লক্ষ্যপূরণ কঠিন: মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের ব্যয় এখন গ্রামের চেয়ে বেশি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ১৮:১৫:৩২
লক্ষ্যপূরণ কঠিন: মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের ব্যয় এখন গ্রামের চেয়ে বেশি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর লোগো। ছবি : সংগৃহীত

চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের অক্টোবর মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি আবারও কিছুটা কমেছে। সরকারি হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মূলত খাদ্য পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসার কারণেই গড় মূল্যস্ফীতিতে এই প্রভাব পড়েছে। তবে এই সময়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মাসিক ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) মূল্যস্ফীতির এই তথ্য তুলে ধরেছে।

বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশের অর্থ হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, একই পণ্য কিনতে গত অক্টোবরে খরচ হয়েছে ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিও দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড় মূল্যস্ফীতিকে ৬.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা। তবে, মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থাকায় এই অর্থবছরের জন্য এই লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে।

সিপিআই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এক বছর আগে একই সময়ে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও এ সময় দেশের খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে কমে ছিল ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এখন বেশি।

গ্রামে: অক্টোবর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। গ্রাম এলাকায় খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

শহরে: একই সময়ে শহরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শহরের নাগরিকদের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এটি আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় একটি ভিন্ন চিত্র, যখন শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল।


প্রবাসীদের জন্য আজকের রিংগিত রেট ও পরামর্শ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৪:১৮:২৩
প্রবাসীদের জন্য আজকের রিংগিত রেট ও পরামর্শ
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আজকের রেমিট্যান্স বাজারে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে মালয়েশিয়ান রিংগিতের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, যা দেশে টাকা পাঠাতে আগ্রহীদের জন্য স্বস্তির খবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আজকের হিসাবে এক মালয়েশিয়ান রিংগিতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৯৯ টাকা। গতকাল এই দর ছিল ২৯ দশমিক ৯২ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে রিংগিতপ্রতি টাকার মূল্য সামান্য বেড়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করে বলছেন, রেমিট্যান্সের হার প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, তাই টাকা পাঠানোর আগে সর্বশেষ রেট যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।

আজকের দিনে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ১,০০০ রিংগিত পাঠালে কত টাকা পাওয়া যাচ্ছে, তার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় পার্থক্য বেশ স্পষ্ট। আল-রাজি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংক-টু-ব্যাংক লেনদেনে চার্জ তুলনামূলক কম থাকায় ১,০০০ রিংগিতে প্রাপক পাচ্ছেন প্রায় ২৮ হাজার ১৯৯ টাকা। অন্যদিকে এক্সপ্রেস মানি ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজের ক্ষেত্রে বিনিময় হার প্রায় সমান হলেও সার্ভিস চার্জ বেশি হওয়ায় হাতে পাওয়া টাকার পরিমাণ কিছুটা কমে যাচ্ছে।

ক্যাশ ভিত্তিক সেবার দিকে তাকালে মানিগ্রাম ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে টাকা পাঠালে খরচ তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে চার্জ বেশি হওয়ায় ১,০০০ রিংগিতে প্রাপক পাচ্ছেন প্রায় ২৭ হাজার ৮১৮ টাকা, যা ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রথমত, প্রতিদিনের রেট আগের দিনের সঙ্গে মিল নাও থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, রেট যত বেশি হবে, দেশে পরিবারের সদস্যরা তত বেশি টাকা হাতে পাবেন। তৃতীয়ত, শুধু রেট নয়, চার্জ ও টাকা তোলার মাধ্যমও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখে।

বিশেষ পরামর্শ হিসেবে বলা হচ্ছে, যারা কম খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা চান, তাদের উচিত প্রতিদিনের হালনাগাদ রেট পর্যবেক্ষণ করা। অনেক সময় সকালে ও বিকেলে রেটের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। ফলে টাকা পাঠানোর ঠিক আগ মুহূর্তে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে রেট যাচাই করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক সিদ্ধান্ত।

-রফিক


স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:২৩:০৫
স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে যা আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাজুসের নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এখন ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা। উল্লেখ্য যে এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ক্রেতাদের আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানের ওপর ভিত্তি করে মজুরির পরিমাণে তারতম্য হতে পারে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।

স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও দাম বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ১১ ডিসেম্বর রুপার দাম ভরিতে ৩২৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায়। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ৩ হাজার ৭৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৯ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে সাতবারই দাম বেড়েছে। বাজুস জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং স্থানীয় চাহিদার কথা বিবেচনা করে নিয়মিতভাবে এই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।


শুক্রবার সোনার বাজারে কী অবস্থা? জানুন আজকের দর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ১১:০৯:১২
শুক্রবার সোনার বাজারে কী অবস্থা? জানুন আজকের দর
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের বাজারেও আবারও বাড়ানো হয়েছে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছিল। সপ্তাহের শেষ দিকে এসে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ছুটির দিনেও সেই বর্ধিত মূল্যেই দেশের বাজারে স্বর্ণ কেনাবেচা হচ্ছে। বাজুসের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণ বা পিওর গোল্ডের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।

বাজুসের নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের বাজারে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকায়, যা সোমবারের আগে ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, যা আগে ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের ক্ষেত্রেও দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকায় এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে এই দাম বহাল থাকবে।

ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণের এই অলঙ্কার কেনা অবশ্য আরও ব্যয়বহুল হবে। বাজুস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নির্ধারিত এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকারকে প্রদেয় ৫ শতাংশ ভ্যাট আবশ্যিকভাবে যুক্ত হবে। এর পাশাপাশি বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি হিসেবে আরও ৬ শতাংশ অর্থ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির তারতম্য হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।


রিজার্ভের নতুন মাইলফলক: একদিনেই বাড়ল বড় অংক

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ২০:৫২:৫৯
রিজার্ভের নতুন মাইলফলক: একদিনেই বাড়ল বড় অংক
ছবি : সংগৃহীত

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২৫৭৩ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে এখন ২৭৮৭৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

এর আগের দিন অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩২৪৮২ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এর পরিমাণ ছিল ২৭৮১৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মাত্র একদিনের ব্যবধানে উভয় পদ্ধতিতেই রিজার্ভের পরিমাণে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। রিজার্ভের এই বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারেই মূলত নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ গণনা করা হয়। মোট বা গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলেই এই নিট রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ের প্রবাহ কিছুটা বাড়ার ফলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমতে শুরু করেছে এবং তা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরছে।


ডলার ও পাউন্ডের দাম কত? জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১১:১৩:৪৩
ডলার ও পাউন্ডের দাম কত? জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজকের টাকার রেট জানা সাধারণ মানুষ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করে। প্রতিদিনের এই মুদ্রা বিনিময় হার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রতিবেদনে ১৮ অক্টোবর ২০২৫ সালের হালনাগাদ টাকার রেটসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স ও আজকের বাজার দর অনুযায়ী নির্ধারিত টাকার রেট নিচে দেওয়া হলো:

ইউএস ডলার: ১২১.৯৩ টাকা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬২.৮১ টাকা

ইউরো: ১৪১.৬৭ টাকা

সৌদি রিয়াল: ৩২.৫১ টাকা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৭.২৩ টাকা

দুবাই দেরহাম: ৩৩.২০ টাকা

মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৮.৮৭ টাকা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪.৯৮ টাকা

ব্রুনাই ডলার: ৯৩.৯৮ টাকা

ওমানি রিয়াল: ৩১৬.৬৯ টাকা

কাতারি রিয়াল: ৩৩.৪৯ টাকা

বাহরাইন দিনার: ৩২৪.৩০ টাকা

চাইনিজ রেন্মিন্বি: ১৭.০৯ টাকা

জাপানি ইয়েন: ০.৮২ টাকা

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন: ০.০৮ টাকা

ভারতীয় রুপি: ১.৩৭ টাকা

তুর্কি লিরা: ২.৯২ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৮.৯৪ টাকা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭.০১ টাকা

দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড: ৬.৬৯ টাকা

মালদ্বীপীয় রুপি: ৭.৯৪ টাকা

ইরাকি দিনার: ০.০৯ টাকা লিবিয়ান দিনার: ২২.৪৮ টাকা

উল্লিখিত হারের ভিত্তিতে আমদানিকারকরা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেন এবং প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় এই রেট বিবেচনা করেন। প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা ও জোগান। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্য এবং বৈদেশিক ঋণের অবস্থা এর ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকি শেয়ারবাজারের হালনাগাদ তথ্য থেকেও মাঝে মাঝে টাকার মানের হেরফের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বিস্তারিত ও রিয়েল-টাইম তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকেও যাচাই করা যেতে পারে।


বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৯:৪৯:০৮
বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকায়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয়, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১১ ডিসেম্বর দাম সমন্বয়ের পর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হলো।

আজকের স্বর্ণের দাম (ভরি প্রতি): বাজুসের নতুন তালিকা অনুযায়ী আজকের নির্ধারিত মূল্য হলো—

২২ ক্যারেট: ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা।

২১ ক্যারেট: ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা।

১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা।

সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বাজুস জানিয়েছে, নির্ধারিত এই দামের সঙ্গে ক্রেতাকে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এছাড়া গহনা বানাতে হলে বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত হবে। গহনার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরি আরও বাড়তে পারে। ফলে ভ্যাট ও মজুরি মিলিয়ে এক ভরি গহনা কিনতে ক্রেতার খরচ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার দামও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭ বারই দাম বেড়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তখন ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা।


বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১১:৪৩:৫৯
বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন। আমদানি-রপ্তানি ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর সুবিধার্থে প্রতিদিনের মুদ্রার বিনিময় হার জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী

বৈদেশিক মুদ্রার নাম ও বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার:

ইউএস ডলার: ১২২ টাকা ২৯ পয়সা

ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬৩ টাকা ৫৭ পয়সা

ইউরোপীয় ইউরো: ১৪৩ টাকা ৫৮ পয়সা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৯ টাকা ১৪ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৭২ পয়সা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৮ টাকা ৮১ পয়সা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৮১ টাকা ৩৫ পয়সা

সৌদি রিয়াল: ৩২ টাকা ৬৩ পয়সা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত: ২৯ টাকা ৯৫ পয়সা

চীনা ইউয়ান: ১৭ টাকা ৩৪ পয়সা

সুইডিশ ক্রোনা: ১৩ টাকা ২১ পয়সা

শ্রীলঙ্কান রুপি: ২ টাকা ৫২ পয়সা

ভারতীয় রুপি: ১ টাকা ৩৫ পয়সা

জাপানি ইয়েন: ০.৭৮ পয়সা

(সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক)

*যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।


গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৫১:২২
গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস এবং নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানিয়েছে যে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড গড়েছে। নতুন মূল্যতালিকায় দেখা যায় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকায়। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ কিনতে এখন থেকে ক্রেতাদের খরচ করতে হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে।

বাজুস তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে স্বর্ণের এই নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে যার ফলে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে প্রকৃত দাম আরও অনেকটা বেড়ে যাবে। এর আগে মাত্র কয়েক দিন আগে গত ১১ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল যেখানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা কিন্তু মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে তা আবারও বাড়ানোর ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার বাজারেও উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে যেখানে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৭২ টাকায় এবং ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৩৬২ টাকা। উল্লেখ্য চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১০ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৭ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৩ হাজার ৭৩২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপা ২ হাজার ৭৯৯ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।


রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:০৭:৪৩
রেমিট্যান্স বাড়লেও স্বস্তি নেই: বাণিজ্য ঘাটতি তুঙ্গে
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায় যে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এই ঘাটতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে কারণ গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে যে গত চার মাসে মোট আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২.১১ বিলিয়ন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি এবং এর বিপরীতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৪.৫ বিলিয়ন ডলার ফলে আমদানি ও রপ্তানির এই বিশাল ব্যবধানের কারণেই বাণিজ্য ভারসাম্যে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

গত এক বছরের অধিকাংশ সময়ে মাসিক আমদানির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে সীমাবদ্ধ থাকলেও রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে গত অক্টোবর মাসে তা এক লাফে প্রায় ৫.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে এই চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মূল চালিকাশক্তি ছিল পেট্রোলিয়াম ও সার আমদানির পাশাপাশি রমজান উপলক্ষ্যে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, মটর ডাল ও খেজুরের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদা মেটানো। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য আমদানির জন্য অধিক পরিমাণে ঋণপত্র বা এলসি খোলার ফলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ এবং মটর ডালের আমদানি রেকর্ড ২৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ এবং ছোলা আমদানি ২৭ শতাংশ বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।

আমদানি ব্যয়ের এই উর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাবেও যেখানে জুলাই-অক্টোবর সময়ে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৪৯ মিলিয়ন ডলারে যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৪০ মিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও মূলত আমদানি ব্যয়ের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে চলতি হিসাব ঋণাত্মক ধারায় রয়ে গেছে। তথ্যে দেখা যায় যে আলোচ্য সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের ৮.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১০.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে কিন্তু এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স বাড়ার পরও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করে চলতি হিসাবকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। মূলত জ্বালানি তেল ও সারের আমদানি যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া এবং একই সঙ্গে রমজানের পণ্যের মজুদ গড়ার তোড়জোড় অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকটিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত