গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৯:২২:১৬
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী গাজার পরিকল্পনা নিয়ে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মুসলিম নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা হবে তার।

ট্রাম্পের বৈঠকের এজেন্ডা

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা হবে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান।

সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এবং চ্যানেল-১২-কে আরব ও ইসরায়েলি কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে- ভবিষ্যতে গাজা থেকে কীভাবে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে, গাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মুসলিম নেতাদের সেনা পাঠানো নিয়ে তার চাওয়া এবং কিভাবে গাজা পুনর্গঠন এবং এর অর্থ আসবে সেগুলো নিয়ে ট্রাম্প আলোচনা করতে পারেন।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তো গতকাল সোমবার ফ্রান্স ও সৌদির আয়োজিত সম্মেলনে বলেছিলেন, গাজায় তার দেশ শান্তিরক্ষী পাঠাতে প্রস্তুত আছে।

ফিলিস্তিন অথরিটির ভূমিকা ও হামাসের বর্জন

ট্রাম্প যে পরিকল্পনা নিয়ে মুসলিম নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এতে ফিলিস্তিন অথরিটি (পিএ)-কে কিছু দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গাজার বর্তমান শাসক হামাসকে যুদ্ধ পরবর্তী গাজায় সরকার পরিচালনার কোনো অংশেই রাখা হয়নি।

সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, এ পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অবহিত করা হয়েছে। যদিও ইসরায়েল আগে জানিয়েছিল ফিলিস্তিন অথরিটিকেও গাজার কোনো দায়িত্বে তারা চায় না।

সূত্র: এক্সিওস, চ্যানেল-১২


কৌতূহলবশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ঢুকে বিদেশে ১৩ বছরের কিশোর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৬:৫০:৪৬
কৌতূহলবশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ঢুকে বিদেশে ১৩ বছরের কিশোর
ছবি: সংগৃহীত

কৌতূহলবশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ঢুকে বিপদে পড়েছে ১৩ বছর বয়সী এক আফগান কিশোর। বিমানটি চলা শুরু করলেও সে আর বেরোতে পারেনি। এভাবে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে ভারতের দিল্লিতে পৌঁছায় সে। দিল্লির কর্মকর্তারা, ল্যান্ডিং গিয়ারে কিশোরকে পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েন। তার এমন যাত্রা এবং বেঁচে থাকা নিয়ে তাজ্জব বনে যান তারা।

কাবুল থেকে দিল্লিতে বিপজ্জনক যাত্রা

সোমবার ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর বয়সী এক আফগান কিশোরের কৌতূহল তাকে আফগানিস্তান থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসে। সে কোনোভাবে কাবুল থেকে উড্ডয়নকারী একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার বগিতে ঢুকতে সক্ষম হয় এবং আর বেরোতে পারেনি। খবর এনডিটিভির।

রোববার বেলা ১১টার দিকে কেএএম এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নম্বর আরকিউ-৪৪০১) বিমানটি ২ ঘণ্টা যাত্রার পর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক (আইজিআই) বিমানবন্দরে পৌঁছালে এই ঘটনা ধরা পড়ে। সূত্র জানিয়েছে, রোববারই একই ফ্লাইটে কিশোরটিকে আফগানিস্তানে ফিরিয়ে আনা হয়।

আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ

বিমান কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে খবর দেয়, বিমানটি অবতরণের পর ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে সেখানে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। কুন্দুজ শহরের বাসিন্দা ওই কিশোরকে বিমান সংস্থার কর্মীরা আটক করে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালে নিয়ে আসে কর্মীরা।

সে কর্মকর্তাদের জানায়, কাবুল বিমানবন্দরে লুকিয়ে কোনোভাবে বিমানের পেছনের কেন্দ্রীয় ল্যান্ডিং গিয়ার বগিতে ঢুকতে সক্ষম হয় সে। কৌতূহলবশত এই কাজ করেছে বলে সে দাবি করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর, আফগান ছেলেটিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেড়ে যাওয়া একই ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো হয়।

কেএএম এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টের নিরাপত্তা পরীক্ষা করেন এবং একটি ছোট লাল রঙের স্পিকার পান। সম্ভবত এটি ওই কিশোরের ছিল। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন এবং নাশকতাবিরোধী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিমানটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।


সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আর নেই

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৬:৩৭:০১
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আর নেই
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ।

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান বলে সৌদি রাজকীয় আদালতের বরাতে আল আরাবিয়া জানিয়েছে।

বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সের সমবেদনা

সৌদি বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গ্র্যান্ড মুফতির পরিবার, সৌদি জনগণ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খের ইন্তেকালে সৌদি আরব এবং মুসলিম বিশ্ব একজন বিশিষ্ট পণ্ডিতকে হারালো যিনি ইসলাম এবং মুসলমানদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।”

জানাজার নামাজ

জানা যায়, রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে আজ ʿআসর নামাজের পর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিসহ দেশের সব মসজিদে তার গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ মর্মে বাদশাহ নির্দেশও জারি করেছেন।

শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ ১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩৫ বছর হজের খুতবা দিয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে অবসর নেন।


জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বনেতারা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৪:০৬:১৯
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বনেতারা
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে সমর্থন জানাতে সোমবার নিউইয়র্কে কয়েক ডজন বিশ্বনেতা একত্রিত হন। গাজা যুদ্ধের প্রায় দুই বছর পর এটি একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ, যা ইসরায়েল এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফ্রান্সের স্বীকৃতি ও ম্যাক্রোঁর বার্তা

বিশ্বনেতাদের সমাবেশের মধ্যে ফ্রান্স ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে এই ঘোষণা দেবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই শান্তির পথ প্রশস্ত করতে হবে” এবং “ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করতে হবে যাতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে পারে।”

ম্যাক্রোঁ একটি নবায়নকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরেন। এর অধীনে ফ্রান্স সংস্কার, যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য একটি দূতাবাস খুলবে।

অন্যান্য দেশের সমর্থন ও ইসরায়েলের বিরোধিতা

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও জানান, সাম্প্রতিক স্বীকৃতির পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার বামপন্থি সরকার ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগে লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, বেলজিয়াম ও মোনাকোসহ অন্যান্য দেশও ১৯৩ জাতিসংঘ সদস্যের তিন-চতুর্থাংশের বেশি দেশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

অপরদিকে, ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থি সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। তেল আবিব বলেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করবে।

গাজা যুদ্ধ, ইসরায়েলের নিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বয়কট

গাজায় সামরিক অভিযানের কারণে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ৬৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল গাজা সিটিতে দীর্ঘ স্থল আক্রমণ শুরু করেছে, যেখানে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খুবই কম।

সোমবারের বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বয়কট করেছে। জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশে ফিরে আসার পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার এই পদক্ষেপ আরও জটিলতা সৃষ্টি করবে।


হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১১:০৯:০৭
হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধরত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও তার মিত্রদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সম্মেলনে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘এক আইনে চলবে রাষ্ট্র’

আব্বাস বলেন, “হামাস এবং তার মিত্রদের অবশ্যই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র— যেখানে সাধারণ নাগরিকদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকবে না, রাষ্ট্র চলবে এক আইনের অধীনে এবং থাকবে একটি বৈধ নিরাপত্তা বাহিনী।”

তিনি আরও জানান, “গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সেই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচন আয়োজন করা। শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনও ভূমিকা থাকবে না। হামাসকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।”

যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা

সম্মেলনে আব্বাস যুদ্ধবিরতির তাগিদ দেন এবং বলেন, “আমাদের গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে, জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে।”

তিনি মিশর, কাতার, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যস্থতা ও ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনার বিরোধিতার প্রশংসা করেন।

ট্রাম্প প্রশাসন আব্বাসের ভিসা বাতিল করায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নিউইয়র্কে সরাসরি যোগ দিতে পারেননি তিনি। তাই অধিবেশনে ভাষণ দেন ভিডিও বার্তায়।


‘শত্রুদের অনুতপ্ত করবে’: ইরানের শীর্ষ জেনারেলের কড়া হুঁশিয়ারি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:৪৭:১১
‘শত্রুদের অনুতপ্ত করবে’: ইরানের শীর্ষ জেনারেলের কড়া হুঁশিয়ারি
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মুসাভি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের শীর্ষ জেনারেল শত্রুদের যে কোনো হুমকির ‘সময়োপযোগী এবং সিদ্ধান্তমূলক’ জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের পূর্ণ প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন। আইআরএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে এক বার্তায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মুসাভি জোর দিয়ে বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী তাদের ক্ষমতা এবং কৌশলগত উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে, সময়োপযোগী ও সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য প্রস্তুত, যা শত্রুদের তাদের কর্মের জন্য অনুতপ্ত করবে।”

ইরান-ইরাক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও আত্মনির্ভরশীলতা

তিনি দীর্ঘ আট বছরের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়টিকে ‘বিশ্বব্যাপী অহংকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং স্থিতিস্থাপকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়’ হিসাবে বর্ণনা করেন। মুসাভি উল্লেখ করেন, এই অভিজ্ঞতা ইরানের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠেছে, যা বিশ্বাস, আত্মনির্ভরতা ও জাতীয় ঐক্যের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে প্রতিরক্ষামূলক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং উন্নত প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়েছে।

ইসরায়েলের সংঘাত ও হাইব্রিড যুদ্ধ মোকাবেলার প্রস্তুতি

তিনি সাম্প্রতিক সংঘাত, বিশেষ করে ইসরায়েলি সরকারের আরোপিত ১২ দিনের যুদ্ধকে ‘জাতীয় শক্তি প্রদর্শনের জন্য হুমকিকে সুযোগে রূপান্তরিত করার ইরানের ক্ষমতার আরও প্রমাণ’ বলে বর্ণনা করেন। শীর্ষ কমান্ডার ব্যাপক প্রতিরক্ষা, উন্নত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং হাইব্রিড যুদ্ধ, বিশেষ করে ‘জ্ঞানীয় যুদ্ধ’ মোকাবেলার প্রস্তুতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

কমান্ডারের মতে, ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে ইরানের সামরিক বাহিনী প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে অঞ্চল ও বাইরেও বর্ধিত নিরাপত্তার সুযোগে রূপান্তর করতে প্রস্তুত।


অমানবিক! পাকিস্তানে নিজেদের গ্রামেই বিমানবাহিনীর হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:২৬:৪৮
অমানবিক! পাকিস্তানে নিজেদের গ্রামেই বিমানবাহিনীর হামলা
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে হামলা চালায় পাকিস্তান বিমানবাহিনী/ ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি গ্রামে বিমানবাহিনীর অভিযানে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।

টিটিপি আস্তানায় হামলা, নিহত বেসামরিক

জানা গেছে, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) আস্তানা লক্ষ্য করে খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে আটটি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে, তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুদের মরদেহসহ আরও অনেক মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকার আশঙ্কায় উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

অতীতেও বেসামরিক নিহতের ঘটনা ও মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ

খাইবার পাখতুনখাওয়ায় অতীতেও বহু সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে ও সেখানে বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বারবার ড্রোন হামলা পাকিস্তানে বেসামরিক জীবনকে ভয়াবহভাবে অবজ্ঞা করার ইঙ্গিত দেয়।

খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ৬০৫টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক ও ৭৯ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়েছেন। শুধু আগস্ট মাসেই এমন ১২৯টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা ও আধা সামরিক ফেডারেল কনস্টাবুলারি সদস্যের হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।

এ ঘটনার পর পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি) আজ সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়ার তিরাহ এলাকায় ‘আকাশপথে বোমা হামলায়’ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবরে তারা গভীরভাবে মর্মাহত। এইচআরসিপি এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি।


মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মেরুকরণ: ‘মুসলিম ন্যাটো’ গঠনের পথে মুসলিম বিশ্ব?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২০:৪৮:১৪
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মেরুকরণ: ‘মুসলিম ন্যাটো’ গঠনের পথে মুসলিম বিশ্ব?
মানচিত্র। ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে একের পর এক অস্থিরতা, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং কাতারের রাজধানী দোহায় সরাসরি হামলার ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো এখন নিজেদের ঐক্যবদ্ধ সামরিক জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। ফলে বহু বছর ধরে আলোচিত ‘মুসলিম ন্যাটো’ বা ‘আরব ন্যাটো’র ধারণা এখন নতুন করে বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে বলে আভাস মিলছে।

কাতারে হামলা এবং আরব বিশ্বের ক্ষোভ

৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠকের সময় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। প্রাণ হারান হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়ার ছেলে, আরও কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী এবং কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা। যদিও সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতারা অল্পের জন্য বেঁচে যান, তবে এই হামলা উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইসরায়েল এখন আর আঞ্চলিক সীমারেখাকে মানছে না।

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল, ইসরায়েল নাকি এই হামলার পরিকল্পনার কথা আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছিল। এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর উপসাগরীয় নেতারা পশ্চিমা প্রভাব থেকে সরে এসে নিজেদের জন্য বিকল্প পথ খোঁজার বিষয়ে আরও সিরিয়াস হয়ে উঠেছেন।

জরুরি বৈঠক ও প্রতিরক্ষার ঘোষণা

কাতারের ক্ষোভ প্রকাশের পর ১৫ সেপ্টেম্বর দোহায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) জরুরি বৈঠক ডাকে। সেখানে প্রায় ৬০টি মুসলিম দেশ প্রতিনিধিত্ব করে। অধিকাংশ নেতা একমত হন যে, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামরিক ব্যবস্থা ছাড়া বিকল্প নেই।

১৯ সেপ্টেম্বর দোহায় জিসিসির যৌথ প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসে। যেকোনো ধরনের বিদেশি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক যৌথ ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করে জোটটি। এর ফলে দীর্ঘদিনের ‘আরব ন্যাটো’ গঠনের ভাবনা নতুন মাত্রা পায়।

সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি: জোটের দিকে বড় পদক্ষেপ

এ প্রেক্ষাপটে ১৭ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব ও পাকিস্তান একটি ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করে। এ চুক্তি শুধু দুই দেশের নয়, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বের সম্ভাব্য সামরিক জোটের ভিত্তি বলে আখ্যায়িত হচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন—সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দিতে পারে।

‘আরব ন্যাটো’ ধারণার ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট

‘আরব ন্যাটো’ কোনো নতুন ধারণা নয়। ২০১৫ সালে মিসরের শার্ম আল-শেখ সম্মেলনে প্রথমবার ন্যাটোর ধাঁচে একটি ঐক্যবদ্ধ বাহিনী গঠনের প্রস্তাব আসে। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে গোপনে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোট গঠনের চেষ্টা চালায়।

বিশ্লেষকদের মতে, মুসলিম ন্যাটোর তাগিদ বেড়েছে কয়েকটি কারণে—

ইসরায়েলের আগ্রাসন: গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও দোহায় হামলা উপসাগরীয় দেশগুলোকে সতর্ক করেছে।

গ্রেটার ইসরায়েল পরিকল্পনা: ইসরায়েলের ডানপন্থি রাজনীতিকেরা ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া ও জর্ডান দখলের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে বলছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা: ওয়াশিংটন ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়ালেও আরব দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

জনগণের ক্ষোভ: আরব বিশ্বের জনগণ গাজার গণহত্যা ও পশ্চিমা নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছে।

সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

তবে এই পথে কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। আরব দেশগুলোর ভেতরেই রয়েছে বিভাজন, যেমন—২০১৭ সালে সৌদি আরব, মিসর, ইউএই ও বাহরাইন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করেছিল। নেতৃত্ব কে নেবে, সদর দপ্তর কোথায় হবে—এ নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। তুরস্কের ভূমিকা নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে।

তবুও সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি এবং দোহায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো স্পষ্ট করেছে, মুসলিম দেশগুলো আর আগের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে চাইছে না। আন্তর্জাতিক আদালতের সাম্প্রতিক রায়, যেখানে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ বলা হয়েছে, তাও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পক্ষে একটি অনুঘটক হয়ে উঠেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মুসলিম ন্যাটো বা আরব ন্যাটো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এর রাজনৈতিক তাৎপর্য বিরাট। যদি এটি বাস্তবে রূপ নেয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির মানচিত্র আমূল বদলে যাবে এবং ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-চীনকেও নতুন করে কৌশল আঁকতে বাধ্য করবে।


আজই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরও ৫ দেশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৯:১৩:৩৩
আজই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরও ৫ দেশ
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্ষিক সমাবেশের আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক সম্মেলনের মাধ্যমে আজই বেশ কয়েকটি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। দীর্ঘমেয়াদী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে এই সম্মেলন আয়োজন করা হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যৌথভাবে এতে সভাপতিত্ব করবেন।

কোন কোন দেশ স্বীকৃতি দিচ্ছে

সম্মেলনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং সম্ভবত নিউজিল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে। এর আগে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের মাঝে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ সত্ত্বেও গাজায় আক্রমণ দ্বিগুণ করার পর ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

ম্যাক্রোঁর ভূমিকা ও ‘গাজা পরিকল্পনা’

গত জুলাই মাসে ইউরোপজুড়ে এই প্রচারণার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পশ্চিমা দেশগুলোকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এর আগে, ১২ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদ ‘গাজা পরিকল্পনা’ বা ‘নিউ ইয়র্ক ঘোষণাপত্র’ ব্যাপক ভোটে গৃহীত হয়। জুলাই মাসে ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সম্মেলনে এটি প্রস্তাবিত হয়েছিল। ঘোষণাপত্রে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে ‘ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অবস্থান

যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল জুলাইয়ের ওই সম্মেলন বয়কট করে এবং এই মাসের শুরুতে ঘোষণার বিরুদ্ধেও ভোট দেয়।

এদিকে, জাতিসংঘ আশা প্রকাশ করেছে, এই শীর্ষ সম্মেলন ‘দুটি রাষ্ট্রের দিকে জাতিসংঘের রোডম্যাপ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে।’


আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের গান-নৃত্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৮:৩৩:২০
আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের গান-নৃত্য ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
আল আকসা মসজিদে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা (২০২০ সালের ছবি)। ছবি : সংগৃহীত

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও অবৈধ ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) শতাধিক অবৈধ বসতকারী দলে দলে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। সেখানে তারা নিহত মার্কিন ডানপন্থি কর্মী চার্লি কার্কের জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করে। খবর আনাদোলুর।

প্রার্থনা অনুষ্ঠান ও উসকানি

হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম স্রুগিম জানিয়েছে, এই প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কট্টর-ডানপন্থি এবং ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ইয়েহুদা গ্লিক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আল আকসায় ইহুদিদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। চার্লি কার্ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন।

ইহুদি আচার পালন ও বাড়তি সেনা মোতায়েন

ফিলিস্তিনি সরকারি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, বসতকারীরা আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর সেখানে ইহুদি আচার পালন করে, গান গায় ও নৃত্য করে। আসন্ন ইহুদি নববর্ষকে কেন্দ্র করে এই ধরনের তৎপরতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা। ওয়াফার মতে, কট্টর-ডানপন্থি বসতকারীরা বড় আকারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও জানিয়েছিল, ইহুদি ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হবে।

‘ইহুদিকরণ’ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন

জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাওমেন্টস ডিরেক্টরেট বলছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী হিসেবে কট্টর ডানপন্থি নেতা ইতামার বেন-গভির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আল-আকসায় উসকানিমূলক কর্মসূচি ও হামলা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে।

আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে মক্কা ও মদিনার পর বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান। তবে ইহুদিরা একে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে দাবি করে, যেখানে তাদের দুটি প্রাচীন মন্দির ছিল বলে তারা বিশ্বাস করে।

ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, বসতকারীদের এ ধরনের হামলা পূর্ব জেরুজালেমকে ‘ইহুদিকরণ’ করার বৃহত্তর পরিকল্পনারই অংশ, যার মাধ্যমে শহরের আরব ও ইসলামী পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। ফিলিস্তিনিরা স্পষ্ট জানিয়ে আসছে, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতকারীদের হাতে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অন্তত ১ হাজার ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সাত হাজারেরও বেশি মানুষ।

গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রায় দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে সব ধরনের বসতি সরিয়ে নেওয়া উচিত।

সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর

পাঠকের মতামত: