"ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সহযোগী শক্তির পাশাপাশি আরেকটি রাজনৈতিক দলও প্রহসনের খেলায় অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সভায় সেলিমা রহমান আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে এবং এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এখন থেকে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কে নমিনেশন পেলেন বা কে প্রার্থী হলেন সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট নিশ্চিত করা।”
তিনি দেশের বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেলিমা রহমান বলেন, “আজকের সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গেছে। শিশু ও তরুণরা অশালীন ভাষায় কথা বলছে, শিক্ষকের মর্যাদা নেই, মায়ের সম্মান নেই, বাবার সম্মান নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে আপনাদের মাধ্যমে।” তিনি আরও আহ্বান জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে এবং দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে তারেক রহমান প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
-রফিক
স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসকের পরামর্শ ও শিডিউল আগেই নির্ধারিত ছিল। সেই সময়সূচি অনুযায়ী তারা আজ সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি আরও জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল ও তাঁর স্ত্রী ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
তবে, চিকিৎসা শেষে তারা কতদিন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করবেন, সে বিষয়ে শায়রুল কোনো তথ্য দেননি। পারিবারিক কারণে এ যাত্রা মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রিক, বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে নিজেও চোখের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। গত মাসেই তিনি চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন। এবার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য একই দেশে নিয়ে যাওয়া তাঁর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের একটি ধারাবাহিকতা বলেই মনে করছেন অনেকে।
-রাফসান
আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে এলাকাবাসী। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে স্থানীয়রা ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়ক দুটিতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র রোদে কষ্ট এড়াতে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কের ওপর সামিয়ানা টানিয়ে দীর্ঘসময় অবস্থান করেন।
অবরোধে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভাঙ্গাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অচল রাখার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। স্থানীয়দের দাবি, আগে ফরিদপুর–৪ আসনটি গঠিত ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে, আর ফরিদপুর–২ আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল নগরকান্দা ও সালথা। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দেশের ৪৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে যে গেজেট প্রকাশ করে, তাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে কেটে নিয়ে ফরিদপুর–২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই বিরোধ দেখা দেয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “আমরা অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছি। এলাকাবাসী দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে উল্লেখ করে বলেন, “আন্দোলনকারীদের দাবি জাতীয় পর্যায়ের। স্থানীয় প্রশাসনের এখতিয়ার নেই। তারা যে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল, সেটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।”
প্রসঙ্গত, ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে ফরিদপুর–২ আসনে যুক্ত করার গেজেট প্রকাশের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ৫ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসী দুই দফা সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করে ওই গেজেট বাতিলের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিএনপি নেতা মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান দুলালসহ পাঁচজনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি ভিন্ন। ৭ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইন অনুযায়ী সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত হলে তা নিয়ে কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে সতর্ক করে দেন, “বিক্ষোভ–আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।”
-রাফসান
বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। এর মাত্র একদিন আগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দমন-পীড়নের ঘটনা।
রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে ৭৩ বছর বয়সী ওলি লিখেছেন, “আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি, যাতে রাজনৈতিক সমাধানের পথে আরও অগ্রসর হওয়া যায় এবং বিদ্যমান সংকট নিরসনের উপায় খোঁজা সম্ভব হয়।”
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপগুলো চালু করা হয়, তবুও বিক্ষোভ থামেনি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়, যাতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়।
ওলি গত বছর চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, যখন তার কমিউনিস্ট পার্টি মধ্য-বামপন্থি নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করে সরকার গড়ে। তবে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি ও ধীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে জনঅসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছিল।
হিমালয়ের এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ। কিন্তু বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি এবং মাথাপিছু আয় মাত্র ১,৪৪৭ ডলার। ফলে তরুণ প্রজন্ম ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছে।
২০০৮ সালে এক দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের পর নেপাল রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে ফেডারেল প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। মাওবাদীদের শান্তি চুক্তির মাধ্যমে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে বয়স্ক রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা দখলের পালাবদল, দলাদলি ও ঘনঘন সরকার পরিবর্তন জনগণের কাছে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আরও অবিশ্বস্ত করে তুলেছে।
গত শুক্রবার থেকে টিকটকে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, সাধারণ নেপালিদের দুঃখ-দুর্দশার বিপরীতে রাজনীতিবিদদের সন্তানরা বিলাসবহুল সামগ্রী ও বিদেশ ভ্রমণ প্রদর্শন করছে। এসব দৃশ্য বিক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ওলির পদত্যাগ নিঃসন্দেহে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে। তবে এই অস্থিরতা থেকে উত্তরণের পথ এখনো অনিশ্চিত।
-সুত্রঃ এ এফ পি
৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, নির্বাচন স্বচ্ছ দাবি ঢাবি ভিসির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দাবি করেছেন, ডাকসু নির্বাচনে কোনো ধরনের স্বচ্ছতার অভাব নেই। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সেনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য জানান, ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “কার্জন হলে একটি সামান্য সমস্যা হয়েছিল, যা ভুলবশত ঘটেছে। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তারপরও বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করা হবে। যদি কারও দায়িত্বহীনতা প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভিসির এই মন্তব্যকে ঘিরে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বা অনিয়মের খবর সামনে এলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এখন মূল চ্যালেঞ্জ।
-আলমগীর হোসেন
থাকসিন শিনাওত্রার কারাদণ্ড: রাজনৈতিক বংশপরিচয়ের পতনের আভাস
থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবার দেশটির প্রভাবশালী ও বিতর্কিত রাজনীতিবিদ থাকসিন শিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানায়, ২০২৩ সালে নিজস্ব হাসপাতালে থেকে শিনাওত্রা কারাদণ্ড অযথা সম্পন্ন করেছিলেন, যা বেআইনি ছিল।
দশকেরও বেশি সময় ধরে শিনাওত্রার রাজনৈতিক বংশপরিচয় দেশের সামরিক ও রাজতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক মহলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই পরিবার এবং তাদের পপুলিস্ট ধারা দেশটির প্রথাগত সামাজিক কাঠামোর জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইনি ও রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিশেষে তাদের প্রভাব হ্রাস পেতে শুরু করেছে। সর্বশেষ তার কন্যা পেটংটার্ন শিনাওত্রাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সাময়িকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ আদালতের রায় থাইল্যান্ডের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্য একটি কঠিন ধাক্কা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। আদালতের নির্দেশে তার ব্যাংকক রিম্যান্ড প্রিজনে স্থানান্তরের জন্য ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।
থাকসিন ২০০১ এবং ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তবে দ্বিতীয় মেয়াদে সামরিক অভ্যুত্থানের পর নির্বাসনে যান। ২০২৩ সালের আগস্টে দেশে ফেরার পর তিনি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আট বছরের সাজা পান। কিন্তু তিনি কখনো সেল না কাটিয়ে ব্যক্তিগত হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজার বিশেষ ক্ষমা ও বয়স্ক বন্দীদের জন্য পূর্বমুক্তির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাজা এক বছরে কমিয়ে দেওয়া হয়।
এই সময়ের ফেরা ও হাসপাতাল ট্রান্সফার, যা পেউ থাই পার্টির নতুন সরকার গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, তা জনমনে বিশেষ ব্যবস্থার অভিযোগ ও সন্দেহ সৃষ্টি করেছিল। আদালতের রায়ে বলা হয়, “অভিযুক্তের সাজা কার্যকর করা বেআইনি। তিনি জানতেন বা সচেতন ছিলেন যে তার স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার মধ্যে নেই এবং এটি বহির্বিভাগে চিকিৎসা করা যেত।”
শিনাওত্রার পরিবারের জন্য রাজনৈতিক সাফল্যের এই ধাক্কা একটি চ্যালেঞ্জ হলেও তারা এখনও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গণ্য। তার কন্যা পেটংটার্ন জানিয়েছেন, “আমার পিতা এখনও মানুষের জীবন উন্নয়নের জন্য তাঁর নৈতিক ও রাজনৈতিক ভূমিকার মাধ্যমে নেতা হিসেবে রয়েছেন।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, শিনাওত্রা সহজে রাজনীতি ছাড়বেন না। থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে তার প্রভাব ও বুদ্ধিমত্তা এখনও বিবেচনার বিষয়। আদালতের বাইরে তার সমর্থকরা লাল রঙের পোশাকে উপস্থিত হয়ে রায়ের প্রতি একাগ্রতা দেখিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পেউ থাই পার্টি ক্ষমতা হারানো এবং শিনাওত্রার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা গুজব ও রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, “এটি শেষ নয়, তবে পেউ থাইয়ের শক্তি কমিয়ে দিয়েছে।”
-সুত্রঃ এ এফ পি
প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
ফ্রান্সের জাতীয় সংসদ সোমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরুর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, যা দেশটির আধুনিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। মাত্র নয় মাস ক্ষমতায় থাকার পরই বাইরু তাঁর মিতব্যয়ী বাজেট নিয়ে জটিল অচলাবস্থা কাটাতে আস্থা ভোট ডাকেন। বাজেটে প্রস্তাব ছিল ৪৪ বিলিয়ন ইউরো (৫২ বিলিয়ন ডলার) সাশ্রয় করে ফ্রান্সের ঋণের বোঝা কমানো। কিন্তু ফল এসেছে উল্টো—৩৬৪ জন সাংসদ সরকারের প্রতি অনাস্থা জানান, আর আস্থা জানান মাত্র ১৯৪ জন।
ফরাসি সংবিধানের ৫০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরপরই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংসদের স্পিকার ইয়েল ব্রন-পিভেট। বাইরু এভাবে আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক বিবৃতিতে জানান, তিনি এই ফলাফল মেনে নিয়েছেন এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। মঙ্গলবার বাইরুর সঙ্গে বৈঠকে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে।
ম্যাক্রোঁর সামনে নতুন সংকট
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ছয়জন প্রধানমন্ত্রী দেখলেন ম্যাক্রোঁ। তবে ২০২২ সাল থেকে পাঁচবার নেতৃত্ব বদলের ফলে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ এখন অস্থিরতায় ভরা। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সক্রিয় থাকলেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট এখন তাঁর জন্য বড় মাথাব্যথা।
বাইরু আস্থা ভোটের ঝুঁকি নিয়ে বলেন, “সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হতো কোনো ঝুঁকি না নেওয়া—যেন সব আগের মতো চলতে থাকে। অথচ ঋণের পাহাড় ফ্রান্সের জন্য প্রাণঘাতী। কয়েক বছরের মধ্যে দেশকে ঋণের স্রোত থেকে বাঁচাতেই আমরা এই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।”
নতুন নেতৃত্ব কে?
এখন প্রশ্ন, ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা অলিভিয়ার ফোরে ঘোষণা দিয়েছেন, বামপন্থীরা দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমাদের সময় এসেছে ফ্রান্সকে নতুন পথে নিয়ে যাওয়ার।” তবে এমন সরকার কতটা টিকবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
অন্যদিকে, ম্যাক্রোঁর আস্থাভাজন হলেও ঝুঁকিপূর্ণ প্রার্থী হতে পারেন বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানাঁ। তুলনামূলকভাবে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাথরিন ভত্রাঁ কিংবা অর্থমন্ত্রী এরিক লম্বার।
তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ফরাসিদের ৬৪ শতাংশ চান ম্যাক্রোঁ নিজেই পদত্যাগ করুন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নয়। যদিও সংবিধান অনুযায়ী তিনি ২০২৭ সালের নির্বাচনে তৃতীয়বার প্রার্থী হতে পারবেন না।
লে পেনের ছায়া
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতাও বাড়ছে। “ব্লক এভরিথিং” নামের একটি বামপন্থী জোট বুধবার দেশে গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বড় শ্রমিক সংগঠনগুলোও আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, ২০২৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) দলের সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে এর নেতা মেরিন লে পেন মার্চ মাসে ভুয়া চাকরির মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড (যার মধ্যে দুই বছর স্থগিত) ও পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ হন।
লে পেন অবশ্য রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। সোমবার আদালত জানিয়েছে, তাঁর আপিল শুনানি ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। যদি আপিলে জয় পান, তবে আবারও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে ফিরতে পারেন তিনি। ইতোমধ্যেই তিনি ম্যাক্রোঁকে দ্রুত সংসদীয় নির্বাচনের ডাক দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “এটি আর কোনো বিকল্প নয়, এটি একটি বাধ্যবাধকতা।”
ফ্রান্সের এই রাজনৈতিক অস্থিরতা কেবল সরকারের স্থায়িত্ব নয়, বরং ইউরোপীয় রাজনীতিতেও নতুন অনিশ্চয়তার জন্ম দিচ্ছে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে নির্ধারিত আটটি ভোটকেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজিত এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি করেছে আলাদা উত্তেজনা ও প্রত্যাশার পরিবেশ।
নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি
ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। টিএসসি এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ, যাতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। সকাল থেকেই স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে পুলিশ ও প্রশাসন।
ভোটার ও প্রার্থী সংখ্যা
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে ৬২ জন ছাত্রী। অন্যদিকে ১৮টি হলে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। ফলে পুরো নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা ও প্রতিযোগিতা দুই-ই প্রবল।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া
ভোটাররা তাদের সুবিধাজনক সময়ে কেন্দ্রে গিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট দেবেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি কার্ড বা পে-ইন স্লিপ এবং অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় আইডি বা লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় প্রমাণ করবেন। এরপর আঙুলে অমোচনীয় কালি দেওয়া হবে এবং ভোটার তালিকায় সই করার পর ব্যালট প্রদান করা হবে।ভোটাররা গোপন কক্ষে প্রবেশ করে পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে ‘ক্রস চিহ্ন’ দেবেন। ব্যালট ভাঁজ না করে তা নির্ধারিত বাক্সে ফেলতে হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের জন্য আলাদা ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। এবারের ব্যালট পেপারের আকারও বড়—ডাকসুর জন্য পাঁচ পৃষ্ঠা এবং হল সংসদের জন্য এক পৃষ্ঠার ব্যালট ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট
প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। যারা ব্রেইল পড়তে সক্ষম নন, তারা অন্যের সহযোগিতা নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এই কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।
ভোটার ও প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা
সকালের দিকে টিএসসি, কার্জন হলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থী জানান, জীবনে প্রথমবার ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাদের মধ্যে ভিন্ন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ রাত জেগে প্রার্থী বাছাই করেছেন বলে জানিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে, যা প্রমাণ করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি বাছাইয়ে আন্তরিক।
অন্যদিকে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, প্রার্থীদের জন্য আলাদা কোনো কার্ড তৈরি করা হয়নি, ফলে অনেক কেন্দ্রেই তারা প্রবেশে সমস্যায় পড়ছেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থী ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্যানেল
মোট ১০টির মতো আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। শীর্ষ তিন পদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য এবং বামপন্থী সাত সংগঠন সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটকেন্দ্র ও সময়
এবারই প্রথমবারের মতো আবাসিক হলের বাইরে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কার্জন হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, টিএসসি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, সিনেট ভবন, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভূতত্ত্ব বিভাগ এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ—এই আটটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত, তবে যারা চারটার মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন, তারা সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন।
সব মিলিয়ে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও অংশগ্রহণমূলক চেতনার এক গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মোতাল্লেছ হোসেন নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।
প্রতারণার ধরন ও মামলার বিবরণ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অনুসন্ধানে জানা যায়, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে খালেদা জিয়ার ‘লিয়াজোঁ অফিসার’ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে।”
সিআইডি জানায়, মোতাল্লেছ হোসেনের ‘এম এল ট্রেডিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পাওয়া যায়নি। তিনি কখনো পোশাক কারখানার মালিক, কখনো চা-বাগান উদ্যোক্তা কিংবা ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে তিনি বিএনপি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেন।
মোতাল্লেছ হোসেনের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে থাকা ৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ধারায় রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা (নম্বর-১৯) করা হয়েছে, যেখানে মোতাল্লেছ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। টানা ৪৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে দলের সভাপতির পদে থাকা শেখ হাসিনা তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি 'সাকসেসন প্ল্যান' বা উত্তরাধিকার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে, এই পরিকল্পনার আওতায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হচ্ছে।
সায়মা ওয়াজেদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা
গত বছরের ৫ই আগস্ট ক্ষমতা হারানোর পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। এই পরিস্থিতিতে এবং বয়সের কারণে তাকে এখন দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে যাওয়ার পর সায়মা ওয়াজেদ এখন পুরোপুরি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। তিনি মায়ের সঙ্গে একই শহরে থাকায় সরাসরি তাকে সাহায্য করছেন। মায়ের ভাষণের খসড়া তৈরি, কর্মসূচির ক্যালেন্ডার স্থির করা এবং বাইরের দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করার কাজও তিনি করছেন।
‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল অনুসরণ
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনা ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের 'রাহুল-প্রিয়াঙ্কা' মডেল অনুসরণ করতে চাইছেন। এই মডেল অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যেমন তাদের মায়ের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করছেন, তেমনি শেখ হাসিনার ছেলে-মেয়েও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন। সজীব ওয়াজেদ দলের প্রধান মুখ ও মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন, আর সায়মা ওয়াজেদ সরাসরি মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কাঠামোতে পরিবর্তন
শেখ হাসিনা তার ছেলে-মেয়ের ওপর অনেক দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। দলের ভেতরেও ক্ষমতার কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই নতুন কাঠামোতে উপেক্ষিত, যিনি প্রায় দশ মাস ধরে ভারতে থাকলেও দলীয় সভাপতির দেখা পাননি। বরং শেখ হাসিনা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাসিম এবং জাহাঙ্গীর কবির নানকের ওপর বেশি ভরসা রাখছেন। এই তিন নেতা আপাতত কলকাতা থেকে দলের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে, সজীব ওয়াজেদ আমেরিকায় বসে দলের অনুকূলে 'ন্যারেটিভ নির্মাণ' ও বিদেশের সংবাদমাধ্যমে দলের বক্তব্য তুলে ধরার কাজটি করছেন।
আওয়ামী লীগ কী বলছে?
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বিবিসিকে এই 'রাহুল-প্রিয়াঙ্কা' মডেল অনুসরণের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, তারা কেউই এ বিষয়ে 'অন রেকর্ড' মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আরাফাত দাবি করেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, “এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, সেই লক্ষ্যেই সব চেষ্টা নিয়োজিত করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
- ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫: কারা পেলেন সেরা সম্মাননা
- যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট
- কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট খোলা: কর্ণফুলীতে তীব্র পানি প্রবাহ
- জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
- মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- একীভূতকরণ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
- বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ
- ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের বার্তা
- স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
- মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী
- আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
- ইসরায়েলের হামলা, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
- ঢাবি ডাকসু: ভিপি–জিএস–এজিএস পদে শিবিরের দাপট
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- ইইউ সংলাপ: ঢাকার অগ্রাধিকার বাণিজ্য, ইউরোপের নজর অনিয়মিত অভিবাসনে
- খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
- ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, নির্বাচন স্বচ্ছ দাবি ঢাবি ভিসির
- টিএসসি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ৩৫% ভোট
- অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি
- থাকসিন শিনাওত্রার কারাদণ্ড: রাজনৈতিক বংশপরিচয়ের পতনের আভাস
- বার্মিংহামে বলিউডের ‘ওজিজি’ রানী: কারিনা কাপুর খানের সিলভার শাড়ি
- ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস: পোশাক নয়, স্টাইলের প্রদর্শনী
- বলিউডে বহিরাগতদের প্রতি ক্ষোভ, ‘নেপো বেবি’দের পক্ষ নিলেন তনিশা মুখার্জি
- মেক্সিকোতে ভয়াবহ ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ১০ নিহত, আহত ৪১
- ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
- বিদায় নিশ্চিত, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩
- উয়েফার নিয়ম মানতে প্রস্তুত হ্যারি কেইন ও দল
- পরিচালকের শেয়ার কেনা সম্পন্ন
- যে ভোট রাতেই করা যায়, সেটা দিনে টেনে রাখা কেন?- ফারুকী
- মহাবিশ্বে নতুন দৈত্য কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান
- বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে জোহরান মামদানি, নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনে প্রগতিশীল ঢেউ
- গাজা অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিশনে হামলা
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- জাতিসংঘ ক্ষুব্ধ, স্পেন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি—গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ তীব্রতর
- পাকিস্তান–চীন যৌথ অনুসন্ধানে নতুন দিগন্ত
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে সরকার
- স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাইলেন শরিফ ওসমান বিন হাদী, পেলেন শর্ত
- অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন
- নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ
- খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- সৌদি রাজতন্ত্রের অজানা অধ্যায়: ক্ষমতার জন্য বাবা ও ভাইদের ছাড় দিলেন না মোহাম্মদ বিন সালমান
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ড. ইউনূসকে সরাতে কঠোর আন্দোলন হতে পারে: জাহেদ উর রহমান
- জ্বর, মাথাব্যথা, আর্থ্রাইটিস—ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় ভিন্ন ডোজ প্যারাসিটামল
- শেয়ারদর বৃদ্ধি নিয়ে ডিএসইকে যে ব্যাখ্যা দিল বিডিকম অনলাইন