পাচারকৃত টাকা ফেরানো নিয়ে যা বললেন গভর্নর 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৯ ১৬:২১:২৩
পাচারকৃত টাকা ফেরানো নিয়ে যা বললেন গভর্নর 

সত্য নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হলেও, বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদ জব্দের কাজ দ্রুত এগোবে। আইনি কাঠামো মেনে এবং আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েই এই অর্থ ফিরিয়ে আনা হবে যার জন্য চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে এক বছরের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা সম্পদ জব্দ সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন গভর্নর।

দারিদ্র্য বিমোচন ও জনকল্যাণে ‘লুটের অর্থ’ ব্যয় হবে

গভর্নর মনসুর জানান, যেসব পলাতক অর্থপাচারকারী দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে গেছেন, তাদের জব্দকৃত সম্পদ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও জনহিতকর খাতে ব্যয় করা হবে। এজন্য একটি স্বতন্ত্র ফান্ড গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি, যা হবে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পরিচালিত।

আইন সংশোধনের প্রস্তুতি, থাকবে কঠোরতা ও স্বচ্ছতা

তিনি আরও বলেন, অর্থপাচার রোধ ও ফেরতের প্রক্রিয়ায় যেন কোনো আইনি জটিলতা না থাকে, সেজন্য প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হবে। এতে করে শুধু অর্থ ফেরত নয়, ভবিষ্যতে অর্থপাচার নিরুৎসাহিত করাও সম্ভব হবে।

বিশ্লেষণ: কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা চ্যালেঞ্জে

অর্থনীতি ও আইনের বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ঘোষণায় অর্থপাচার রোধে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ইঙ্গিত থাকলেও, কার্যকর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দেশীয় আইনি কাঠামোর দক্ষতার ওপর। বিশেষ করে অর্থপাচারকারীরা যেসব দেশে সম্পদ রেখেছেন, সেসব দেশের আইনি ও কূটনৈতিক জটিলতা এই প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে পারে।

অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারে রাষ্ট্রের সংকল্প

গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বক্তব্য এক নতুন বার্তা বহন করে—অর্থনৈতিক অপরাধীরা রাষ্ট্রের নাগালের বাইরে থাকবেন না এবং তাদের লুণ্ঠিত অর্থ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। এটি শুধু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকেই নয়, বরং ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধের প্রতিও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ