বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:৫০:২৭
বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীর বাউফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক নাটকীয় ঘটনা। সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ, আর তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় হাজির হয়েছেন স্থানীয় এক জামায়াত নেতা। বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে।

আটক যুবক মাইনুল ইসলাম মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুস সালাম সিকদারের ছেলে এবং কেশবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ মাইনুলকে নিজ গ্রাম থেকে আটক করে।

আটকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাইনুলের কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেসব ছবিতে তাকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। ফলে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এলাকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে অপুর সমর্থকদের পক্ষে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে অংশ নিয়েছিলেন। এনামুল হক হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের শ্যালক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

তবে বৃহস্পতিবার মাইনুল আটক হওয়ার পর ঘটনাটি ভিন্ন মোড় নেয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাঈদ দাবি করেন, মাইনুল এখন আর ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ভাষায়, “যেহেতু তিনি আমাদের কমিটির পদে আছেন, তাই আমি স্বাভাবিকভাবেই থানায় গিয়েছিলাম।”

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরুজ্জামান সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “মাইনুলকে ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন।”

-রাফসান


বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:২৬:০৫
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন পাস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে একটি ওলামায়ে কেরাম সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখা হবে’

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের যথাযথ মূল্যায়ন করে। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে বিএনপি চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিল। তখনও আমরা আলেম-ওলামা ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে চেয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি যদি আগামীতে দেশের জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে যেতে পারে, তাহলে আমাদের দল কখনই কোরআন ও সুন্নাহ’র আদর্শের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাশ করবে না। অতীতেও আমরা আলেম-ওলামাদের সম্মান দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করব।”

‘ইসলামের জাগরণ হয়েছে’

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো আইন পাস করে কোনো শাসকের স্থান ভবিষ্যতে আর হবে না। তিনি বলেন, “বিশেষ করে, শেখ হাসিনার এই পরিণতি দেখার পরে সকল রাজনৈতিক দল এখন সাবধান এবং এ দেশে ইসলামের জাগরণ হয়েছে।”

লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম-ওলামারা।


আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২০:১৮:৪৫
আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনার সময় কর্মসূচি দিয়ে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। রাজপথে নেমে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিএনপি কোনো ইস্যুতে আন্দোলনে যায়নি। তিনি আরও জানান, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়।

তিনি বলেন, আগামীতে তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেবেন, তবে এজেন্ডা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৯:৩৭:৫১
আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক সরকার না থাকায় জবাবদিহিতা ও স্থিতিশীলতার অভাব তৈরি হয়েছে। তার মতে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গণতান্ত্রিক ধারায় প্রত্যাবর্তন জরুরি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটি স্থিতিশীল অবস্থা চাই, যেখানে দেশের মানুষ নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারবে। সরকার যদি নির্বাচনের মাধ্যমে আসে এবং জনগণের সমর্থন পায়, তাহলে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তা না হলে অস্থিরতা চলতেই থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, সরকারের শক্তির মূল উৎস জনগণ। নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্রের শক্তি টেকসই হয় না। এজন্য দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটি সরকার গঠন অপরিহার্য।

নুরুল হক নূরের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে

আলাপচারিতার প্রসঙ্গ টেনে খসরু বলেন, “আমরা যত দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার পাব, যেখানে জনগণের সমর্থন থাকবে, যারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে—তত দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরবে। জনগণের শক্তির অনুপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে, বরং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।”

জবাবদিহিতার সংকট

সংসদের অনুপস্থিতি ও জবাবদিহিতার ঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে খসরু বলেন, “সংসদ নেই, এখানে জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি স্পষ্ট। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এর জন্য কাউকে দায়ী করায় লাভ নেই, কারণ নির্বাচিত সরকার না থাকলে দায়বদ্ধতার ঘাটতি থাকবেই।”

ভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে, যেখানে জাতীয় নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে করার প্রস্তাব রাখা হয়। এ বিষয়ে বিএনপি নেতা খসরু বলেন, “এটা চাইতেই পারে, এতে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদেরও কিছু দাবি আছে। তবে সব দাবিতে ঐক্যমত হবে, তা ভাবার কারণ নেই। বিভিন্ন দর্শন ও চিন্তাধারার কারণে আলাদা দল টিকে আছে। যদি সবার একই দাবি হতো, তাহলে বাকশালের মতো একদলীয় ব্যবস্থা হয়ে যেত। সুতরাং জনগণের কাছে গিয়ে, নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যান্ডেট নিয়েই এসব দাবি পূরণ করতে হবে। এটাই গণতন্ত্র।”

গণতন্ত্র না হলে অস্থিতিশীলতা বাড়বে

খসরুর মতে, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে জনগণই রাজনৈতিক শক্তির উৎস। জনগণের আস্থা ও ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না। তিনি বলেন, “যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস না করা হয়, তবে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। বরং এভাবে চলতে থাকলে পরাজিত শক্তির জন্য সুযোগ তৈরি হবে এবং তারা লাভবান হবে।”

নির্বাচনের প্রস্তুতি

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, “দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এর জন্যই গত ১৫–১৬ বছর ধরে সবাই ত্যাগ স্বীকার করেছে। নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের দাবি-দাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দাবি থাকতে পারে, তবে সেগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, ম্যান্ডেট পেতে হবে, তারপর সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে অনুমোদন পেতে হবে। এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালে কেউ যদি অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করে, তবে তাদের রাজনৈতিকভাবে দায় বহন করতে হবে।”


জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১১:১৫:৩৭
জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, আস্থা পুনর্গঠন করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

দলীয় শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা

তারেক রহমান তার পোস্টে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় দল। তিনি জানান, এরই মধ্যে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৭ হাজার দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে অনেকে বহিষ্কৃত ও পদচ্যুত হয়েছেন। তারেক রহমান বলেন, "শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।"

আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

তারেক রহমান আরও জানান, সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি সবসময় নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে। দলটি জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৩১ দফা কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। তার মতে, বিএনপি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং সে কারণে দলটিতে নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।"

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ

পোস্টে তিনি বলেন, বিএনপি তার ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। একইভাবে, বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। তিনি জানান, তাদের সেই আদর্শকে সামনে রেখেই বিএনপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যৎমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

পোস্টের শেষে তারেক রহমান তার সহকর্মী ও নেতাদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ আরও উজ্জ্বল হবে।" তিনি বিশ্বাস করেন যে, একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।


“অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০৯:১৮:১৭
“অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের মামলাগুলো সাধারণ আদালতে বিচারাধীন থাকলেও সেগুলো নিয়ে এখনো আশাব্যঞ্জক কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ রাষ্ট্রপক্ষের ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, “শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে যখন কথা বলি, সাধারণ আদালতে থাকা মামলাগুলো নিয়ে তাদের হতাশা প্রকাশ পায়। অনেক আসামি জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথা আমরা জানতে পারছি না। তাই আমাদের দাবি, এসব মামলাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক।”

ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এ আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও যেসব ব্যক্তি সরাসরি জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে, শাস্তি হবে এটাই আমরা দেখতে চাই। এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্যও এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যে স্বৈরশাসন কায়েমকারীদের পরিণতি কী হয়।”

তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ আমাদের সন্তুষ্ট করছে। তবে মামলার সংখ্যা অনেক। ট্রাইব্যুনালে রয়েছে, সাধারণ কোর্টেও রয়েছে, আবার গুম সংক্রান্ত অভিযোগও আছে। তাই বিচার প্রক্রিয়াকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে।”

এনসিপি আহ্বায়ক স্পষ্ট করে জানান, শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড ও গুমে জড়িত পুলিশ, সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদেরও বিচারের আওতায় আনা আবশ্যক। তিনি বলেন, “কোনো বাহিনীর কেউ যাতে দায়মুক্তি না পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। গুমের ঘটনায় অনেক অভিযোগ এসেছে। আমি নিজেও অভিযোগ দিয়েছি ডিজিএফআইয়ের যেসব কর্মকর্তা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং হেনস্তা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও।”

রামপুরা–বাড্ডার ঘটনায় বিজিবির একজন সেনা কর্মকর্তার নাম উঠে এলেও এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের আবেদন হলো, অপরাধী যারাই হোক না কেন, কোন বাহিনীর তা বিবেচনা না করে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, গুম ও নির্যাতন করেছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে, তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

-রাফসান


জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০৯:১২:১৩
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ একাধিক রাজনৈতিক দাবি সামনে রেখে রাজধানীতে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। একই লক্ষ্য সামনে রেখে তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও দলগুলো পৃথকভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচি সফল করতে প্রতিটি দলই ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।

জামায়াত ছাড়া অন্য ছয়টি দল হলো— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। প্রথম দিনের সূচি অনুযায়ী আজ রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিনিধিত্বমূলক অনুপাত (PR) পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।

দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান্য পেয়েছে— জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, পিআর পদ্ধতি চালু করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী দল জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। এর আগে দলগুলো বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং ২৬ সেপ্টেম্বর—এই তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।

জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ দফা দাবির অংশ হিসেবে আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

একইভাবে বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করবে। একই দাবিতে খেলাফত মজলিসও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।

এদিকে, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। কর্মসূচি অনুযায়ী দলটি আজ ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করবে। একই দিনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও রাজধানীতে পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।

-রফিক


চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের জামায়াতে ইসলামী আমীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৪:৪৮:৪৪
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের জামায়াতে ইসলামী আমীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
ছবিঃ সংগৃহীত

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় জামায়াতে ইসলামী আমীর ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ড. শফিকুর রহমানের শারীরিক ও কর্মজীবনের প্রতি খোঁজ নেন এবং সৌজন্যমূলক আলাপচারিতার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এই সময় দুইপক্ষ দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সাক্ষাৎকালে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। এতে অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মিয়া গোলাম পারওয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

সৌজন্য সাক্ষাৎটি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক সংলাপকে আরও সুদৃঢ় করার পাশাপাশি পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

-নাজমুল হোসেন


৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৭:২৬:৫৬
৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন
ছবিঃ বি এস এস

৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (আরইউ) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল কাউন্সিল ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সেতাউর রহমান জানান, এবারের নির্বাচনে মোট ৯০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে রাকসুতে ২৪৮ জন, ১৭টি হল কাউন্সিলে ৫৯৭ জন এবং সিনেট প্রতিনিধি পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়বেন।

রাকসুর ২৪৮ প্রার্থীর মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ১৮ জন, জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ১৩ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হল কাউন্সিল নির্বাচনে ৬১ জন ভিপি, ৫৮ জন জিএস এবং ৫৭ জন এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নারী শিক্ষার্থীদের ছয়টি হলে ভিপি পদে ১৬ জন, জিএস পদে ১৬ জন এবং এজিএস পদে ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর রবিবার লটারির মাধ্যমে সবার ব্যালট নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮,৯০৫ জন, যার মধ্যে ১১টি পুরুষ হলে ১৭,৬০০ এবং ছয়টি নারী হলে ১১,৩০৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি প্যানেল রাজনৈতিক দল-সমর্থিত, একটি গঠিত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সাবেক সমন্বয়ককে নিয়ে এবং বাকি চারটি স্বতন্ত্র প্যানেল।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অংশগ্রহণকারী প্যানেলগুলো হলো—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জসদ), সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ, আধিপত্যবিরোধী ঐক্য, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পরিষদ, রাকসু ফর র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, অপরতিরোধ্য-২৪, স্বাধীন শিক্ষার্থী জোট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স এবং ইউনাইটেড ফর রাইটস।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২৩ সদস্যের প্যানেল থেকে শেখ নূর উদ্দিন আবির (ভিপি), নাফিউল জিবন (জিএস) ও জাহিন বিশ্বাস ঈশা (এজিএস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে মুস্তাকুর রহমান জাহিদি, জিএস পদে ফজলে রাব্বি মোহাম্মদ ফাহিম রেজা এবং এজিএস পদে এস এম সালমান রাব্বি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তাছাড়া সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ, আধিপত্যবিরোধী ঐক্য, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পরিষদ, র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ প্যানেল, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, অপরতিরোধ্য-২৪ এবং স্বাধীন শিক্ষার্থী জোট থেকেও ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ও ইউনাইটেড ফর রাইটস প্যানেলের প্রার্থীদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পোস্টার, লিফলেট, মিছিল-মিটিংয়ে মুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি হল ও একাডেমিক ভবন। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিতে প্রস্তুত।

৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন শুধু নতুন নেতৃত্ব গড়ার সুযোগ নয়, বরং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

-সুত্রঃ বি এস এস


বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে: লুৎফুজ্জামান বাবর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১১:৫৮:০৮
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে: লুৎফুজ্জামান বাবর
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জানিয়েছেন, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, তবে কিছু বিষয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। এসব ইস্যু নিয়ে সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রবিবার রাজধানীর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাবর। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয় উঠে আসে।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এ বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

কোন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে জানতে চাইলে লুৎফুজ্জামান বাবর অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সম্প্রতি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবাহ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে একই সঙ্গে স্বীকার করেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। রবিবার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে তিনি মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে বিএনপির অন্য কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

-রাফসান

পাঠকের মতামত: