ধাপে ধাপে জানুন বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া

আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এর ফলে দেশের নেটওয়ার্কে অনিবন্ধিত বা অননুমোদিত মোবাইল ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নতুন এই ব্যবস্থায় প্রতিটি বৈধ আন্তর্জাতিক আইএমইআই নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে যুক্ত করে নিবন্ধিত হবে, যা অবৈধ ফোন শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
দেশের বাজারে কেনা ফোনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় না থাকলেও, অনেকের মনে প্রশ্ন—বিদেশ থেকে আনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটগুলো কি ব্যবহার করা যাবে? নাকি তা নেটওয়ার্কে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটগুলো প্রাথমিকভাবে দেশের নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। তবে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কেবল বৈধ হ্যান্ডসেটগুলোকেই নিবন্ধন করে নেটওয়ার্কে স্থায়ীভাবে সচল রাখা হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো বিদেশি ফোন দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু রাখা যাবে না।
বিদ্যমান ব্যাগেজ নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত একটি ব্যক্তিগত হ্যান্ডসেটের পাশাপাশি বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ একটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে আনতে পারবেন। অতিরিক্ত আরও একটি হ্যান্ডসেট শুল্ক দিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।
বিদেশ থেকে ক্রয়কৃত বা উপহারপ্রাপ্ত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য গ্রাহককে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে:
১. অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার: প্রথমে neir.btrc.gov.bd পোর্টালে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।
২. স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন: পোর্টালে 'Special Registration' সেকশনে গিয়ে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর দিতে হবে।
৩. ডকুমেন্ট আপলোড: প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি বা ছবি—যেমন পাসপোর্টের ভিসা বা ইমিগ্রেশন পৃষ্ঠা, ক্রয়ের রসিদ ইত্যাদি—আপলোড করে 'Submit' করতে হবে।
হ্যান্ডসেট বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। অবৈধ হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে সেই ফোনটি নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
বিদেশ থেকে কেনা মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য লাগবে
পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যযুক্ত পাতার ছবি।
পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সিল থাকা পাতার ছবি।
ক্রয় রসিদ।
প্রয়োজনে কাস্টমস শুল্ক প্রদানের প্রমাণপত্র (যদি একটির বেশি হ্যান্ডসেট হয়)।
উপহার হিসেবে পাওয়া হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে ওপরের কাগজপত্রের সঙ্গে অতিরিক্তভাবে দিতে হবে 'উপহারদাতার প্রত্যয়নপত্র'। অন্যদিকে, এয়ারমেইলে পাওয়া হ্যান্ডসেটের জন্য প্রেরক ও প্রাপকের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপিসহ ক্রয় রসিদ ও শুল্ক প্রদানের রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) প্রয়োজন হবে।
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আর ফিরে আসবে না: ড. ইউনূস
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্ব্যর্থহীন ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এই দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর জাতির সামনে এসে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে পরাজিত শক্তি এবং ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টরা দেশকে অস্থিতিশীল করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে দেশবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন বিজয়ের এই আনন্দের দিনেও গভীর বেদনার সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সম্প্রতি যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয় বরং এটি বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপরই সরাসরি আঘাত।
শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানান যে তিনি বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইতিমধ্যেই তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। সরকার এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন যে এই ষড়যন্ত্রে জড়িতরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন তাদের কাউকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। হাদির সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে দেশবাসীকে কায়মনোবাক্যে দোয়া করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ড. ইউনূস সবাইকে সংযম বজায় রাখার অনুরোধ করেন। তিনি অপপ্রচার বা গুজবে কান না দিয়ে ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের সৃষ্ট অস্থিরতা মোকাবিলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনোদিন ফিরে আসার সাহস পাবে না।
১৬ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে আসলে কী হচ্ছিল?
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করলেও বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের খবর সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লেগেছিল এবং অনেকেই রেডিওর মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ের বার্তা পেয়েছিলেন। তবে দুপুরের দিকেই যখন ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও আত্মগোপনে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা প্রকাশ্যে ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে আসতে শুরু করেন তখন সাধারণ মানুষের বুঝতে বাকি ছিল না যে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। গবেষকদের মতে ক্যান্টনমেন্টে আত্মসমর্পণের খুঁটিনাটি নিয়ে যখন রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছিল তখনো বাইরের সাধারণ মানুষ কিছুটা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন কিন্তু ভারতীয় বাহিনীকে শহরে প্রবেশ করতে দেখে সেই শঙ্কা কেটে গিয়ে চারদিক ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মিত্রবাহিনী ঢাকায় প্রবেশ করে এবং ঠিক একই সময়ে মার্কিন সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান নেয় যা ছিল এক নাটকীয় মুহূর্ত।
ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর যেখানে সকাল থেকেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরা ও পাকিস্তানের মেজর জেনারেল জামশেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলছিল। ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন সকালে মেজর জেনারেল নাগরার পাঠানো ‘প্রিয় আবদুল্লাহ’ সম্বোধন করা একটি লিখিত বার্তা পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজির কাছে পৌঁছায় এবং এরপর নাগরাকে নিরাপদে শহরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় যা কার্যত ঢাকার পতন নিশ্চিত করে। পাকিস্তানি জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিকের বর্ণনামতে নিয়াজি ও নাগরার মধ্যে তখন কিছু কৌতুকপূর্ণ কিন্তু অশালীন কথাবার্তাও হয়েছিল। পরবর্তীতে জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব আত্মসমর্পণের দলিল নিয়ে হাজির হলে নিয়াজি একে ‘যুদ্ধবিরতির খসড়া’ বলতে চাইলও জ্যাকব তা নাকচ করে দেন এবং দলিলে ‘ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ড’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি উঠলে জানানো হয় এটি দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অবশেষে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিয়াজি তার রিভলভার ও ব্যাজ জেনারেল অরোরার হাতে তুলে দেন।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিজয়ের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ বাংলাদেশের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসে যা বিবিসির তৎকালীন ফুটেজেও স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও গবেষক আফসান চৌধুরীর মতে তখনো শহরের কোথাও কোথাও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল এবং মানুষের মনে আনন্দ ও আতঙ্কের এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করছিল। প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা মইনুল হোসেন চৌধুরীর স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় সন্ধ্যার পর ঢাকার রাস্তাঘাট কিছুটা জনশূন্য ছিল কারণ পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করলেও সাধারণ মানুষের মনে তখনো পুরোপুরি ভয় কাটেনি। তবে সব শঙ্কা ছাপিয়ে দিনশেষে রেসকোর্স ময়দান থেকে ভেসে আসা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই প্রমাণ করে যে বাঙালি জাতি তার কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) উন্নত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন ও হাদির চিকিৎসার সমন্বয়ক ডা. আব্দুল আহাদ সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গুলিবিদ্ধ এই যোদ্ধার মস্তিষ্কে ইস্কেমিক পরিবর্তন ও ব্রেন ইডেমা বা ফোলা ভাব এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি জানান যে ব্রেন স্টেমে গুরুতর আঘাতের ফলে ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেমে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে যা বর্তমানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং সেখানে নিউরোসার্জারি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার টিম যৌথভাবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
চিকিৎসকদের সর্বশেষ মূল্যায়ন অনুযায়ী বর্তমানে হাদির কিডনি হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস কৃত্রিম ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছে এবং তার গ্লাসগো কোমা স্কেল বা জিসিএস স্কোরে এখনো কোনো পরিবর্তন আসেনি অর্থাৎ নিউরোলজিক্যাল অবস্থার দৃশ্যমান কোনো উন্নতি বা অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ডা. আহাদ ব্যাখ্যা করেন যে ব্রেন ইনজুরির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ‘টাইম উইন্ডো’ থাকে যার মধ্যে শরীর ইতিবাচক সাড়া দিলে ভবিষ্যৎ সুস্থতার সম্ভাবনা তৈরি হয় তাই চিকিৎসকরা এখন সেই সময়সীমার মধ্যেই হাদির শারীরিক প্রতিক্রিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। এছাড়া ফুসফুসের সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে আগের মতোই রক্তের উপস্থিতি দেখা গেছে এবং এই জটিলতা বিবেচনা করেই সিঙ্গাপুরে তার শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা বা রেসপিরেটরি ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির চোখ খোলা বা অবস্থার উন্নতি হওয়া নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন তথ্যকে ভিত্তিহীন গুজব বলে নাকচ করে দিয়ে ডা. আহাদ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তার অবস্থা এখনো ‘স্ট্যাটিক’ বা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক সময় অপ্রত্যাশিত অলৌকিক পরিবর্তন দেখা যায় এবং সেই আশাতেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিবিড় পরিচর্যা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে হাদির পরিবার ও সহকর্মীরা দেশবাসীর কাছে ভুল তথ্য না ছড়িয়ে কায়মনোবাক্যে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও সবার মাঝে ফিরে আসতে পারেন।
একাই থামিয়ে দিলেন পাকিস্তানি বহর: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক মৃত্যুঞ্জয়ী বীর সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের আজকের এই গৌরবোজ্জ্বল দিনে ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই অকুতোভয় বীর যার আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য ইতিহাস। সেনাবাহিনীর হাবিলদার হাবিবুর রহমান ও মালেকা বেগমের জ্যেষ্ঠ সন্তান মোস্তফা কামালের শৈশব কেটেছিল কুমিল্লা সেনানিবাসে যেখানে বাবার কর্মস্থলের সুবাদে সেনাদের কুচকাওয়াজ ও মার্চপাস্ট দেখে তার মনেও সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দানা বেঁধেছিল। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় খুব বেশি দূর না এগোলেও দেশপ্রেমের টানে মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর নিজের জন্মদিনে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক হিসেবে তার চাকরি চূড়ান্ত হয়।
একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে যখন দেশজুড়ে যুদ্ধের দামামা বাজছিল তখন মোস্তফা কামালের ইউনিটকে কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানান্তর করা হয় এবং ১৮ এপ্রিল দরুইন গ্রামে তিনি যে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছিলেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। সেদিন মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মর্টারের গোলাবর্ষণ ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিবাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন মেজর শাফায়াত জামিলের নির্দেশে এবং নিজের অসামান্য সাহসিকতার কারণে মোস্তফা কামালকে মৌখিকভাবে ল্যান্সনায়েকের দায়িত্ব দিয়ে দশজন সৈনিকের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে যখন টিকতে না পেরে সহযোদ্ধারা পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছিলেন তখন মোস্তফা কামাল সঙ্গীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে নিজের এলএমজি নিয়ে একাই শত্রুর মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নেন।
নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মোস্তফা কামাল ট্রেঞ্চে অবস্থান নিয়ে অবিরাম গুলি চালিয়ে শত্রুবাহিনীর অগ্রগতি রুখে দেন এবং তার নিখুঁত নিশানায় প্রায় ২০-২৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হলে হানাদারদের মনোবল ভেঙে পড়ে। একনাগাড়ে যুদ্ধ করতে করতে একসময় তার এলএমজির গুলি শেষ হয়ে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন যার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনারা ট্রেঞ্চে ঢুকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে এই বীরযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার ক্ষতবিক্ষত দেহটি পরবর্তীতে স্থানীয় গ্রামবাসী দরুইন গ্রামে সমাহিত করেন যেখানে আজ তার স্মৃতিসৌধ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শাহাদাতের সময় তিনি বাবা-মা, স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও মাত্র দেড় মাস বয়সী শিশুসন্তান মোশারেফ বাচ্চুসহ ভাই-বোনদের রেখে গিয়েছিলেন। কালের পরিক্রমায় তার পরিবারের অনেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমানও মারা যান।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান 'বীরশ্রেষ্ঠ' উপাধিতে ভূষিত করে। তার স্মৃতিরক্ষার্থে ভোলা সদরের আলীনগর ইউনিয়নে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে একটি জাদুঘর এবং ভোলা শহরে একটি বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামটির নামকরণও এই মহান বীরের নামে করা হয়েছে যা তরুণ প্রজন্মের কাছে তার বীরত্বগাথা পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখছে।
১ বছরের শিশুও মুক্তিযোদ্ধা: ৫৪ বছরের লজ্জাজনক চিত্র
স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি বরং ভুয়া সনদের দাপটে প্রকৃত ইতিহাস আজ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স ছিল মাত্র এক বা দুই বছর তারাও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম লিখিয়েছেন এবং এমন ভুয়া সনদধারীর সংখ্যা প্রায় আট হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন যে বিগত সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যথেচ্ছভাবে কাটছাঁট করা হয়েছে এবং বিশেষ করে চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুযোগ-সুবিধা থাকায় এই জালিয়াতির মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় প্রায় দশ হাজার মানুষ চাকরি পেয়েছেন যাদের অনেকেরই প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই এবং এদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার আটশ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে যা নিয়ে বর্তমানে প্রায় চার হাজার মামলা চলমান রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে কমান্ডারদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণেই মূলত এই অনিয়মগুলো ডালপালা মেলেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন যে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভুয়াদের দাপট দেখা তার জন্য চরম গ্লানিকর এবং পরিতাপের বিষয় হলো এরা আদালতের মাধ্যমে নামের আগে ‘বীর’ শব্দ যুক্ত করিয়েছে যা বাতিলের জন্য এখন সরকারকে আইনি লড়াই চালাতে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছেন তবে চার হাজার মামলার জটিলতার কারণে এই প্রক্রিয়াটি কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে যদিও সরকার মামলাগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে এবং দু-একটি রায় পেলেই তা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে বাকি ভুয়াদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৮ জন যার মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ১৪৭ জন ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন এবং জীবিত আছেন ৮৬ হাজার ৫২১ জন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৌরাত্ম্য কমাতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বা জামুকা এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যার আওতায় এখন থেকে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইটের পাশাপাশি স্থানীয় জনবহুল এলাকা যেমন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর বাজার বা নোটিশ বোর্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও ঠিকানাসহ তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে যাতে সাধারণ মানুষ তাদের চিনতে পারে এবং কেউ অমুক্তিযোদ্ধা হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারে। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং অনলাইনে অভিযোগ নেওয়ার ব্যবস্থাও চালু করেছে যাতে ৫৪ বছরের জমে থাকা এই আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রকৃত বীরদের সম্মান পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।
সাভারে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দিনের শুরুতেই সকাল সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানান এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই সকাল ৬টা ৫৬ মিনিটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন এবং বিউগলের করুণ সুরের মূর্ছনায় তখন পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় এক আবেগঘন ও গম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এবারের বিজয় দিবস উদ্যাপনে এক ভিন্নমাত্রা ও রোমাঞ্চ যোগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং 'টিম বাংলাদেশ' যারা সর্বোচ্চ সংখ্যক জাতীয় পতাকা নিয়ে প্যারাশুটিং করে একটি নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ৫৪ জন দক্ষ প্যারাট্রুপার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের আকাশে পতাকাবাহী স্কাইডাইভ প্রদর্শন করবেন যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পতাকা প্যারাশুটিং প্রদর্শনী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকেই তেজগাঁও বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর চৌকস দলগুলো পৃথকভাবে মনোমুগ্ধকর ফ্লাই-পাস্ট প্রদর্শন করবে এবং আকাশপথে এই শক্তি প্রদর্শনীর পাশাপাশি সেখানে একটি বিশেষ বিজয় দিবস ব্যান্ড শোয়েরও আয়োজন রাখা হয়েছে যা উপস্থিত দর্শকদের দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত করবে।
সবার ওপরে মুক্তিযুদ্ধ, বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই
স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের ভিত্তি মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মহল থেকে বিতর্ক সৃষ্টি এবং ইতিহাস বিকৃতির যে অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা নিয়ে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ ও বিশিষ্টজনরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে রয়েছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এর অর্জনকে রক্ষা করতে হলে বিতর্ক নয় বরং সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস চর্চা এখন সময়ের দাবি। তারা মনে করেন স্বাধীনতার চেয়ে বড় কোনো অর্জন জাতির জীবনে নেই তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা—উভয়ের অবদানকেই নিঃসংকোচে স্বীকার করে নিতে হবে এবং একইসঙ্গে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও চব্বিশের ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লবকেও যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক হুমায়ুন কবির বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে বলেন যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতিফলন তাই দেশ বা রাষ্ট্র কীভাবে সাজানো হবে তা নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে কিন্তু দেশের ভিত্তিমূল নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। তিনি সতর্ক করে দেন যে মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অর্থ হলো বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা যা এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না কারণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একাত্তর ও চব্বিশের যোগসূত্র টেনে বলেন যে একাত্তরের বিজয় ছিল পরাধীনতার বিরুদ্ধে আর চব্বিশের বিজয় হলো কর্তৃত্ববাদী চোরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিন্তু উভয় আন্দোলনেরই মূল লক্ষ্য ছিল সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন বেপারী বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বলেন যে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে তা মূলত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে বিগত শাসনামলে যে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। তিনি উল্লেখ করেন যে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে বাস্তবে গণতন্ত্রকে ধুঁকতে ধুঁকতে নিঃশেষ করে ফেলেছিলেন এবং সেই লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ও সাম্য ফিরিয়ে আনতেই চব্বিশের বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে বিএনপিও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক দল এবং তাদের বা মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে অবজ্ঞা করে কেউ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না বরং এতে নতুন করে সংঘাতের সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্রহীনতাই জাতিকে আজকের এই বিভাজিত অবস্থানে নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন যে ব্যক্তিবিশেষকে অস্বীকার করতে গিয়ে মূল স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিকৃত করার কোনো সুযোগ নেই এবং এখন প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন করা।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদি
রাজধানীর ঢাকা ৮ আসনের আলোচিত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে গণমাধ্যমকে এই ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এই তরুণ রাজনীতিবিদকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে পাড়ি জমায়। সিঙ্গাপুর থেকে আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বেলা ১১টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করার পরপরই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল।
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদারকিতে গত রোববারই গুলিবিদ্ধ হাদিকে দেশের বাইরে পাঠানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয় যে গত দুদিন ধরে সরকার সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার একাধিক হাসপাতালের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোর্ডের পরামর্শ এবং হাদির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর অবশেষে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান যে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে হাদির জন্য সর্বাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডা. সায়েদুর রহমান হাদির শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক ছাড়া তার শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি হার্ট এবং রেসপিরেশন সিস্টেম বা শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া এখনো চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বিভিন্ন উচ্চমাত্রার ওষুধ এবং কৃত্রিম অক্সিজেনের সহায়তায় এই অঙ্গগুলোকে মোটামুটিভাবে সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে যা কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীর অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন যে মহান আল্লাহ যদি সহায় হন তবে হয়তো হাদি একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সুস্থতা নিয়ে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারবেন।
সিঙ্গাপুরের পথে হাদি, চিকিৎসকদের আশার বাণী
রাজধানীর পল্টনে গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ হলেও তার শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো এখনো চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। সোমবার দুপুরে হাদিকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুরের পথে পাড়ি জমানোর পরপরই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। তিনি জানান যে হাদির মস্তিষ্কে গুলির আঘাতটিই বর্তমানে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ তবে তার কিডনি হার্ট এবং শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া বা রেসপিরেশন সিস্টেম এখনো ওষুধের মাধ্যমে এবং কৃত্রিম অক্সিজেনের সহায়তায় মোটামুটিভাবে সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে এবং এর আগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীর সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ডা. সায়েদুর রহমান দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন যে মহান আল্লাহ যদি রহমত করেন তবে হয়তো হাদি একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সুস্থতা নিয়ে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারবেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের যৌথ পরামর্শেই তাকে বিদেশে স্থানান্তরের এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত দুই দিন ধরে হাদির উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর ছিল এবং সিঙ্গাপুর ছাড়াও থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি উন্নত হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। অবশেষে এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড এবং হাদির পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় কারণ তার শারীরিক অবস্থার কোনো দৃশ্যমান উন্নতি বা অবনতি পরিলক্ষিত হচ্ছিল না। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন এই তরুণ রাজনীতিক যাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পাঠকের মতামত:
- বিজয় দিবসেই লন্ডনের মঞ্চে শেষবারের মতো তারেক রহমান
- ৫৪ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস হয়নি: রাবি উপাচার্য
- বিজয় দিবস নিয়ে মোদির মন্তব্যে ফুঁসে উঠল ঢাবি শিক্ষার্থী
- তারেককে নিয়ে রিল বানালেই পুরস্কার! বিএনপির অভিনব ঘোষণা
- পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আর ফিরে আসবে না: ড. ইউনূস
- ১৬ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে আসলে কী হচ্ছিল?
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়
- একই দিনে শুরু আইপিএল ও পিএসএল সূচি নিয়ে চমক
- মাত্র ৩ সপ্তাহেই বিদায় জানান সিগারেটকে: জানুন জাদুকরী ৩-৩-৩-৩ নিয়ম
- বিজয় দিবসের এয়ার শো দেখতে তেজগাঁওয়ে মানুষের ঢল
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যার মিশন নিয়েছে আওয়ামী লীগ: রাশেদ
- নতুন রাজনীতি হবে চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিপক্ষে: জামায়াত
- ১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি
- স্বর্ণের বাজারে আবার অস্থিরতা: এক লাফে বাড়ল স্বর্ণের দাম
- মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস
- রাজধানীসহ সারা দেশে আজকের আবহাওয়ার খবর
- সকাল থেকে বিকেল: ঢাকার রাজপথে আজকের কর্মসূচি
- একাই থামিয়ে দিলেন পাকিস্তানি বহর: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জন্মদিন আজ
- জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- জিয়া বিদ্রোহ না করলে দেশ স্বাধীন হতো না: হাফিজ
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- ১ বছরের শিশুও মুক্তিযোদ্ধা: ৫৪ বছরের লজ্জাজনক চিত্র
- আইপিএলের নিলামসহ টিভিতে আজকের খেলার সময়সূচি
- সাভারে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের সূচনা করলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা
- সবার ওপরে মুক্তিযুদ্ধ, বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই
- প্রতিশোধ নয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই: তারেক রহমান
- আমরা নিরাপদ না থাকলে শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না: মাহফুজ
- ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেই বিপদ: জানুন কেন
- শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জাদুকরী ৫টি টিপস
- আমি হালুয়া-রুটি খাওয়া সাংবাদিক নই: রিমান্ড শুনানিতে আনিসের হুঙ্কার
- সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদি
- চোখের যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন কিডনি নষ্ট হচ্ছে
- হাদির ওপর হামলায় ক্ষুব্ধ জামায়াত আমির দিলেন সিইসিকে হুঁশিয়ারি
- শকুনেরা আবারও স্বাধীনতা খামচে ধরছে: সারজিস
- জিয়ার রহমানের ডাকেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত: তারেক রহমান
- ঘুমেও নিরাপত্তা নেই: লুট হওয়া অস্ত্রে কাঁপছে খুলনা
- সিঙ্গাপুরের পথে হাদি, চিকিৎসকদের আশার বাণী
- পোস্টাল ভোটে বিপ্লব: ফেব্রুয়ারির ভোটে প্রবাসীদের ব্যাপক সাড়া
- হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ফয়সালসহ যাদের নাম এল মামলায়
- উপদেষ্টার সামনেই পদত্যাগের হুমকি দিলেন সাদিক
- ১৬ ডিসেম্বর বের হওয়ার আগে যে সতর্কতা জানা জরুরি
- ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য সতর্কতা
- একসঙ্গে আট ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন সাময়িক বন্ধ
- কলকাতার কলঙ্ক মুছতে দিল্লিতে মেসির রাজকীয় নিরাপত্তা
- হাদির ঘটনা বিচ্ছিন্ন, নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: সিইসি
- জুলাই পরবর্তী ষড়যন্ত্রে আনিস ও শাওনের নাম
- সৌরজগতের সীমানা পেরিয়ে ঐতিহাসিক মাইলফলকের পথে নাসা
- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, সময় শেষ আজ বিকেলে
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- বুধবার ঢাকায় কোন মার্কেট বন্ধ আজই জেনে নিন








