দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজসহ ১৭ জন

সত্য নিউজ:
সরকারি ঋণের নামে কোটি কোটি টাকা তছরুপ, দুর্নীতি ও আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামসহ দেশের বিশিষ্ট ১৭ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই আদেশ শনিবার (১৮ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের দুটি পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে দেন।
এই সিদ্ধান্তটি দেশের আর্থিক খাতের বড় কেলেঙ্কারির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, এতে যুক্ত রয়েছে ব্যাংক, গার্মেন্টস শিল্প এবং একাধিক প্রভাবশালী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা।
দুদক জানিয়েছে, সাতটি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নেয়ার আড়ালে মোট ৪৭৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে টিএনজি গ্রুপ, অলিম্পিক ফ্যাশন, ম্যাক্সিম এক্সপো, খান টেক্স ফ্যাশন, ডুকাটি অ্যাপারেলস—সবগুলো প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা এই অভিযোগে জড়িত।
এই চক্রটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে ঋণ গ্রহণের নামে কোটি কোটি টাকা সরিয়ে ফেলে। অনেকেই এই অর্থ বিদেশে পাচার করে দিয়েছে বলেও তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, যার কোনো বৈধ উৎস প্রমাণিত হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান আদালতে আবেদনে বলেন, এই সম্পদের উৎস অনুসন্ধান চলছে, এবং তিনি যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। সে সম্ভাবনা প্রতিরোধে এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা বাকি ব্যক্তিরা হচ্ছেন: প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক এমডি রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আবসার। টিএনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহিদা হোসেন ও এমডি শাহাদাৎ হোসেন শামীম। ম্যাক্সিম এক্সপো অ্যাপারেলের এমডি শফিকুর রহমান। অলিম্পিক ফ্যাশনের এমডি গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মাওলা মজুমদার, রেদওয়ান বিন কিবরিয়া ও রিফাত বিন কিবরিয়া। টিআরজেড গার্মেন্টসের পরিচালক হারুন অর রশীদ, নাসিমা রশীদ। খান টেক্স ফ্যাশনের চেয়ারম্যান হোসেন খান, এমডি হুমায়ুন কবীর সেলিম, পরিচালক লুবনা কবীর সেলিম, সিফাত হোসেন খান। ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ, এমডি খায়ের মিয়া।
দুদক মনে করে, যদি এই ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যান, তাহলে লন্ডারিং হওয়া অর্থ উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। এছাড়া তাদের অনুপস্থিতিতে তদন্তও বাধাগ্রস্ত হবে। তাই আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হলে রাষ্ট্রের আর্থিক নিরাপত্তা ও বিচারব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
এই আদেশের পর সংশ্লিষ্টদের নাম ইমিগ্রেশন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এর ফলে তাদের পাসপোর্ট স্ক্যান করলেই সিস্টেমে ‘অ্যালার্ট’ চলে আসবে এবং তাদের বিদেশ যাত্রা বন্ধ হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- বাহরাইনেরমানামায় বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন, নেতৃত্বে আক্তার হোসেন
- বাহরাইনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণ: গ্যালালী শাখায় নতুন নেতৃত্ব
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় হঠাৎ বিরতি: যুক্তরাষ্ট্র কি নতুন কৌশল নিচ্ছে?
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ