জনগণ না চাইলে পিআর থেকে সরে আসবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, যদি জনগণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি না চায়, তাহলে তার দলও জনগণের সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাবে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
'জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি' শীর্ষক এই সেমিনারটির আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্টস্ ফোরাম অব বাংলাদেশ (এএফবি)।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির পক্ষে জামায়াতের অবস্থান
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, যেসব দল বেশিরভাগ ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের কথা না শুনে কাদের কথায় পিআর পদ্ধতি দেওয়া হচ্ছে না, তা পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, "আমরা বলেছি, গণভোট দিন। গণভোটে যদি জনগণ পিআর পদ্ধতি চায়, তাহলে সব দলকে তা মানতে হবে। আর যদি জনগণ বলে পিআর লাগবে না, তাহলে আমরাও (জামায়াত) সেটাকে শ্রদ্ধা করি।"
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তারা এখনো সংশয়ে আছেন। তিনি বলেন, "সরকার গতকাল (বুধবার) আমাদের কাছে একটি খসড়া চেয়েছে যে, এর আইনি পথ দেখান। গতকাল রাতেই আমরা মিটিং করে একটি ড্রাফট তৈরি করেছি। আমরা সবসময় সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজি আছি, আমরা কোনো সংকট চাই না।"
পিআর পদ্ধতির ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে কালো টাকা এবং পেশিশক্তির ব্যবহার কমে যাবে। এতে সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, যে দল ১% ভোটও পাবে, তারা তিনটি আসন পাওয়ার সুযোগ পাবে। এটি ছোট দলগুলোর জন্যও পার্লামেন্টে আসার সুযোগ তৈরি করবে। যারা একটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ চান না এবং একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, "আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব, তবে তার আগে পিআর-এর দাবি পূরণ করে ইনশাআল্লাহ আমরা নির্বাচনে যাব। এই দাবি আমাদের চলতেই থাকবে। আমাদের দাবি মানতে হবে, তারপরে আমরা নির্বাচনে যাব। সবাইকে বাদ দিয়ে যদি এককভাবে নির্বাচন করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ আর তা হতে দেবে না।" তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, "একাই নির্বাচন করবেন, ওই চিন্তা করে আর ঘুম নষ্ট করার দরকার নেই।"
অন্য দলগুলোর প্রতি জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, বহু কষ্টের বিনিময়ে জনগণ দেশকে সংস্কারের সুযোগ পেয়েছে। কোনো দলীয় সরকার এলে এই সংস্কারের সুযোগ আর থাকবে না। তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে একটি দলের স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেছেন, 'আপনারা যত সংস্কার আইনকানুন বদলান, আমরা ক্ষমতায় এলে সব মুছে দেব।'" এই মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "যাওয়ার আগেই যদি মুছে দেন, তাহলে ক্ষমতায় গেলে কী করবেন?"
সাবেক সেনা কর্মকর্তার মন্তব্য
সেমিনারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীকে ভিপি নূরকে মারতে দেখছি। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কাউকে আটক করতে দেখিনি।" তিনি আরও বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীর এই সমালোচনার কারণে তাদের জুলাই যোদ্ধাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আজ পর্যন্ত হয়নি। যে সেটআপ হাসিনা করেছেন, সেটাই আছে। তারা দ্রুত নির্বাচন চান যেন পলাতকদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারেন।"
মূল প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই সনদ জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল। এটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আইনি ভিত্তি তৈরি করেছে, তবে এর অস্পষ্টতা এবং রাজনৈতিক ভিত্তির কারণে বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বগুড়ায় সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলা
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগ
সারজিস আলম এদিন জয়পুরহাটে সমন্বয় সভা শেষে বগুড়ায় আসেন। বগুড়া জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে আরেকটি সমন্বয় সভায় যোগ দিতে বিকেল ৩টায় তিনি সেখানে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে তিনি সমন্বয় সভায় যোগ দেওয়ার পরপরই জেলা পরিষদের পেছনে করতোয়া নদীর পাশ থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
বিস্ফোরণ: ককটেলগুলোর মধ্যে একটি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত হয়, তবে অন্যটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়।
আইনশৃঙ্খলা: খবর শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করে।
এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেন, বারবার বলার পরও পুলিশ আগে থেকে নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা: মির্জা ফখরুল কেন দায়ী করলেন আমলাতন্ত্রকে?
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বড় সুযোগ এসেছিল, কিন্তু এরপরও রাজনীতিকদের মাঝে যে অনৈক্য, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনীতিতে সততা ও ঐক্যের আহ্বান
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন:
“রাজনীতির মধ্যে সততা আনা না গেলে রাজনীতি সুন্দর হবে না। সম্পদ তৈরি করার মানসিকতা থাকলে মানুষের ঘৃণা ছাড়া কিছু অর্জন হয় না।”
তিনি মনে করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর যে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছিল, তা কাজে লাগাতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের বিকল্প নেই।
শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার নিম্ন মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্ন মানের। এর জন্য দায়ী রাজনীতিবিদ এবং আমলাতন্ত্র।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আমরণ অনশনে সংহতি জানালেন এ্যানি
তিন দফা দাবিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ও সংহতি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং সংহতি প্রকাশ করেন।
আন্দোলনের পরিস্থিতি ও দাবি
শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফেরত যাবেন না।
দাবিসমূহ: মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনে আছেন।
সরকারের ঘোষণা: রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (কমপক্ষে ২ হাজার টাকা) দেওয়ার আদেশ জারি করলেও, শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শিক্ষক নেতাদের আহ্বান
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই আন্দোলনকে আরও জোরালো করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষকরা গত রোববার ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন এবং পরে শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে হানাহানি থাকবে না: মুফতি ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে দেশে মারামারি, হানাহানি ও কাটাকাটি কিছুই থাকবে না। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ যেখানে জান-মালের নিরাপত্তা পাবে, সেখানেই ভোট দেবে। হিন্দুরাও নিরাপত্তা যেখানে পাবে, সেখানেই ভোট দেবে।”
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার জিয়া অডিটরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামগঞ্জ উপজেলা শাখার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৫ বছরে উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ
ফয়জুল করীম বলেন:
“৫৪ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, ইসলামী আন্দোলন ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় এলে সেই উন্নয়ন ৫ বছরেই সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য কেবল রাস্তাঘাট নির্মাণ নয়, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।”
তিনি বলেন, শুধু রাস্তাঘাট উন্নয়নই একজন এমপির দায়িত্ব নয়। এসব হলো শুভঙ্করের ফাঁকি। তিনি অভিযোগ করেন, তারা (ক্ষমতাসীনরা) উন্নয়নের কথা বলে ইসলামের বিরুদ্ধে আইন পাস করে। অথচ একজন এমপির মূল কাজ হলো আইন প্রণয়ন করা। ইসলামের পক্ষে ভোট দিলে তার বরকতও ভোটাররাই পাবেন।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা সভাপতি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা-তারেকের নিরাপত্তা: বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, একটি বুলেটপ্রুফ বাস কেনার অনুমতি দেওয়া হয় চলতি মাসের শুরুর দিকে এবং গত জুন মাসে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়। বিএনপি এখনো কোন মডেলের গাড়ি কেনা হবে তা চূড়ান্ত না করলেও, দলীয় সূত্রে জানা গেছে—জাপান থেকে গাড়ি কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
নিরাপত্তা ও আগ্নেয়াস্ত্র
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর জানান, আসন্ন নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জনসংযোগ করতে সারা দেশে যাবেন। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে।
বুলেটপ্রুফ গাড়ির পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্যও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। একটি শটগান ও দুটি পিস্তলের লাইসেন্সের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে এই লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে।
নাহিদ ইসলামের তীব্র সমালোচনা: পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন এনসিপি নেতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছিল। তিনি বলেছেন, তাদের এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সংস্কার কমিশনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা এবং জনগণের উত্থানের পর জাতীয় সংলাপকে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠনের মূল প্রশ্ন থেকে বিভ্রান্ত করা। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ষড়যন্ত্র ও জিম্মি করার অভিযোগ
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি একটি সাংবিধানিক নিরাপত্তা হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল। এর আশেপাশে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল।
তবে তিনি অভিযোগ করেন:
“জামায়াত ও তার সহযোগীরা এই এজেন্ডাকে জিম্মি করে এটিকে কেবল একটি কৌশলগত পিআর ইস্যুতে পরিণত করে। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এটিকে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য কখনো সংস্কার নয়, বরং এটি ছিল কৌশলগত প্রভাব বিস্তার।”
নাহিদ ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগে অথবা পরে কখনোই সংস্কার সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি জামায়াত। তিনি মনে করেন, সংস্কার কমিশনের মধ্যে তাদের সমর্থন ছিল বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গির ফল নয়, বরং রাজনৈতিক ছদ্মবেশধারী হস্তক্ষেপ।
ভবিষ্যৎ ও হুঁশিয়ারি
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে হুঁশিয়ারি দেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন স্পষ্টভাবে এই প্রতারণাকে বুঝতে পেরেছে।
“সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিগুলোকে তাদের ওপর শাসন করতে দেবেন না।”
জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি ও ৫ দফা দাবি
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে:
২০ অক্টোবর (সোমবার): রাজধানীতে
২৫ অক্টোবর (শনিবার): বিভাগীয় শহরগুলোতে
২৭ অক্টোবর (সোমবার): জেলা শহরগুলোতে
৫ দফা দাবিসমূহ:
১. গণভোট ও আদেশ: জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা।
২. পিআর পদ্ধতি: আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে / উচ্চ কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. বিচার: ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. নিষিদ্ধকরণ: স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি
সংবাদ সম্মেলনে সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ইসি জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘জঙ্গলীয় কায়দায়’ চলছে। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো পরিবার কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয়ের কাছে নির্বাচন কমিশনকে বর্গা দিতে চাই না। নির্বাচন কমিশন সর্বজনীন।”
রোববার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শাপলা প্রতীক ও স্বৈরাচারী আচরণ
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, শাপলা প্রতীক না দিতে পারার ব্যাপারে কমিশনকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসি শাপলাকে রাষ্ট্রীয় প্রতীক বলেছে, এমন বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন:
“জুলাই সনদ নামে যে নাটক হয়েছে সংসদে, তারা এখন ঘুমাচ্ছে। গণভোটের কোনো নির্দেশনা আসেনি নির্বাচন কমিশনে। চুপ্পুর হাত দিয়ে জুলাই সনদ এনসিপি মানবে না।”
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছেন, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করছেন। অদৃশ্য শক্তি থেকে মুক্ত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ ও সাদৃশ্য
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসির রিমোট কন্ট্রোল আগারগাঁওয়ে নেই।” তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে একটি ‘ইনস্টিটিউশনাল অটোক্রেসি’ (স্বৈরশাসন) তৈরি হচ্ছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ইসির প্রতীক তালিকায় ‘কোন নীতিমালার ভিত্তিতে’ মার্কাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং কেন শাপলাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে—এসবের স্পষ্ট নীতিমালা নেই। তিনি বলেন:
“নির্বাচন কমিশনের আচার-আচরণে আমরা মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাদের আচরণের সঙ্গে তাদের একটা সাদৃশ্য দেখছি। নির্বাচন কমিশন একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”
তিনি বলেন, এনসিপির মার্কার ক্ষেত্রে তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল, যা গণবিদ্বেষী না হয়।
‘বক্তব্য কাট করে বিকৃত করা হয়েছে’: জুলাই যোদ্ধা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাখ্যা
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্য জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আংশিক কাট করে প্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানের প্রেক্ষিতে রোবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানকে স্বাগত
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গতকাল শনিবার একটি রাজনৈতিক দলের সংবাদ সম্মেলনে তার একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে। তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তিনি এটাকে স্বাগত জানান। এভাবেই রাজনৈতিক চর্চা হওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক চর্চা হওয়া উচিত। যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গেই তারা কথাগুলো বলেছে।”
তবে তিনি বলেন, তিনি মনে করছেন বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার।
বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পূর্বে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বলেছিলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা হলো ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী’।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন:
“এখানে কোনো জুলাই যোদ্ধা সঠিক কোনো জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না। এটা ছিল আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য। এই কথার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে আমি জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সংগঠন এবং শক্তিদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি।”
তিনি মনে করেন না তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তবে আংশিক বক্তব্য কাট করে এনসিপি কথা বলেছে বলে তার ধারণা।
জুলাই অভ্যুত্থান ১৬ বছরের সংগ্রামের ফসল
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৪২২ জন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর অবিরাম সংগ্রাম-আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রক্তের সোপান তৈরি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে একটা ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন হয়েছে বলে যদি মনে করা হয়, তবে তা সঠিক নয়। এটা হচ্ছে ১৬ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। সুতরাং বিএনপিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা সফল হবে না বলেই তার মনে হয়।”
পাঠকের মতামত:
- কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
- উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
- আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির
- আদালতের নির্দেশে সালমান শাহ্র অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত
- ইসি’র নতুন নির্দেশনা: ড্রোন নিষিদ্ধ, জনস্বার্থে ৪টি কারণ তুলে ধরল ইসি
- প্রযুক্তির ট্রেন্ড: ভাঁজ করা ফোন কি বাজার থেকে উধাও হতে চলেছে?
- বগুড়ায় সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলা
- জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা: অভিযুক্ত মাহিরকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন তার মা
- হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: বাড়িতে বসেই হৃদযন্ত্র সুস্থ কিনা, জানুন ৩ সহজ উপায়ে
- নীরব শক্তি: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাঁরা পোস্ট করেন না, তাঁদের ৭টি গোপন বৈশিষ্ট্য
- উপকারী না ক্ষতিকর? শুঁটকি মাছ নিয়ে পুষ্টিবিদের বিশ্লেষণ
- বিস্ময়কর! মাত্র কয়েক মিনিটে লুট হলো ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম
- শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা: মির্জা ফখরুল কেন দায়ী করলেন আমলাতন্ত্রকে?
- ২০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- নির্বাচনে নিরাপত্তা: সেনা, পুলিশ ও আনসারসহ কতজন দায়িত্ব পালন করবেন, জানাল ইসি
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আমরণ অনশনে সংহতি জানালেন এ্যানি
- শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা
- শিক্ষকদের আমরণ অনশন শুরু আজ
- আমেরিকার কড়া হুমকি: ট্রাম্পের বক্তব্যের পর দোটানায় মোদি সরকার
- জরুরি সতর্কতা: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশি’র বিশেষ নির্দেশনা জারি
- কার্গো উড়োজাহাজ রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা’র দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি
- ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ: ৪২ দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- তৈরি পোশাক শিল্পে বড় আঘাত: কার্গো ভিলেজের ক্ষতি নিয়ে যা বলল বিজিএমইএ
- শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
- মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন উপকারিতা
- ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে হানাহানি থাকবে না: মুফতি ফয়জুল করীম
- ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসাহসিক ছিনতাই: ২ লক্ষ ডলার নিয়ে আকাশেই উধাও সেই রহস্যমানব!
- ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
- ১০ বছরের সন্তানকে নিয়ে মা সমুদ্র সাঁতরে পৌঁছালেন স্পেনে
- খালেদা-তারেকের নিরাপত্তা: বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি
- নাহিদ ইসলামের তীব্র সমালোচনা: পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন এনসিপি নেতা
- মানব সভ্যতায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের ৫ যুগান্তকারী অবদান
- আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তা
- ১৮ বছরের গণনা: যে আবিষ্কার বিশ্বকে বোঝালো আমরা মিল্কি ওয়েতে একা নই
- জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- সুখবর: ৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে সেন্ট মার্টিন
- পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল
- শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙা! স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির বল নিয়ে তোলপাড়
- ১৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরিকল্পিত আগুন: কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় অভিযোগ
- ইসি জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- ১৪ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- আজ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই, টিভিতে নয় ২৫ টাকায় দেখুন অনলাইনে
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে