নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি

ইরানের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল চুক্তি সই করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কর্পোরেশন রোসাটম। এই চুক্তির আওতায় ইরানে চারটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। রোসাটম এই প্রকল্পটিকে ‘কৌশলগত’ বলে বর্ণনা করেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এই খবর জানিয়েছে। গত বুধবার মস্কোতে অ্যাটম এক্সপো-২০২৫ প্রদর্শনীতে এই চুক্তিটি সই হয়।
নিষেধাজ্ঞার চাপ সত্ত্বেও চুক্তি
ইউরোপীয় দেশগুলো যখন ইরানের ওপর ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির তথাকথিত ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করেছে এবং পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক তখনই এই চুক্তি সই হলো। মস্কোর জাতিসংঘের দূত এই ‘স্ন্যাপব্যাক’ পদ্ধতিকে অবৈধ এবং আইনি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।
আইআরএনএ জানিয়েছে, জেনারেশন ৩ প্ল্যান্টগুলো দক্ষিণ-পূর্ব হরমোজগান প্রদেশের সিরিক অঞ্চলে ৫০০ হেক্টর জমিতে নির্মিত হবে। এই কেন্দ্রগুলো থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি
রোসাটম প্রধান আলেক্সি লিখাচেভ এবং ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামির মধ্যে এই চুক্তি সই হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতার প্রতি দুই দেশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। মোহাম্মদ ইসলামি রুশ সংবাদমাধ্যম আরটিকে বলেছেন, বিদেশি চাপ নির্বিশেষে ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
বর্তমানে ইরান শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুশেহরে একটি রাশিয়ার তৈরি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করছে, যার ক্ষমতা ১ গিগাওয়াট। ইরান দাবি করে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো উদ্দেশ্য নেই।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ইরান
ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে তেহরান। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরামর্শের জন্য রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রায় এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর জাতিসংঘের প্রত্যাহারকৃত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হলো। আর এই পদক্ষেপের পেছনে ইউরোপীয় এই তিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল। নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বিলটি পাস হওয়ার একদিন আগে রাশিয়া ও চীনের আনা স্থগিতের প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সমর্থন পায়নি।
নিটষেধাজ্ঞার কারণ ও প্রভাব
নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালকারী দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে যথেষ্ট স্বচ্ছতা দেখায়নি। বিশেষ করে জুন মাসের ১২ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তির খেলাপ ছিল।
জানা গেছে, পুনর্বহাল হওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে। এর আওতায় ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক, সামরিক, ব্যাংকিং ও শিপিং শিল্পে বৈশ্বিক সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যাবে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে; ইতোমধ্যে ইরানের মুদ্রা রিয়ালের দরপতন শুরু হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া
নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই চাপকে ব্যবহার করে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের ওপর আঘাত করতে চাইছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ সমাধানের উদ্দেশ্য থাকলে আমরা সহজেই তা করতে পারতাম।” তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে আরও বলেন, তারা ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোকে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ইরানের কিছু স্থানে পরিদর্শন কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে এই পরিদর্শনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের শিকার সাইটগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গাজা পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে স্পেন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে আরও একটি বড় অস্ত্রচুক্তি বাতিল করেছে স্পেন। সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাতিল হওয়া এই চুক্তির মোট মূল্য ২০৭ মিলিয়ন ইউরো। এ নিয়ে এটি তৃতীয়বারের মতো বড় অস্ত্রচুক্তি বাতিলের ঘটনা।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে মাদ্রিদ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের ইসরায়েলি রকেট লঞ্চার ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছিল। স্পেন সরকার জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র চুক্তি নিষিদ্ধকরণের তাদের বিস্তৃত নীতির অংশ। গাজার পরিস্থিতির কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোই এর মূল লক্ষ্য।
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর অবস্থান
প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইতোমধ্যেই নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে স্পেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। এর মধ্যে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিষিদ্ধকরণ আইনকে আরও শক্তিশালী করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন কোনো অস্ত্র চুক্তি না করা অন্তর্ভুক্ত।”
গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সভায় সব ধরনের প্রতিরক্ষা সামগ্রী, প্রযুক্তি ও পণ্যের ইসরায়েল সম্পর্কিত আমদানি-রপ্তানি স্থগিত রেখে সম্পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। অর্থমন্ত্রী কার্লোস কুয়ের্পো বলেন, “এই সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত, যা ইসরায়েলের ওপর ব্যাপক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্পেনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর একটি দৃঢ় ও সুস্পষ্ট বার্তা বহন করছে। তারা মনে করেন, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষা ও সংঘাত নিয়ন্ত্রণে স্পেনের কূটনৈতিক ভূমিকার শক্তিশালী প্রমাণ।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
“ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে বক্তব্য দিতে গিয়ে মার্কিন সেনাদের ‘আদেশ অমান্য করার আহ্বান’ জানানোর অভিযোগে ওয়াশিংটন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, “পেত্রোর বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁর ভিসা বাতিল করা হবে।” এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সেনাদের বিদ্রোহে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় পেত্রো এক সমাবেশে বলেন,
“আমি মার্কিন সেনাদের বলছি—মানুষের দিকে অস্ত্র তাক করবেন না। (সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড) ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না, মানবতার আদেশ মানুন।”
পেত্রোর কার্যালয় বা কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে মঙ্গলবার জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময়ও পেত্রো যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, গাজায় হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা “গণহত্যার সহযোগীতা” এবং এ জন্য মার্কিন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার হওয়া উচিত। এছাড়া তিনি ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা ধ্বংসের ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শুক্রবার তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে দেখা যায়, তিনি নিউইয়র্কে প্রো-প্যালেস্টাইন সমাবেশে নিজের বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এক পোস্টে পেত্রো লিখেছেন,
“প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো। গাজা পতন হলে মানবতাও ধ্বংস হবে।”
ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের কড়া সমালোচক পেত্রো এরই মধ্যে দেশ থেকে ইসরায়েলে কয়লা রপ্তানি স্থগিত করেছেন।
-নাজমুল হাসান
ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতের ওষুধ খাত। এই ঘোষণার পর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামনের সারির ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বড় পতন ঘটেছে। তবে ভারতীয় সংগঠনগুলো দাবি করেছে, জেনেরিক ওষুধগুলো এই শুল্কের আওতার বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসবে, যদি না কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কারখানা তৈরি করে।
শেয়ারবাজারে পতন
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর শুক্রবার ওকহার্ডের শেয়ার দর কমেছে ৯.৪ শতাংশ, ইন্ডোকো রেমেডিজ ৫.৩৫ শতাংশ, জাইডাস লাইফসায়েন্সেস ৪.২১ শতাংশ, গ্লেনমার্ক ফার্মা ২.৯৯ শতাংশ ও সান ফার্মা ২.৫৫ শতাংশ। এছাড়া লুপিন, ডক্টর রেড্ডি’স এবং অরবিন্দো ফার্মা-এর মতো বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরও কমেছে। সার্বিকভাবে সেন্সেক্স ও নিফটির শেয়ার দরও কমেছে।
জেনেরিক ওষুধ নিয়ে ভারত আশাবাদী
বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হলেও ভারতীয় ওষুধ শিল্প সংগঠনগুলো এই প্রভাবকে গুরুতর মনে করছে না। ভারতের ২৩টি শীর্ষ ওষুধ কোম্পানির সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্স’ (আইপিএ) জানিয়েছে, এই শুল্ক জেনেরিক ওষুধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আইপিএর মহাসচিব সুধর্ষণ জৈন বলেন, আইপিএ-এর অন্তর্ভুক্ত সান ফার্মা, ডক্টর রেড্ডি’স, লুপিন ও জাইডাসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান রপ্তানি হলো জেনেরিক ওষুধ।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা রপ্তানি প্রচার পরিষদ ফার্মেক্সিল জানিয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মোট ওষুধের প্রায় ৪৭ শতাংশ সরবরাহ করে, যার বড় অংশই কম দামি জেনেরিক। পরিষদের চেয়ারম্যান নমিত জোশি দাবি করেন, এই শুল্ক ভারতের রপ্তানিতে তাত্ক্ষণিক প্রভাব ফেলবে না, কারণ ভারতীয় বড় কোম্পানিগুলোর অনেকেরই যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বা প্যাকেজিং ইউনিট রয়েছে।
ভবিষ্যৎ ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র যদি জেনেরিক আমদানিকেও লক্ষ্যবস্তু করে, তবে ঝুঁকি তৈরি হবে। জিওজিত ইনভেস্টমেন্টসের ড. ভি কে বিজয়কুমার বলেন, যদিও এখন ভারত নিরাপদ, তবে হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে জেনেরিক ওষুধ।
তবে অনেকে মনে করেন, ভারতের জায়গা সরিয়ে ফেলা সহজ হবে না। ওয়েলথমিলসের ক্রান্তি বাথিনি বলেন, এত বড় পদক্ষেপ রাতারাতি কার্যকর করা সম্ভব নয়। ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক মানের কারখানা চালায় এবং এরই মধ্যে মার্কিন এফডিএ অনুমোদিত। এই সাপ্লাই চেইনকে প্রতিস্থাপন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে ট্রাম্পের দেওয়া এক অভ্যর্থনা নৈশভোজে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের সাক্ষাতের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।
ছবিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূস এবং তার মেয়ে দীনা ইউনূসকে দেখা যায়। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে আগত বিশ্বনেতাদের সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
‘নেতারা প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে প্রশংসা করেন’: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
বিভিন্ন দেশের নেতারা জনসমক্ষে ইসরায়েলের সমালোচনা করলেও গোপনে তাদের কাছে প্রশংসা করেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বনেতাদের ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই তিনি এই ভাষণ দেন।
নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার জন্য মঞ্চে গেলে অনেক দেশের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে অধিবেশনকক্ষ ত্যাগ করেন। গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলোও সমালোচনা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশগুলো।
‘আপনারা জানেন, ইসরায়েল আপনাদের জন্যই লড়ছে’
জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ভেতরে–ভেতরে ঠিকই জানেন, ইসরায়েল আসলে আপনাদের জন্যই লড়াই করছে।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “প্রকাশ্যে আমাদের নিন্দা করলেও অনেক নেতাই গোপনে আমাদের ধন্যবাদ দেন। তাঁরা আমাকে এসে ইসরায়েলের গোয়েন্দা পরিষেবা কতটা চমৎকার, সেটা বলেন; যা বারবার তাঁদের রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়েছে, অগণিত জীবন বাঁচিয়েছে।”
যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সক্ষমতা কমলেও তারা এখনও হুমকি হয়ে আছে এবং তারা ৭ অক্টোবরের নৃশংসতা পুনরাবৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের জনগণের দৃঢ়তা, সেনাদের সাহস ও সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য ইসরায়েল অন্ধকারতম দিন থেকে ফিরে এসেছে এবং ইতিহাসের অন্যতম চমকপ্রদ সামরিক প্রত্যাবর্তনের নজির স্থাপন করেছে।”
তিনি লেবাননের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্ভব বলে মন্তব্য করেন, যদিও গত নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, ইসরায়েল বারবার তা লঙ্ঘন করছে।
নেতানিয়াহু তাঁর ভাষণের শেষ দিকে গাজায় চলমান যুদ্ধ আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমাদের এই জয় ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তিকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত ও বিস্তৃত করবে।”
জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক, বিক্ষোভ ও বর্জন
ফিলিস্তিনে চলমান আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাঁর বক্তব্য শুরু হতেই আরব ও মুসলিম দেশগুলোর পাশাপাশি আফ্রিকার ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা বিক্ষোভ জানিয়ে অধিবেশন কক্ষ বর্জন করেন।
ওয়াকআউট ও নিউইয়র্কে বিক্ষোভ
শুক্রবার অধিবেশনে নেতানিয়াহু মঞ্চে উঠতেই উপস্থিত অনেক প্রতিনিধি ওয়াকআউট করেন। কক্ষের সামনের আসনগুলো ফাঁকা হয়ে যায় এবং উপস্থিত অনেকে হাততালি দিয়ে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন জানান। একই সময়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাইরে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়। ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি প্রবাসীরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশে অংশ নেন। এর আগে নেতানিয়াহু ম্যানহাটানের হোটেলে অবস্থানকালে বিক্ষোভকারীরা “যুদ্ধ বন্ধ করুন” স্লোগান দেন এবং সামরিক সমাধানের পরিবর্তে রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানান।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে সাফাই
নেতানিয়াহুর ভাষণের বড় অংশজুড়ে ছিল গাজায় ইসরায়েলের অভিযান। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েল জাতিগত নিধনের সঙ্গে জড়িত নয়, বরং হামাস বেসামরিক মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। জাতিসংঘের স্বাধীন কমিশনের তদন্তে উল্টো অভিযোগ ওঠার পরও তিনি একে ‘মিথ্যা প্রচার’ বলে আখ্যা দেন। একই সঙ্গে তিনি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন এবং ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার তুলনা টেনে ২০০১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে মিল খোঁজেন।
আন্তর্জাতিক নিন্দা ও আইনি চাপে ইসরায়েল
ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে জাতিগত নিধনের মামলা করেছে। আইসিসি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ কারণেই তাঁর উড়োজাহাজ ফ্রান্সের আকাশসীমা এড়িয়ে উড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়, তাই সেখানে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই। এবারের অধিবেশনে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক প্রকাশ্যে নেতানিয়াহুকে আইসিজেতে তোলার দাবি করেন।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ অধিবেশন শুরুর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমানে ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৫৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির সমালোচনা করে বলেন, এটি ইহুদিদের ওপর হামলা বাড়িয়ে দেবে এবং দেশগুলো ‘মারাত্মক ভুল’ করেছে।
গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ
নেতানিয়াহুর ভাষণের সময়ই গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত ৪৭ জন নিহত হন, যাঁদের মধ্যে শিশুও ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখের বেশি আহত হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে আলোচনায় টনি ব্লেয়ার
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এ প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে প্রশাসনের প্রধান করার বিষয় আলোচনায় এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে। জাতিসংঘের সহায়তা এবং আরব দেশগুলোর সহযোগিতায় এ প্রশাসন গঠিত হলে তা পরবর্তী সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
মেয়ের লাশ ২০ বছর ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন মা
নিজের মেয়ের লাশ দুই দশক ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন এক মা। এ ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী ওই মাকে গ্রেফতার করেছে জাপানি পুলিশ। ঘটনার স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাপানি পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাপানের ইবারাকি প্রিফেকচারের একটি বাড়ির ডিপ ফ্রিজার থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কেয়কো মোরি পুলিশকে জানিয়েছেন, লাশটি তার মেয়ে মাকিকোর, যার জন্ম ১৯৭৫ সালে এবং যদি তিনি জীবিত থাকতেন, তাহলে আজ তার বয়স হতো ৫০ বছর।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, লাশটি অনেকাংশেই পচে গিয়েছিল, তবে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্ত করা হবে।
লাশ রাখার কারণ
পুলিশ জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মোরি একজন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে নিজেই পুলিশের কাছে যান এবং জানান যে, তিনি তার মেয়ের লাশ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছেন। পুলিশ মোরিকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে দেখে, টি-শার্ট ও অন্তর্বাস পরিহিত লাশটি হাঁটু গেড়ে মুখ নিচু করা অবস্থায় ফ্রিজারের ভেতর রাখা আছে।
গ্রেফতারকৃত মোরি তদন্তকারীদের বলেছেন, লাশের দুর্গন্ধে পুরো বাড়ি ভরে যাচ্ছিল। তাই তিনি একটি ফ্রিজার কিনে মেয়ের লাশ তাতে রেখে দেন। মোরির একাধিক সন্তান ছিল এবং তার স্বামী এই মাসের শুরুর দিকে মারা গেছেন। এরপর থেকে তিনি একাই বসবাস করছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ইসরায়েলের তেল আবিবে গাড়ি বিস্ফোরণ
ইসরায়েলের তেল আবিবে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) একটি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এটিকে ‘অপরাধমূলক ঘটনা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘটনার পর লা গার্ডিয়া স্ট্রিটের একাংশে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিস্ফোরণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণে কিছু মানুষ আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
- নিষেধাজ্ঞার মুখেও ইরান-রাশিয়া পারমাণবিক চুক্তি
- বিসিবি নির্বাচন: তামিম-বুলবুল সমঝোতায় জটিলতা, আলোচনায় ফাটল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ ফাইনাল: টাইব্রেকারে থামল বাংলাদেশের স্বপ্ন
- আওয়ামী লীগ তাদের পাচার করা অর্থ দিয়ে টোকাই দিয়ে মিছিল করাচ্ছে: সারজিস
- ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নামলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক
- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠাল ইরান
- গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান
- সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে পারলেই পর্যটন টিকে থাকবে: রিজওয়ানা হাসান
- ফ্যাসিবাদী দালাল মিডিয়ার প্রয়োজন নেই: রিজভী
- ‘৬-০’ কটাক্ষের জেরে হারিস রউফকে জরিমানা করল আইসিসি
- গোপনে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন সেলেনা গোমেজ ও বেনি ব্লাঙ্কো
- গাজা পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে স্পেন
- পটুয়াখালীতে বিরল কালো পোয়া মাছ ধরা পড়ায় বাজারে ভিড়
- অসহায় বৃদ্ধের চুল-দাড়ি জোর করে কেটে দেওয়ায় মামলা
- পর্যটন দিবসে কক্সবাজার: উৎসবে আমেজ, সেন্টমার্টিন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- মেটা আনছে নতুন চমক: সামাজিক মাধ্যমে থাকার জন্য এবার কি অর্থ দিতে হবে?
- ‘বেআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয়’: সিইসি
- চলতি মাসে তৃতীয়বার: দেশে ফের ভূমিকম্প
- অন্তর্বর্তী সরকার ‘ছেঁড়া জুতো পায়ে হাঁটছে’: সাইফুল হক
- রাশেদ খান: ‘পিআর হলে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে’
- খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
- বিসিবি নির্বাচনে লড়ছেন আসিফ আকবর
- অস্কারে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে লিসা গাজীর ‘বাড়ির নাম শাহানা’
- আর কখনো পচা নির্বাচন হবে না: ইসি সানাউল্লাহ
- ‘ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর রাস্তায় নামতে হবে না’: ডা. শফিকুর রহমান
- “ট্রাম্পের আদেশ মানবেন না”—বিতর্কে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
- “আমরা আপনার পাশে আছি”—নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্তা প্রধান উপদেষ্টাকে
- রেকর্ড গড়ে বায়ার্নের শততম গোল করলেন হ্যারি কেন
- শিরোপা ধরে রাখতে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ তরুণরা
- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- গান ছাড়লেন তাহসান, ফাটল কি মিথিলা-সৃজিতের সংসারেও?
- ‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
- আজ দুপুর পর্যন্ত দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- ট্রাম্পের ১০০% শুল্কে ধাক্কা খেল ভারতীয় ওষুধ খাত
- ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
- ‘নেতারা প্রকাশ্যে নিন্দা করলেও গোপনে প্রশংসা করেন’: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
- ‘আমরা চোর-ডাকাতদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না’: মুফতি ফয়জুল করীম
- ড. ইউনূসের আহ্বান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হোক মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়ায়
- নির্বাচন নিয়ে আর সংশয় নেই: মির্জা ফখরুল
- নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে ভিন্ন কৌশলে বিএনপি-জামায়াত
- বিসিবি নির্বাচন: সমঝোতা প্রস্তাব ঘিরে তামিমের বাসায় রাতের বৈঠক
- জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক, বিক্ষোভ ও বর্জন
- ডঃ ইউনূসের জাতিসংঘ ভাষণ: নির্বাচন, সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের বার্তা
- ‘নিখোঁজ’ মামুনুর রশিদকে দ্রুত ফেরত চান জামায়াত আমির
- সারজিস আলম: ‘খুনি হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’
- পাকিস্তানকে হারানোর মিশনে দারুণ শুরু বাংলাদেশের, চাপে পাকিস্তান
- ‘আর জীবনে ইন্টারনেট দেব না’: ইনু-শেখ হাসিনার কথোপকথন
- সিলেটে ডিসি অফিস ঘেরাও, নগরভবনে ইটপাটকেল: রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- অঘোষিত সেমিফাইনাল: টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!