জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের মধ্যস্থতা, গোপন আলোচনায় কী ঘটছে

জুলাই জাতীয় সনদ ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি, জামায়াত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সনদ বাস্তবায়ন, নির্বাচন সময়সূচি ও সরকারের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে এখন দুই প্রধান শরিক দলের শীর্ষ নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি তির্যক ভাষায় অভিযোগ তুলছেন। অন্যদিকে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি নেতারাও সরকারের ভূমিকা ও দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থানকে কঠোরভাবে সমালোচনা করছেন।
এই অচলাবস্থা ও মুখোমুখি অবস্থানে সরকারও এখন বিব্রত। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে পর্দার আড়ালে একটি সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে চারজন উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত এ আলোচনায় কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি বা সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি।
সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন “পুরো জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।” তিনি ঘোষণা দেন যে, জুলাই সনদের বাস্তবায়নের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে, অর্থাৎ একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, তারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন, কিন্তু একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, গণভোট অবশ্যই নির্বাচনের আগে হতে হবে। একই অবস্থান নিয়েছে এনসিপিও।
২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। একদিকে বিএনপি চাইছে গণভোট ও নির্বাচন একদিনে, অপরদিকে জামায়াত ও এনসিপি চাইছে আগে গণভোট, পরে নির্বাচন। সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সমঝোতা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে প্রথমত, বিএনপিকে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনে সম্মতি দিতে বলা হয়েছে, এবং দ্বিতীয়ত, জামায়াতকে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটে রাজি হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তবে উভয় দলই এখনো পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড়। এ কারণে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কূটনৈতিক চ্যানেলেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো যে বক্তব্য দিচ্ছে, তার অধিকাংশই সত্য নয়। কমিশন বলছে, আলোচনাগুলোর অনেকাংশই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়েছে এবং তার সব রেকর্ড সরকারের হাতে রয়েছে। তবুও তারা প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান না, কারণ এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হতে পারে।
সরকারের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, এই বিরোধ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকেও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে চারজন উপদেষ্টাকে সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সমঝোতা সফল হলে দ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত আদেশ জারি হতে পারে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদ তিনটি বিকল্প নিয়ে চিন্তা করছে প্রথমত, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক না রেখে তা ভবিষ্যৎ সংসদের সংবিধান সংস্কার পরিষদের ওপর ছেড়ে দেওয়া; দ্বিতীয়ত, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া; তৃতীয়ত, সনদের বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার বদলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা। তবে এসব বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন সূত্র বলছে, ঢাকায় থাকা নেতারা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না এই কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতবিরোধ থেকে যায়, সরকারের পক্ষে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তাই দলগুলোর উচিত নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা।”
প্রসঙ্গত, জুলাই জাতীয় সনদে মোট ৮৪টি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬১টি প্রস্তাবে অন্তত একটি রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি প্রস্তাব সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিএনপি, জামায়াতসহ ২৫টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই সনদে স্বাক্ষর করেছে।
সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুযায়ী, ৯টি বিষয় নির্বাহী আদেশে, ২৭টি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এবং সংবিধান সংশোধনের ৪৮টি প্রস্তাব গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। আগামী সংসদ প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে এই প্রস্তাবসমূহ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। পরে ৪৫ দিনের মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে।
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার এক অনুষ্ঠানে স্পষ্টভাবে জানান, “আমরা জুলাই সনদের যে অংশে সই করেছি, তার দায় নেব, কিন্তু যেখানে সই করিনি, তার দায় আমাদের নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন করতে চাই, নির্বাচনে অংশ নেব। কিন্তু নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে।”
অন্যদিকে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা আগে গণভোট চাই। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে তা জটিলতা সৃষ্টি করবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমরা কোনো ছাড় দেব না।”
-রফিক
পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের দক্ষতা এবং তাদের মানসিক শক্তি ও মনোভাব আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটার ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেন। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, একটি সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে রাজনীতিবিদ, সাধারণ জনগণ, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাংবাদিকসহ সবাইকে সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে তিনি দেশের কৃষি খাত নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, এ বছর দেশে আমনের উৎপাদন ভালো হয়েছে। কৃষকদের 'জাতির মেরুদণ্ড' হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জীবন-জীবিকা তাদের উৎপাদিত ফসলের ওপরই নির্ভরশীল। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই কৃষকদের সুখ-দুঃখের কথা অধিকাংশ সময়েই কেউ তুলে ধরে না।
সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা বিষয়েও উপদেষ্টা কথা বলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনী সমুদ্র নিরাপত্তায় অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে, অনেক সময় বাংলাদেশি জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়েন এবং সেসময় তারা আটক হন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই সময় তার সাথে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ, আনসার ও ভিডিপির বিভাগীয় উপ-মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর সরকার, পটুয়াখালী ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (সিও) সদন চাকমা, জেলা কমান্ডার শফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক এবং কুয়াকাটা রিজিয়নের এডিশনাল ডিআইজি অর্নিমান চাকমাসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় বড় এক পরিবর্তন আসছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। প্রথমবারের মতো বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা লাখো প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চালু করছে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন হলেই ডাক বিভাগের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।
ইসির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রবাসী ভোটাররা যেখানেই থাকুন, তাদের ঠিকানায় ব্যালট পৌঁছানোর পর ভোট দিয়ে রিটার্ন খামের মাধ্যমে সেটি পাঠাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তবে ভোট দেওয়া থেকে ব্যালট ফেরত পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগতে পারে ১৫ থেকে ৩০ দিন। এ জন্যই বিদেশে পাঠানো ব্যালটে থাকবে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ ১১৯টি প্রতীক, পাশাপাশি থাকবে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ। কোনো আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী লড়াই করেন, সেই আসনের প্রবাসী ভোটাররাই শুধুমাত্র ‘না ভোট’ দিতে পারবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করলেই ভোটারের তথ্য যাবে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর অ্যাপের মাধ্যমেই ভোটার নিজের আসনের প্রার্থীদের তালিকা দেখতে পাবেন এবং পছন্দের প্রতীকে টিক দিয়ে ব্যালট পাঠাতে পারবেন। ডাক বিভাগ প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো থেকে শুরু করে রিটার্নিং অফিসে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৮ নভেম্বর থেকে। অ্যাপে প্রবেশ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজন হবে একটি আন্তর্জাতিক মোবাইল সিমকার্ড, কারণ অ্যাপে জিও–লোকেশন সক্রিয় থাকবে। ফলে বাংলাদেশের ভেতর থেকে কোনভাবেই অ্যাপটি চালানো সম্ভব হবে না। অ্যাপে মোবাইল নম্বর প্রবেশ করালে আসবে একটি ওটিপি, এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ও ফেসিয়াল রিকগনিশন মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এনআইডির ছবির সঙ্গে ৭০ শতাংশ মিল থাকলেই নিবন্ধন সফল হবে। পাসপোর্ট থাকলে সেটির ছবিও আপলোড করতে বলা হবে, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
বিদেশে থাকা ঠিকানা নিশ্চিত করে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ভোটারের তথ্য সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যায় এবং পৃথক প্রবাসী ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়। ইসির ধারণা, নিবন্ধন চলমান থাকতেই ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল, এরপর শুরু হবে ব্যালট পাঠানোর কাজ। খামে পৌঁছানো ব্যালট পেপার পেয়ে ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবেশ করবেন এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে নিজের আসনের প্রার্থী তালিকা দেখবেন। তখনই ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ভোট দেওয়ার পর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে। ডাকমাশুল আগে থেকেই পরিশোধিত থাকবে। তবে ব্যালট পেপারের সঙ্গে থাকা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে ভুললে সেই ভোট বাতিল হবে। নির্ধারিত ভোটগ্রহণের দিন বিকেল ৪টার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে পারলে সেটি বৈধ ধরা হবে। এর পর পৌঁছানো ব্যালট গণনায় আসবে না।
ইসি জানায়, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়মতো ব্যালট পৌঁছানো, প্রার্থিতা বাতিল বা পুনর্বহাল হলে ব্যালট গণনা বিষয়ক জটিলতা, এবং বিদেশে ব্যালট ডেলিভারির সময় নির্ধারণ। কেউ যদি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পর তার প্রার্থিতা বাতিল হয়, কিংবা আদালতের রায়ে পুনর্বহাল হয় সেই আসনের প্রবাসী ভোট গণনা করা হবে না।
প্রবাসীদের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো দেশের সরকারি কর্মচারী, ৭১টি কারাগারের বন্দি এবং কয়েদিরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন প্রক্রিয়া থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
-রফিক
সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় শনিবার ভোরে এক দম্পতির ঘরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এক ঘটনার রেশ এখনো স্থানীয়দের মনে প্রচণ্ড শোক ও উদ্বেগ তৈরি করে চলছে। ভাড়া বাসার একটি কক্ষে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩৫ বছর বয়সী রেহিমা খাতুনের নিথর দেহ। তাঁর পাশেই পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ইমরান হোসেন—জীবন-মৃত্যুর সীমানায় লড়াইরত। পারিবারিক ঝগড়া ও মানসিক টানাপোড়েনের জট খুলতে এখন তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
নিহত রেহিমা কোনাবাড়ির একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী ইমরান হোসেন পেশায় কসাই; তিনি ময়মনসিংহের সুরুজ আলীর ছেলে। স্থানীয়দের ভাষ্য ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—সম্পর্কের ভেতরে থাকা নানা অভিমান, আর্থিক চাপ ও পারিবারিক অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরেই দম্পতিকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছিল। সেই অস্থিরতারই বিস্ফোরণ কি এমন ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনল?
কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, দম্পতি তাঁদের ছোট মেয়েকে নিয়ে ‘একতা ভিলা’ নামে একটি পাঁচতলা ভবনের ওপরতলার ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ ধারণা করছে—পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং তখনই ইমরান ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে একই অস্ত্র দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার সকালে ভবনের ভেতর থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রেহিমার দেহ উদ্ধার করে এবং গুরুতর আহত ইমরানকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। রেহিমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে প্রতিবেশী, স্বজন এবং ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তবে ইমরান সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনার পূর্ণ বিবরণ পাওয়া সম্ভব হবে না।
এই নির্মম ঘটনা শুধু একটি পরিবারের দুর্ভাগ্যজনক ভাগ্যকেই সামনে আনে না; বরং সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা দাম্পত্য উত্তেজনা, মানসিক অবসাদ, আর্থিক অস্থিরতা এবং যোগাযোগহীনতার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে নতুন করে সতর্ক করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কের ভেতর লুকিয়ে থাকা মানসিক চাপ দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হলে তা কখনো কখনো ভয়ংকর রূপ নেয়।
গাজীপুরের কোনাবাড়ির এই ট্র্যাজেডি সেই কঠিন বাস্তবতার আরেক নির্মম উদাহরণ।
-আলমগীর হোসেন
ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
ইতিহাস বিকৃত করে বা সত্য গোপন রেখে নতুন করে ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে, তা দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। শুক্রবার ১৪ নভেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেন। জাতির মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকাকে বাদ দিয়ে অথবা সেগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে নতুন প্রজন্মের সামনে ভিন্ন ইতিহাস দাঁড় করানোর যে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার কঠোর বিরোধিতা করেন তিনি।
পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা—এগুলো দেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব ও জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি। সুতরাং এগুলোকে আড়াল করে বা বিকৃত করে নতুন ইতিহাস নির্মাণের প্রচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ইতিহাসের বিপর্যস্ত রূপ প্রজন্মকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে এবং এটি স্বাধীনতার চেতনা ও জাতির পরিচয়কে দুর্বল করে।
এর আগে ১২ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে তিনি কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর ৬৩৯ ফ্লাইটে করে দোহা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বিমানবন্দরে তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় বিভিন্ন সংস্থা, বিশেষ করে ইমিগ্রেশন প্রসিকিউশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যাচাই–বাছাই ও ক্লিয়ারেন্সের পর। ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রাপথে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সোহেল তাজ নিজের ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ, দোহায় পৌঁছেছি। ৩ ঘণ্টার ট্রানজিট শেষে ১৫ ঘণ্টার দীর্ঘ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবো। তিনি স্মরণ করেন গত ১৫ বছর ধরে এই বিমানবন্দরের সঙ্গে তার যাতায়াতের অভিজ্ঞতা। সেই সময়ে এই বিমানবন্দরটি ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়েও ছোট ছিল, আর এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত, বৃহৎ এবং উন্নত বিমানবন্দরগুলোর একটি।
-রাফসান
'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন একটি ফেসবুক-নির্ভর প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে, যাদের মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুবই কম। শনিবার সকালে তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে তার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি এমনও মনে করেন যে, এই নির্বাচন সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শফিকুল আলম তার প্রথম যুক্তি হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, বিএনপির সংসদীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও একটি ব্যাপক আশঙ্কা ছিল যে, তালিকা ঘোষণার পর দলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। অনেকের ধারণা ছিল, শত শত বিদ্রোহী প্রার্থী দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না এবং তারা বিক্ষোভে নামতে পারেন। এমনকি, আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সাথে তাদের সংঘর্ষও হতে পারে।
কিন্তু প্রেস সচিবের মতে, এক-দুটি ছোট ঘটনা ছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি মনে করেন, এটি প্রমাণ করে যে বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে এবং পরিকল্পনা করেই এগিয়েছে। মনোনয়নের এই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ইঙ্গিত দেয় যে, নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনের সময় দলের ভেতরে বড় ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।
দ্বিতীয় যুক্তিতে শফিকুল আলম আওয়ামী লীগের সক্ষমতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, তিনি আওয়ামী লীগের সক্ষমতার একটি স্পষ্ট সীমা দেখতে পাচ্ছেন, যা তার মতে 'বেশ ছোট'। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে তাদের একটি বিস্তৃত তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা যেকোনো নির্বাচন ব্যাহত করার মতো শক্তিশালী। কিন্তু তার মতে, গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে যে দলটির বাস্তব সংগঠিত শক্তি আসলে কতটা সীমিত।
শফিকুল আলম মনে করেন, দলটি এখন 'ভাড়াটে টোকাই-ধরনের' ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা শুধু ফাঁকা বাসে আগুন দেওয়া, ৩০ সেকেন্ডের 'ঝটিকা মিছিল' করা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'এআই শাটডাউন'-এর মতো প্রচারণা চালাতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, "প্রকৃত অর্থে, যার (আওয়ামী লীগের) মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম।" শফিকুল আলম তার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, দলটির তৃণমূল কাঠামো হয় ভেঙে পড়েছে অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা নিমজ্জিত হয়েছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে, তিনি আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো অস্থিরতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করার সম্ভাবনা 'অত্যন্ত ক্ষীণ' বলে মনে করেন।
সবশেষে, তৃতীয় যুক্তি হিসেবে প্রেস সচিব পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, সাম্প্রতিক সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা দেখেই বোঝা যায় যে, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত।
শফিকুল আলম জানান, সবচেয়ে দক্ষ ও সক্ষম কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা জাতির প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।"
অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে ঢাকা আবারও শীর্ষের কাতারে
বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের বিস্তার থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বহু বছর ধরেই মেগাসিটিটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত।
সাম্প্রতিক সময়ে বায়ুমান কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও গত দুই দিন ধরে ঢাকার আকাশে আবারও ঘনিয়ে এসেছে দূষণের স্তর। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান চতুর্থ।
‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ এই মাত্রা নাগরিকদের শ্বাসতন্ত্র, চোখ ও হৃদ্যন্ত্রের ওপর তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। একই সময়ে ৫১১ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মাত্রার বায়ুদূষণ নির্দেশ করে। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর (২৭৪), তৃতীয় স্থানে ভারতের কলকাতা (১৯৯) এবং পঞ্চমে ইরাকের বাগদাদ (১৭৫)। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১–৩০০ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর ওপরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ যা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা শিশু, প্রবীণ, শ্বাসতন্ত্রের রোগী এবং দৈনিক বাইরে কাজ করা জনগোষ্ঠীকে এই পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। দ্রুত নগরায়ণ, যানবাহনের নির্গমন, নির্মাণকাজের ধুলা এবং শিল্পকারখানার অনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এই বহুমুখী কারণগুলো প্রতিদিন ঢাকার বায়ুমানকে আরও সংকটগ্রস্ত করে তুলছে। ফলে দূষণ কমাতে সমন্বিত নীতিমালা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই নগর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নির্বাচনী ট্রেন্ড শুরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় কাটল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের মাধ্যমে দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান সংশয় অনেকটা কেটে গেছে। জুলাই সনদের গেজেট প্রকাশিত হওয়া এবং নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই। সবকিছু মিলে দেশবাসীর সামনে এখন শুধুই নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও একমত হয়েছেন যে দেশ ও জাতি এখন 'নির্বাচনি ট্রেনে' উঠেছে।
ধোঁয়াশা কাটল ঘোষণা চূড়ান্ত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের সব ধোঁয়াশা কেটে গেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে যাচ্ছে।
সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনমানুষের আগ্রহ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, "জাতি এখন নির্বাচনি ট্রেনে উঠে গেছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই।"
দলগুলোর নির্বাচনি প্রস্তুতি
প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে এখন জনগণের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। সারা দেশে নির্বাচনি ঢেউ শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঘোষিত বিএনপির ২৩৭ জন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনি এলাকায় মাঠে নেমে গেছেন এবং ভোটারদের মন জয় করতে চষে বেড়াচ্ছেন। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জোটের শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়াও শেষের পথে।
জামায়াতে ইসলামী আগে থেকেই মাঠে আছে। নানা ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের চেষ্টা করলেও ভিতরে ভিতরে নির্বাচনি প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে এই ইসলামি দলটি।
জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই দলীয় প্রধান নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও তাঁদের স্ব-স্ব জোট থেকে নিজেদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পথে এবং অনেকে নির্বাচনি মাঠে নেমে গেছেন।
নেতাদের প্রতিক্রিয়া
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) বলেন, "রাজনৈতিক দল এবং দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী। তারা এখন নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করছে না। বিগত আঠারোটি বছর মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। মানুষ এখন ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। তারা জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে।"
মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্যের সভাপতি) বলেন, "জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মেঘ অনেকাংশেই কেটে গেছে। আমরা বিএনপির সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচন করছি। জোট আমাকে বগুড়া-২ এলাকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বগুড়ার উন্নয়নে এলাকার কৃতী সন্তান তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব।"
সাইফুল হক (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক) বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকাংশেই কেটে গেছে। তবে ষড়যন্ত্র এখনো থামেনি, এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী) বলেন, "জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হতে হবে। যারা নির্বাচন, সংস্কার, বিচারের পথরেখাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চান, তারা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবেন।"
নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি) বলেন, "জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে সব সংশয় কেটে গেছে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনই সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে সব দলকে এক থাকা জরুরি।"
শীতের তীব্রতা বাড়লেও উষ্ণ হলো মন পর্যটন আর অতিথি পাখির ভিড়ে মুখর এখন বাংলাদেশ
বাতাসে এখন হিম হিম স্পর্শ। শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় মুক্তোর দানা। সন্ধ্যা-সকাল কুয়াশার চাদর মুড়ে দিচ্ছে চারপাশ। প্রকৃতির শীতল পরশ নিয়ে আসছে শীত। পৌষ-মাঘ শীতকাল হলেও অগ্রহায়ণ বা হেমন্ত হলো শীতের মোহনা। এই সময় রিক্ত প্রকৃতিকে আমরা নতুন করে আবিষ্কার করি। দিনের সূর্য ঢেলে দেয় মায়াবি রোদ, আর রাতের আকাশে থাকে বুকভরা রূপালি তারাখচিত শুভ্রতা।
শীতের আগমনী বার্তা ও গ্রামীণ উৎসব
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শীত পঞ্চম ঋতু। শরতের স্নিগ্ধতা পেরিয়ে আসে হেমন্ত, আর এই নবান্নের ঋতুর হাত ধরেই আসে শীতকাল। খালবিল থেকে বর্ষার জল শুকাতে শুরু করেছে। গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব।
মাঠে মাঠে সোনালি ধান গোলায় ভরার উৎসবে মেতে থাকা মানুষের শরীরে লাগে শীতের কাঁপন। নতুন ধানের পিঠা-পায়েস, খেজুরের মিষ্টি রস আর পাটালি গুড় এই ঋতুর অনিবার্য অংশ। লেপ-কম্বলের উত্তাপ, কুয়াশাঢাকা ভোরে আনন্দ-কষ্টের মিশেল নিয়ে শীতকাল আমাদের জীবনে উপস্থিত হয়।
খেজুরের রসে পাটকাঠি ডুবিয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের চুকচুক করে রস খাওয়ার সেই দৃশ্য আজও বদলায়নি।
জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্ভোগ
সামপ্রতিক বছরগুলোতে পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না প্রকৃতি। গ্রিনহাউজ এফেক্টের কারণে শীত-গ্রীষ্মকে আলাদা করে চেনা কঠিন হয়ে উঠছে। শীত জেঁকে বসতে না বসতেই বসন্ত এসে প্রকৃতিকে অধিকার করে নিচ্ছে। তবে শীতের প্রচণ্ড দাপট কখনো কখনো আমাদের জীবনকে আড়ষ্ট করে তুললেও বাড়িয়ে দেয় মনের সজিবতা।
শীতের সময় তুমুল শৈত্যপ্রবাহ মানুষের জীবনে বয়ে আনে দুর্ভোগ। মাঘ মাসের তীব্র শীতের দিনগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। এ সময় উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়, যার ফলে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ নেমে আসে।
শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য মানুষজন গরম পোশাক পরিধান করলেও দরিদ্র মানুষের জীবনে শীত আসে অভিশাপ হয়ে। শীত নিবারণের জন্য তাদের তেমন গরম পোশাক থাকে না।
সাহিত্যে শীতের প্রভাব
বাংলা কবিতায় শীত প্রবেশ করেছে মধ্যযুগে বিশেষ করে মঙ্গলকাব্যে নায়িকার কষ্টের বর্ণনায়। আধুনিক কবিরাও শীতকালের বন্দনা করেছেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন 'শীতের হাওয়া হঠাত্ ছুটে এলো...'। জসীম উদ্দীনের 'রাখাল ছেলে' কবিতায় শীতকে আমরা পাই আমাদের একান্ত নিজস্ব ঋতুরূপে।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরে ঘুরে আসে 'পউষের ভেজা ভোর', 'ঝরিছে শিশির' এবং 'পউষের শেষরাতে নিমপেঁচাটি'।
পিঠা-পুলি ও শাকসবজির প্রাচুর্য
বাঙালির শখের পিঠা-পুলি শুধু স্বাদে নয়, সংস্কৃতিরও ধারক। শীতকালে পাটিসাপটা, দুধকলি, ভাপা, চিতই, নকশীপিঠাসহ নানা ধরনের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। খেজুরের রস, পাটালি গুড়, মোয়া, মুড়কি ছিল এক সময়ের অনিবার্য পদ।
শীতকাল মানেই গ্রামের জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির প্রাচুর্য। এ সময় বাজার ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, টম্যাটো, পালং শাক, লাল শাকসহ নানা জাতের টাটকা শাকসবজিতে ভরপুর থাকে।
বেড়ানো ও পরিযায়ী পাখির ভিড়
প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে দেশের পর্যটন এলাকাগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের মতো পর্যটনস্পটগুলো এই মৌসুমে মুখর থাকে।
এছাড়াও উত্তর গোলার্ধের বরফে আচ্ছাদিত দেশসমূহ থেকে অতিথি পাখির আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলার নদনদী, হাওর, ঝিল ও চরাঞ্চল। এদের মধ্যে নীলশির, লালশির, কালো হাঁসসহ প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে।
শীতে রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ
শীতকাল উপভোগ্য হলেও এই মৌসুমটাতে নানা রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন সর্দি-কাশি, গলায় খুশখুশ ভাব, ভাইরাসজনিত জ্বরসহ ত্বকের রোগ একজিমা, চুলকানি ও স্ক্যাবিসের মতো চর্মরোগ দেখা দেয়।
সূত্র:ইত্তেফাক
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে কার্যক্রম স্থগিত থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রসঙ্গ
প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূস জানান, কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকেও বাদ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আগের ১৬ বছরের 'দুঃশাসনের' সময় যে তিনটি বিকৃত নির্বাচনে অসংখ্য তরুণ ভোট দিতে পারেননি, এবার ১০ লাখ নতুন ভোটার প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে ডক্টর ইউনূস বলেন, নির্বাচন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক; ভোটার উপস্থিতিও হবে ব্যাপক।
জুলাই সনদ ও রোহিঙ্গা সংকট
জুলাই সনদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য 'এক নতুন সূচনা', যা গত বছরের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করবে।
রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গে ডক্টর ইউনূস জানান, 'শিবিরের যুবকেরা আশাহীন হয়ে বড় হচ্ছে—রাগান্বিত এবং হতাশ। তাদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।' তিনি বলেন, সরকার বৈধ চ্যানেলে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাজ্য মন্ত্রীর মন্তব্য ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী জেনি চ্যাপম্যান প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, রোহিঙ্গা সংকট এবং বিমান ও সামুদ্রিক খাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ইউনূস জানান, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক গবেষণার জন্য বাংলাদেশ একটি ব্রিটিশ গবেষণা জাহাজ কিনছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী জানান, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডক্টর খলিলুর রহমান, এসডিজি কো-অর্ডিনেটর লামিয়া মোর্শেদ এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত:
- আজ একটি যুদ্ধ থামালাম, কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য ট্রাম্পের?
- ধূমপান ছাড়ার পর শরীর যেভাবে নিজেকে 'মেরামত' করে, জানুন বিস্তারিত
- সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি
- বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
- "বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
- রেকর্ড ভাঙল সরকারের ঋণ, অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে নতুন তথ্য
- প্রকাশ হলো ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ
- মতিঝিলে শরিফ ওসমান হাদির প্রচারে বাধা, গায়ে ময়লা পানি নিক্ষেপ
- ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত: গাজা নিয়ে জর্ডানের সাথে তথ্য বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়া
- টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য
- পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- এ মাসেই আত্মপ্রকাশ ঘটছে বামপন্থিদের নতুন বৃহত্তর জোটের
- 'ভারতের দাদাগিরি' নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য, ক্ষমতায় এলে কী করবে বিএনপি?
- আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
- ১৫ মাস পর মুখ খুললেন হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হঠাৎ ভিন্ন সুর
- ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণ: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী কি সর্বশক্তিমান?
- ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
- নষ্ট ছবি ঠিক করতে আর অ্যাপ লাগবে না, গুগল ফটোসেই নতুন 'জাদু'
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
- ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
- সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
- ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
- শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
- বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
- ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
- 'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
- এক লাল কার্ডে জটিল সমীকরণ: রোনালদোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন কি ভাঙবে?
- গলায় সাদা দানা? এটি খাবারের টুকরো নয়, হতে পারে টনসিল স্টোন
- সন্তানদের প্রতি ইনসাফ: রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা
- হানিয়া আমিরের সঙ্গে কাজ নিয়ে মুখ খুললেন শাকিব, জল্পনা কি সত্যি হচ্ছে?
- একাই টানছেন দেশ ও ক্লাব: হালান্ড কি মেসি-রোনালদোর আসল উত্তরসূরি? পরিসংখ্যান কী বলছে?
- ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ: থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন হস্তক্ষেপ
- তেঁতুলিয়া–চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি, শীতের ছোঁয়া সারাদেশে
- অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে ঢাকা আবারও শীর্ষের কাতারে
- ঢাকার আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ
- নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার ভোট: ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে উত্তেজনা
- শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত
- রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা
- ৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন
- জরুরি সংস্কার: আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকা
- বন্ধুকে হত্যা করে ২৬ টুকরো, আশরাফুল হত্যায় মিলছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
- জলবায়ু সম্মেলন তেল গ্যাস কোম্পানির দখলে আলোচনা এখন দূষণকারীদের হাতে
- জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ
- নির্বাচনী ট্রেন্ড শুরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় কাটল
- শীতের তীব্রতা বাড়লেও উষ্ণ হলো মন পর্যটন আর অতিথি পাখির ভিড়ে মুখর এখন বাংলাদেশ
- গণভোটে ‘না’–এর ডাক: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা জয়নুল ফারুকের কঠোর অবস্থান ও নির্বাচনী সমীকরণের নতুন বার্তা
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল ম্যাচের টিকিটের দাম প্রকাশ
- রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা








