তীব্র আর্থিক সংকটে অন্তর্বর্তী সরকার

তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। রাজস্ব আদায় প্রত্যাশিত হারে হ্রাস, বিগত সরকারের নেওয়া বিপুল অঙ্কের ঋণ পরিশোধের বোঝা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়া—এই তিনটি কারণে মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট মোকাবিলা করে সরকারের পরিকল্পিত চলতি ব্যয় মেটাতেও ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর্থিক এই দুরবস্থার কারণে সরকার ইতোমধ্যে কৃচ্ছ্র সাধনের নীতি গ্রহণ করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তৈরি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ঋণ প্রবাহের চিত্র
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এর বিপরীতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়েনি, বরং কমেছে দশমিক ০৩ শতাংশ। আমদানি বাড়লেও রপ্তানি খাত, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই মন্দা আরও প্রকট হয়।
দেশের মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের মাত্র ২৮ শতাংশ সরকারি খাতে গেলেও, কেবল সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ার কারণে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ সামান্য (দশমিক ৩৬ শতাংশ) বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, এই সরকারি ঋণ বৃদ্ধি উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে কোনো ভূমিকা রাখছে না, কারণ এই অর্থ মূলত পরিকল্পিত চলতি ব্যয় নির্বাহেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে সরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধির জন্য তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে
১. রাজস্ব আদায় ঘাটতি: সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। জুলাই-আগস্টে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বা ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার ঘাটতি হয়েছে।
২. বিগত সরকারের ঋণের বোঝা: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দেশি-বিদেশি উৎস থেকে যে ব্যাপক ঋণ নিয়েছিল, ডলার ও টাকার সংকটে তা পরিশোধ করতে পারেনি। ফলে সুদ ও দণ্ড সুদ বেড়ে ঋণ পরিশোধের স্থিতিও বেড়েছে। দেশের সুনাম ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে বর্তমান সরকার এখন সেই ঋণ পরিশোধ করছে।
৩. উচ্চ মূল্যস্ফীতি: মূল্যস্ফীতির হার এখনো ৮ শতাংশের ওপরে রয়েছে। দীর্ঘদিন উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকার কারণে পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েছে, যার ফলে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াতে গিয়ে সরকারের খরচ বেড়েছে।
নন-ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরতা
সরকার বর্তমানে ঋণ পরিশোধের জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কম সুদের ঋণের ওপর নির্ভর করছে। মাঝে মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিলেও তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে দিচ্ছে। মজার বিষয় হলো, সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে বরং আগের নেওয়া ঋণ পরিশোধ করছে (জুলাই-আগস্টে ২ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা পরিশোধ)।
তবে এর বিপরীতে সরকার উচ্চ সুদে (১১ থেকে পৌনে ১২ শতাংশ) নন-ব্যাংকিং খাত, যেমন সঞ্চয়পত্র ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণ পরিশোধেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এদিকে বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে গিয়ে চড়া দামে ডলার কিনতে হচ্ছে এবং কিস্তি স্থগিত করার কারণে সুদও বেশি দিতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে সরকারি খাতের ঋণ কমাতে এবং বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের এই অব্যাহত নিম্নমুখিতাকে উদ্বেগজনক হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানত সামান্য বাড়লেও (১.৪৪ শতাংশ) তা তারল্যের জোগান বাড়াতে যথেষ্ট নয়। তবে মেয়াদি আমানত বাড়ায় ব্যাংক খাত দীর্ঘ মেয়াদে আমানত সংকট ঘোচানোর দিকে এগোচ্ছে।
সূত্র : যুগান্তর।
রেকর্ড বৃদ্ধি পরদিনই দরপতন শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে নতুন স্বর্ণের মূল্য
দেশে সোনার বাজারে একদিন পরই বড় ধরনের সমন্বয় এনেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন দর আগামীকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকেই সারা দেশে কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে 'তেজাবি স্বর্ণের' (পিওর গোল্ড) মূল্য হ্রাস পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নিম্নরূপ
২২ ক্যারেট: ২ লাখ ৯৬ টাকা
২১ ক্যারেট: ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা
১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা
সনাতন পদ্ধতি: ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা
বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির হার ভিন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছে বাজুস।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ২৯ অক্টোবর বাজুস দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। সেই সময় ভরিতে ৮ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ২ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ৩০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এই নিয়ে চলতি বছরে দেশের বাজারে মোট ৭২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৯ বার এবং কমানো হয়েছে মাত্র ২৩ বার। গত বছর (২০২৪) মোট ৬২ বার সমন্বয়ের মধ্যে ৩৫ বার দাম বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমেছিল।
স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৪ হাজার ২৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬০১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছর রুপার দাম ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ বার বেড়েছে ও ৩ বার কমেছে।
বাংলাদেশি টাকার আজকের বিনিময় হার প্রকাশিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ ৩০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার সাথে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলার (USD), ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP) এবং ইউরো (EUR)-এর দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং বৈদেশিক লেনদেনে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিনিময় হার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত হওয়ায় পরিবর্তনশীল। তাই নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বশেষ এবং সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে।
আজকের কয়েকটি প্রধান মুদ্রার বিনিময় হার (বাংলাদেশি টাকায়) নিম্নরূপ:
মার্কিন ডলার (USD): ১২২.২৬ টাকা
ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): ১৬২.২৭ টাকা
ইউরো (EUR): ১৪২.৪৫ টাকা
সৌদি রিয়াল (SAR): ৩২.৪৩ টাকা
মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR): ২৯.১০ টাকা
সিঙ্গাপুর ডলার (SGD): ৯৪.২০ টাকা
দুবাই দেরহাম (AED): ৩৩.১২ টাকা
কুয়েতি দিনার (KWD): ৩৯৮.৯১ টাকা
ওমানি রিয়াল (OMR): ৩১৭.৪৮ টাকা
বাহারাইন দিনার (BHD): ৩২৫.৪৭ টাকা
জাপানি ইয়েন (JPY): ০.৭৯ টাকা
দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ন (KRW): ০.০৮ টাকা
চাইনিজ রেন্মিন্বি (CNY): ১৭.২১ টাকা
কানাডিয়ান ডলার (CAD): ৮৭.৭১ টাকা
আস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD): ৮০.১৬ টাকা
মালদ্বীপিয়ান রুপি (MVR): ৭.৯৫ টাকা
ইরাকি দিনার (IQD): ০.০৯ টাকা
সাউথ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR): ৭.১০ টাকা
তুরস্ক লিরা (TRY): ২.৮১ টাকা
ভারতীয় রুপি (INR): ১.৩৮ টাকা
ব্রুনাই ডলার (BND): ৯৪.৫৩ টাকা
কাতারি রিয়াল (QAR): ৩৩.৬১ টাকা
লিবিয়ান দিনার (LYD): ২২.৫২ টাকা
এই তথ্য দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈদেশিক মুদ্রার দর ও বিনিময় হারের যে ওঠানামা তা বাণিজ্যিক চুক্তি, আমদানি-রপ্তানি এবং ব্যক্তিগত লেনদেনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, তাই নিয়মিত নজরদারি এবং সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে লেনদেন করা অত্যাবশ্যক।
বাজুস জানালো নতুন দাম: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দেশের স্বর্ণ বাজারে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। টানা চার দফা কমানোর পর এবার ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে। নতুন মূল্যে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮,৯০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২ লাখ ২ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম পুনরায় দুই লাখ টাকার সীমা অতিক্রম করল।
বাজুস বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন দাম আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
অন্য ক্যারেটের স্বর্ণের দামও পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাজুসের ঘোষণায় ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা, আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৫ টাকা।
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরির হার কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
রূপার দামের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। নতুন মূল্যে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪,২৪৬ টাকায়, ২১ ক্যারেট রুপার দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪,০৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট রুপার দাম ৩,৪৭৬ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা বিক্রি হচ্ছে ২,৬০১ টাকায়।
এর আগে, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম টানা চার দফা হ্রাস পেয়েছিল, যার ফলে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের এক ভরির দাম মোট ২৩,৫৭৩ টাকা কমানো হয়েছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বাজুস ২২ ক্যারেট স্বর্ণের এক ভরি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল।
-রাফসান
টানা দরপতন: আবার কমল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম টানা কমেই চলেছে। এবার বড় আকারে আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটি এবার ভরিতে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাজুস। নতুন এই দাম বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর হবে।
দাম কমার কারণ ও নতুন মূল্য তালিকা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমে যাওয়ার ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা।
২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ টাকা।
১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ টাকা।
সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২৮ টাকা।
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে।
রেকর্ডের চিত্র
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭০ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৮ বার, আর কমেছে মাত্র ২২ বার। এর আগে সবশেষ গত ২৭ অক্টোবর ভরিতে ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।
করাচি বন্দর ব্যবহারে সম্মতি পাকিস্তানের: দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন মোড়ে
দীর্ঘ ২০ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই আলোচনা হয়। বৈঠকে পাকিস্তানি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে ঢাকা। অন্যদিকে, বাংলাদেশ করাচি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সহযোগিতা ও প্রস্তাবনা
প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন।
সমঝোতার ক্ষেত্র: বৈঠকে কৃষি গবেষণা, হালাল ফুড, তথ্যপ্রযুক্তি ও নৌ-পরিবহনসহ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রস্তাব: পাকিস্তান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ নতুন বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাব করেছে। দেশটি বাংলাদেশে তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে আগ্রহী। এছাড়া, পাকিস্তান সিকিউরিটি প্রিন্টিং ও ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তা সামগ্রী মুদ্রণে ব্যবহৃত নিরাপত্তা কালির আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিতে চায়।
উচ্চ পর্যায়ের উপস্থিতি: বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী আহাদ খান চীমা প্রতিনিধিত্ব করেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ১৬ জন কর্মকর্তা।
২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। আজকের সভায় দুই দেশের আগ্রহের ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় এডিবি
বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী বছরগুলোতে দেশজুড়ে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে, যাতে বেশি সংখ্যক পৌরসভা ও নাগরিক এডিবির সহায়তা থেকে উপকৃত হতে পারেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জং বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একদম স্পষ্ট—আমরা বিনিয়োগ বাড়াতে চাই এবং সফল প্রকল্পগুলোর মডেল সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে আরও বেশি শহর, পৌরসভা ও মানুষ সরাসরি উপকৃত হয়।”
তিনি এসব কথা বলেন বরিশালের পটুয়াখালী ও খুলনার চালনা পৌরসভায় এডিবি অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের-এর সঙ্গে আলাপকালে।
হো ইউন জং বলেন, ভবিষ্যৎ অর্থায়ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই এডিবির পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারিত হবে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন খাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, “পটুয়াখালী ও চালনা পৌরসভায় আমাদের বিনিয়োগের বাস্তব ফলাফল নিজ চোখে দেখে আমি আনন্দিত। এসব প্রকল্প স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন গতি এনেছে এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নত করেছে। আমরা সরকার, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।”
উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল নগরায়ন
কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা সমস্যা মোকাবিলায় এডিবির চলমান ‘কোস্টাল টাউন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই প্রকল্প শুধু লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানো ও জনগণের জীবিকা উন্নয়নের দিকেও মনোযোগী।
তিনি বলেন, “আমরা নগর খাতে একটি সমন্বিত (integrated) দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করছি, যাতে পরিবেশ, অর্থনীতি ও সমাজ—এই তিনটি ক্ষেত্রেই ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন হয়। উপকূলীয় পৌরসভাগুলোকে আমরা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো জলবায়ু ঝুঁকির মুখে থাকা শহর ও পৌরসভাগুলোর জন্য টেকসই অবকাঠামো ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা। আমরা নগর উন্নয়ন ও শিল্পায়নের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করতে চাই, যাতে এগুলো পরস্পরকে সহায়তা করে টেকসই প্রবৃদ্ধি আনে।”
নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, তাদের নতুন ‘সিটি রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর দ্বিতীয় ধাপ চলছে। বর্তমানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সঙ্গে মিলে প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের সম্ভাব্য ভৌগোলিক এলাকা ও উপ-প্রকল্প নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা চলছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এডিবি আগামী ২০২৬ সালে অন্তত ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি ‘স্ট্যান্ডবাই ফান্ড’ রাখা হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে বা বিশেষ অগ্রাধিকারে দ্রুত অর্থায়ন করা যায়।
বাংলাদেশে এডিবির বর্তমান ভূমিকা
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, এডিবি বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। সংস্থাটির চলমান পোর্টফোলিও প্রায় ১১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৫১টি সক্রিয় প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে।
গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে এডিবি ২.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে এবং আরও ২.০ বিলিয়ন ডলার নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ২০২১–২০২৫ মেয়াদি বর্তমান কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (CPS) শেষ হচ্ছে ২০২৫ সালে, যার পর নতুন কৌশলগত ফ্রেমওয়ার্কে পরিবেশবান্ধব নগরায়ন ও টেকসই শিল্পায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশে এডিবির মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩.৯৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ৫৭১.২ মিলিয়ন ডলার অনুদান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, স্থানীয় সরকার, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, পানি সম্পদ ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী খাতে সংস্থাটির অবদান দেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
-নাজমুল হাসান
রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ল, নতুন তথ্য দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩২ হাজার ১০৭ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার বা ৩২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
আইএমএফের হিসাবেও বাড়ল রিজার্ভ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩২,১০৭.৯১ মিলিয়ন ডলার।
বিপিএম-৬ অনুযায়ী: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন ২৭,৩৫০ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১,৯৩৬.৯৪ মিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৭,১২১.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবমিলিয়ে ১ বিলিয়ন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) এক ব্রিফিংয়ে ইএবি এই তথ্য জানায়।
আর্থিক ক্ষতি ও ভাবমূর্তি
ইএবি জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব মিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্রিফিংয়ে সংগঠনটি আরও বলে:
“এ ঘটনায় দেশের শুধু আর্থিক ক্ষতি হয়নি, দেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা উদ্বেগের।”
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর ওই আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
তৈরি পোশাক শিল্পে বড় আঘাত: কার্গো ভিলেজের ক্ষতি নিয়ে যা বলল বিজিএমইএ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
বিজিএমইএর নেতারা বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতির কারণ: ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ফলে উচ্চ মূল্যের পণ্য, জরুরি শিপমেন্টের জন্য রাখা তৈরি পোশাক, মূল্যবান কাঁচামাল এবং নতুন ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এটি শুধু বর্তমান রপ্তানির ক্ষতি নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগও ব্যাহত করবে।
পরিমাণের আশঙ্কা: বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। পুরো ইমপোর্ট সেকশন পুড়ে গেছে। আমাদের অনুমান, ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) টাকার বেশি হতে পারে।”
ক্ষতিপূরণ ও পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ
বিজিএমইএ ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে। সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে এবং দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে।
সহায়তা: ফয়সাল সামাদ জানান, ঘটনাস্থলে বাণিজ্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নতুন পণ্যের আমদানি কার্যক্রমে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
পণ্য খালাসে দ্রুততা: আপাতত টার্মিনাল-৩–এ নতুন স্থানে আমদানি পণ্য রাখার ব্যবস্থা করা হবে। উপদেষ্টা ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত পণ্য খালাস করার নির্দেশনা দিয়েছেন। কাস্টমসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং কমিটি করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত মালামাল খালাস করা যায় এবং শুক্র-শনিবারও কাজ চলবে।
প্রতিদিন ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয় বলে জানিয়েছেন ইনামুল হক খান।
নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পাঠকের মতামত:
- তীব্র আর্থিক সংকটে অন্তর্বর্তী সরকার
- ফিলিস্তিনি বন্দির ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস,শীর্ষ ইসরাইলি জেনারেলের পদত্যাগ
- বিশ্ব পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে ভারতের বড় ধস
- ওষুধ নয় প্রাকৃতিক উপায়ে অ্যালার্জি কমাবে রান্নাঘরের ৭ সুপারফুড
- নির্বাচনের আগে গণভোট চায় না যারা তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়: জামায়াত নেতা
- ভারত কি পরামর্শ দেবে আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে যা জানা গেল দিল্লিতে
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- নিম্ন-আয়ের মানুষের দুর্ভোগ গরিবের বরাদ্দ চাল নিয়ে 'চালবাজি' থামছে না
- বাংলাদেশ নেপাল শ্রীলঙ্কায় সরকার পরিবর্তন কেন হলো বিশ্লেষণ করলেন ভারতের এনএসএ
- বাংলাদেশকে নিয়ে অজিত দোভালের করা মন্তব্যে তোলপাড়
- ট্রাম্পের দেওয়া রুপার নেকলেস নিজের কাছে রাখতে মূল্য পরিশোধ করলেন কিয়ার স্টারমার
- অস্কার আলোচনায় সিডনি সুইনি: পর্দায় প্রতিভা, রেড কার্পেটে রূপের জাদু
- আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত জেনে নিন এখনই বন্ধ হতে পারে অতিরিক্ত সিম
- দীর্ঘমেয়াদি কাশি হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সার জেনে নিন সতর্কতার সংকেত
- ওষুধ ছাড়াই সুস্থ জীবন আদা ব্যবহারের ৪০টি জাদু টিপস যা আপনার জীবন বদলে দেবে
- ভিডিও ডাউনলোডের ঝামেলা শেষ কম ডেটায় দ্রুত কাজ করবে এই অ্যাপগুলো
- ১৯৯২ সালের পর নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের নির্দেশনায় বাড়ল বৈশ্বিক পারমাণবিক ঝুঁকি
- মুরের জাদুতে শীর্ষ দলকে হারাল ওরেক্সহাম
- আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার পথ দেখালেন ড. ইউনূস
- পাকিস্তান আমলের সঙ্গে তুলনায় দুর্নীতি এখন সমাজের অনুষঙ্গ: জামায়াত আমির
- সুদানের আকাশে রক্তের চিহ্ন স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক দৃশ্য
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অচলাবস্থা নিরসনে সরকারের বড় উদ্যোগ আলোচনায় দুই প্রধান দল
- একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট? জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কঠিন দ্বিধায় অন্তর্বর্তী সরকার
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ
- অনন্য মামুনের পোস্টে ঢালিউডে তামান্না ভাটিয়ার সম্ভাব্য আগমন
- নিজ দেশে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ
- ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় আসছেন, ভারতের দাবি হস্তান্তরের
- রক্তদান শুধু মানবসেবা নয়, এটি এক মহৎ ইবাদত
- জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ফের উত্তেজনায় ট্রাম্প ও ইরান
- জান্নাত-জাহান্নামের রহস্য উন্মোচন কুরআনের আলোকে
- তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন শান্তির বার্তা
- দেশের ২১ জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
- স্বাক্ষরের পরে বিপক্ষে অবস্থান জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপিকে কঠোর বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর
- দীর্ঘ বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
- সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর নতুন নিয়ম
- সামরিক শাসন থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা বাংলাদেশে গণভোটের অতীত জানা-অজানা
- শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচুন রাতে ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)
- ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
- ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সামরিক প্রস্তুতি লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের কঠোর নির্দেশ
- শাপলা কলি দিয়ে ইসি বুঝিয়েছে আমরা শিশুদের দল: সামান্তা
- রেকর্ড বৃদ্ধি পরদিনই দরপতন শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে নতুন স্বর্ণের মূল্য
- অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুমোদন পেল নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ
- আমরা কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না: আসিফ নজরুল
- ৩০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এনসিপি সমন্বয়কের হুঁশিয়ারি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হলে দায়ভার প্রধান উপদেষ্টার
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- রাসুল (সা.) কেন অন্যের পাপকাজ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন?
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- গ্যাস খাতে তিতাসের নতুন দিগন্ত








