেমেই অপেক্ষার অবসান, ১১তম ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড বুকে মুশফিক
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- মুখ বদলালেও থামেনি জুলুম, রাজনৈতিক পরিচয়েই চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব
- চরম নাটকীয়তা! আবারও পেছাল বিপিএলের নিলাম
- মধ্যরাতে পুলিশি অ্যাকশন: হেফাজতে ইমরান খানের ৩ বোন
- জেনে নিন আজ ঢাকার কোথায় কী আয়োজন
- আসন ছাড় নিয়ে বিএনপির ‘নতুন হিসাব’, বড় কোনো চমক নাকি কারো কপাল পুড়ছে?
- যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
- আত্মহত্যার ৮০ বছর পর হিটলারের ডিএনএ পরীক্ষায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বিদেশযাত্রায় দালালের দৌরাত্ম্য কমবে? চালু হলো নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘ওইপি’
- আ.লীগের জন্মস্থান কেনায় বড় অনিয়ম, রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা গচ্চা যাওয়ার অভিযোগ
- মাঠেই মুশফিকের হাতে ক্রেস্ট, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী বার্তা দিলেন উপদেষ্টা?
- দিনভর বন্ধ মোবাইল মার্কেট, ভোগান্তিতে হাজারো ক্রেতা
- পরীমনির মতো ভাইরাল হতে এসেছেন? পুলিশের মন্তব্যে চটলেন ডাকসু নেত্রী
- ডিসি-ইউএনও বাদ, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার করার প্রস্তাব বিএনপির
- ৫ আগস্টের পর দ্বিতীয় উপদেষ্টা হিসেবে ভারতে খলিলুর, বৈঠকে গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়
- ভাত খেলেই কেন দুচোখ জুড়ে ঘুম নামে? জেনে নিন বৈজ্ঞানিক কারণ
- উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তিত? রান্নাঘরের এই ৭টি উপাদানই হতে পারে সমাধান
- বিএনপির দুর্গে হানা দিলেন সারজিস? পঞ্চগড়-১ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস
- ১৯ বছর পর আবার গণভোট? রাজনীতিবিদদের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন সিইসি
- গ্যাস নাকি ইলেকট্রিক চুলা: মাস শেষে পকেটের টাকা বাঁচবে কোনটিতে?
- খালেদা জিয়া প্রধান,তারেকের ছবি ব্যবহার করলে কী হবে? ইসির সক্ষমতা নিয়ে এনসিপির প্রশ্ন
- জীবাশ্ম জ্বালানি ছেড়ে পারমাণবিক শক্তিতে ফিরছে জাপান
- সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বিপদ: ট্রলারসহ ১৬ জেলে এখন আরাকান আর্মির কব্জায়
- জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ ঘোষণা, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- চুক্তি খাতায়-কলমে, বাস্তবে আগ্রাসন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
- বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে তুলে ধরলেন মিথিলা, সঙ্গী ঐতিহ্যবাহী জামদানি
- বিশৃঙ্খলা হলে আরেকটি বিপ্লব ঘটবে, নির্বাচন কমিশনকে এনসিপির হুঁশিয়ারি
- শততম টেস্টে মুশফিকের ফিফটি, মুমিনুলের বিদায়ের পর লিটনের মাইলফলক
- নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ গাছে কাঁঠাল রেখে গোঁফে তেল দিচ্ছেন: জামায়াত আমির
- ১৯ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হামজা-মোরসালিনদের জয়ে ভাসছে দেশ, অথচ 'পুকুর শুকিয়ে' মরছে ঘরোয়া ফুটবল
- গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
- বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হওয়া থেকে বাঁচাতে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই: মির্জা ফখরুল
- দিল্লির ‘কাঁটা’ শেখ হাসিনা, সম্পর্কে টানাপোড়েন কতদিন?
- সারা দেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের ঘোষণা
- জনপ্রিয় মার্কেটগুলো আজ বন্ধ ক্রেতাদের জন্য সতর্কতা
- ট্রুডোর নতুন প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক স্ত্রী
- যে আসন থেকে লড়বেন নুরুল হক নুর
- গুলিস্তানের মার্কেটে মধ্যরাতের আগুন আতঙ্ক
- ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: ঢাকার মাঠে ভারতকে হারিয়ে দাপুটে জয়
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- ভারত ম্যাচের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে একাদশে কারা
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ঢাকা জুড়ে সতর্কতা








