ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২১:৪৫:৩৭
ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও গাজায় আজ ভোর থেকে দখলদার বাহিনী ১৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দুর্ভিক্ষ কবলিত অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

হামলা অব্যাহত, শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয়

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ অনুসরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইসরায়েল ধারাবাহিক সামরিক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

আনাদোলু এজেন্সিকে চিকিৎসা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দখলদার বাহিনী গাজার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর আবাসিক ভবন এবং তাঁবুগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

ট্রাম্পের আহ্বান ও মানবিক সংকট

এর আগে গত শুক্রবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন:

"হামাসের বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা প্রস্তুত। ইসরায়েলকে অবশ্যই অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা দ্রুত ও নিরাপদে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে পারি।"

তবে গতকাল শনিবার ট্রাম্প আরেকটি পোস্টে বলেন, ইসরায়েল সাময়িকভাবে বোমাবর্ষণ বন্ধ করেছে এবং তিনি তাদের সাধুবাদ জানান।

চলতি বছরের শুরুতে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করার কারণে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।


‘পশুর মতো আচরণ’: ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৭:২২:৫৫
‘পশুর মতো আচরণ’: ইসরায়েলে গ্রেটা থুনবার্গসহ কর্মীদের ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ
এএফপির ফাইল ছবি

ইসরায়েলে গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আটক কর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন মুক্ত হওয়া বিদেশি কর্মীরা। বন্দি শিবিরে জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া, জোর করে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো এবং তাকে ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) ইসরায়েল ফ্লোটিলার ১৩৭ কর্মীকে ইস্তাম্বুলে ফেরত পাঠায়। এদের মধ্যে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন।

গ্রেটাকে প্রচারণার হাতিয়ার

তুরস্কের সাংবাদিক এরসিন চেলিক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন, বন্দি শিবিরে গ্রেটাকে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়।

মালয়েশীয় কর্মীর অভিযোগ: মালয়েশীয় অধিকারকর্মী হাজওয়ানি হেলমি বলেন, “এটি ছিল ভয়াবহ। আমাদের পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে।” থুনবার্গকে ঠেলে সরানো হয় এবং পতাকা হাতে ঘোরানো হয়।

মার্কিন কর্মীর অভিযোগ: মার্কিন নাগরিক উইন্ডফিল্ড বিবার অভিযোগ করেন, থুনবার্গকে ‘ভয়াবহভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল’ এবং ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের প্রবেশের সময় তাকে প্রচারণার হাতিয়ার বানানো হয়।

খাদ্য ও পানি বঞ্চনা: উইন্ডফিল্ড বিবার দাবি করেন, আটক কর্মীদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়। তুরস্কের টিভি উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার জানান, তাদের কুকুরের মতো আচরণ করা হয়েছিল এবং টয়লেটের পানি খেতে বাধ্য করা হয়।

তুরস্কের আরেক কর্মী আয়সিন কানতোগ্লু জানান, তারা আটক কেন্দ্রে রক্তাক্ত দেওয়াল ও আগের বন্দিদের লেখা বার্তা দেখেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আসলে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার সামান্য অভিজ্ঞতা পেয়েছি।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন আদালাহ বলেছে, আটক কর্মীদের হাত জিপ-টাই দিয়ে বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়, ওষুধ দেওয়া হয়নি এবং আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগে বাধা দেওয়া হয়েছে।

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানিয়েছেন, ২৬ ইতালীয়কে বহিষ্কার করা হয়েছে, তবে এখনো ১৫ জন ইসরায়েলি হেফাজতে রয়েছেন। ইতালির সংসদ সদস্য আর্তুরো স্কোত্তো বলেন, “আইনসম্মত কাজ করছিল ফ্লোটিলায় থাকা মানুষজন; অবৈধ কাজ করেছে তারা, যারা গাজায় সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে।”

তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, আটক ব্যক্তিদের পানি, খাবার, টয়লেট এবং আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।


মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল তেল আবিব: জিম্মি মুক্তির দাবিতে হাজারো ইসরায়েলি, পাশে ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৭:০৭:০৩
মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল তেল আবিব: জিম্মি মুক্তির দাবিতে হাজারো ইসরায়েলি, পাশে ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন প্রস্তাব এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমর্থনে তেল আবিবের রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে অবশিষ্ট বন্দীদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভকারীরা 'এখন নয়তো কখনোই না' লেখা সম্বলিত বিশাল ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই ব্যানারের ছবি পোস্ট করে বিক্ষোভের বার্তাটি প্রতিধ্বনিত করেছেন।

নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের ভূমিকা

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ইসরায়েলকে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান। এরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজায় আক্রমণাত্মক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং চুক্তির বিস্তারিত আলোচনার জন্য কায়রোতে একটি আলোচনা দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

শনিবার রাতের বিক্ষোভের আগে বন্দী ও নিখোঁজদের পরিবারের একটি ফোরাম এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন জানায়: “সমস্ত জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতিতে আমরা দৃঢ়ভাবে পাশে রয়েছি।”

বিক্ষোভকারীদের আশাবাদ

বিক্ষোভে নামা এক ইসরায়েলি বৃদ্ধ বলেন, “যদি উভয় পক্ষই সত্যিই ট্রাম্পের নির্দেশ মেনে নেয়... তাহলে এখনই সময় যুদ্ধবিরতি, সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার এবং যুদ্ধ শেষ করার দিকে মনোনিবেশ করার।” তিনি আরও বলেন, “অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল, জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং যুদ্ধ শেষ করা অসম্ভব। কিন্তু এখনই সময় অসম্ভবকে সম্ভব করার।”


বিটকয়েন ইতিহাসে: মূল্য বাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ল ক্রিপ্টোকারেন্সি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৬:১৫:১৮
বিটকয়েন ইতিহাসে: মূল্য বাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ল ক্রিপ্টোকারেন্সি
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন বাজারমূল্যের দিক থেকে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। আজ রোববার মার্কিন বাজারে এর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৪৫ ডলার ৫৭ সেন্টে, যা প্রায় আগের দিনের চেয়ে ২.৭ শতাংশ বেশি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

দাম বাড়ার কারণ

চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে বিটকয়েনের দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৮০ ডলারে উঠেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো বিটকয়েন।

গত শুক্রবার টানা অষ্টম দিনের মতো দাম বেড়েছে বিটকয়েনের। এই বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে:

শেয়ারবাজারের উত্থান: যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে উত্থান।

ইটিএফ প্রবাহ: বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) প্রবাহ বৃদ্ধি।

ডলারের দুর্বলতা: শুক্রবার মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বড় মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দর বহু সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন স্থানে নেমে আসে।

ব্লুমবার্গ লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য সরকারি অচলাবস্থার আশঙ্কায় বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই সময়ে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন।

ক্রিপ্টো প্রাইম ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান ফ্যালকনএক্সের মার্কেট বিভাগের সহপ্রধান জোশুয়া লিমকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ লিখেছে, “শেয়ারবাজার, সোনা এমনকি পোকেমন কার্ডের মতো সংগ্রহযোগ্য জিনিসও যখন সর্বোচ্চ দামে পৌঁছাচ্ছে, তখন বিটকয়েন বাড়াটা অবাক করার মতো নয়। ডলারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা থেকেই এই প্রবণতা।”


ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তীব্র হুমকি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৪:১৯:৩৬
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তুঙ্গে: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তীব্র হুমকি
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক মন্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ তীব্র হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এইবার ইনশাআল্লাহ, ভারত তাদের যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচেই কবর দেওয়া হবে।” জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

আসিফ বলেন, “৬-০ ব্যবধানে এমন পরাজয়ের পর যদি তারা আবার চেষ্টা করে, তাহলে এবার স্কোর আরও ভালো হবে।” তিনি যোগ করেন, ভারতের জনগণের মধ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে, যা নেতাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট।

সামরিক বাহিনীর কঠোর সতর্কতা

পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “পাকিস্তান আল্লাহর নামে নির্মিত রাষ্ট্র, আমাদের রক্ষাকর্তারা আল্লাহর সৈনিক। এইবার ভারত ইনশাআল্লাহ তাদের বিমানগুলোর ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়বে। আল্লাহু আকবর।”

ভারতের যুদ্ধ ঘোষণার মতো উসকানিমূলক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, উসকানিমূলক বক্তব্য আগ্রাসনের অজুহাত তৈরি করতে পারে এবং এর পরিণতি বিপর্যয়কর ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, নতুন করে বৈরিতা শুরু হলে কোনো ধরনের সংযম দেখানো হবে না। ভারত যদি পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেয় এবং বাস্তবে এমন পরিস্থিতি আসে, তাহলে তা পারস্পরিক হবে।

উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ

সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিমানবাহিনীর প্রধানের বক্তব্যকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয় দু’দেশের মধ্যে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান অমর প্রীত সিং দাবি করেন, মে মাসের সংঘাতে ভারত পাঁচটি পাকিস্তানি এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ শ্রেণীর যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

অন্যদিকে, বিজয়া দশমী উপলক্ষে গুজরাটের ভুজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে গিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার ক্রিক অঞ্চলের প্রসঙ্গ টেনে এনে পাকিস্তানকে বার্তা দেন। তিনি বলেন, স্যার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানের কোনো রকম দুঃসাহসিক কার্যকলাপ দেখলে তার কড়া জবাব দেবে ভারত, যার ফলে ইতিহাস-ভূগোল পর্যন্ত বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের।


‘বোমাবর্ষণ বন্ধের’ ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৭:৪৭:৫৪
‘বোমাবর্ষণ বন্ধের’ ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের তীব্র হামলা
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় ‘বোমাবর্ষণ বন্ধ’ করার কথা বলার পরও ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬৬ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭ জনসহ মোট ২৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

নিহত ও আহতের সংখ্যা বাড়ল

আল জাজিরার শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই আহ্বানের পরও ইসরায়েল তীব্র হামলা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭,০৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১,৬৯,৪৩০ জন। ধারণা করা হচ্ছে, গাজাজুড়ে বিস্ফোরিত ভবনের বিশাল ধ্বংসাবশেষের নিচে আরও হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে।

হামাসের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি এই দলটি গাজার প্রশাসন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের হাতে হস্তান্তর করতে এবং সকল ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করতে সম্মত হয়েছে।

তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়ায় তাদের নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তারা বলেছে, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে অবিলম্বে শান্তি আলোচনায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক তারা।


জাতিসংঘ মহাসচিবের উৎসাহ: হামাসের সেই ঘোষণায় কী আছে, যা শান্তি ফেরাতে পারে?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:৩২:০৫
জাতিসংঘ মহাসচিবের উৎসাহ: হামাসের সেই ঘোষণায় কী আছে, যা শান্তি ফেরাতে পারে?
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার আলোকে জীবিত ও মৃত সকল ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। হামাসের এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, মহাসচিব হামাসের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এতে উৎসাহিত হয়েছেন। তিনি সব পক্ষকে গাজায় চলমান সংঘাত শেষ করার সুযোগটি গ্রহণ করার আহ্বান জানান এবং কাতার ও মিশরকে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

জাতিসংঘের আহ্বান ও ইসরায়েলের প্রস্তুতি

ডুজারিক বলেন, মহাসচিব তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন—তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সকল বন্দির তাত্ক্ষণিক ও শর্তহীন মুক্তি এবং অবাধ মানবিক সহায়তার নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে, যাতে আরও বেশি দুর্ভোগ রোধ করা যায়।”

হামাসের পক্ষ থেকে ইতিবাচক জবাব আসার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল এখন ‘সব জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্ত করার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে প্রস্তুত’।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আমরা প্রেসিডেন্ট ও তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাব, যাতে যুদ্ধের সমাপ্তি ইসরায়েলের নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে হয়—যা ট্রাম্পের যুদ্ধ শেষ করার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” হামাস একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও প্রশাসনিক হস্তান্তর নিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহও জানিয়েছে।


ইসরায়েলের নাম টেনে ইরানে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:০০:৩০
ইসরায়েলের নাম টেনে ইরানে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

ইরান বিতর্কিত বিচারের মাধ্যমে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে চার নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন ধর্মীয় ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ ছিল। শনিবার (৪ অক্টোবর) দণ্ড কার্যকরের পর দেশটির বিচার বিভাগের সংবাদ সংস্থা মিজান এই তথ্য জানিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পরিচয়

রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের খোররামশাহরে সশস্ত্র ও বোমা হামলা চালানোর অভিযোগে ছয়জন জাতিগত আরব বিচ্ছিন্নতাবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই হামলায় চারজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছিলেন।

এছাড়া, সপ্তম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন সামান মোহাম্মদী খিয়ারেহ, যিনি একজন কুর্দি। ২০০৯ সালে কুর্দিশ শহর সানন্দজে সরকারপন্থী সুন্নি মামুস্তা শেখ আল-ইসলামকে হত্যার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

মিজান জানিয়েছে, এই ব্যক্তিদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।

জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি নিপীড়ন

অধিকার গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তেহরান নিয়মিতভাবে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ভিন্নমত পোষণকারীকে স্বদেশী না বলে বিদেশি-সমর্থিত হিসেবে চিত্রিত করে আসছে। মূলত ভিন্নমতের বিরোধীদের হত্যাকে বৈধতা দিতেই সরকার এই কৌশল অবলম্বন করে।

বিশেষ করে মোহাম্মদী খিয়ারেহের মামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হত্যার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বা ১৬ বছর। তাকে ১৯ বছর বয়সে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাকে আটক রাখা হয়েছিল। অধিকার কর্মীরা বলেছেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে নির্যাতনের মাধ্যমে সংগৃহীত স্বীকারোক্তির ওপর নির্ভর করে। এ ধরনের চর্চা ইরানি আদালতগুলোতে নিয়মিতভাবে হয়ে আসছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ইরানি কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত ১,০০০ জনেরও বেশি লোককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, যা কমপক্ষে ১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ বার্ষিক সংখ্যা। তাদের প্রায় সবাইকে ইসরায়েলের এজেন্ট বা বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।


ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, নিখোঁজ আরও ৪৯

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১২:১৫:২৪
ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, নিখোঁজ আরও ৪৯
ছবিঃ সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ স্কুল ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। এখনো অন্তত ৪৯ জন শিক্ষার্থী ও কর্মী নিখোঁজ, যাদের উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (BNPB) প্রধান সুআরিয়ান্তো।

গত সোমবার বিকেলে নামাজের সময় হঠাৎ করেই বহু-তলা বোর্ডিং স্কুলটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে। ধসের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুরো ভবনটি মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

শুক্রবার পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা নয়টি নতুন লাশ উদ্ধার করেন, যা মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। শনিবার গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে সুআরিয়ান্তো বলেন, “আমরা এখনো নিখোঁজ ৪৯ জনকে খুঁজে যাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপে আরও মরদেহ পাওয়া যাবে।”

উদ্ধারকাজে শুরুতে শুধুমাত্র হাতে খোঁজ চালানো হলেও, ৭২ ঘণ্টার ‘গোল্ডেন পিরিয়ড’ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুমতি দেন নিখোঁজদের পরিবার। শনিবার থেকে একাধিক এক্সকাভেটর ও বুলডোজার ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ অত্যন্ত জটিল, কারণ এক জায়গায় কম্পনের প্রভাব অন্য জায়গার ধ্বংসস্তূপকেও নড়বড়ে করে তুলতে পারে।

এই দুর্ঘটনার তদন্তে প্রাথমিকভাবে অমানক নির্মাণকাজকেই দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবন নির্মাণে মান বজায় রাখা হয়নি বলেই এত ভয়াবহ ধসের ঘটনা ঘটতে পারে। এরই মধ্যে তদন্ত টিম ভবনের স্থাপত্য ও নির্মাণ ইতিহাস খতিয়ে দেখছে।

উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলেছিল মঙ্গলবার রাতে হওয়া একটি ভূমিকম্প, যা কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য করে কর্তৃপক্ষকে। তবে বর্তমানে উদ্ধার অভিযান পূর্ণমাত্রায় চলছে এবং ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে নিখোঁজদের খুঁজে বের করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।

-হাসানুজ্জামান


আর্জেন্টিনায় তিন কিশোরী হত্যা: মূলহোতা পেরুতে আটক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১১:২৮:৩৯
আর্জেন্টিনায় তিন কিশোরী হত্যা: মূলহোতা পেরুতে আটক
ছবিঃ সংগৃহীত

আর্জেন্টিনায় নৃশংস তিন কিশোরী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত এক ব্যক্তিকে পেরুর আদালত শুক্রবার প্রতিরোধমূলক হেফাজতে পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন—২০ বছর বয়সী কাজিন মোরেনা ভার্দি ও ব্রেন্ডা দেল কাস্তিয়ো এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সী লারা গুতিয়েরেস। গত সপ্তাহে বুয়েনস আইরেসের দক্ষিণাঞ্চলীয় এক বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আদালত জানায়, অভিযুক্ত টোনি ভালভার্দে (২০), যিনি “লিটল জে” নামে পরিচিত, তিনি পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই তাকে অন্তত নয় মাসের জন্য হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতক্ষণ না আর্জেন্টিনার প্রত্যর্পণ আবেদনের নিষ্পত্তি হয়।

তদন্তকারীরা জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিন তরুণীকে এক ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা ধারণা করেছিল, একটি পার্টিতে যোগ দিতে যাচ্ছে। কিন্তু পরে জানা যায়, স্থানীয় মাদক পাচারকারীরা তাদের প্রতারণার মাধ্যমে ডেকে নেয়। আর্জেন্টিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এই হত্যাকাণ্ডটি সরাসরি একটি বন্ধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদক চুরির অভিযোগে তাদের শাস্তিস্বরূপ এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

কিছু আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই পার্টিতে তাদের যৌনকর্মী হিসেবে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। নিহত ব্রেন্ডা ও মোরেনার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, জীবিকার জন্য তারা মাঝে মাঝে এ ধরনের কাজে যুক্ত হতো, যদিও পরিবার তা জানত না।

এই হত্যাকাণ্ড আর্জেন্টিনায় ব্যাপক জনরোষের সৃষ্টি করেছে। গত সপ্তাহান্তে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।

ভালভার্দে বুয়েনস আইরেসের জাভালেতা এলাকায় একটি মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিতেন বলে সন্দেহ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে তার আইনজীবী মার্কোস সান্দোভাল দাবি করেছেন, ভালভার্দে নির্দোষ। তিনি আর্জেন্টিনায় কেবল ব্লুবেরি সংগ্রহ ও মোজা বিক্রির মতো কাজ করতেন।

গত মঙ্গলবার পেরুর লিমার দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পুকুসানায় ভালভার্দেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার এক সহযোগী মাতিয়াস ওসোরিও (২৮)-এর সঙ্গে। বৃহস্পতিবার ওসোরিওকে ইতোমধ্যে আর্জেন্টিনায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আর্জেন্টিনায় ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

-হাসানুজ্জামান

পাঠকের মতামত: