স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়

বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক সময় এই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তখন দোকানে না গিয়েও ঘরে বসে কয়েকটি সহজ উপায়ে ফোনটি আনলক করা সম্ভব।
পদ্ধতি ১: রিকভারি মোড ব্যবহার করে ফ্যাক্টরি রিসেট
এই পদ্ধতিতে ফোনের সকল ডেটা মুছে যাবে, তবে ফোনটি আনলক হবে।
প্রথমে আপনার স্মার্টফোনটি সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।
কয়েক সেকেন্ড পর ফোনের পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ/ডাউন বাটন একসাথে চেপে ধরে রাখুন।
যখন ফোনটি রিকভারি মোডে যাবে, তখন 'Factory Reset' অপশনটি বেছে নিন এবং 'Wipe Cache' নির্বাচন করুন।
কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ফোনটি পুনরায় চালু হবে এবং নতুন করে সেটআপ করতে হবে।
পদ্ধতি ২: গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আনলক
এই পদ্ধতিটি কাজ করার জন্য আপনার ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় থাকতে হবে।
পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন বারবার ভুল দিলে আপনার স্ক্রিনে 'Forgot Pattern/Password' অপশন আসবে।
এই অপশনে ট্যাপ করে আপনার ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন।
সফলভাবে লগইন হলে ফোনটি আনলক হয়ে যাবে এবং আপনি একটি নতুন পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন সেট করতে পারবেন।
এছাড়া, আপনি 'Google Device Manager' ব্যবহার করেও অনলাইনে আপনার ফোনটি আনলক করতে পারবেন। তাই পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ভুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে এই সহজ উপায়গুলো চেষ্টা করতে পারেন।
চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
পৃথিবী থেকে চাঁদ প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে। এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া যা কোটি কোটি বছর ধরে চলছে। এই দূরত্ব স্থির নয়, ফলে এর ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। সম্প্রতি, এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কেন দূরে সরছে চাঁদ?
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবির মতে, জোয়ার-ভাটার শক্তি এবং কৌণিক ভরবেগের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সূর্য ও চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের ফলে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। এই জোয়ারের স্ফীতি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে চাঁদের আকর্ষণ থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকে। এই স্ফীতি চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়, যা চাঁদকে অতিরিক্ত শক্তি যোগায় এবং তার কক্ষপথকে সামান্য প্রসারিত করে।
একই সময়ে, চাঁদও পাল্টা টানে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিকে ধীর করে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২.৩ মিলিসেকেন্ড করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি পদার্থবিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। এই নীতি অনুসারে, যখন পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির কৌণিক ভরবেগ কমে যায়, তখন চাঁদের কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বেড়ে যায়, যার ফলে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।
চাঁদের দূরত্ব পরিমাপের পদ্ধতি
বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান ও নভোচারীদের দ্বারা স্থাপন করা বিশেষ আয়নার মাধ্যমে চাঁদের দূরত্ব পরিমাপ করেন। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনে এই প্রতিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। পৃথিবী থেকে লেজার রশ্মি পাঠানো হয়, যা এই প্রতিফলকগুলোতে আঘাত করে ফিরে আসে। এই লেজার রশ্মির যাতায়াতের সময় পরিমাপ করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই জানা গেছে, চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতের প্রভাব
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদ যে গতিতে দূরে সরছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতে কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে কোটি কোটি বছর পর এর ফলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে এবং জোয়ার-ভাটার তীব্রতা কমে যাবে। চাঁদ দূরে সরে গেলে পৃথিবীর জলবায়ু ও প্রাণ ধারণের পরিবেশ পরিবর্তিত হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। তবে এই প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহের মধ্যেও এমন প্রবণতা দেখা যায়।
সূত্র: এনডিটিভি
চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির আবিষ্কার নিঃসন্দেহে মানুষের জীবনকে বহুগুণে সহজ করেছে। এখন আর কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেরি হয় না—মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই এআই চ্যাটবট থেকে পাওয়া যায় সমাধান। যেকোনো বিষয়ে কৌতূহল মেটানো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পরামর্শ নেওয়া পর্যন্ত সবকিছুই এখন এআই-এর মাধ্যমে সহজলভ্য।
এআই কেবল জটিল আলোচনা বা বিশ্লেষণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি কবিতা রচনা করতে পারে, রান্নার রেসিপি সাজিয়ে দিতে পারে, কঠিন গণিত সমাধান করতে পারে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও গবেষণা প্রতিবেদনে সহায়তা করতে পারে। ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন নির্ভরশীলতা বাড়ছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ প্রযুক্তিকে নিজেদের কাজে অন্তর্ভুক্ত করছে। মাইক্রোসফটের মতো বহুজাতিক করপোরেশন থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই এআই এখন মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাচ্ছেন। যে ক্ষেত্রেই কেউ কর্মরত থাকুন না কেন, মাথার ওপরে অদৃশ্য এক হুমকি ঝুলছে—সেটি হচ্ছে এআই। প্রশ্ন জাগছে, এই প্রযুক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় আদৌ আছে কি না।
অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এআই শ্রমবাজার ও দক্ষতার চাহিদায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এতে যেমন উদ্বেগের কারণ রয়েছে, তেমনি কিছু খাতে নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন সৃজনশীল পেশাজীবীরা। কারণ এআই এখন এমন সব লেখা বা কনটেন্ট তৈরি করছে, যেখানে মৌলিকত্ব প্রায় অনুপস্থিত। ফলে যারা সত্যিকারের মৌলিক কাজ করেন, তাদের স্বীকৃতি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে অফিস সহকারী, রিসেপশনিস্ট, বুককিপার, সেলস ও মার্কেটিং কর্মী, বিজনেস অ্যানালিস্ট বা সিস্টেম অ্যানালিস্টদের চাকরি দ্রুত হ্রাস পাবে। এসব কাজের একটি বড় অংশ এআই সহজেই সম্পন্ন করে ফেলতে পারবে।
অন্যদিকে, কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বরং বাড়তে পারে। যেমন—ক্লিনার, লন্ড্রি কর্মী, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সেফটি, বিজনেস অ্যাডমিন ম্যানেজার, নির্মাণশ্রমিক, খনি শ্রমিক এবং হসপিটালিটি খাতে কর্মসংস্থানের চাহিদা বাড়বে। এসব কাজ মূলত সরাসরি শারীরিক পরিশ্রম বা হাতেকলমে সম্পাদনযোগ্য। তাই এআই কখনোই পুরোপুরি মানুষের বিকল্প হতে পারবে না।
যারা নতুন করে পেশাজীবনে প্রবেশ করতে চান, তাদের জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বুককিপিং, মার্কেটিং বা প্রোগ্রামিংয়ের পরিবর্তে নার্সিং, নির্মাণশিল্প কিংবা হসপিটালিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়লে তুলনামূলকভাবে চাকরির নিরাপত্তা বেশি থাকবে।
সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হচ্ছে ভয়েস আর্টিস্টদের জন্য। কারণ এখন এআই প্রযুক্তির মাধ্যমেই কণ্ঠ রেকর্ড করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ভয়েসওভার শিল্পে অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ কমে গেছে, যা ভবিষ্যতে পুরো খাতের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট একাডেমিক ড. মো. মঞ্জুরুল আহসান আবারও বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমায় গবেষণা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এই বিজ্ঞানীকে নাসার মর্যাদাপূর্ণ STEM Education Ambassadors (STEM EA) প্রোগ্রামের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের ঝুলিতে যুক্ত হলো নতুন এক গৌরব।
নাসার এই বছরব্যাপী প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে (STEM) বিশ্বব্যাপী আরও সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় করতে। এই প্রোগ্রামের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষাবিদরা নাসার বিস্তৃত STEM শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও গবেষণা সম্পদ ব্যবহারের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ পান। তারা প্রতি মাসে নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ ও ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ টিমের কাছ থেকে আপডেট পান, যাতে তারা মহাকাশ গবেষণা ও জলবায়ু বিজ্ঞান সম্পর্কে সর্বশেষ জ্ঞান নিয়ে কাজ করতে পারেন।
ড. আহসান এই উদ্যোগের অংশ হয়ে একটি আন্তর্জাতিক পেশাগত শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে যুক্ত হবেন, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাবিদরা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করছেন। এর ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের তরুণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পথে আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, কম্পিউটার ভিশন ও অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ড. আহসানের গবেষণাকর্ম ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি ৬০টিরও বেশি পিয়ার-রিভিউড গবেষণা প্রবন্ধ সহ-লেখক হিসেবে প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ২৫টিরও বেশি প্রবন্ধের প্রথম লেখক তিনি নিজেই। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকৌশল বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ এক শতাংশ সর্বাধিক উদ্ধৃত প্রবন্ধের তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং গবেষণায় বিশ্বের শীর্ষ ০.৫ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
ড. আহসানের এই অর্জন শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের গবেষণা, শিক্ষা ও উদ্ভাবন খাতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার প্রমাণ। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক অনন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে চান।
-সুত্রঃ ডেইলি সান
টিকটক বন্ধ নাকি বাঁচবে? স্পেনের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকেই মিলবে সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্পেনের মাদ্রিদে উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য বৈঠকে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বসেছেন। বিশ্ব অর্থনীতির দুই প্রধান শক্তি—ওয়াশিংটন ও বেইজিং—চলমান শুল্কযুদ্ধ প্রশমনের চেষ্টা করছে। আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবং চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার হে লিফেং।
এই বৈঠকের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো টিকটক। চীনা মালিকানাধীন এই জনপ্রিয় অ্যাপের যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। মার্কিন বাজারে টিকটক চালিয়ে যেতে হলে চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে দ্রুত নতুন ক্রেতা খুঁজে বের করতে হবে। নাহলে দেশটিতে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুতে টিকটক নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি একের পর এক তিনবার সময়সীমা বাড়িয়েছেন। গত রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, চতুর্থ দফায়ও সময় বাড়ানো হতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো টিকটককে বন্ধ হতে দেব, অথবা না-ও দিতে পারি… সেটা চীনের ওপর নির্ভর করছে। আমার কাছে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপকে ঘিরে নয়; এটি মূলত তথ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল বাণিজ্য এবং ভূরাজনৈতিক প্রভাবের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে এক বৃহত্তর লড়াই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করছে, যা বিষয়টিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
এদিকে, উভয় দেশ নভেম্বর পর্যন্ত শুল্কবিরতির সময়সীমা বাড়িয়েছে। এর ফলে আপাতত একে অপরের ওপর শতভাগের বেশি আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি কমেছে। এই বিরতি দুই দেশকে আলোচনার জন্য আরও সময় দিচ্ছে, বিশেষ করে “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” ও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট জটিল বিষয়গুলো সমাধানের জন্য।
অনেকের ধারণা, এই বৈঠক ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আসন্ন দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলনে সরাসরি সাক্ষাতেরও পথ তৈরি করছে। অক্টোবরেই এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দুই নেতার সাক্ষাত বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বড় সিদ্ধান্ত বয়ে আনতে পারে।
সব মিলিয়ে মাদ্রিদে চলমান আলোচনাই এখন বিশ্বদৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এখানেই নির্ধারিত হতে পারে শুধু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য সম্পর্ক নয়, টিকটকেরও বেঁচে থাকার ভবিষ্যৎ।
অপারেশন থিয়েটারের আলো: ছায়াহীন বিস্ময়ের বৈজ্ঞানিক রহস্য
চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক প্রযুক্তিতে অপারেশন থিয়েটারের আলো বা সার্জিক্যাল লাইট অন্যতম একটি বিস্ময়। রোগীর জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে যখন চিকিৎসকের নির্ভুলতা ও মনোযোগ সবচেয়ে জরুরি, তখন এই বিশেষ আলোই তাদের সহায়তা করে ছায়াহীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়। অনেকেই অবাক হন এত উজ্জ্বল আলোর নিচে ডাক্তার ও যন্ত্রপাতি থাকলেও সেখানে কোনো দৃশ্যমান ছায়া দেখা যায় না। এর পেছনে রয়েছে নিখুঁত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
প্রকৃতিতে যখন একটি মাত্র আলোর উৎস থাকে, তখন আলো কোনো বস্তুতে আঘাত করলে তার পেছনে একটি গাঢ় ছায়া তৈরি হয়। যেমন দিনের বেলায় সূর্য আমাদের একক আলোর উৎস হিসেবে কাজ করে, আর তাই মাটিতে আমাদের ছায়া পড়ে। অর্থাৎ, ছায়া গঠনের মূলনীতি হলো একক আলোর উৎস এবং বাধার উপস্থিতি।
অপারেশন থিয়েটারের আলো এই সাধারণ নীতিকে অতিক্রম করেছে। কারণ এটি কোনো একক আলোর উৎস নয়। সার্জিক্যাল লাইটে থাকে অসংখ্য ক্ষুদ্র LED লাইট, যেগুলো এমনভাবে বৃত্তাকার বা গুচ্ছ আকারে সাজানো হয় যে সবগুলো আলোর রশ্মি নির্দিষ্ট একটি বিন্দুর দিকে ছুটে যায়। এর ফলে আলোর তীব্রতা একদিকে কেন্দ্রীভূত হয়, আবার অন্যদিকে ছায়া পড়ার সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দেয়।
যখন সার্জনের হাত, মাথা বা যন্ত্রপাতি কোনো একটি LED লাইটের সামনে বাধা সৃষ্টি করে, তখন সেটির ফলে যে ক্ষুদ্র ছায়া তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তা সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অন্য LED লাইটের আলোয় মিলিয়ে যায়। অর্থাৎ, একটি দিকের আলো বাধাগ্রস্ত হলেও চারপাশের আলোগুলো সেই অন্ধকার অংশকে ঢেকে উজ্জ্বল করে তোলে। ফলে কোনো গাঢ় বা স্থায়ী ছায়া চোখে পড়ে না।
চিকিৎসকদের জন্য গুরুত্ব
অপারেশনের সময় ক্ষুদ্রতম রক্তনালী, স্নায়ু বা টিস্যু স্পষ্টভাবে দেখতে চিকিৎসকদের জন্য ছায়াহীন আলো অত্যন্ত অপরিহার্য। সামান্য ছায়া তৈরি হলেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, যা জীবনসংকট ডেকে আনতে পারে। তাই এই আলোক প্রযুক্তি শুধু আরামদায়ক নয়, বরং রোগীর জীবন রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
অপারেশন থিয়েটারের আলো আসলে আধুনিক বিজ্ঞানের এক অনন্য সাফল্য। অসংখ্য LED লাইটের সমন্বিত বিন্যাস এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে যেখানে ছায়াহীন আলোক ব্যবস্থা সম্ভব হয়। এর ফলে সার্জনরা বাধাহীনভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। এই প্রযুক্তি প্রমাণ করে যে বিজ্ঞান ও চিকিৎসার সমন্বয়ই মানুষের জীবনে আশা ও নিরাপত্তার আলো জ্বালায়।
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম ধাঁচের ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’ ফিচার
বর্তমান সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম। শুধু ব্যক্তিগত আলাপ নয়, অফিসের জরুরি ফাইল পাঠানো কিংবা ছবি শেয়ারের ক্ষেত্রেও এটি কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন নির্ভরযোগ্য অ্যাপ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে ১০০ বিলিয়নেরও বেশি মেসেজ আদান-প্রদান হয় হোয়াটসঅ্যাপে।
মনের কথা প্রকাশের নতুন পথ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আজ মানুষের আবেগ ভাগাভাগির অন্যতম মাধ্যম। খুশি কিংবা দুঃখ— স্ট্যাটাস আপডেটের মাধ্যমে মনের কথা প্রকাশ এখন সহজ। তবে অনেক সময় এমন হয় যে, নিজের স্ট্যাটাস কারো বিশেষ চোখে পড়ুক তা ব্যবহারকারী চান না। এই সমস্যার সমাধানেই হোয়াটসঅ্যাপ এবার নিয়ে আসছে নতুন ফিচার ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’, যা অনেকদিন ধরেই ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এতদিন স্ট্যাটাসের সীমাবদ্ধতা
এতদিন হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস শেয়ারের জন্য তিনটি অপশন ছিল:
- ‘মাই কন্ট্যাক্টস’: কন্ট্যাক্ট লিস্টে থাকা সবাই স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
- ‘মাই কন্ট্যাক্টস এক্সসেপ্ট’: নির্দিষ্ট কয়েকজন বাদে সবাই দেখতে পাবেন।
- ‘অনলি শেয়ার উইথ’: কেবল বাছাই করা কিছু মানুষই স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।
তবে এসব অপশনে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্য আলাদা কোনো সুবিধা ছিল না।
নতুন ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’ ফিচার
এবার হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন অপশন ‘ক্লোজ ফ্রেন্ড’। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের জন্য একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করতে পারবেন। সেই তালিকায় যোগ করা বন্ধুদের জন্য স্ট্যাটাস শেয়ার করলে তা শুধুমাত্র তাঁরাই দেখতে পাবেন। অন্য স্ট্যাটাসের মতোই এগুলোও ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে।
অবশেষে ফাইভ-জি এলো! সিম না বদলেই পাবেন দ্রুত গতির ইন্টারনেট
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি তাদের পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি (5G) সেবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে চালু করেছে। আজ সোমবার দুপুরে রবি একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইভ-জি চালুর ঘোষণা দেয়, এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রামীণফোন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে একই ঘোষণা দেয়।
রবির প্রধান কার্যালয়ে ফাইভ-জি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে ঢাকার ফকিরাপুল (পল্টন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু এলাকা (শাহবাগ), মগবাজার চৌরাস্তা, চট্টগ্রামের খুলশি এবং সিলেটের সাগরদিঘীর পাড় এলাকায় রবির ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। রবিকে তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক তৈরিতে এরিকসন ও হুয়াওয়ে সহযোগিতা করেছে।
কোম্পানিটির চিফ করপোরেট অফিসার সাহেদ আলম বলেন, তারা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ফাইভ-জি কতটুকু কাজ করছে তা দেখছেন। তিনি জানান, তাদের গ্রাহকদের মধ্যে প্রায় ৬-৭ শতাংশের কাছে ফাইভ-জি উপযোগী মুঠোফোন আছে। যে এলাকায় ফাইভ-জি ফোনের ব্যবহার ১৫-২০ শতাংশ হবে, সেখানেই তারা এই সেবা চালু করবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ রবি ৮০০ থেকে ১ হাজার ফাইভ-জি সাইট স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে। রবির ফাইভ-জি ইন্টারনেটের দাম ফোর-জির মতোই থাকবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, “অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ফাইভ-জি সেবা চালু করছি।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফাইভ-জি সেবা স্মার্ট সিটি, টেলিমেডিসিন, এআর/ভিআর, ক্লাউড গেমিং-সহ বিভিন্ন খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। ফাইভ-জি সেবা পেতে গ্রাহকের মুঠোফোন অবশ্যই ফাইভ-জি উপযোগী হতে হবে। এছাড়াও, নেটওয়ার্ক সেটিংস থেকে ফাইভ-জি অপশন চালু করে নিতে হবে এবং ফাইভ-জি চালু হওয়া এলাকার নেটওয়ার্কের আওতায় আসতে হবে। তবে ফাইভ-জি সেবার জন্য সিম পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
/আশিক
চ্যাটবটের সঙ্গে ভুলেও শেয়ার করবেন না যে ১০টি তথ্য
চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ই-মেইল লেখা, তথ্য খোঁজা কিংবা মন খুলে কথা বলার মতো অনেক কাজেই এআই ব্যবহার হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই ভরসার আড়ালে লুকিয়ে আছে নানা ঝুঁকি।
তাদের দাবি, চ্যাটবটের সঙ্গে করা আপনার সব আলাপই গোপন নয়। কারণ, ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্যগুলো সংরক্ষিত, বিশ্লেষিত বা ভবিষ্যতে ফাঁসও হতে পারে। তাই কিছু সংবেদনশীল বিষয় কখনোই চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়।
যে ১০টি তথ্য চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না
১. ব্যক্তিগত তথ্য: আপনার পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা কখনোই চ্যাটবটে দেবেন না। এই তথ্যগুলো একসাথে করলে সহজেই আপনার পরিচয় শনাক্ত করা যায়, যা প্রতারণা, ফিশিং বা ট্র্যাকিংয়ের ঝুঁকি তৈরি করে।
২. গোপন কথা বা স্বীকারোক্তি: একাকিত্ব কাটাতে অনেকেই চ্যাটবটের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এআই কোনো বন্ধু বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নয়। আপনার বলা কথা সংরক্ষিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হতে পারে।
৩. কর্মস্থলের গোপনীয় তথ্য: অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য, নথিপত্র বা ব্যবসায়িক কৌশল কখনোই চ্যাটবটে পেস্ট করা উচিত নয়। চ্যাটবট ইনপুট ব্যবহার করে নিজেকে উন্নত করে, ফলে আপনার শেয়ার করা তথ্য বাইরে চলে যেতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
৪. আর্থিক তথ্য: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ বা সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরের মতো সংবেদনশীল আর্থিক তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে মূল্যবান। এসব তথ্য চ্যাটবটে দিলে তা চুরি বা অপব্যবহারের শিকার হতে পারে।
৫. স্বাস্থ্য বা চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য: এআই চ্যাটবট চিকিৎসক নয় এবং ভুল তথ্যও দিতে পারে। আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য, প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসার ইতিহাস শেয়ার করলে তা চুরি হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সব সময় একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৬. অশ্লীল বা আপত্তিকর বিষয়বস্তু: অনেক চ্যাটবট আপত্তিকর বিষয়বস্তু শনাক্ত করে ব্লক করলেও, আপনার লেখাগুলো রেকর্ড হয়ে যেতে পারে। অশ্লীল বা বেআইনি বিষয়বস্তু শেয়ার করলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা থাকে।
৭. পাসওয়ার্ড: কোনো চ্যাটবটের সঙ্গেই আপনার পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না, এমনকি কথার ছলেও নয়। এটি আপনার ই-মেইল, ব্যাংক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের জন্য একটি নিরাপদ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
৮. আইনি জটিলতা: চুক্তি, মামলা-মোকদ্দমা বা আইনি বিবাদের মতো বিষয়ে চ্যাটবটের পরামর্শ নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। চ্যাটবট ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে আপনার জন্য আইনি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৯. সংবেদনশীল ছবি বা নথি: পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ব্যক্তিগত ছবির মতো সংবেদনশীল নথি কখনোই চ্যাটবটে আপলোড করবেন না। ডিলিট করে দিলেও এসব ফাইলের ডিজিটাল চিহ্ন থেকে যেতে পারে।
১০. যা আপনি অনলাইনে দেখতে চান না: যদি আপনি না চান যে আপনার বলা কোনো কথা ভবিষ্যতে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ুক, তাহলে সেটা চ্যাটবটকে বলবেন না। চ্যাটবটের আলাপ অনেক সময় গোপন থাকে না এবং ভবিষ্যতে তা ব্যবহৃত হতে পারে। তাই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে আলাপকালে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলাদেশে প্রথম রোবটিক রিহ্যাব সেন্টার: চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে এক আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মাধ্যমে এ সেন্টারের উদ্বোধন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
চীন সরকারের সহযোগিতায় নির্মিত এই রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের নামকরণ করা হয়েছে এআই সিস্টেমেটিক থেরাপি সেন্টার। এটি কেবল বাংলাদেশের নয়, বরং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো। প্রায় ১০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা এই সেন্টারটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক থেরাপি প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
সেন্টারটি বিশেষ করে হাঁটাচলার সক্ষমতা হারানো রোগীদের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে উঠবে। স্ট্রোক–পরবর্তী জটিলতায় আক্রান্ত রোগীদের হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা চলাচলে অক্ষম হয়ে পড়ার সমস্যা এখানকার উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব হবে।
একইসঙ্গে স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, জন্মগত বা অর্জিত পক্ষাঘাত, ফ্রোজেন শোল্ডার, নার্ভ ইনজুরি, দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত বা পঙ্গু অবস্থা, জটিল অর্থোপেডিক সমস্যা, সেরিব্রাল পালসি, গিলিয়েন-ব্যারে সিনড্রোম এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথাজনিত জটিলতার মতো রোগের আধুনিক চিকিৎসা এখানে পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোবটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন যুগের সূচনা করবে। রোবটিক প্রযুক্তি এবং এআই-ভিত্তিক থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা হবে আরও দ্রুত, কার্যকর এবং নির্ভুল। এতে রোগীরা আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সুবিধা পাবে, পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য খাত আধুনিকায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশ
- ধর্ষণ মামলায় জামিনের পর নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা
- রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির পর কমলো স্বর্ণের দাম, নতুন দর ঘোষণা করলো বাজুস
- পদ্মার রুপালি ইলিশের প্রথম চালান ভারতে
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ