ক্ষমতায় গেলে জনগণ বুঝবে কত ধানে কত চাল, বিএনপিকে হুঁশিয়ারি ফয়জুল করীমের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২০:২১:২৪
ক্ষমতায় গেলে জনগণ বুঝবে কত ধানে কত চাল, বিএনপিকে হুঁশিয়ারি ফয়জুল করীমের
নরসিংদীর পলাশে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। ছবি : কালের কণ্ঠ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম মন্তব্য করেছেন যে, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তারা বিরোধী দলকে সহ্য করতে পারে না। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই তাদের নেতাকর্মীরা যে ধরনের আচরণ শুরু করে দিয়েছে, তাতে তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের জনগণ "কত ধানে কত চাল হয়" তা হারে হারে বুঝতে পারবে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর পলাশের বিএডিসি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন শাখার আয়োজিত এক গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগ

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "বিগত সময় যেসব দল ক্ষমতায় ছিল, তারা কেউ দেশের উন্নতি করেনি, করেছে লুটপাট আর দুর্নীতি।"

তিনি বিশেষ করে বিএনপির শাসনামলের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশ তিন-তিনবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এই সময় তিনি দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগামী নির্বাচনে সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

গণ-সমাবেশে অন্যান্য বক্তব্য

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মুহসীন আহমেদের সভাপতিত্বে এই গণ-সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফ বিন মেহের উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা সেক্রেটারি রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী শাকিল, পলাশ উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ইকরাম হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।


'জয় বাংলা' বলে মনোনয়ন হারালেন বিএনপি প্রার্থী কামাল জামান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৮:৫৫:৫০
'জয় বাংলা' বলে মনোনয়ন হারালেন বিএনপি প্রার্থী কামাল জামান
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। যদিও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন স্থগিতের কোনো কারণ উল্লেখ করেনি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, 'জয় বাংলা' বলে স্লোগান দেওয়ার কারণেই তার মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন, তখন মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের মনোনয়নপ্রার্থী হিসেবে কামাল জামান মোল্লার নামও ঘোষণা করা হয়েছিল।

তবে এই মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই কামাল জামান মোল্লার একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। সেই পোস্টে থাকা এক ভিডিওতে দেখা যায়, কামাল জামান মোল্লা উপস্থিত লোকজনকে বলছেন, "আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সবাই ভালো থাকবেন। তারেক রহমান জিন্দাবাদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, জয় বাংলা।" স্লোগানটি দেওয়ার পরই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নিজের জিহ্বায় কামড় দেন, যা ছিল একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই তার মনোনয়ন স্থগিতের খবর এলো, যা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি করেছে।


৩০০ আসন থেকে সরে এলো এনসিপি; সম্মান জানাল খালেদা জিয়ার আসনকে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৭:৫৯:০৫
৩০০ আসন থেকে সরে এলো এনসিপি; সম্মান জানাল খালেদা জিয়ার আসনকে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী আসনগুলোতে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপি'র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণার একদিন পরই এনসিপি এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিল। সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়াকে ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ এবং বগুড়া-৭ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। এনসিপি এই তিনটি আসনেই প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে, এনসিপি’র এই সিদ্ধান্তের আগে দলটি ৩০০টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু জোটগত ঐক্যের প্রতি সমর্থন জানাতেই এনসিপি এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে।


'শাপলা কলি' প্রতীকে নিবন্ধন: নির্বাচন কমিশনের তালিকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৬:৪৯:৫৩
'শাপলা কলি' প্রতীকে নিবন্ধন: নির্বাচন কমিশনের তালিকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন নিশ্চিত করেছেন যে, এনসিপি-এর জন্য 'শাপলা কলি' প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই তথ্য জানান সামান্তা শারমিন। তিনি লেখেন, "এনসিপি শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে। এনসিপি-এর নিবন্ধন কাজে যারা দিন-রাত এক করে কষ্ট করেছেন, তাদের অভিনন্দন।"

দলটির আরেক নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে একই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "আলহামদুলিল্লাহ, সব শর্ত পূরণ করে এনসিপি এখন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।"

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা

এর আগে, মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ মোট তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে। অন্য দলগুলো হলো বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।

ইসি সচিব বলেন, "গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি আপত্তি না থাকলে এ দলগুলো ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে।" ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর, অর্থাৎ দাবি আপত্তির সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, দলগুলোর চূড়ান্ত নিবন্ধনের গেজেট প্রকাশ করা হবে। তবে, দলীয় নেতারা ইতিমধ্যেই প্রতীকসহ নিবন্ধন পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।


নির্বাচনে মনোনয়নের পর মির্জা ফখরুল দিলেন 'শেষ নির্বাচনের' বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৪:৪৬:৪৬
নির্বাচনে মনোনয়নের পর মির্জা ফখরুল দিলেন 'শেষ নির্বাচনের' বার্তা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।/ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার সময় তিনি নিজেই সংবাদ সম্মেলনে আসনটির নাম উল্লেখ করে বলেন, "ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আমি নিজেই।"

তবে মনোনয়ন পাওয়ার এই ঘোষণার পরপরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী নির্বাচন সম্ভবত তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শেষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন।

ফেসবুকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও শেষ নির্বাচনের বার্তা

সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে বিএনপি মহাসচিব দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই শেষ নির্বাচনের বার্তা দেন। এসময় তিনি নিজের জন্য এবং দলের নেতাকর্মীদের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, "মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে। আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।" তিনি তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে পাশে থাকার জন্য দলের সকল কর্মীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আগামী নির্বাচন তাঁর শেষ নির্বাচন হতে পারে এমন বার্তা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও লিখেছেন, "এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন। যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দিবে। আপনারা সবাই আমার জন্য দোআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীর জন্য দোআ করবেন।" তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সাথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।"

রাজনৈতিক জীবনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

এই আবেগঘন পোস্টে বিএনপি মহাসচিব তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কিছু ব্যক্তিগত ঘটনাও উল্লেখ করেছেন, যা সাধারণত অজানা ছিল। তিনি লেখেন, "আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে। অনেকেই তা জানে না।"

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিনি যখন ১৯৮৭ সালে আবার রাজনীতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁর মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল এবং ঢাকায় পড়ত। তাঁর স্ত্রীর বয়সও তখন অনেক কম ছিল। তিনি স্মরণ করেন, রাজনীতিতে ফেরার সিদ্ধান্তের কথা শুনে তাঁর স্ত্রী প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন, কারণ তিনি বুঝতে পারছিলেন এটি একটি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবন। তিনি লিখেছেন, তাঁর স্ত্রীই মেয়ে দুটোর হাত ধরে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন। এমনকি, বড় মেয়ের একটি অপারেশনের সময় তিনি সারা রাত গাড়িতে করে ঢাকার পথে ছিলেন, যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারেন।

বিএনপি মহাসচিব জানান, এরকম কষ্টের গল্প দলের হাজারো নেতাকর্মীর আছে।


বিএনপির ৬৩ খালি আসনে যারা পেতে পারেন প্রাধান্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১১:২৫:২৩
বিএনপির ৬৩ খালি আসনে যারা পেতে পারেন প্রাধান্য
ফাইল ছবি

বিএনপি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি হিসেবে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।

কিন্তু ৩০০টি আসনের মধ্যে এখনও ৬৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এই ফাঁকা আসনগুলোকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমতের মধ্যে ব্যাপক অনুমান ও জল্পনা চলছে।

সূত্র জানিয়েছে, ফাঁকা আসনের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেওয়া হবে জোটের পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ নেতাদের।

বিশেষভাবে, যারা আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির পাশে ছিলেন এবং ৫ আগস্টের পরও দলকে সমর্থন দিয়ে চলেছেন, তাদের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।

এনপির একটি সূত্র জানায়, বাকি আসনগুলো দলের অবশিষ্ট ও অভিজ্ঞ নেতাদের জন্য সংরক্ষিত।কিছু আসনে জয় নিশ্চিত হবে কিনা তা যাচাই করার জন্য মনোনয়ন এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।আরও কিছু আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করলে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, তাদের যে আসনে প্রার্থী দেওয়া প্রয়োজন, সেই আসনগুলোতে আমরা এখনো প্রার্থী দিইনি। তারা আমাদের জানাবেন, এরপর সমন্বয় করা হবে।”

বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন প্রদানের জন্য কিছু আসন deliberateভাবে খালি রেখেছে।এই দলগুলোর মধ্যে রয়েছে এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সমর্থন পেতে পারেন।এই আসনে বিএনপি এখনও কাউকে মনোনয়ন দেয়নি।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রার্থী হতে পারেন।

পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রার্থী হতে পারেন।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সাহাদাত হোসেন সেলিম,

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জেএসডির আসম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব প্রার্থী হতে পারেন।

ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এবং ঢাকা-১৩ আসনে ববি হাজ্জাজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ঝালকাঠি-১ আসনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বিএনপির সমর্থন নিয়ে লড়বেন।

সূত্ররা আরও জানিয়েছেন, জোটের অন্যান্য নেতাদের জন্য বিভিন্ন আসন খালি রাখা হয়েছে।এই ফাঁকা আসনগুলোতে নির্বাচনের আগে দল তাদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিতে পারে।

-রফিক


মনোনয়ন ‘অন হোল্ড’; তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১০:৫৬:১৩
মনোনয়ন ‘অন হোল্ড’; তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে বিএনপি তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করলেও তাতে দলের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম নেই। এই প্রসঙ্গে দলের এই নেত্রী তাঁর অবস্থান খোলামেলাভাবে ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার প্রসঙ্গে মুখ খোলেন রুমিন ফারহানা।

জোটগত সমঝোতায় আসন ঝুলে আছে

দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, তাঁর মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ অবস্থায় রয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, বিএনপির দীর্ঘদিনের সহযোগী কিছু দলের সঙ্গে জোটগত সমঝোতার কারণেই ৬৩টি আসন এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়াও, নতুন কিছু দলের সঙ্গেও জোটের আলোচনা চলছে।

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, দীর্ঘ ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে সুখে-দুঃখে যেসব দল বিএনপির পাশে ছিল, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা চলছে। তাই এখনো কিছু আসন ঝুলে আছে। দল প্রতিটি আসনে ‘উইনেবল’ (বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন) প্রার্থী খুঁজে দেখছে এবং সেই বিবেচনার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মনোনয়ন নিয়ে কর্মীদের আবেগে শ্রদ্ধা

দলীয় কিছু কর্মীর মনোনয়ন না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ এবং টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ করার প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, একটি বড় দলে প্রার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে। অনেক আসনেই ১০ থেকে ১২ জন করে প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের আবেগকে শ্রদ্ধা করা উচিত, এবং মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাঁর মতে, এ পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

রুমিন ফারহানা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন এবং মনোনয়ন বণ্টনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেছেন।

আইনি জটিলতায় স্থগিত কিছু আসন

মনোনয়ন তালিকার বিষয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, তালিকাটি এখনো প্রাথমিক এবং এটি পরিবর্তন সাপেক্ষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তালিকায় কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার নতুন কেউ যুক্তও হতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কিছু আইনি জটিলতার কারণেও কয়েকটি আসনের মনোনয়ন স্থগিত রয়েছে। এ ছাড়া কিছু আসনে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, যার রায় এখনো অপেক্ষমাণ। এসব কারণেই সেসব আসনে মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। বাগেরহাট-২ আসনকে এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে একজন নিশ্চিত প্রার্থীর মনোনয়ন কেবল কমিশনের দ্বন্দ্বের কারণেই আটকে আছে।

নারী প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে রুমিন ফারহানা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যদি বিএনপি নারী মনোনয়ন ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে রাজি হয়, তাহলে চূড়ান্ত তালিকায় আরও নারী যুক্ত হওয়া সম্ভব।


"সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের স্থান হবে না বিএনপিতে"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৮:৫০:১৩
"সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের স্থান হবে না বিএনপিতে"
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল এবং জনবান্ধব দল। তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, এ দলে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা অপরাধী স্থান পাবে না।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর সৌদি বাংলা শপিং মলের সামনে আয়োজিত লিফলেট বিতরণ ও গণপ্রচারণা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।

আজহারুল ইসলাম মান্নান আরও বলেন, “আমরা সিদ্ধিরগঞ্জকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। শান্তি, নিরাপত্তা এবং এলাকায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমি সর্বদা জনগণের পাশে থাকব।” তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির লক্ষ্য হলো জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

সমাবেশ শেষে তিনি হাজারো নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নয়াআটি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত একটি বিশাল পদযাত্রা পরিচালনা করেন। পদযাত্রাটি মুক্তিনগর বটতলা, মাদানীনগর, নিমাইকাশারী ও সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সময়ে নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং আজহারুল ইসলাম মান্নানকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

গণপ্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিপন সরকার এবং সদস্য সচিব রেদোওয়ান হোসেন পাপ্পু প্রমুখ।

-রাফসান


মনোনয়নের রাতে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৮:০৪:৪৬
মনোনয়নের রাতে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের দলীয় মনোনয়ন বিতর্ককে কেন্দ্র করে চার নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই নেতারা সহিংসতা, ঝগড়া এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতের দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় মনোনয়ন নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির পর এই চার নেতা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুন্ড এলাকায় জনস্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন: স্বেচ্ছাসেবক দলের সীতাকুন্ড উপজেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুন্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন, এবং যুবদলের সোনাইছড়ীর সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পরে এই চার নেতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় সহিংসতা, ঝগড়া এবং রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

এই কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপি তাদের দলীয় পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। দলীয় সূত্রে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং স্থানীয় জনগণ ও সাধারণ যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ বাড়াবে এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।


২৩৭ আসন নয়, এবার কেন্দ্রীয় সমন্বয়- এনসিপির নির্বাচনী কৌশল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৭:৫৩:১৬
২৩৭ আসন নয়, এবার কেন্দ্রীয় সমন্বয়- এনসিপির নির্বাচনী কৌশল
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একটি কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দলটি নির্বাচনী কৌশল, প্রার্থী বাছাই ও প্রচারণা কার্যক্রমে আরও পরিকল্পিত ভূমিকা রাখতে চায়।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন গঠিত এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যিনি বর্তমানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁকেই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা-কে কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যিনি প্রশাসনিক ও সমন্বয়মূলক দায়িত্ব পালন করবেন।

এই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে। এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, কমিটি দলটির সার্বিক নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রার্থী যাচাই-বাছাই, মাঠ পর্যায়ের প্রচারণা তদারকি, আইন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং গণমাধ্যম ও প্রচার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে।

কমিটিতে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা হলেন– আরিফুল ইসলাম আদীব, মাহবুব আলম মাহির, খালেদ সাইফুল্লাহ, এহতেশাম হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুন্না, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর, সাইফুল্লাহ হায়দার, এবং অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম।

দলীয় নীতিনির্ধারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই কমিটি এনসিপির নির্বাচনী কর্মকৌশলকে সুসংহত করতে একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। নির্বাচনী প্রচারণা, প্রার্থী নির্বাচনের মানদণ্ড নির্ধারণ, এবং মাঠপর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করাই হবে এর প্রধান লক্ষ্য।

এনসিপি নেতৃত্ব আরও জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এই কেন্দ্রীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে উপকমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এসব উপকমিটি প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরাসরি তদারকি ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের গতিশীলতা নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়েছে।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত