২৩৭ আসন নয়, এবার কেন্দ্রীয় সমন্বয়- এনসিপির নির্বাচনী কৌশল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৭:৫৩:১৬
২৩৭ আসন নয়, এবার কেন্দ্রীয় সমন্বয়- এনসিপির নির্বাচনী কৌশল
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একটি কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দলটি নির্বাচনী কৌশল, প্রার্থী বাছাই ও প্রচারণা কার্যক্রমে আরও পরিকল্পিত ভূমিকা রাখতে চায়।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন গঠিত এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যিনি বর্তমানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁকেই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা-কে কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যিনি প্রশাসনিক ও সমন্বয়মূলক দায়িত্ব পালন করবেন।

এই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে। এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, কমিটি দলটির সার্বিক নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রার্থী যাচাই-বাছাই, মাঠ পর্যায়ের প্রচারণা তদারকি, আইন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং গণমাধ্যম ও প্রচার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে।

কমিটিতে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা হলেন– আরিফুল ইসলাম আদীব, মাহবুব আলম মাহির, খালেদ সাইফুল্লাহ, এহতেশাম হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুন্না, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর, সাইফুল্লাহ হায়দার, এবং অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম।

দলীয় নীতিনির্ধারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই কমিটি এনসিপির নির্বাচনী কর্মকৌশলকে সুসংহত করতে একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। নির্বাচনী প্রচারণা, প্রার্থী নির্বাচনের মানদণ্ড নির্ধারণ, এবং মাঠপর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করাই হবে এর প্রধান লক্ষ্য।

এনসিপি নেতৃত্ব আরও জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এই কেন্দ্রীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে উপকমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এসব উপকমিটি প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় সরাসরি তদারকি ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের গতিশীলতা নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়েছে।

-রাফসান


গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৭:৪২:৫১
গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও বাকি ৬৩টি আসনে এখনো কোনো প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেনি। দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই ৬৩টি আসনের একটি বড় অংশ জোটভুক্ত বা মিত্র দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। মূলত সমন্বিত রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি জোট রাজনীতিকে কার্যকর রাখতে এই কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি।

সূত্রগুলো জানায়, ইতিমধ্যেই যেসব নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পিরোজপুর-১ আসনে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী করার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের প্রার্থিতা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিএনপি।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এবং ঢাকা-১৩ আসনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নামও এই তালিকায় রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা চলছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। কুমিল্লা-৭ আসনে দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদকেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে।

তাছাড়া নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের প্রার্থিতা নিয়েও বিএনপির ইতিবাচক অবস্থান রয়েছে।

এই সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, জোটের এই শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনে একটি যৌথ শক্তির ইঙ্গিত দেবে এবং সরকারবিরোধী রাজনীতিতে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেবে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায়, অবশিষ্ট ৬৩টি আসনের বিষয়ে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ধাপে ঘোষণা দেওয়া হবে।

-রফিক


রুহুল কবির রিজভীর নাম নেই বিএনপির ২৩৭ প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২১:৪৮:৫৩
রুহুল কবির রিজভীর নাম নেই বিএনপির ২৩৭ প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকায়
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী/ছবি সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম ঘোষিত এই প্রাথমিক তালিকায় দেখা যায়নি।

শীর্ষ নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় নেতাদের আসন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, আসন্ন নির্বাচনে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। অন্যদিকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন:

খন্দকার মোশাররফ হোসেন: কুমিল্লা-১ আসন

মির্জা আব্বাস: ঢাকা-৮ আসন

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ঢাকা-৩ আসন

আবদুল মঈন খান: নরসিংদী-২ আসন

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: চট্টগ্রাম-১০ আসন

সালাহউদ্দিন আহমদ: কক্সবাজার-১ আসন

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু: সিরাজগঞ্জ-২ আসন

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ: ভোলা-৩ আসন

এজেডএম জাহিদ হোসেন: দিনাজপুর-৬ আসন

ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে যারা ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন:

আলতাফ হোসেন চৌধুরী: পটুয়াখালী-১ আসন

বরকত উল্লাহ বুলু: নোয়াখালী-৩ আসন

মোহাম্মদ শাহজাহান: নোয়াখালী-৪ আসন

আবদুল আউয়াল মিন্টু: ফেনী-৩ আসন

নিতাই রায় চৌধুরী: মাগুরা-২ আসন

কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ: কুমিল্লা-৩ আসন

আহমেদ আজম খান: টাঙ্গাইল-৮ আসন

তালিকা পরিবর্তন ও সমন্বয়ের ইঙ্গিত

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এই তালিকাটি প্রাথমিক এবং এটি পরিবর্তন হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, যেসকল আসনে এখনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেই আসনগুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে, যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের জন্য কিছু আসন ছাড়া হতে পারে এবং সেই আসনগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করে নেবে। তবে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম কেন তালিকায় নেই, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।


বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই রুমিন ফারহানা; নেত্রীকে নিয়ে জল্পনা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২০:৫২:২৭
বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই রুমিন ফারহানা; নেত্রীকে নিয়ে জল্পনা
রুমিন ফারহানা। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা ঘোষণা করেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম এই প্রাথমিক তালিকায় দেখা যায়নি।

পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক ও প্রার্থী চূড়ান্তকরণ

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠকে বসেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরই বিএনপি মহাসচিব ২৩৭টি আসনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন নিয়ে জল্পনা

ঘোষিত তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন দুটি খালি রাখা হয়েছে। এই আসন দুটির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন দলের নেত্রী রুমিন ফারহানা।

'বিএনপির ঘাঁটি' হিসেবে পরিচিত এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটিতে রুমিন ফারহানা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই সক্রিয় ছিলেন এবং এখনো তিনি পুরোদমে মাঠে আছেন। উল্লেখ্য, রুমিন ফারহানার বাবা ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদ ছিলেন বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে রুমিন ফারহানা সরাইলের শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১২ সালে বিজয়নগর উপজেলা গঠিত হওয়ার আগে বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নসহ ১০টি ইউনিয়ন সদর উপজেলার অধীনে ছিল।

জোটের সমন্বয় ও নির্বাচনী প্রেক্ষাপট

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, "প্রায় ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।" তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে প্রয়োজন অনুসারে এই প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএনপির সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপির শীর্ষ নেতারা কে কোন আসনে লড়ছেন?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৯:২৮:২৫
বিএনপির শীর্ষ নেতারা কে কোন আসনে লড়ছেন?
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই গুরুত্বপূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠক ও শীর্ষ নেতাদের নাম

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের পরই বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, দলের মনোনয়ন পেয়েছেন—

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া: দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান: বগুড়া-৬ আসন।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: ঠাকুরগাঁও-১ আসন।

স্থায়ী কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যানদের আসন

খন্দকার মোশাররফ হোসেন: কুমিল্লা-১ আসন।

মির্জা আব্বাস: ঢাকা-৮ আসন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ঢাকা-৩ আসন।

আবদুল মঈন খান: নরসিংদী-২ আসন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: চট্টগ্রাম-১০ আসন।

সালাহ উদ্দিন আহমদ: কক্সবাজার-১ আসন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু: সিরাজগঞ্জ-২ আসন।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ: ভোলা-৩ আসন।

এজেডএম জাহিদ হোসেন: দিনাজপুর-৬ আসন।

ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন:

আলতাফ হোসেন চৌধুরী: পটুয়াখালী-১ আসন।

বরকত উল্লাহ বুলু: নোয়াখালী-৩ আসন।

মোহাম্মদ শাহজাহান: নোয়াখালী-৪ আসন।

আবদুল আউয়াল মিন্টু: ফেনী-৩ আসন।

নিতাই রায় চৌধুরী: মাগুরা-২ আসন।

কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ: কুমিল্লা-৩ আসন।

আহমেদ আজম খান: টাঙ্গাইল-৮ আসন।

উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিবদের প্রার্থীতা

মনিরুর হক চৌধুরী: কুমিল্লা-৬ আসন।

আমান উল্লাহ আমান: ঢাকা-২ আসন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন: নোয়াখালী-১ আসন।

জয়নুল আবদিন ফারুক: নোয়াখালী-৪ আসন।

জহির উদ্দিন স্বপন: বরিশাল-১ আসন।

মজিবুর রহমান সারোয়ার: বরিশাল-৫ আসন।

লুৎফুজ্জামান বাবর: নেত্রকোনা-৪ আসন।

তাজভীর উল ইসলাম: কুড়িগ্রাম-৩ আসন।

হাবিবুর রহমান হাবিব: পাবনা-৪ আসন।

মুশফিকুর রহমান: ব্রাক্ষণবাড়ীয়া-৪ আসন।

আফরোজা খান রিতা: মানিকগঞ্জ-৩ আসন।

মঈনুল ইসলাম খান: মানিকগঞ্জ-২ আসন।

খন্দকার আবদুল মুক্তাদির: সিলেট-১ আসন।

তাহমিনা রশদীর লুনা: সিলেট-২ আসন।

আবুল খায়ের ভুঁইয়া: লক্ষ্মীপুর-২ আসন।

এনামুল হক চৌধুরী: সিলেট-৬ আসন।

আবদুস সালাম পিন্টু: টাঙ্গাইল-২ আসন।

জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল: ফেনী-২ আসন।

ফজলুর রহমান: কিশোরগনজ-৪ আসন।

নাসের রহমান: মৌলভীবাজার-৩ আসন।

যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন:

খায়রুল কবির খোকন: নরসিংদী-১ আসন।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি: লক্ষীপুর-২ আসন।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স: ময়মনসিংহ-১ আসন।

পরিবর্তনের সম্ভাবনা ও জোটের সমন্বয়

প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আজকে ২৩৭ আসনে আমরা সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলাম।" তিনি স্পষ্ট করে জানান, "এরপরে আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন সেই সমস্ত দলের সঙ্গে কথা বলে যে সমস্ত আসন আমরা ঘোষণা করিনি, তারা আসতে পারেন। অথবা আমাদের আসনও আমরা পরিবর্তন করতে পারি। এটা আমরা পরিস্কার করে জানিয়ে দিচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, এটি তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা।

উল্লেখ্য, এর আগে চার মাস আগে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি, এলডিপি এবং সর্বশেষ লেবার পার্টিও আলাদা আলাদাভাবে প্রার্থী তালিকা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।


২ শতাধিক আসনে বিএনপির প্রার্থী: দেখে নিন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর পুরো তালিকা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:৫৫:১৪
২ শতাধিক আসনে বিএনপির প্রার্থী: দেখে নিন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর পুরো তালিকা
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭ টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে চূড়ান্তকরণ

দলের মহাসচিব জানান, চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকেই সারা দেশের দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "প্রায় ২৩২টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হচ্ছে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাকি আসনগুলোর ক্ষেত্রে যুগপৎ আন্দোলনে সঙ্গী দলগুলো যাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে, সেগুলোর সঙ্গে বিএনপি সমন্বয় করে নেবে। তবে তিনি এই বিষয়ে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।


বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বাবর 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:৪২:০৪
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বাবর 
লুৎফুজ্জামান বাবর। ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই তালিকায় নেত্রকোনা-৪ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটি এবং সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি দীর্ঘদিন পর এই প্রথম বৃহৎ পরিসরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করল।

নির্বাচনী প্রস্তুতি ও জোটের সমন্বয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, "দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি।" তিনি বলেন, সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনকারী সঙ্গীরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেই আসনগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করে নেবে। তবে, তিনি জানান যে প্রয়োজন অনুসারে এই প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির এই বিপুল সংখ্যক আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের আসন ঘোষণা করল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:১৫:১২
আসন্ন নির্বাচনে তারেক রহমানের আসন ঘোষণা করল বিএনপি
তারেক রহমান/ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭টি আসনে দলের সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, দলের শীর্ষ দুই নেতা—চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

শীর্ষ নেতাদের আসনে মনোযোগ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন। আসনগুলো হলো—দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ এবং ফেনী-১। এই তিনটি আসন থেকেই তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও, রাজধানী ঢাকার কয়েকটি আসনেও গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে:

ঢাকা-৫ আসন থেকে লড়বেন নবীউল্লাহ নবী।

ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন মির্জা আব্বাস।

ঢাকা-৩ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।


খালেদা জিয়ার আসন ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:০৮:০৭
খালেদা জিয়ার আসন ঘোষণা করলেন মির্জা ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়া / ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আসনগুলো হলো—বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ এবং ফেনী-১। এই আসনগুলোতে তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সারা দেশে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

২৩২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ২৩২টি আসনে প্রাথমিকভাবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, "দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাসে আমরা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ২৩২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দেওয়া হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, যেসকল আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা প্রার্থী ঘোষণা করবে, সেই আসনগুলোতে বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।


২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:০২:৩৬
২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করল বিএনপি
ছবিঃ সংগৃহীতত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি প্রার্থী,

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৩৭টি সংসদীয় আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩—এই তিনটি আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করবেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

দীর্ঘ বৈঠক শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত

প্রার্থী ঘোষণার আগে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠকে বসেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরই ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, যেসকল আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, সেই আসনগুলোর নাম পরে ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে কিছু আসন শরিক দলগুলোর জন্য ছাড়া হবে।

নির্বাচনী প্রেক্ষাপট

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই বিএনপির এই বিপুল সংখ্যক আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রার্থী ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মির্জা আব্বাস, হাফিজ উদ্দিনসহ দলের সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত