সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস

নিজেকে সিআইএ এজেন্ট দাবি করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রহস্যময় মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রভাবশালী আমলা ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি একজন সচিবকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা থেকে বাঁচাতে দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে দুজন উপপুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এছাড়া একজন প্রভাবশালী আমলার নামে দুদকের বেশ কিছু মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। রিমান্ডে থাকা কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তি সংক্রান্ত নানা ধরনের কথোপকথন, যোগাযোগ ও বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে টাকা লেনদেনের কোনো প্রমাণ এখনো হাতে আসেনি।
সহযোগী ও অর্থ লেনদেন
এনায়েত করিমের সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একাত্তর টিভিতে জিএম অপারেশন হিসেবে কাজ করতেন এবং ৫ আগস্টের পর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা নেন। তদন্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ জানান, এনায়েত তাকে মাসিক ২ লাখ টাকা বেতনে নিজের সহকারী হিসেবে রেখেছিলেন। মোস্তফা আজাদের মাধ্যমে এনায়েত বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাঠাতেন। গুলশানে এনায়েতের যে বাড়িতে থাকার কথা ছিল, সেখানে মোস্তফা আজাদ থাকতেন এবং সেই বাড়ির ভাড়া বাবদও মাসে ২ লাখ টাকা দিতেন এনায়েত।
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট
রাজধানীর মিন্টো রোডে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় এনায়েত করিমকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪৮ ঘণ্টার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আরও পাঁচ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তার সহযোগী মোস্তফা আজাদকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জানান, এনায়েতের জব্দ করা আইফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা থেকে জানা যায় তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে এসেছেন। তিনি ভারতকে নতুন সরকার গঠন করে দিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
এক কর্মকর্তা জানান, এনায়েত বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন এবং পরে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন। এই সময়ে তিনি সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। তার কাজ ছিল বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করে তার গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠানো।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
অনলাইনে জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় জড়িত ব্যক্তিদের ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এর ২০ ধারা অনুযায়ী এই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) একটি সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিলে (সিএ) বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নবম স্থান অর্জন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।
আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সীমিত পরিসরে অংশ নিয়েছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, বাকিগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, সীমিত অংশগ্রহণের কারণে পুনর্নির্বাচনের পথে বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এই ফলাফলকে একটি ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন
ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিলে (সিএ) বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো সদস্যপদ
গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নবম স্থান অর্জন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সাফল্য
এর আগের মেয়াদে বাংলাদেশ এই কাউন্সিলে সীমিত ভূমিকা রেখেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, আর বাকি কার্যক্রমগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ কম ছিল। সীমিত অংশগ্রহণের কারণে অনেকের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, পুনর্নির্বাচনের পথে এটি বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এই ফলাফলকে একটি বড় ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র : বাসস
আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে পরবর্তী ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং মুন্সিগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভালভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি, ১২ ইঞ্চি ও ১৪ ইঞ্চি মুখ্য বিতরণ পাইপ লাইনের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নকরণ এবং মেরামতের কাজ করা হবে। এর ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া, আশেপাশের এলাকাগুলোতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে প্রথম দুই মাসে ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কোনো প্রকল্পেই এক টাকাও খরচ করতে পারেনি। এই দুই মাসে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ‘শূন্য’ দেখা গেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো—জননিরাপত্তা বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংসদ সচিবালয়।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের ১৪টি প্রকল্পে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০টি প্রকল্পে ৮৬৭ কোটি টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪ প্রকল্পে ১২১ কোটি টাকা, দুদকের ২ প্রকল্পে প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং সংসদ সচিবালয়ের ২ প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও জুলাই ও আগস্ট মাসে কোনো অর্থই খরচ করা হয়নি।
চলতি অর্থবছরে সরকার মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার এডিপি হাতে নিয়েছে, যার আওতায় ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রথম দুই মাসে সামগ্রিক এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা কম।
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাফল্যের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে, তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চীনের অবদানের কথাও তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস চীনকে বাংলাদেশের 'সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার' হিসেবে উল্লেখ করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও। তিনি বিশ্ব শান্তিতে চীনের ত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, চীন এখন শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে দেশটি নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে।
ইয়াও ওয়েন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপরও জোর দেন এবং বলেন, চীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় সহায়তা অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, দুই দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা এবং সমান সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার’ হয়ে থাকবে।
অন্যান্য অতিথিদের মন্তব্য
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবায় চীনের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন তৈরি হয়েছে এবং বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।
টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দ্য টাইমস-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি অতীতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছেন। ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপের অতীতের বক্তব্যের সঙ্গে নতুন এই তথ্য সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
বাংলাদেশি পরিচয়পত্রের রেকর্ড
বাংলাদেশি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দ্য টাইমস জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ১৯ বছর বয়সে লন্ডনে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। এছাড়া, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তার নামে একটি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রও ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস এবং নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসেও এ সংক্রান্ত রেকর্ড পাওয়া গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই তার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাড়ি, যা তার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালিকানাধীন।
অভিযোগ ও অস্বীকার
দ্য টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক বারবার দাবি করেছেন যে তিনি কোনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র পাননি এবং শৈশবের পর থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টও ব্যবহার করেননি। এমনকি গত আগস্টে তার আইনজীবী স্টিফেনসন হারউডও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে টিউলিপ কখনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি পাননি।
তবে এসব নথির বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার দল (লেবার পার্টি) বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, এসব নথি জাল এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।
আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী বা বাংলাদেশি পিতা-মাতার সন্তান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পান। টিউলিপ ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করলেও তার মা-বাবা উভয়ই বাংলাদেশি হওয়ায় তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। তবে তিনি বারবার নিজেকে শুধু ব্রিটিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি ব্রিটিশ এমপি, আমি বাংলাদেশি নই।”
মামলা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতি মামলা চলছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার প্রভাব খাটিয়ে মা ও ভাই-বোনদের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। টিউলিপ অবশ্য এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম দ্য টাইমসকে জানিয়েছেন, টিউলিপের পাসপোর্ট, এনআইডি এবং ট্যাক্স আইডির রেকর্ড পাওয়া গেছে। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনও এই নথিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনও ডেটাবেইস মিলিয়ে তথ্যটি যাচাই করেছে।
২০১১ সালে যখন টিউলিপের এনআইডি ও পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছিল, তখন তাকে ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে এবং খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘ অধিবেশন ও মস্কো সফরেও দেখা গিয়েছিল।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অ্যান্টি-করাপশন মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একটি তদন্তে উঠে এসেছিল যে, তার পারিবারিক রাজনৈতিক যোগসূত্র লেবার সরকারের ভাবমূর্তিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমর্থন তার প্রতি ছিল। টিউলিপ তখন দাবি করেছিলেন, তিনি সরকারের সুনাম রক্ষার স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের মুখপাত্র এখনো তার আগের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাকে জড়িয়ে নথি জাল করা হচ্ছে এবং ব্রিটিশ সরকারের উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসও তাকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন।
নতুন করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর টিউলিপ সিদ্দিকের নাগরিকত্ব এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হলেও ২০২৬ সালের বইমেলার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেলাটি এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেলা শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর এবং চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পবিত্র রমজান মাসকে বিবেচনায় নিয়ে এই সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব ও পরিচালকরাসহ বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের বইমেলার চিত্র
চলতি বছরের বইমেলা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। মেলায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৭০৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০৮৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বাংলা একাডেমিসহ ৩৭টি প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন পেয়েছিল। শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বছর মেলায় মোট ৩,২৯৯টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছিল। মেলায় সব প্রতিষ্ঠানের বই ২৫ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হয়। বাংলা একাডেমি একাই ২৭ দিনে ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকার বই বিক্রি করেছে।
চলতি বছর মেলায় বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার’।
সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ১৭ সেপ্টেম্বর একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা তাদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আঞ্চলিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাংলাদেশি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি মুসলিম বিশ্বের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি। তিনি মন্তব্য করেন, এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটিকে উভয় দেশ নিজেদের ওপর আগ্রাসন হিসেবে দেখবে এবং যৌথভাবে জবাব দেবে। তার মতে, মুসলিম দেশগুলোর সামনে এমন চুক্তি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কাতারে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সৌদি আরব বিকল্প নিরাপত্তা সহযোগিতা খুঁজছে, যেখানে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি ও বিশেষ করে তার পারমাণবিক সক্ষমতা তাৎপর্য বহন করছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তি কোনো একক ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং বহু বছরের আলোচনার ফলাফল। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরব বা পাকিস্তানের যেকোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটিকে অন্য দেশের ওপরও হামলা হিসেবে ধরা হবে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যিনি দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে এবং যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা গড়ে তোলার অংশ। তবে সৌদি এক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, যা আরেকটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, তার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সৌদি সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং সৌদি আরব এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায়, যাতে আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখা যায়।
পাকিস্তান কি সৌদি আরবকে পারমাণবিক নিরাপত্তা বা তথাকথিত ‘নিউক্লিয়ার আমব্রেলা’ প্রদান করবে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌদি কর্মকর্তা জানান, এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যেখানে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রায় ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত মূল সরঞ্জামগুলোর মধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ এবং গানি ব্যাগ কেনা সম্পন্ন হয়েছে। এসবের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন সামগ্রী সংগ্রহের কাজ এখনো চলমান। প্রাথমিকভাবে ১০ ধরনের সরঞ্জাম এবং কিছু স্থানীয় ক্রয় বাকি রয়েছে। তবে সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। বর্তমানে মোট প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রয় শেষ হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই অবশিষ্ট অংশ সংগ্রহের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতা তৈরি হবে না। সরবরাহ ব্যবস্থাও যথাযথভাবে কার্যকর রয়েছে। বরং নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই যাবতীয় সামগ্রী নির্বাচন কমিশনের হাতে এসে পৌঁছাবে। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত বা “স্ট্যাবলিশড” হয়ে গেছে।
পাঠকের মতামত:
- সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
- এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
- সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
- দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
- প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন
- আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
- মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
- চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
- জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
- চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
- দেখে নিন সুপার ফোরে বাংলাদেশের টানা তিন ম্যাচের সময়সূচি
- জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?
- নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার
- বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
- কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ