ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গড়তে চায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১৪:২২:৫২
ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গড়তে চায় বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।

ঐক্য ও তারুণ্য

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে চায়। আর ঐক্য বজায় রাখতে কেউ যেন বিভেদের পথে না যায়, সেই বার্তাও দিতে চায় দলটি।

প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের হাইকমান্ডের বৈঠক হচ্ছে। দল ও নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার বার্তা দিতেই হাইকমান্ড এই বৈঠক করছে।

তারুণ্যনির্ভর ভবিষ্যৎ: তিনি মন্তব্য করেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যনির্ভর। তরুণ-যুবকদের রাজনৈতিক ভাবনাকে ধারণ করে সামনের দিনে জাতি বিনির্মাণে কর্মসূচি প্রণয়ন করবে বিএনপি।


প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৬:৫৬:১৬
প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতীক 'শাপলা' নিয়ে প্রায় চার মাস নয় দিন ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে চলা টানাপড়েনের মধ্যে দলটি এবার নতুন কৌশল নিয়েছে। সম্প্রতি ইসি প্রতীক তালিকায় 'শাপলা কলি' যুক্ত করার পর; এনসিপি সেই প্রতীকসহ আরও দুটি প্রতীক চেয়ে ইসিতে নতুনভাবে আবেদন করেছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রতীক বরাদ্দের এই আবেদন জানান।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, তারা শাপলা, সাদা শাপলা এবং শাপলা কলি—এই তিনটি প্রতীকের মধ্যে যেকোনো একটিকে দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ চেয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন, যদি শেষ পর্যন্ত 'শাপলা কলি' দেওয়া হয়, তবে এনসিপি তা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলও 'শাপলা কলি'কে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।

এনসিপি নেতা বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও গডফাদারদের রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারে; তাহলে এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাবে। তিনি নির্বাচন যে দিনই হোক না কেন; গণভোট যেন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হয়, সেই দাবিও জানান।


৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৬:১৬:৫০
৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন; সেই সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি; ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। কে কোন আসনে দাঁড়াবে, আমরা প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।" তিনি মন্তব্য করেন, বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা চলছে; রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগকে (নির্বাচনে আসার) সুযোগ দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিলে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "গণ-অভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে; ততদিন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।"

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, "যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে; কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।" তবে এখনও ঐক্যের সুযোগ আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৬:০৪:০৯
শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
ছবিঃ সংগৃহীত

ডা. শফিকুর রহমান আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো দলটির সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার; সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের আমির নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে সদস্যদের কাছ থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা সম্পন্ন করে। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী; ডা. শফিকুর রহমান সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য আমির নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি কত ভোট পেয়েছেন বা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিলেন কি না, তা জানানো হয়নি।

ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) মাওলানা মওদূদীর হাত ধরে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মোট ছয়জন নেতা আমির নির্বাচিত হয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন

মাওলানা আবদুর রহিম (১৯৫৬-১৯৬০)

অধ্যাপক গোলাম আযম (১৯৬০-১৯৭১ এবং ১৯৯২-২০০০)

আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত, ১৯৭৯-১৯৯২)

মতিউর রহমান নিজামী (২০০০-২০১৬)

মকবুল আহমদ (২০১৬-২০১৯)

ডা. শফিকুর রহমান (২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত)

ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।


৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৪:৪৫:৩৫
৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার পর সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ এখন একরকম অনিশ্চিত সময় পার করছে; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত অপতথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর দিনটি আমাদের কাছে এবং গোটা জাতির কাছে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন; বিশেষ করে আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যখন মানুষ একটা অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে চলে যাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, "আমাদের যে বাংলাদেশের শত্রুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে, মাথা তুলে উঠতে শুরু করেছে"; তিনি উল্লেখ করেন, সময় যত যাচ্ছে, ততই পুরোপুরি একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। তিনি মন্তব্য করেন, দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা প্রচার দিয়ে বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে, সকালে ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জুলাই সনদ ইস্যুতে সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, বিএনপি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মাঠে নেমে সরকারকে হুমকিতে ফেলতে চায় না; পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধৈর্য ধারণ করে তারা এই সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সতর্ক করে বলেন, "জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি প্রতিবাদের পথ বেছে নিলে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না।"


শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৩:৫৯:২৮
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত প্রকারান্তরে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, "গণঅভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে; ততদিন বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।"

রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, "যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে।" তিনি অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে; তবে এখনো ঐক্যের সুযোগ আছে।

তিনি অভিযোগ করেন, একদল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে; আরেক দল নির্বাচন পেছাতে চায়। তার মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচিত হলে গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও কোনো সমস্যা নেই।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে হবে, সেটা প্রধান সংকট নয়; তবে জুলাই সনদ অবশ্যই ড. ইউনূসকে জারি করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "প্রেসিডেন্ট যদি এতে স্বাক্ষর দেন, তা সংস্কারের কফিনে পেরেক মারা হবে।"

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তবে তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, কোনো একটি দলের চাপে সরকার বারবার সনদের টেক্সট পরিবর্তন করেছে। তিনি জানান, বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, তারা সেটিকে সমর্থন করেন; এর ব্যত্যয় হলে এনসিপি আদেশ সমর্থন নাও করতে পারে।

নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোনো ভয় থাকার কিছু নেই; অযথা বিতর্ক ও ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, 'শেখ মুজিবকে ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে; তার ছবি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা সংবিধানে থাকা সম্ভব নয়।'

প্রতীক ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, নতুন দল হিসেবে সহযোগিতার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, 'শাপলা কলির যে সিদ্ধান্ত, সেটি তারা এক মাস আগেও দিতে পারত; আমরা শাপলাই চাই।'


"মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:৩৭:৫৬
"মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রবিবার (২ নভেম্বর) দেশজুড়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তার দল নীরব প্রতিবাদ অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, যদি বিএনপি সরাসরি প্রতিবাদে নেমে বা মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তাহলে সরকারের টেকসইতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, যার ফলে দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

এই মন্তব্য তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

তিনি আগস্টে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রভাবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। তারা যেন জাতির সামনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপস্থাপন করতে পারে, এ প্রত্যাশা দলের। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে এবং সম্প্রতি দুই দিন আগেও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের সময়সূচি যথাসময়ে কার্যকর হবে।” গয়েশ্বর আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের পূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে সকল অমীমাংসিত বিষয় সমাধান করা হবে।

দলের বর্তমান কৌশল ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তারা যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাই, তাই কঠোর প্রতিবাদ থেকে বিরত আছেন। গয়েশ্বর জানান, “যদি আমরা মাঠে নামে বা তীব্র প্রতিবাদ দেখাই, তাহলে সরকারের টেকসইতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে। তাই আমরা নীরবভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য বিএনপি অত্যন্ত ধৈর্যশীলভাবে কাজ করছে। দলের মূল লক্ষ্য হলো এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আশ্বাস দেন, “জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করার কোনো সুযোগ থাকবে না। জনগণ নিজেই এই ভ্রান্তি রোধ করবে।”

-রাফসান


তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৫৩:১৬
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার (Caretaker Government) ব্যবস্থা বাতিলের রায়ই মূলত দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে আপিল বিভাগের কাছে বিএনপির পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন রোববার (২ নভেম্বর) জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে দেশে অন্তর্ভুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি দেশীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।

রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

উল্লেখযোগ্য যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য চলমান আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলছে। এর আগে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি সম্পন্ন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৩ অক্টোবর আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। ২২ অক্টোবর রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত প্রথম চ্যালেঞ্জ আনা হয় ১৯৯৮ সালে। অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল দেন এবং ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এরপর সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

২০০৫ সালে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল করেন। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১০ মে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাশ হয়, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।

এরপর ২০১১ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্যরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

সাম্প্রতিক সময়ে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। এছাড়া, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য পৃথকভাবে আবেদন করেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন আরও উল্লেখ করেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাতিল রায় ও তার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এই রায়ের প্রেক্ষিতে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিতর্ক বৃদ্ধি পায় এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

-রফিক


বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৩৭:১৯
বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে যে কোনো অসত্য সংবাদ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। রিজভীর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে যা কিছু ঘটছে, তার জন্য বিএনপির ওপর দায় চাপানো অনেকের নিত্যস্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

রিজভী স্পষ্ট করেন, সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর কোনো অংশগ্রহণ নেই। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম চালায়, তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি গণমাধ্যমকেও সতর্ক করেন যে, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অত্যাচার ও অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, যা জুলাই-আগস্টে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। জনগণ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে, তবে এখনও দেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আতঙ্কমুক্ত নয়।

রিজভী বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববাজারে গমের দাম কমলেও বাংলাদেশে তা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। রিজভীর মতে, জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের, এবং যদি সরকার এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তবে সামাজিক অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনা দেখা দিতে পারে।

সংক্ষেপে, রিজভী বিএনপি ও জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, দলটি শান্তিপূর্ণ ও সংবিধানিক পথে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে অটল রয়েছে, কিন্তু দেশের নিরাপত্তা ও ন্যায্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অপরিহার্য।

-রাফসান


ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:২৯:৪৭
ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি
ছবিঃ সংগৃহীত

ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) নেতাকর্মী এবং দলীয় কার্যালয়ের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মান দেশব্যাপী সাংঘাতিকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে।

শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

আন্দালিব রহমান পার্থ লেখেন, "এভাবে চলতে থাকলে জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মান দেশব্যাপী সাংঘাতিকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে এবং সমগ্র দেশব্যাপী ভোটে এর প্রভাব পড়বে; ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই।"

সংঘর্ষে আহত নিজ দলের নেতাকর্মীদের ছবি যুক্ত করে তিনি লেখেন, ভোলা সদরে বিজেপির একটি বিশাল নির্বাচনি মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন; ঠিক তখনই "ঈর্ষান্বিত হয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিএনপির একটি গ্রুপ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নিরীহ নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করে।" তিনি এই ঘটনাকে দুঃখজনক, হতাশাজনক অভিহিত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এর আগে শনিবার দুপুরে ভোলা জেলা শহরের নতুন বাজারে অবস্থিত ভোলা জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটার আঘাতে সাংবাদিক, পুলিশসহ উভয় দলের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত