গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২ বছর: মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৪:৪০:৪১
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ২ বছর: মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। গাজা সরকারের জনসংযোগ কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দু’বছরে উপত্যকাটিতে ৬৭ হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েল গাজায় ২ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে।

রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে ভয়াবহ ধ্বংস, গণহত্যা, লাখো মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং অবকাঠামোগত বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই পুরো সময়কালকে ‘৭৩০ দিনের গণহত্যা ও জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করছে।

প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যায় উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য:

শিশু ও নারী: নিহতদের অর্ধেকের বেশিই নারী, শিশু ও প্রবীণ মানুষ। এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু এবং ১২ হাজার ৫০০ নারী নিহত হয়েছেন।

পরিবার নিশ্চিহ্ন: পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এমন ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৭০০ টির বেশি। আরও ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে কেবল একজন সদস্য জীবিত আছেন।

বাস্তুচ্যুতি: দুই বছরের মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, অনেকেই একাধিকবার জায়গা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। গাজার জমির ৮০ শতাংশের বেশি দখল করে নিয়েছে দখলদার বাহিনী।

খাদ্য সংকট: ৬ লাখ ৫০ হাজার শিশু মারাত্মক খাদ্যসংকটে ভুগছে। দুধ, ওষুধ এবং খাবারের তীব্র অভাবে জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। গাজার ২৪ লাখ মানুষের প্রায় সবাই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

ধ্বংসস্তূপে গাজার অবকাঠামো

গণমাধ্যম কার্যালয়ের ভাষ্যমতে, ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজার অবকাঠামোর ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য খাত: ৩৮টি হাসপাতাল ও ৯৬টি ক্লিনিক ধ্বংস হয়েছে বা অচল হয়ে গেছে। ১৯৭টি অ্যাম্বুলেন্স টার্গেট করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৬০০-এর বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন পাওয়া ২২ হাজার রোগী এখনও গাজার ভেতরেই আটকা।

শিক্ষা ও ধর্মীয় স্থান: গাজার ৯৫ শতাংশ বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। ১৩ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী, ৮৩০ শিক্ষক এবং প্রায় ২০০ গবেষক ও শিক্ষাবিদ নিহত হয়েছেন। পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে ৮৩৫টি মসজিদ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি গির্জা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ১৫টি খাত মিলিয়ে সরাসরি ক্ষতি হয়েছে ৭০ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে আবাসন খাতে ২৮ বিলিয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান

জনসংযোগ কার্যালয় আন্তর্জাতিক সমাজকে আহ্বান জানিয়েছে গাজা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে। ইসরাইলের অবরোধ তুলে দিয়ে সীমাহীন মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধ তদন্তের দাবি তুললেও নিরাপত্তা পরিষদে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে কার্যকর সিদ্ধান্ত হয়নি।


বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৪:০৬:৩০
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রত্যাশা কী, জানালেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব 
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশে জনগণের ভোটে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলকভাবে অনুষ্ঠিত হোক—এটাই ভারতের প্রত্যাশা।”

সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের (DICAB) সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, “সম্পর্ক ঠিক রাখতে উভয় পক্ষেরই প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা উচিত।”


যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তি: এক বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সম্মতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১২:০২:৩৫
যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র চুক্তি: এক বছরের জন্য নবায়নের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সম্মতি
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’-এর মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়াতে আগ্রহী। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি এই নবায়নের প্রস্তাব দিলে ট্রাম্প বলেন, “আমার কাছে এটি বেশ ভালো ধারণা মনে হচ্ছে।”

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “যদি পুতিন সত্যিই এমন একটি প্রস্তাব দেন, আমি তা বিবেচনা করতে প্রস্তুত।” উল্লেখযোগ্যভাবে, এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ মাত্র চার মাস পর।

২০১০ সালে স্বাক্ষরিত নিউ স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি (নিউ স্টার্ট) চুক্তি উভয় পরাশক্তির স্থাপিত পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ও উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া—দুটি দেশই সর্বোচ্চ ১,৫৫০টি মোতায়েনকৃত পারমাণবিক ওয়ারহেড এবং ৮০০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা বা ভারী বোমারু বিমান রাখতে পারে না।

চুক্তিটির একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো পারস্পরিক যাচাই ও পরিদর্শন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে দুই দেশই একে অপরের পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করতে পারে, যাতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। তবে ২০২৩ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া এই চুক্তির কার্যকর অংশগ্রহণ স্থগিত করে দেয়। ফলে দুই দেশের মধ্যে পরিদর্শন কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেন, তিনি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে “একটি যৌথ নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি” করতে চান। তাঁর ভাষায়, “বিশ্বে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের বিষয়ে নতুন বাস্তববাদী চুক্তি প্রয়োজন।” একইসঙ্গে তিনি পেন্টাগনকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বিশালাকাঙ্ক্ষী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্প, ‘গোল্ডেন ডোম’, গড়ে তোলার জন্য—যা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক নিরাপত্তা কৌশলে বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাশিয়া পক্ষ থেকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, মস্কোও এই আলোচনাকে “শান্তি ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার সুযোগ” হিসেবে দেখছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন সংঘাত ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বর্তমান টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার পুনর্গঠনের সম্ভাব্য সূচনা বলা যেতে পারে।

নিউ স্টার্ট চুক্তির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে ওয়াশিংটন ও মস্কোর রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চুক্তিটি নবায়ন হলে বৈশ্বিক পরমাণু ভারসাম্য রক্ষা এবং নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা ঠেকাতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

-নাজমুল হাসান


“যুদ্ধ চলতে পারে না আলোচনার সময়”— যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা ইসরায়েলকে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১১:৩৭:১৪
“যুদ্ধ চলতে পারে না আলোচনার সময়”— যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা ইসরায়েলকে
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের প্রায় দুই বছর পর অবশেষে অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে সম্ভাব্য এক ঐতিহাসিক আলোচনার দ্বার খুলেছে। রবিবার হামাস দ্রুত বন্দি-বন্দিমুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানায়, যখন মিশরে উভয় পক্ষের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের প্রস্তুতি চলছিল। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের অবসান এবং গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা যুদ্ধ শেষ করতে এবং মাটির পরিস্থিতির আলোকে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে আগ্রহী।” তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকলেও জানান, হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তির রূপরেখায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এই পরিকল্পনায় গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বোমা বর্ষণের মাঝখানে বন্দি বিনিময় সম্ভব নয়। আলোচনার সময় যুদ্ধ চলতে পারে না।”

মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হলে কয়েক দিনের মধ্যেই জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব হতে পারে। তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল সোমবার কায়রো পৌঁছাবে, যা হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হবে।

কায়রো সরকার নিশ্চিত করেছে যে তারা হামাসের একটি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাবে, যারা বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতির বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করবে। যুক্তরাষ্ট্রও আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে; প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আলোচক স্টিভ উইটকফকে মিশরে পাঠিয়েছেন।

হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের কাছে সম্পূর্ণ সামরিক অভিযান বন্ধ, বিমান হামলা ও নজরদারি কার্যক্রম স্থগিত এবং গাজা সিটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এর বিনিময়ে হামাসও নিজেদের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,২১৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। পাল্টা অভিযানে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৭,১৩৯ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি — গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য বলে স্বীকার করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, হামাসের হাতে বন্দি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে ৪৭ জন এখনো গাজায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, এই জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরায়েল ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি এবং যুদ্ধ চলাকালে আটক আরও প্রায় ১,৭০০ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে পারে।

তবে, হামাসের দ্রুত সাড়া না পেলে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “যখন হামাস নিশ্চিত করবে, তখনই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, বন্দি বিনিময় শুরু হবে, এবং আমরা সেনা প্রত্যাহারের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি নেব। কিন্তু বিলম্ব হলে সবকিছু পুনর্বিবেচনা করা হবে।”

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির সতর্ক করে বলেছেন, “যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয়, ইসরায়েল আবারও সামরিক অভিযান শুরু করবে।”

রবিবার গাজা জুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত ছিল। এএফপি টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, উপকূলীয় শহরের আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, দিনভর অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জন গাজা সিটির। স্থানীয় বাসিন্দা মুইন আবু রাজাব বলেন, “হামলার সংখ্যা কিছুটা কমেছে, ট্যাংক ও সামরিক যানবাহনও কিছুটা পিছু হটেছে, তবে এটি কৌশলগত সাময়িক বিরতি, সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নয়।”

এদিকে, হামাস জানিয়েছে তারা গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় ভূমিকা রাখতে চায়, যদিও ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হামাসকে পরবর্তী প্রশাসন থেকে সম্পূর্ণ বাদ রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত রূপরেখায় বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের ধীরে ধীরে গাজা থেকে প্রত্যাহার এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর গাজার প্রশাসন পরিচালনা করবে একটি প্রযুক্তিগত (টেকনোক্র্যাট) সংস্থা, যা ট্রাম্পের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবে।

গাজার বাসিন্দা আহমদ বারবাখ বলেন, “আমরা আশা করি ট্রাম্প নেতানিয়াহুর ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন এবং যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করবেন। বন্দি বিনিময় দ্রুত শেষ হলে ইসরায়েলের আর যুদ্ধ চালানোর অজুহাত থাকবে না।”

এখন দৃষ্টি শার্ম আল-শেখের দিকে— যেখানে বিশ্বের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, এই বৈঠকই হয়তো গাজা যুদ্ধের রক্তাক্ত অধ্যায়ের অবসানের সূচনা ঘটাবে।

-নাজমুল হাসান


ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২১:৪৫:৩৭
ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও গাজায় আজ ভোর থেকে দখলদার বাহিনী ১৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দুর্ভিক্ষ কবলিত অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

হামলা অব্যাহত, শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয়

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ অনুসরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইসরায়েল ধারাবাহিক সামরিক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

আনাদোলু এজেন্সিকে চিকিৎসা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দখলদার বাহিনী গাজার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর আবাসিক ভবন এবং তাঁবুগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

ট্রাম্পের আহ্বান ও মানবিক সংকট

এর আগে গত শুক্রবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন:

"হামাসের বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা প্রস্তুত। ইসরায়েলকে অবশ্যই অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা দ্রুত ও নিরাপদে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে পারি।"

তবে গতকাল শনিবার ট্রাম্প আরেকটি পোস্টে বলেন, ইসরায়েল সাময়িকভাবে বোমাবর্ষণ বন্ধ করেছে এবং তিনি তাদের সাধুবাদ জানান।

চলতি বছরের শুরুতে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করার কারণে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।


‘পশুর মতো আচরণ’: ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৭:২২:৫৫
‘পশুর মতো আচরণ’: ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ
এএফপির ফাইল ছবি

ইসরায়েলে গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আটক কর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন মুক্ত হওয়া বিদেশি কর্মীরা। বন্দি শিবিরে জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া, জোর করে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো এবং তাকে ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) ইসরায়েল ফ্লোটিলার ১৩৭ কর্মীকে ইস্তাম্বুলে ফেরত পাঠায়। এদের মধ্যে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন।

গ্রেটাকে প্রচারণার হাতিয়ার

তুরস্কের সাংবাদিক এরসিন চেলিক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন, বন্দি শিবিরে গ্রেটাকে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়।

মালয়েশীয় কর্মীর অভিযোগ: মালয়েশীয় অধিকারকর্মী হাজওয়ানি হেলমি বলেন, “এটি ছিল ভয়াবহ। আমাদের পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে।” থুনবার্গকে ঠেলে সরানো হয় এবং পতাকা হাতে ঘোরানো হয়।

মার্কিন কর্মীর অভিযোগ: মার্কিন নাগরিক উইন্ডফিল্ড বিবার অভিযোগ করেন, থুনবার্গকে ‘ভয়াবহভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল’ এবং ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের প্রবেশের সময় তাকে প্রচারণার হাতিয়ার বানানো হয়।

খাদ্য ও পানি বঞ্চনা: উইন্ডফিল্ড বিবার দাবি করেন, আটক কর্মীদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়। তুরস্কের টিভি উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার জানান, তাদের কুকুরের মতো আচরণ করা হয়েছিল এবং টয়লেটের পানি খেতে বাধ্য করা হয়।

তুরস্কের আরেক কর্মী আয়সিন কানতোগ্লু জানান, তারা আটক কেন্দ্রে রক্তাক্ত দেওয়াল ও আগের বন্দিদের লেখা বার্তা দেখেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আসলে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার সামান্য অভিজ্ঞতা পেয়েছি।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন আদালাহ বলেছে, আটক কর্মীদের হাত জিপ-টাই দিয়ে বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়, ওষুধ দেওয়া হয়নি এবং আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগে বাধা দেওয়া হয়েছে।

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানিয়েছেন, ২৬ ইতালীয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে এখনো ১৫ জন ইসরায়েলি হেফাজতে রয়েছেন। ইতালির সংসদ সদস্য আর্তুরো স্কোত্তো বলেন, “আইনসম্মত কাজ করছিল ফ্লোটিলায় থাকা মানুষজন; অবৈধ কাজ করেছে তারা, যারা গাজায় সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে।”

তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, আটক ব্যক্তিদের পানি, খাবার, টয়লেট এবং আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।


মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল তেল আবিব: জিম্মি মুক্তির দাবিতে হাজারো ইসরায়েলি, পাশে ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৭:০৭:০৩
মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল তেল আবিব: জিম্মি মুক্তির দাবিতে হাজারো ইসরায়েলি, পাশে ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন প্রস্তাব এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমর্থনে তেল আবিবের রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে অবশিষ্ট বন্দীদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভকারীরা 'এখন নয়তো কখনোই না' লেখা সম্বলিত বিশাল ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই ব্যানারের ছবি পোস্ট করে বিক্ষোভের বার্তাটি প্রতিধ্বনিত করেছেন।

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের ভূমিকা

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ইসরায়েলকে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। এরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজায় আক্রমণাত্মক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং চুক্তির বিস্তারিত আলোচনার জন্য কায়রোতে একটি আলোচনা দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

শনিবার রাতের বিক্ষোভের আগে বন্দী ও নিখোঁজদের পরিবারের একটি ফোরাম এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন জানায়: “সমস্ত জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে আমরা দৃঢ়ভাবে পাশে রয়েছি।”

বিক্ষোভকারীদের আশাবাদ

বিক্ষোভে নামা এক ইসরায়েলি বৃদ্ধ বলেন, “যদি উভয় পক্ষই সত্যিই ট্রাম্পের নির্দেশ মেনে নেয়... তাহলে এখনই সময় যুদ্ধবিরতি, সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার এবং যুদ্ধ শেষ করার দিকে মনোনিবেশ করার।” তিনি আরও বলেন, “অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল, জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং যুদ্ধ শেষ করা অসম্ভব। কিন্তু এখনই সময় অসম্ভবকে সম্ভব করার।”


বিটকয়েন ইতিহাসে: মূল্য বাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ল ক্রিপ্টোকারেন্সি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৬:১৫:১৮
বিটকয়েন ইতিহাসে: মূল্য বাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ল ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন বাজারমূল্যের দিক থেকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। আজ রোববার মার্কিন বাজারে এর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৪৫ ডলার ৫৭ সেন্টে, যা প্রায় আগের দিনের চেয়ে ২.৭ শতাংশ বেশি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দাম বাড়ার কারণ

চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েনের দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৮০ ডলারে উঠেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো বিটকয়েন।

গত শুক্রবার টানা অষ্টম দিনের মতো দাম বেড়েছে বিটকয়েনের। এই বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে:

শেয়ারবাজারের উত্থান: যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে উত্থান।

ইটিএফ প্রবাহ: বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) প্রবাহ বৃদ্ধি।

ডলারের দুর্বলতা: শুক্রবার মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বড় মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর বহু সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন স্থানে নেমে আসে।

ব্লুমবার্গ লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য সরকারি অচলাবস্থার আশঙ্কায় বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই সময়ে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন।

ক্রিপ্টো প্রাইম ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ফ্যালকনএক্সের মার্কেট বিভাগের সহপ্রধান জোশুয়া লিমকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ লিখেছে, “শেয়ারবাজার, সোনা এমনকি পোকেমন কার্ডের মতো সংগ্রহযোগ্য জিনিসও যখন সর্বোচ্চ দামে পৌঁছাচ্ছে, তখন বিটকয়েন বাড়াটা অবাক করার মতো নয়। ডলারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা থেকেই এই প্রবণতা।”


ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তীব্র হুমকি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৪:১৯:৩৬
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তীব্র হুমকি
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক মন্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ তীব্র হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এইবার ইনশাআল্লাহ, ভারত তাদের যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচেই কবর দেওয়া হবে।” জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আসিফ বলেন, “৬-০ ব্যবধানে এমন পরাজয়ের পর যদি তারা আবার চেষ্টা করে, তাহলে এবার স্কোর আরও ভালো হবে।” তিনি যোগ করেন, ভারতের জনগণের মধ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে, যা নেতাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট।

সামরিক বাহিনীর কঠোর সতর্কতা

পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “পাকিস্তান আল্লাহর নামে নির্মিত রাষ্ট্র, আমাদের রক্ষাকর্তারা আল্লাহর সৈনিক। এইবার ভারত ইনশাআল্লাহ তাদের বিমানগুলোর ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়বে। আল্লাহু আকবর।”

ভারতের যুদ্ধ ঘোষণার মতো উসকানিমূলক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, উসকানিমূলক বক্তব্য আগ্রাসনের অজুহাত তৈরি করতে পারে এবং এর পরিণতি বিপর্যয়কর ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, নতুন করে বৈরিতা শুরু হলে কোনো ধরনের সংযম দেখানো হবে না। ভারত যদি পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেয় এবং বাস্তবে এমন পরিস্থিতি আসে, তাহলে তা পারস্পরিক হবে।

উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ

সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিমানবাহিনীর প্রধানের বক্তব্যকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয় দু’দেশের মধ্যে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান অমর প্রীত সিং দাবি করেন, মে মাসের সংঘাতে ভারত পাঁচটি পাকিস্তানি এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ শ্রেণীর যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

অন্যদিকে, বিজয়া দশমী উপলক্ষে গুজরাটের ভুজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে গিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার ক্রিক অঞ্চলের প্রসঙ্গ টেনে এনে পাকিস্তানকে বার্তা দেন। তিনি বলেন, স্যার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানের কোনো রকম দুঃসাহসিক কার্যকলাপ দেখলে তার কড়া জবাব দেবে ভারত, যার ফলে ইতিহাস-ভূগোল পর্যন্ত বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের।


‘বোমাবর্ষণ বন্ধের’ ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৭:৪৭:৫৪
‘বোমাবর্ষণ বন্ধের’ ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় ‘বোমাবর্ষণ বন্ধ’ করার কথা বলার পরও ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬৬ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭ জনসহ মোট ২৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়ল

আল জাজিরার শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই আহ্বানের পরও ইসরায়েল তীব্র হামলা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭,০৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১,৬৯,৪৩০ জন। ধারণা করা হচ্ছে, গাজাজুড়ে বিস্ফোরিত ভবনের বিশাল ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে।

হামাসের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি এই দলটি গাজার প্রশাসন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের হাতে হস্তান্তর করতে এবং সকল ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করতে সম্মত হয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়ায় তাদের নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তারা বলেছে, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক তারা।

পাঠকের মতামত: