ইসরায়েলকে প্রযুক্তি সেবা দেওয়া নিয়ে মুখ খুলল মাইক্রোসফট

গাজা যুদ্ধ ঘিরে প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা নিয়ে সমালোচনার মুখে অবশেষে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে—যার আওতায় সফটওয়্যার, ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সেবা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি জোর দিয়ে বলেছে, এই প্রযুক্তি গাজায় বেসামরিক মানুষের ক্ষতির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়নি।
মাইক্রোসফট জানায়, গাজা পরিস্থিতি ঘিরে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে অভিযোগের পর তারা অভ্যন্তরীণ তদন্তের পাশাপাশি একটি নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষকে নিয়োগ দেয়। সাক্ষাৎকার ও নথিপত্র পর্যালোচনার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, এজুর (Azure) ক্লাউড বা এআই প্রযুক্তি গাজা পরিস্থিতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হয়েছে।
সামরিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার
বিবৃতিতে মাইক্রোসফট পরিষ্কার করে জানায়, তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য কোনো গোয়েন্দা নজরদারি বা আক্রমণমূলক সামরিক সফটওয়্যার তৈরি করেনি। এ ধরনের সফটওয়্যার সাধারণত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে তৈরি হয় এবং মাইক্রোসফট তার ব্যবসায়িক নীতিমালার বাইরে গিয়ে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি।
‘সীমিত জরুরি সহায়তা’ এবং নৈতিক ভারসাম্য
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি সরকারের অনুরোধে মাইক্রোসফট ‘সীমিত জরুরি সহায়তা’ প্রদান করেছে, যা ছিল মূলত জিম্মিদের উদ্ধার প্রচেষ্টায় প্রযুক্তিগত সহায়তা। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, সব অনুরোধ গ্রহণ করা হয়নি, বরং মানবাধিকার ও গোপনীয়তার দিক বিবেচনা করে কিছু অনুরোধ অনুমোদন, কিছু প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
নজরদারির সীমা ও দায়বদ্ধতা
মাইক্রোসফট বলছে, তাদের প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা তারা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না, বিশেষ করে ক্লায়েন্টদের নিজস্ব সার্ভার বা ডিভাইসে। এমনকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্লাউড অপারেশনগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হয় অন্যান্য ক্লাউড প্রোভাইডারদের মাধ্যমে।
মানবাধিকার প্রতিশ্রুতির পুনর্ব্যক্তি
সমালোচনার প্রেক্ষিতে মাইক্রোসফটের বিবৃতিটি বিশেষজ্ঞদের মতে একটি কৌশলগত আত্মপক্ষ সমর্থন, যা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উপর ক্রমবর্ধমান জনমত ও কর্মীচাপের প্রেক্ষাপটে এসেছে। বিবৃতির শেষ অংশে প্রতিষ্ঠানটি তাদের মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, "আমাদের জ্ঞানের ভিত্তিতে আমরা বিশ্বাস করি, ইসরায়েল ও গাজা উভয় ক্ষেত্রেই মাইক্রোসফট তার নীতিমালা অনুসরণ করেছে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেছে।"
এই বিবৃতি প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য শুধুমাত্র নৈতিক দায় এড়ানোর কৌশল নয়, বরং একটি স্পষ্ট বার্তা যে, বিশ্ব রাজনীতির জটিল প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তির ব্যবহার এখন শুধু বাণিজ্য নয়, নৈতিক অবস্থানেরও অংশ।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০৫ কোটি টাকার লোকসান
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- নারীকে লাথি মারা আকাশ চৌধুরী জামায়াতের কর্মী ছিলেন, বহিষ্কার করল দল
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম