আগামীকাল ১০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

আগামীকাল শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৩৮ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৪ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৫ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৭ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।
অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে পার্থক্য আসে। ১০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪০ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৬ মিনিটে।
খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০১ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৭ মিনিটে।
রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০০ মিনিটে।
সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৩ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।
রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৭ মিনিটে।
বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৫ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।
জেনে নিন ০৯ অক্টোবর ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৯ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫৩ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে (AM), আসর ৪টা ০০ মিনিটে (PM), মাগরিব ৫টা ৩৮ মিনিটে (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিটে (PM)।
অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে পার্থক্য আসে। ৯ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৩৫ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫২ মিনিটে।
খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৫৫ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।
রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিটে।
সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৫ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৪৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ৪টা ০১ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৪৮ মিনিটে।
রংপুর: রংপুরে ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৫৪ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।
বরিশাল: বরিশালে ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৫৪ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।
কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আরব উপদ্বীপে নেমে এসেছিল এক ভয়াল অন্ধকার। এই সময়কাল ইতিহাসে আইয়্যামে জাহেলিয়াত বা অজ্ঞতার যুগ নামে পরিচিত । এই নামকরণ কোনো সাধারণ অজ্ঞতার জন্য নয়, বরং ছিল মানবিকতার চরমতম বিপর্যয় ।
সামাজিক ও নৈতিক সংকট: মক্কার জমিন ছিল গোত্রে গোত্রে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ক্ষেত্র । সমাজের মূল ভিত্তি ছিল দাসপ্রথা ও ধনীদের সীমাহীন শোষণ । সবচেয়ে ভয়াবহ ও অমানবিক প্রথাটি ছিল কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া ।
ধর্মীয় বিকৃতি: ইব্রাহিম (আঃ) প্রতিষ্ঠিত পবিত্র কাবা ঘর তখন মূর্তিপূজার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল । কাবা ভরে ছিল ৩৬০টি মূর্তিতে।
ব্যতিক্রমী আগমন: ঠিক এমন এক ঘোর নৈতিক শূন্যতায়, জন্ম হলো এক ব্যতিক্রমী শিশুর, যিনি কেবল একটি সমাজ নয়, গোটা মানবজাতির ইতিহাসের গতিপথ চিরতরে পাল্টে দিলেন।
জন্মের অলৌকিক পটভূমি: হস্তীবাহিনীর ঘটনা ও পিতৃহীন জন্ম
ঐতিহাসিক সময়কাল: মহানবী (সাঃ) ৯ই রবিউল আউয়াল তারিখে মক্কার বিখ্যাত বনু হাশিম বংশে সুবহে সাদেকের সময় জন্মগ্রহণ করেন । ইংরেজি পঞ্জিকা অনুসারে তারিখটি ছিল ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ বা ২২শে এপ্রিল ।
হস্তীবাহিনীর ঘটনা: তাঁর জন্মের মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ দিন পূর্বে, ইয়েমেনের শাসক আবরাহা বিশাল হস্তীবাহিনী (আসহাবে ফীল) নিয়ে কাবা ধ্বংস করতে আসেন । আবরাহার উদ্দেশ্য ছিল মক্কার পরিবর্তে সানা'য় (ইয়েমেন) নির্মিত গির্জার দিকে আরবদের হজ্বকে ফিরিয়ে আনা ।
আল্লাহর সাহায্য: আবরাহার হাতি যখন কাবার দিকে এগোতে চাইল, তখন তা মাটিতে বসে পড়ল । এমন সময় আল্লাহ তা'আলা ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি প্রেরণ করলেন, যারা ছোট ছোট পাথর (কঙ্কর) নিক্ষেপ করে সেই বিশাল বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় ।
তাৎপর্য: এই অলৌকিক ঘটনাটি ছিল নবুয়তের আগমনের পূর্বাভাস এবং কাবার উচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্যাদার প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সুস্পষ্ট নিদর্শন ।
পিতা-মাতার বিয়োগ: জন্মের আগেই তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন । এরপর ছয় বছর বয়সে তিনি মাতা আমিনা (রাঃ)-কেও হারান ।
শৈশবে লালন-পালন ও আত্মিক শুদ্ধিকরণ
দুধমাতা হালিমা ও বরকত: তৎকালীন মক্কার রীতি অনুযায়ী, শিশু মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে বনু সা'দ গোত্রের ধাত্রী হালিমা সাদিয়া (রাঃ)-এর কাছে মরুভূমিতে পাঠানো হয় । উদ্দেশ্য ছিল শহর থেকে দূরে গ্রামীণ পরিবেশে শিশুদের বলিষ্ঠ দেহ ও বিশুদ্ধ আরবী ভাষা শিক্ষা দেওয়া । শিশুটিকে গ্রহণ করার পর হালিমা (রাঃ)-এর পরিবার অলৌকিকভাবে বরকত লাভ করতে থাকে ।
বক্ষ বিদারণ (শাক্ক আল-সাদর): শিশু মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন হালিমা (রাঃ)-এর কাছে ছিলেন, তখন তাঁর বক্ষ বিদারণের অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে । খেলার সময় ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) তাঁর বক্ষ উন্মোচন করে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে শয়তানের অংশটি বা কলুষতাকে অপসারণ করেন ।
শুদ্ধিকরণ: এরপর হৃৎপিণ্ডটি জমজমের পানি দ্বারা ধুয়ে তা যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করা হয় । এটি ছিল নবুয়তের জন্য তাঁর দৈহিক ও আত্মিক শুদ্ধিকরণ এবং তাঁকে সব ধরনের পাপ ও কলুষতা থেকে পবিত্র করার প্রস্তুতি ।
দাদা আব্দুল মুত্তালিবের আশ্রয়: মায়ের মৃত্যুর পর বৃদ্ধ দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁকে মক্কায় নিয়ে আসেন । দাদা তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন এবং কা'বার ছায়ায় নিজের বিশেষ আসনেও বসতে দিতে।
চাচার তত্ত্বাবধান: আট বছর দু'মাস দশ দিন বয়সে দাদা আব্দুল মুত্তালিব মৃত্যুবরণ করলে , চাচা আবু তালিব তাঁকে নিজ সন্তানের চেয়েও বেশি স্নেহ ও সম্মানের সাথে প্রতিপালন করেন ।
যৌবন, কর্মজীবন ও 'আল-আমিন' উপাধি
কর্মজীবন: কৈশোরে তিনি চাচা আবু তালিবের মেষ চরাতেন । বিশ বছর বয়সে তিনি চাচার সঙ্গে ব্যবসায়িক সফরে সিরিয়া গমন করেন ।
ব্যবসা ও বিবাহ: ২৫ বছর বয়সে তিনি মক্কার সম্ভ্রান্ত ও ধনী মহিলা খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রাঃ)-এর ব্যবসার ভার নিয়ে সিরিয়া গমন করেন । তাঁর সততা ও ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে খাদিজা (রাঃ) মুগ্ধ হন এবং পরে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেন । বিবাহের সময় খাদিজা (রাঃ)-এর বয়স ছিল ৪০বছর।
কাবা সংস্কারে বিচক্ষণতা: যখন তাঁর বয়স ৩৫ বছর, তখন কাবা গৃহ পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের সম্মান নিয়ে গোত্রীয় সংঘাত সৃষ্টি হলে, তিনি চাদরের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান দেন এবং রক্তপাত এড়ান ।
বিশ্বস্ততার প্রতীক: তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী ছিল সর্বজনস্বীকৃত। তাঁর সততা, বিশ্বস্ততা, নম্র-ভদ্রতা এবং আমানত হেফাজতের কারণে আরববাসীগণ তাঁকে 'আল-আমিন' (অতি বিশ্বস্ত) উপাধিতে ভূষিত করেছিল । তিনি ছিলেন আরববাসীগণের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আমানতদার ।
সিরাত অধ্যয়নের আহ্বান ও পরবর্তী পর্বের ঘোষণা
এই পর্বে আমরা মহানবী (সাঃ)-এর জীবনের নবুয়ত-পূর্ব চল্লিশ বছরের বিস্তারিত চিত্র দেখলাম, যা ছিল জাহেলিয়াতের সব ধরনের অশ্লীলতা, পাপাচার ও কলুষতা থেকে মুক্ত । তাঁর জীবন ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সুরক্ষা ও পরিচালনার অধীন । তাঁর চরিত্র ছিল সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং বিশ্বস্ততার এক পূর্ণাঙ্গ নমুনা, যা তাঁকে মানবজাতির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিল।
বিশেষ বার্তা:
সম্মানিত পাঠক, মহানবী (সাঃ)-এর পবিত্র জীবন অত্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের এই ধারাবাহিক পর্বগুলো শায়খ সফিউর রহমান মোবারকপুরী রচিত বিশ্বখ্যাত সিরাত গ্রন্থ 'আর-রাহীকুল মাখতূম'-এর তথ্য অনুযায়ী, তথ্য সংক্ষেপ না করে, সহজ ভাষায় তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা মাত্র। তাঁর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের জন্য মূল সিরাত গ্রন্থগুলো অধ্যয়নের আহ্বান রইল।
আগামী পর্ব: নবুয়তের সূচনা: হেরা গুহার অভ্যন্তরে প্রথম ওহী ও জিবরাঈল (আঃ)-এর আগমন (সূত্র: আর-রাহীকুল মাখতূম)।
আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?
পবিত্র কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে রাব্বুল আলামিন একটি অঞ্চলকে পবিত্র ও বরকতময় ভূখণ্ড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মুফাসসিরদের (তাফসির বিশেষজ্ঞ) ভাষায়, এই ভূখণ্ডটির নাম হলো শাম। সেকালে শাম বলতে মূলত ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান এবং আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হতো। এই ঐতিহাসিক ভূখণ্ডে ইবরাহিম (আ.), ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.), মুসা (আ.), দাউদ (আ.), সুলাইমান (আ.), ঈসা (আ.) সহ অসংখ্য নবী-রাসুল বসবাস করতেন, তাই একে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্রও বলা যায়।
পবিত্র কোরআনে শাম শব্দটি সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও, মুফাসসিরদের মতে পাঁচটি আয়াতে এই অঞ্চলের মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। চলুন, দেখে নিই সেই আয়াতগুলো:
৫টি আয়াতে শামের মর্যাদা
১. সুরা বনি ইসরাইল : ১
“পবিত্র ও মহীয়ান তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে (শাম) আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলি দেখানোর জন্য (ভ্রমণ করিয়েছি)।”
তাৎপর্য: এই আয়াতে মিরাজ গমনের সময় মসজিদুল আকসার চারপাশকে কল্যাণময় বা বরকতময় বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
২. সুরা আরাফ : ১৩৭
“যে জাতিকে দুর্বল ও দীনহীন ভাবা হত আমি তাদের আমার কল্যাণ প্রাপ্ত রাজ্যের (শাম) পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানাই, আর বনি ইসরায়েল জাতি সম্পর্কে তোমার রবের শুভ ও কল্যাণময় বাণী (প্রতিশ্রুতি) পূর্ণ হলো, যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল। আর ফির’আউন ও তার সম্প্রদায়ের কীর্তিকলাপ ও উচ্চ প্রাসাদসমূহকে আমি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছি।”
তাৎপর্য: বনি ইসরায়েল জাতিকে ফির’আউনের হাত থেকে মুক্ত করে এই পবিত্র রাজ্যের উত্তরাধিকারী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
৩. সুরা আম্বিয়া : ৭০-৭১
“তারা তার (ইবরাহিম আ.) বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু আমি তাদেরই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়লাম। আর আমি তাকে ও (তার ভ্রাতুষ্পুত্র) লুতকে উদ্ধার করে এমন দেশে (শাম) নিয়ে গেলাম, যা আমি বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণময় করেছি।”
তাৎপর্য: হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে উদ্ধার করে শাম অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
৪. সুরা আম্বিয়া : ৮১
“(আমার ক্ষমতাবলেই) আমি উদ্দাম বায়ুকে (স্বাভাবিক গতিসম্পন্ন) করেছিলাম সোলায়মানের জন্য। তার নির্দেশমতো তা প্রবাহিত হতো সেই দেশের (শাম) দিকে, যাতে আমি কল্যাণ রেখেছি।”
তাৎপর্য: হজরত সুলাইমান (আ.)-এর জন্য বায়ুর গতি নিয়ন্ত্রিত হতো শামের দিকে।
৫. সুরা সাবা : ১৮
“তাদের (কওমে সাবা) এবং যেসব জনপদের (শাম) প্রতি আমি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছিলাম, সেগুলোর মাঝে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করে দিয়েছিলাম এবং সেগুলোর মাঝে সমান সমান দূরত্বে সফরের মঞ্জিল ঠিক করে দিয়েছিলাম। (আর তাদের বলেছিলাম) তোমরা এসব জনপদে রাতে আর দিনে নিরাপদে ভ্রমণ করো।”
তাৎপর্য: এই অঞ্চলে আল্লাহ তাআলা সুনির্দিষ্ট ও দৃশ্যমান জনপদ সৃষ্টি করে দেন।
আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
আগামীকাল বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৮ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫৩ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে (AM), আসর ৪টা ০০ মিনিটে (PM), মাগরিব ৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৪ মিনিটে (PM)।
অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে পার্থক্য আসে। ৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৩৪ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫২ মিনিটে।
খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।
রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিটে।
সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ৫টা ৪৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ৪টা ০১ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৪৮ মিনিটে।
কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্কের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি, কোরআনে ভুল খুঁজে বের করাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু সেই গবেষণার পথই তাকে নিয়ে গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক গন্তব্যে – সত্যের সন্ধানে। কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও যুক্তিবিদ্যার প্রফেসর ডক্টর গ্যারি মিলার, যিনি একসময় খ্রিস্টান ধর্মের একজন সক্রিয় প্রচারক ছিলেন, তিনি এখন ইসলাম গ্রহণ করে পরিচিত হয়েছেন আব্দুল আহাদ নামে।
কোরআনের নির্ভুলতা: এক অচিন্তনীয় ধাক্কা
ডক্টর গ্যারি মিলার ছিলেন বাইবেলের একজন গভীর পণ্ডিত। তার ধারণা ছিল, ১৪০০ বছর আগের গ্রন্থ কোরআনে নিশ্চয়ই ব্যাকরণগত, ঐতিহাসিক বা গাণিতিক অনেক ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যাবে, যা দিয়ে তিনি মুসলিমদের পরাজিত করতে পারবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি কোরআন অধ্যয়ন শুরু করেন।
কিন্তু গবেষণার শুরুতেই তিনি এক অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খেলেন। পৃথিবীর কোনো লেখকই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারেন না যে তার বইয়ে কোনো ভুল নেই। অথচ কোরআন শুরুতেই ঘোষণা করছে, "এই সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য এটা পথনির্দেশক।" এমন নির্ভুলতার দাবি ডক্টর মিলারকে বিস্মিত করে। তিনি আরও দেখলেন, কোরআন নিজেই তার ভুল খুঁজতে আসা ব্যক্তিদের বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। কোরআনে বলা হয়েছে, "তারা কি কোরআন নিয়ে চিন্তা করে না? এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে হতো, তবে তারা অবশ্যই এতে অনেক অসঙ্গতি দেখতে পেত।"
মহানবীর ব্যক্তিগত জীবনের অনুপস্থিতি ও সম্মিলিত আলোচনার গুরুত্ব
ডক্টর মিলার কোরআনের গভীরে গিয়ে আরও কিছু বিষয় লক্ষ্য করলেন, যা তাকে ইসলামের সত্যতার দিকে আকৃষ্ট করে। তিনি দেখলেন, সম্পূর্ণ কোরআনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায় কিছুই লেখা নেই। যদি এটি তাঁর নিজের লেখা হতো, তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা এতে থাকতো। এই যুক্তি তাকে মানতে বাধ্য করে যে, কোরআন মুহাম্মদ (সা.)-এর লেখা কোনো গ্রন্থ নয়।
এছাড়াও, সম্মিলিত আলোচনার ওপর কোরআনের জোর তাকে মুগ্ধ করে। কোরআনে বলা হয়েছে, "বলুন, আমি তোমাদের একটা বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুজন দুজন অথবা একজন একজন করে দাঁড়াও। এরপর তোমরা চিন্তা করে দেখো তোমাদের সঙ্গী আদৌ উন্মাদ নয়; সে তো আসন্ন কঠিন শাস্তি সম্পর্কে তোমাদের সতর্ককারী মাত্র।" অর্থাৎ, আল্লাহ এখানে অবিশ্বাসীদেরকে বিনা চিন্তায় মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ না করে, তাঁর কথাগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। একা সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে, একাধিক ব্যক্তি মিলে আলোচনা করে তারপর ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে।
মরিয়ম (আ.)-এর বিশেষ সম্মান
ডক্টর মিলারের নজর কেড়েছিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঈসা (আ.)-এর মা মারিয়াম (আ.)-কে কোরআন যে উচ্চ সম্মান দিয়েছে, তা বাইবেলের চেয়েও বেশি। যেখানে মহানবী (সা.)-এর কন্যা ফাতিমা (রা.) বা তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর নাম কোরআনে একবারও উল্লেখ নেই, সেখানে মারিয়াম (আ.)-এর নাম কোরআনে ৩৪ বার এসেছে। এমনকি তাঁর নামে একটি সম্পূর্ণ সূরাও নাযিল হয়েছে। অন্যদিকে, মহানবী (সা.)-এর নাম কোরআনে এসেছে মাত্র চার বার, আর ঈসা (আ.)-এর নাম এসেছে ২৫ বার।
ডক্টর গ্যারি মিলার উপলব্ধি করলেন, কোরআনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল, তার কোনোটিই যুক্তিতে টেকে না। কোরআন নিজেই প্রতিটি অভিযোগের উত্তর দিয়েছে। অবশেষে, তিনি বিনা সন্দেহে কোরআনের সামনে আত্মসমর্পণ করেন এবং ১৯৭৮ সালে ইসলাম কবুল করে নিজের নাম রাখেন আব্দুল আহাদ।
যুগে যুগে ডক্টর মিলারের মতোই যারা কোরআনের ভুল ধরতে গিয়েছেন, তারাই এই গ্রন্থের গভীরে সত্যের পথ খুঁজে পেয়েছেন। আল্লাহ নিজেই কোরআনে বলেছেন, "আর আমি আমার আয়াত ভীষকভাবে বর্ণনা করেছি জ্ঞানীদের জন্য।"
আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
আগামীকাল মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৭ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে (AM), আসর ৪টা ০১ মিনিটে (PM), মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিটে (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৫ মিনিটে (PM)।
অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে, আসর ৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিটে।
খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ৪টা ১৩ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৯ মিনিটে।
রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৫ মিনিটে, আসর ৪টা ১৫ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ৭টা ০০ মিনিটে।
সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৩ মিনিটে, আসর ৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৪৯ মিনিটে।
রংপুর: রংপুরে ফজর ৪টা ৩৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ১১ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিটে।
বরিশাল: বরিশালে ফজর ৪টা ৪০ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ১২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।
কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
আজ থেকে বহু শতাব্দী আগেও মানুষ যখন কেবল নৌকা, জাহাজ, ঘোড়ার গাড়ি বা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করত, তখন কেউ যদি বলতো একদিন ধাতব এক যন্ত্র মানুষকে হাজার হাজার মাইল দূরে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাবে, তা হয়তো মানুষের কল্পনারও অতীত ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে উড়োজাহাজ, বুলেট ট্রেন, বিশাল জাহাজ, এমনকি মহাকাশযান ছাড়া আধুনিক ভ্রমণ চিন্তাও করা যায় না। বিস্ময়ের বিষয় হলো, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বহু শতাব্দী আগেই ভবিষ্যতের উন্নত যানবাহন সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে মিলে যাচ্ছে।
চতুষ্পদ জন্তু থেকে অজানার পথে
সুরা আন-নাহলের ৫ থেকে ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য সৃষ্ট চতুষ্পদ জন্তুগুলোর উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, মানুষ এই জন্তুগুলো থেকে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার লাভ করে, আহার গ্রহণ করে এবং গর্বভরে সৌন্দর্য অনুভব করে যখন গোধূলি লগ্নে তাদের ঘরে আনা হয় বা সকালে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই জন্তুগুলো মানুষের বোঝা বহন করে এমন সব দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যায়, যেখানে ভীষণ কষ্ট ছাড়া মানুষের পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক বড়ই দয়াময়, পরম দয়ালু।
এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটিতে আল্লাহ আরও বলেন, "তোমাদের আরোহণের জন্য ও শোভা-সজ্জার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন অনেক কিছু যা তোমরা অবগত নও"।
কোরআনের বিজ্ঞানসম্মত ইঙ্গিত
এই আয়াতটিই ভবিষ্যতের উন্নত যানবাহনের প্রতি স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলে ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন। তাফসীরে আহসানুল বয়ানেও এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আল্লাহ ভূগর্ভে, সমুদ্রে, মরুভূমিতে এবং জঙ্গলে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করে থাকেন, যার জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কারো নেই। এর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত সকল বাহনও এসে যায়। আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে তারই সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরি করেছে যেমন বাস, ট্রেন, রেলগাড়ি, জাহাজ ও বিমান ইত্যাদি অসংখ্য যানবাহন। এমনকি আরও অনেক কিছু যা ভবিষ্যতে আশা করা যায়।
বর্তমানে আমরা যে আধুনিক গাড়ি, বুলেট ট্রেন, সমুদ্রে ভাসমান বিশাল আকারের জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, এমনকি নানা ধরনের মহাকাশযান দেখছি—এগুলোর কিছুই সেই যুগের মানুষের ধারণার মধ্যে ছিল না। কোরআন এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে শুধু অতীত বা বর্তমান নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিকেও দৃষ্টি দিতে শেখায়।
জ্ঞান আহরণের নির্দেশনা
এই সূরার ৪৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "আর আমি তোমার পূর্বে কেবল পুরুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহি পাঠিয়েছি। সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করো, যদি তোমরা না জানো"। এই আয়াতটি নির্দেশ করে যে, যখন মানুষ নতুন কিছুর মুখোমুখি হবে, তখন জ্ঞানীদের কাছেই উত্তর খুঁজতে হবে। যান্ত্রিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের কাছে, চিকিৎসা বিষয়ে ডাক্তারদের কাছে—অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে জ্ঞান আহরণ করতে হবে।
এই আয়াতগুলো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, আধুনিক যানবাহন কেবল মানুষের মেধা নয়, বরং আল্লাহ তায়ালারই একেকটি নিদর্শন। এর মাধ্যমে আল্লাহ যুগে যুগে প্রযুক্তি ও পরিবহনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে তাঁরই সৃষ্টি ও কুদরতের ফল হিসেবে তুলে ধরেছেন, যা তিনি বহু আগেই ঘোষণা করে রেখেছিলেন। এই আয়াতগুলো মানুষকে শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকেই উৎসাহিত করে না, বরং আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করতে শেখায়।
৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল:
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৭ মিনিট (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিট (AM), আসর ৪টা ০৮ মিনিট (PM), মাগরিব ৫টা ৪৩ মিনিট (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিট (PM)।
অন্যান্য বিভাগীয় শহর:
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৪০ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিট, আসর ৩টা ৫৯ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিট।
খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪১ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫৫ মিনিট, জোহর ১১টা ৫০ মিনিট, আসর ৪টা ০৫ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিট।
রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪১ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫৬ মিনিট, জোহর ১১টা ৫০ মিনিট, আসর ৪টা ১১ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪৫ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৯ মিনিট।
সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৪৬ মিনিট, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিট, আসর ৪টা ০২ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৩৪ মিনিট এবং ইশা ৭টা ০৬ মিনিট।
দ্রষ্টব্য: এই সময়সূচি স্থানীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
রোববার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।
ওয়াক্ত সময় (আনুমানিক)
ফজর / সুবহে সাদিক ৪টা ৩৮ মিনিট (AM)
সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট (AM)
জোহর ১১টা ৫১ মিনিট (AM)
আসর ৪টা ০৩ মিনিট (PM)
মাগরিব ৫টা ৪৩ মিনিট (PM)
ইশা ৭টা ০ মিনিট (PM)
উল্লিখিত ঢাকা সময়ের সঙ্গে নিচের সময়গুলো যোগ-বিয়োগ করে নিতে হবে:
চট্টগ্রাম -৫ মিনিট (বিয়োগ)
সিলেট -৬ মিনিট (বিয়োগ)
খুলনা +৩ মিনিট (যোগ)
রাজশাহী +৭ মিনিট (যোগ)
রংপুর +৮ মিনিট (যোগ)
বরিশাল +১ মিনিট (যোগ)
পাঠকের মতামত:
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- ব্যাংকিং খাতে বড় রদবদল: ৫ ব্যাংক একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন
- ব্যাংকিং খাতে বড় রদবদল: ৫ ব্যাংক একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন
- আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় ইনজেকশন পুশ করা হয়
- এক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে নারাজ ইসরায়েল, কে এই ব্যক্তি?
- শহিদুল আলমসহ আটক কর্মীদের কঠোর কারাগারে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
- শাপলা না পেলে ধানের শীষসহ সব প্রতীক বাতিলের দাবি
- বড় দরপতনে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ধারা
- ৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সহজে ভিডিও ডাউনলোডের ৭টি সেরা অ্যাপ
- রান্নাঘর থেকে রূপচর্চা: এক টুকরো ফিটকিরির ১০টি বিস্ময়কর ব্যবহার
- খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
- পশ্চিমতীরে ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েলি সেনারা
- কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে: আমির খসরু
- শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত
- বিশ্বসংগীতে নতুন রেকর্ড গড়লেন রোজে
- পুরুষের বন্ধ্যত্ব কেন হয়? যে ৫টি খাবার শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়ায়
- সকালে এই ৪টি অভ্যাস হার্টের ক্ষতি বাড়াতে পারে
- ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ: কূটনৈতিক অগ্রযাত্রায় নতুন মাইলফলক
- শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি
- সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশ: বহুমাত্রিক পরিবহন পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে
- র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে আজ লড়বে বাংলাদেশ
- গাজায় শান্তি ফেরায় উৎসব: হামাস-ইসরায়েল চুক্তিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
- অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পথে ফ্রান্স: ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাক্রোঁ
- শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- তহবিল সংকটে জাতিসংঘ: শান্তিরক্ষী বাহিনী কমছে ২৫ শতাংশ
- নোবেল শান্তি পুরস্কার: আগামীকাল ঘোষণা, ট্রাম্পের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: রাশেদ খান
- রাশিফল: ৯ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- শর্ত লঙ্ঘনের বিশাল অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কেন এত বিতর্ক?
- নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে নীরব প্রতিযোগিতা
- ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সই করল ইসরায়েল-হামাস
- ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৭ বাংলাদেশি
- জেনে নিন ০৯ অক্টোবর ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- অল্প রানে অলআউট বাংলাদেশ, আফগানদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ
- মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করুন: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার
- শহিদুল আলমের আটক নিয়ে অপপ্রচার: বাংলাফ্যাক্ট যা জানাল
- স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর আইন, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: চূড়ান্ত ঐকমত্যের পথে কমিশন
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- নতুন দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন, নেপথ্যে এনসিপি ও বিএনপি’র নেতা
- ২১ শতকের নীরব ঘাতক: কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে যে খাবার
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- ১৬তম মুসলিম হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ওমর এম ইয়াগি
- আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সতর্কতা জারি: ঢাকাসহ ২০ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিতর্ক, রিজওয়ানা হাসান চাইলেন নাম
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি