মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় আজাদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল থেকে খুলে পড়া বিয়ারিং প্যাডের আঘাতে নিহত পথচারী আবুল কালাম আজাদের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশ ও রিট
হাইকোর্টের বেঞ্চ: বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটের কারণ: আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারে ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান যাচাইয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, এগুলোর ত্রুটির কারণে যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি: আদালত রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল জারি করেন এবং বিশেষজ্ঞ কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট
গত রোববার (২৬ অক্টোবর) ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে হাঁটার সময় ওপর থেকে খুলে পড়া বিয়ারিং প্যাডের আঘাতে পথচারী আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হন এবং মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট? জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কঠিন দ্বিধায় অন্তর্বর্তী সরকার
রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতবিরোধের কারণে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এখন এই বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে “দুরূহ চ্যালেঞ্জ” হিসেবে দেখছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সরকার গণভোট ও সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আলোচনায় এমন প্রস্তাবও উঠে এসেছে যে, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের বিষয়টি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে, যদিও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের প্রসঙ্গটি বিশেষ গুরুত্ব পায়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টাদের মতামত চান। উপদেষ্টাদের বেশিরভাগই জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে করার পক্ষে মত দেন, তবে প্রধান উপদেষ্টা কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করে শুধু মতামত গ্রহণ করেন।
গত মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব জমা দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, সনদের সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারগুলো বিশেষ সরকারি আদেশ (Executive Order) আকারে ঘোষণা করে তার ভিত্তিতে গণভোট আয়োজন করা উচিত। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে নবনির্বাচিত সংসদকে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হবে, যারা ২৭০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সংস্কার সম্পন্ন করবে। তবে গণভোটের তারিখ নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সুপারিশ জমা দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান স্পষ্টভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপি বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের এখতিয়ার নেই। দলটির মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নভেম্বরের মধ্যে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। এনসিপি জানিয়েছে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর দেবে কি না, তা নির্ভর করবে অন্তর্বর্তী সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। ফলে সংস্কার বাস্তবায়নের প্রশ্নে রাজনৈতিক অনৈক্য নতুন মাত্রা পেয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “২৭০ দিন ধরে আলোচনার পরও আমরা এখনো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য দেখতে পাচ্ছি না, বরং অনৈক্য আরও গভীর হয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ।” তাঁর ভাষায়, এখন বিরোধ দুইভাবে দেখা দিচ্ছে—প্রথমত, সংস্কার প্রস্তাব কীভাবে পাস করা হবে এবং দ্বিতীয়ত, গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “এখন যারা জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল, তারাও একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তেজিত অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থায় সরকার কীভাবে অগ্রসর হবে, তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে।”
সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার এখন প্রস্তাবগুলো বিশ্লেষণ করছে এবং দ্রুতই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও জানান, গণভোট একসঙ্গে হবে কি না, এ নিয়ে মতভেদ চরমে উঠেছে। তবে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত এবং সেই সিদ্ধান্ত দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের কারণে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে সরকার চূড়ান্তভাবে আলোচনায় ফিরবে কি না, না কি নির্বাহী আদেশ জারি করে সরাসরি বাস্তবায়নের পথে যাবে—সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো অনিশ্চিত। তবে উপদেষ্টারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, খুব শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই কমিশন দেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে গেলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হয়েছে। কমিশনের প্রধান কাজ ছিল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সুপারিশমালা তৈরি করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যার উদ্দেশ্য ছিল—আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে একটি সমন্বিত জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা। এই কমিশনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নতুন রাজনৈতিক কাঠামো ও নির্বাচনী সংস্কারের দিকনির্দেশনা পেতে সক্ষম হয়।
কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ, যিনি সংবিধান সংস্কার কমিশনেরও প্রধান ছিলেন। কমিশনকে প্রথমে ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা ১৫ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কার্যক্রমের জটিলতা ও রাজনৈতিক সংলাপের দীর্ঘসূত্রতার কারণে দুই দফায় এক মাস করে এবং শেষ দফায় আরও ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে আজ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এই মেয়াদকালে কমিশন জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়ে একটি ঐতিহাসিক জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। কমিশনের অন্যতম সাফল্য হলো- জুলাই জাতীয় সনদে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো এই সনদে স্বাক্ষর করেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির অবস্থান স্পষ্ট না হওয়ায় জাতীয় ঐকমত্যের পূর্ণতা অর্জিত হয়নি, যদিও সামগ্রিকভাবে কমিশন তার দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
-শরিফুল
সামরিক শাসন থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা বাংলাদেশে গণভোটের অতীত জানা-অজানা
বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো গণভোট আয়োজনের আলোচনা শুরু হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, এর বিষয়বস্তু হলো জুলাই জাতীয় সনদ অনুযায়ী সংবিধান ও আইনি সংস্কারের অনুমোদন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার আইনি ভিত্তি, ব্যালটের প্রশ্ন এবং এর আগে অনুষ্ঠিত গণভোটের অতীত অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজনৈতিক ও জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
সাধারণ নির্বাচনের ভোটদানে যেখানে ভোটারের সামনে থাকে প্রার্থী ও দলীয় পরিচিতি, সেখানে গণভোটের ক্ষেত্রে ভোটারকে কেবল ব্যালটে থাকা প্রশ্নের পক্ষে বা বিপক্ষে 'হ্যাঁ' অথবা 'না' মত দিতে হয়। এই প্রশ্নটি তৈরি করা হয় কতগুলো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের ভিত্তিতে, যার বিস্তারিত সম্পর্কে ভোটারকে অবহিত থাকতে হয়।
গত মঙ্গলবার ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির সুপারিশসংক্রান্ত দুটি খসড়া প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। কমিশন প্রস্তাব করেছে, গণভোটের ব্যালটে প্রশ্নটি হবে নিম্নরূপ:
'আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তপশিল-১-এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?'
এই প্রশ্নে উল্লিখিত তপশিল-১-এ মোট ৪৮টি প্রস্তাব সন্নিবেশিত আছে। এই প্রস্তাবগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে দলগুলোর কোনো 'নোট অব ডিসেন্ট' বা ভিন্নমত নেই। এই ৪৮টি প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া, জরুরি অবস্থা ঘোষণা, মৌলিক অধিকারের তালিকা সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন পদ্ধতি ও ক্ষমতা, সংসদের উচ্চকক্ষের গঠন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর করার বিধান রয়েছে। যদি গণভোটে এই খসড়া বিলের প্রস্তাবসমূহের প্রতি 'হ্যাঁ' ভোট বেশি পড়ে, তবে পরবর্তী সংসদ এই বিধান সংবিধানে যুক্ত করবে।
২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে গণভোটের বিধান বাতিল হলেও চলতি বছর হাইকোর্ট এক রায়ে তা পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। তবে বিধানটি সংবিধানে যুক্ত করতে প্রয়োজন সংসদীয় প্রক্রিয়া। যেহেতু বর্তমানে সংসদ নেই, তাই অন্তর্বর্তী সরকার যাতে গণভোট আয়োজন করতে পারে, সেজন্য একটি বিশেষ আদেশ জারির সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫ এর খসড়া-১ এ বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই আদেশ জারি করবে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে পরবর্তী সংসদটি 'সংবিধান সংস্কার পরিষদ' হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে সংবিধান সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করবে। কমিশন গণভোটের সময় নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে, তবে সুপারিশে উল্লেখ করেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা এর আগে গণভোট করা যাবে।
জুলাই জাতীয় সনদে মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব থাকলেও, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো কমিশনের সুপারিশে বাদ পড়ায় বিএনপি প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাদ দেওয়াকে 'প্রতারণা' বলে উল্লেখ করে বলেন, ভিন্নমতও লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি কমিশন ভঙ্গ করেছে। অন্যদিকে, কমিশনের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট তিনবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথম গণভোট (১৯৭৭): এটি ছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং তার ১৯-দফা কর্মসূচি ও নীতির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন সংক্রান্ত। 'হ্যাঁ'-এর পক্ষে ভোট পড়েছিল ৯৮.৯৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় গণভোট (১৯৮৫): সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনুসৃত নীতি এবং তার প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত থাকা নিয়ে এই ভোট হয়। 'হ্যাঁ'-এর পক্ষে ভোট পড়ে ৯৪.১৪ শতাংশ।
তৃতীয় গণভোট (১৯৯১): রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় রূপান্তর নিয়ে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়। 'হ্যাঁ'-এর পক্ষে ভোট পড়েছিল ৮৪.৩৮ শতাংশ।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের গণভোটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মানুষের পরিষ্কার ধারণা থাকলেও প্রদত্ত ভোটের হার ছিল সবচেয়ে কম (৩৫.১৯ শতাংশ)। পক্ষান্তরে, সামরিক শাসকদের সময়ে অনুষ্ঠিত ভোটগুলোতে প্রদত্ত ভোটের হার ছিল অনেক বেশি (৭২ থেকে ৮৮ শতাংশের মধ্যে), যা জনমতের সঠিক প্রতিফলন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুমোদন পেল নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে নতুন একটি অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন এই আইনি কাঠামোর মাধ্যমে কমিশনকে সত্যিকারের ক্ষমতা ও এখতিয়ারসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, "আমাদের আগে একটি মানবাধিকার কমিশন ছিল, কিন্তু সেটি কার্যত একটি দন্তহীন প্রতিষ্ঠান ছিল। নিয়োগ পদ্ধতিতে ত্রুটি, এখতিয়ারে ঘাটতি এবং নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।"
তিনি জানান, নতুন অধ্যাদেশে কমিশনের কাঠামো, এখতিয়ার এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে কমিশন একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়ে গঠিত হবে।
নতুন অধ্যাদেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করতে আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন আহ্বান করা হবে এবং প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বাছাই কমিটি সুপারিশ করবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, "আমরা নিয়োগ পদ্ধতিটা এমনভাবে করেছি যাতে অভিজ্ঞ, যোগ্য ও মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় মানুষরা কমিশনে জায়গা পান।"
নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে কমিশনের এখতিয়ার বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এখন থেকে শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোতেও কমিশন তদন্ত করতে পারবে।
আসিফ নজরুল বলেন, "আগের কমিশনের এখতিয়ারে গুরুতর সীমাবদ্ধতা ছিল, বিশেষ করে শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে। এবার সেই সীমাবদ্ধতা দূর করা হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, দেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি এবং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত মানবাধিকারগুলোকেও কমিশনের এখতিয়ারে আনা হয়েছে। এর ফলে কমিশন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করতে পারবে।
নতুন অধ্যাদেশে কমিশনের আদেশ প্রতিপালনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, "এখন থেকে কমিশনের সুপারিশ বা নির্দেশ উপেক্ষা করা যাবে না। এর বাধ্যবাধকতা আইনি কাঠামোয় যুক্ত করা হয়েছে।"
এছাড়াও, গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা আইনসহ মানবাধিকার সংরক্ষণমূলক যেকোনো আইনের বাস্তবায়নের দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এর ফলে আলাদা করে 'গুম কমিশন' গঠনের আর প্রয়োজন হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আমরা কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না: আসিফ নজরুল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী ও উত্তেজিত ভূমিকার কারণে সরকার গভীরভাবে চিন্তিত বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, প্রায় ২৭০ দিন ধরে আলাপ-আলোচনার পরও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না আসাটা হতাশাব্যঞ্জক এবং এটি সরকারের সামনে একটি দুরূহ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, "আপনারা যদি এ রকম ভূমিকা নেন, সরকার কী করবে, আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। এত দিন আলোচনার পর যদি ঐকমত্য না আসে, তো আমরা আসলে কীভাবে কী করব, সত্যি আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে।"
ড. আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, জুলাই সনদের বিষয়বস্তু নিয়ে আগেও বিরোধ ছিল। বর্তমানে আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে, যা সমস্যাকে তীব্র করেছে
১. পদ্ধতিগত বিরোধ: জুলাই সনদকে কী পদ্ধতিতে পাশ করা হবে, তা নিয়ে মতভেদ।
২. গণভোটের সময়: গণভোট কবে হবে, তা নিয়ে তীব্র মতবিরোধ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা দলগুলোই এখন পরস্পরবিরোধী ও উত্তেজিত ভূমিকা নিয়েছে। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাশ হবে, তা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন।
তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এই অচলাবস্থা নিরসনে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে
১.প্রথমে 'জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ' জারি করা হবে, এরপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, এবং গণভোটের রায় ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। তবে, এমন নজির আদৌ আছে কি না বা এটি সম্ভব কি না, সরকার তা খতিয়ে দেখবে।
২.এই সংস্কারের দায়দায়িত্ব নব-নির্বাচিত সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এই দুটি বিকল্পের মধ্যে কোনটি বেশি গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। বিশেষ করে, "গণভোট কবে হবে, এটা নিয়ে বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বোধ হয়।"
ড. আসিফ নজরুল জানান, এই অচলাবস্থা নিরসনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, "সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমরা থাকব, তাকে সহায়তা করার জন্য থাকব। আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, আমরা খুব দৃঢ় থাকব। আর সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নেওয়া হবে।"
বিটিআরসি'র নতুন নিয়ম ১৬ ডিসেম্বর থেকে: আপনার ফোন বৈধ কিনা, জেনে নিন প্রক্রিয়া
অবৈধ আমদানি ও নকল (ক্লোন) আইএমইআইযুক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এই লক্ষ্যেই আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা চালু হলে কেবলমাত্র অনুমোদিত, মানসম্মত এবং বৈধভাবে আমদানি বা দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনই দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকতে পারবে। অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআইযুক্ত কোনো ফোন নেটওয়ার্কে কাজ করবে না।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এনইআইআর ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে একদিকে যেমন রাজস্ব সুরক্ষা হবে, তেমনি ডিজিটাল প্রতারণা ও অপরাধও কমবে।
তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দেশে সংঘটিত ডিজিটাল জালিয়াতির ৭৩ শতাংশই ঘটে অবৈধ ডিভাইস ও সিম ব্যবহার করে। এছাড়া, অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের কারণে সরকার প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব হারায়। নতুন এই ব্যবস্থা এই ধরনের ঝুঁকি ও রাজস্ব ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনবে।
নতুন নিয়মে ফোন বৈধতা যাচাই ও নিবন্ধন
বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল ফোন কেনার আগে ক্রেতাদের অবশ্যই ফোনের আইএমইআই নম্বর যাচাই করে বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে। বৈধ ফোন ক্রয়ের পর সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
যেভাবে বৈধতা জানবেন
মোবাইল ফোনটি বৈধ কি না, তা জানতে ক্রেতাদের ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD
বিদেশ থেকে আনা ফোনের নিবন্ধন
বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল ফোন প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের জন্য নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিল করা তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পরই কেবল সেসব বৈধ ফোন নেটওয়ার্কে স্থায়ীভাবে সচল থাকবে।
বিশেষ নিবন্ধনের জন্য গ্রাহককে neir.btrc.gov.bd পোর্টালে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে এবং ‘Special Registration’ সেকশনে গিয়ে আইএমইআই নম্বরসহ পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রশিদ (ক্রয় রসিদ) ও শুল্ক পরিশোধের প্রমাণপত্রের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি শুল্ক ছাড়া একটি এবং শুল্ক দিয়ে আরও একটি, অর্থাৎ মোট দুটি মোবাইল ফোন বিদেশ থেকে আনতে পারবেন।
বর্তমান ব্যবহৃত ফোনের অবস্থা যাচাই
বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এই ফোনগুলো আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানতে হ্যান্ডসেট থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে পাঠাতে হবে।
বিক্রি বা হারালে করণীয়
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহক তার ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট বিক্রি বা হস্তান্তর করতে চাইলে অবশ্যই ‘ডি-রেজিস্ট্রেশন’ করতে হবে। ডি-রেজিস্ট্রেশনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) শেষের চার ডিজিট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া, মোবাইল ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে সিটিজেন পোর্টাল, মোবাইল অ্যাপস বা অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে যেকোনো সময় ফোনটি লক বা আনলক করার সুযোগ থাকবে।
এনইআইআর সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য জানতে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর (১০০) অথবা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে (১২১) ডায়াল করা যাবে।
মতিঝিল অফিসে সঞ্চয়পত্র ফ্রড, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের সঞ্চয়পত্র রক্ষণাবেক্ষণ সিস্টেমে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের ঘটনাতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই জব্দ করা হয়েছে, যাতে অর্থের স্থানান্তর ও আত্মসাতের চক্র শনাক্ত করা যায়।
এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে, যা গতকাল বুধবার কার্যকর করা হয়। একই সঙ্গে তদন্তে জড়িত মতিঝিল অফিসের তিন কর্মকর্তার কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে, যেগুলি তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, সঞ্চয় অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সেভিংস সার্ভিস (এনএসসি) সিস্টেমের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন জালিয়াতি প্রতিরোধ করা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা শুরু হয় মতিঝিল অফিস থেকে কেনা একটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে। এই সঞ্চয়পত্রটি মূলত অগ্রণী ব্যাংকের প্রেস ক্লাব শাখার গ্রাহকের নামে খোলা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কেনা হয়েছিল।
তবে, গত সোমবার গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই তার সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে যুক্ত অগ্রণী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করা হয়। এরপর তা এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখায় ‘আরিফুর রহমান’ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। একই দিন ব্যাংকের শ্যামলী শাখা থেকে সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলন করা হয়, যা জালিয়াত চক্রের অংশ হিসেবে ঘটানো হয়েছে।
এছাড়া, একই প্রক্রিয়ায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপর নজরদারির কারণে এগুলো রোধ করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, “কীভাবে এই জালিয়াতি সংঘটিত হয়েছে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে মামলা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই মতিঝিল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তদন্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, এই ধরনের জালিয়াতি সাধারণত সঞ্চয়পত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও হিসাব ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে করা হয়। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর তৎপরতা বাড়াচ্ছে এবং সিস্টেমের সুরক্ষা আরও জোরদার করার পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো জালিয়াতি সংঘটিত না হয়।
প্রচলিত রুট এড়িয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ১০,০০০ কোটি টাকার পাচার রহস্য
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের যে প্রচলিত ধারা বিদ্যমান, তার বাইরে গিয়ে এক নতুন রুটে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে। সাধারণত কর ফাঁকির অভয়ারণ্য (ট্যাক্স হ্যাভেন) হিসেবে পরিচিত দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে অর্থ পাচার করা হলেও, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রচলিত সেই গন্তব্য এড়িয়ে তার অবৈধ অর্থ পাচারের জন্য রাশিয়া ও ব্রাজিলকে বেছে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগরিটি (জিএফআই)-এর তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে প্রতি বছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়। অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের প্রায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা (৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ) গচ্ছিত ছিল। যদিও বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, পাচার হওয়া অর্থের প্রকৃত পরিমাণ এর চেয়েও বেশি।
ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক (টিজেএন)-এর তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার করস্বর্গখ্যাত দেশগুলোতে পাচার হয়। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রচলিত শীর্ষ ১০ গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, কেম্যান আইল্যান্ড, বারমুডা, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, হংকং, জার্সি, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সরকার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে ২০১৫-১৯ এবং ২০১৯-২১ মেয়াদের জন্য দুটি কৌশলপত্র (ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফাইন্যান্স অব টেররিজম) তৈরি করলেও এরপর আর নতুন কোনো কৌশলপত্র তৈরি করা হয়নি। আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী, এই ধরনের কৌশলপত্র তৈরি করা প্রায় সব দেশের জন্য একটি নিয়মিত চর্চা।
তবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অর্থ পাচারের জন্য এসব প্রচলিত ঠিকানা ব্যবহার করেননি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি তার অবৈধ অর্থ পাচারের জন্য রাশিয়া এবং ব্রাজিলকে নতুন গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন এবং এই দুই দেশে তিনি বিপুল বিনিয়োগ করেছেন।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর শাহরিয়ার আলম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এবং বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি গোপনে গড়ে তোলা বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। রাশিয়ার এসবারব্যাংক, গ্যাজপ্রমব্যাংক এবং আলফা ব্যাংকে তার একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শাহরিয়ার আলমের বিদেশভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি মোট ২৪৭ বার রাশিয়া সফর করেছেন, যার মধ্যে ২০৯ বারই ছিল কূটনৈতিক পাসপোর্টে। যদিও বিশ্ব কূটনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের একজন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জন্য এতবার রাশিয়া সফরের বাস্তবিক কোনো প্রয়োজন ছিল না। সরকারি আদেশ (জিও) পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার অধিকাংশ সফরই ছিল ব্যক্তিগত প্রয়োজনে।
রাশিয়া ও ব্রাজিলে ব্যবসার বিস্তার: শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তার কিছু বন্ধু রাশিয়ায় পড়াশোনা শেষে সেখানে স্থায়ী হয়ে ব্যবসা শুরু করেন। গার্মেন্টস ব্যবসা শুরুর পর শাহরিয়ার আলম তাদের মাধ্যমে রাশিয়াতে পোশাক রপ্তানি শুরু করেন। এমপি এবং মন্ত্রী হওয়ার পর তার ব্যবসা আরও দ্রুত বাড়ে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অবিশ্বাস্য সুবিধা ঘোষণা করে, যেখানে অর্থের উৎস যাচাই ছাড়াই বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, শাহরিয়ার আলম সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ রাশিয়ায় পাচার করেছেন। অনুসন্ধানে রাশিয়ায় তার অন্তত তিনটি বাড়ি, দুটি গার্মেন্টস কারখানা এবং ২১টি শোরুম থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, ব্রাজিলে তার গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হতো। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ দেশে ফেরত না এনে ব্রাজিলে কোম্পানি খুলে সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থ পাচার আইন অনুযায়ী একটি অপরাধ। সব মিলিয়ে, শাহরিয়ার আলম গত ১৫ বছরে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।
একবিংশ শতাব্দীতে হাসিনার চেয়ে বড় খুনি আর কেউ নেই: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন, “একবিংশ শতাব্দীতে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় খুনি বা হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন কেউ করেনি।” বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাক্ষাৎকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলতে পারবে।
শফিকুল আলম আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে সতর্ক করে বলেন, তারা যেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া হাসিনার সাক্ষাৎকার করার সময় তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অতীতের কর্মকাণ্ড ভুলে না যায়। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জাতিসংঘের রিপোর্টে স্পষ্ট।”
ভোট বর্জন ও অপপ্রচারের অভিযোগ
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুযোগ না দিলে ভোট বর্জনের কথা বলেছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, তিনি তেমনটা মনে করেন না।
তিনি বলেন, “আমরা তো কোথাও আওয়ামী লীগকে দেখি নাই। দু-একটা ঝটিকা মিছিল... সেই অনুযায়ী কেউ কেউ হয়তো-বা দু-একটা ডলার পান, এই তো।”
শফিকুল আলম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ‘দেশের টাকা চুরি করে’ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে হায়ার করে অপপ্রচার করছে। তিনি আন্তর্জাতিক মাধ্যমে দেওয়া শেখ হাসিনার দাবিগুলো যেন আনকনটেস্টেড (একপক্ষীয়) না থাকে, সেদিকে জোর দেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, আওয়ামী লীগ ৪ শতাধিক মৃত্যুর যে দাবি করে, সেটিও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে আনকনটেস্টেডভাবে দেওয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
- একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট? জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কঠিন দ্বিধায় অন্তর্বর্তী সরকার
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ
- অনন্য মামুনের পোস্টে ঢালিউডে তামান্না ভাটিয়ার সম্ভাব্য আগমন
- নিজ দেশে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ
- ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় আসছেন, ভারতের দাবি হস্তান্তরের
- রক্তদান শুধু মানবসেবা নয়, এটি এক মহৎ ইবাদত
- জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ফের উত্তেজনায় ট্রাম্প ও ইরান
- জান্নাত-জাহান্নামের রহস্য উন্মোচন কুরআনের আলোকে
- তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন শান্তির বার্তা
- দেশের ২১ জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
- স্বাক্ষরের পরে বিপক্ষে অবস্থান জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপিকে কঠোর বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর
- দীর্ঘ বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
- সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর নতুন নিয়ম
- সামরিক শাসন থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা বাংলাদেশে গণভোটের অতীত জানা-অজানা
- শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচুন রাতে ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)
- ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
- ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সামরিক প্রস্তুতি লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের কঠোর নির্দেশ
- শাপলা কলি দিয়ে ইসি বুঝিয়েছে আমরা শিশুদের দল: সামান্তা
- রেকর্ড বৃদ্ধি পরদিনই দরপতন শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে নতুন স্বর্ণের মূল্য
- অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুমোদন পেল নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ
- আমরা কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না: আসিফ নজরুল
- ৩০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এনসিপি সমন্বয়কের হুঁশিয়ারি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হলে দায়ভার প্রধান উপদেষ্টার
- উন্মোচিত হল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সত্যতা
- এক শতাব্দী পর সৈকতে ভেসে এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোতলবন্দি চিঠি
- ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ একপাক্ষিক ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা: মির্জা ফখরুল
- বিটিআরসি'র নতুন নিয়ম ১৬ ডিসেম্বর থেকে: আপনার ফোন বৈধ কিনা, জেনে নিন প্রক্রিয়া
- কর্মসংস্থানকে কেন্দ্রে রেখে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্য তারেক রহমানের
- গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে ৮ দলের ৫ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ
- বাংলাদেশি টাকার আজকের বিনিময় হার প্রকাশিত
- ওয়ান ব্যাংক পিএলসি-এর Q3 ২০২৫ আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
- ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
- RELIANCINS-এর Q3 ২০২৫ আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে কি বিশ্ব? ট্রাম্পের নির্দেশে বাড়ছে উদ্বেগ
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ট্রাম্প-শি আলোচনা সম্পন্ন: বৈঠকের পর কী বড় সিদ্ধান্ত এলো?
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এশিয়া সফরের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বাহিনীর নতুন হামলা
- বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঐতিহাসিক চুক্তি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ছবি, ভিডিও আর ভয়ের ব্যবসা: অনলাইনে হানিট্র্যাপের অন্ধকার দুনিয়া
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- রাসুল (সা.) কেন অন্যের পাপকাজ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন?
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ








