অবশেষে মানা হল দাবি! কিভাবে হবে বাস্তবায়ন?

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৭ ১২:৩০:০৩
অবশেষে মানা হল দাবি! কিভাবে হবে বাস্তবায়ন?

দীর্ঘদিনের দাবির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অবশেষে সমাধানের দিকে অগ্রসর হলো। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর আন্দোলনের ইতি ঘটে। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল কাকরাইলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ নিজ হাতে শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান এবং দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।

সমাধানের পথে শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমে তিনটি মূল দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। সেগুলো হলো—২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনোরকম কাটছাঁট না করে অনুমোদন, এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন। কিন্তু ১৪ মে আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার পর আন্দোলনে যুক্ত হয় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি—ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।

এই চার দফা দাবিকে কেন্দ্র করে জবির শিক্ষার্থীরা একযোগে শান্তিপূর্ণ গণঅনশন, মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। এই আন্দোলন ক্রমে জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এবং প্রশাসনের ওপর বাড়তে থাকে চাপ।

প্রশাসনের অবস্থান ও অগ্রগতি

শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা আজ সারা দিন আপনাদের দাবি নিয়ে কাজ করেছি। ইউজিসি একটি পরিবার হিসেবে আপনাদের পাশে আছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—সব কিছু একসঙ্গে বসে সমাধান করব এবং বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তিনি এই সংকটকে ‘পারিবারিক’ এবং ‘সহানুভূতিশীল সমাধান’-এর অংশ বলে উল্লেখ করেন, যা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার করে। ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করেন।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “ইউজিসির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাজেট বাড়ানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে আবাসন বৃত্তি চালু করা যাবে। অস্থায়ী হল নির্মাণ এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।”

তাছাড়া, পুলিশি হামলার বিষয়ে উপাচার্য জানান, পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং সাত দিনের মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

আন্দোলনের তাৎপর্য ও উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলন ছিল কেবলমাত্র কিছু দাবি আদায়ের সংগ্রাম নয়। এটি দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান কাঠামোগত সংকট, বাজেট বরাদ্দে বৈষম্য, এবং ছাত্রকল্যাণ সংক্রান্ত অবহেলার একটি প্রতিবাদী প্রতিচ্ছবি। এই আন্দোলন আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে—ছাত্রদের কণ্ঠকে উপেক্ষা করা নয়, বরং সম্মান জানিয়ে সমস্যা সমাধান করা গণতান্ত্রিক শাসনের অন্যতম ভিত্তি।

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভের পেছনে রয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার একাধিক অসঙ্গতি: অপর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা, বাজেট অনুমোদনে স্বচ্ছতার অভাব, এবং উন্নয়ন প্রকল্পে ধীরগতি। এই বাস্তবতাগুলো শুধুমাত্র জবির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বরং দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও মিলেছে এসব সংকটের ছাপ।

ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি, নাকি সময়ক্ষেপণ?

সরকার ও ইউজিসির আশ্বাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তাৎক্ষণিক সমাপ্তি আনলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এই প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য এবং কত দ্রুত তা রূপ পাবে বাস্তবে? অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময়েই প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি রয়ে গেছে ঘোষণার মধ্যেই। তাই শিক্ষার্থীদের আস্থা ধরে রাখতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান রক্ষা করতে হলে দ্রুত, কার্যকর এবং স্বচ্ছ পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হলো, শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্যের অঙ্গ। যে রাষ্ট্র তার শিক্ষার্থীদের শুনতে পারে, তাদের দাবিকে গুরুত্ব দেয় সেই রাষ্ট্রই ভবিষ্যতের জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়।

এই আন্দোলন, তার শান্তিপূর্ণ পরিণতি এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এখন দেখার বিষয়, এই মাইলফলক আগামী দিনে আরও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ তৈরি করতে পারে কি না।


দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:৩৭:০১
দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
ছবি: সংগৃহীত

জীবন্ত নবজাতককে কবরস্থানে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে চাঁদপুরের কুমিল্লা রোডের দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত এই নির্দেশ দেন।

ঘটনার সূত্রপাত

গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নবজাতককে দাফন করার সময় সে নড়েচড়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানায়, হাসপাতাল থেকে নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়। পরে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, ওই নবজাতকের জন্ম হয়েছিল দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালেই। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ফারুক হোসেন গাজীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন পৌর কবরস্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

প্রশাসনের অভিযান ও ব্যবস্থা

ঘটনার পর দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি। তিনি জানান, অভিযানে এসে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি), প্যাথলজি এবং অন্যান্য কক্ষগুলোর পরিবেশ যথাযথ ছিল না। এছাড়া, পোস্ট-অপারেটিভ রোগীর জন্য কোনো সুব্যবস্থা এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নবায়ন করা ছিল না।

প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওটি এবং প্যাথলজিসহ সংশ্লিষ্ট কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে থাকা রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হবে, যিনি পরবর্তীতে হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।


নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:২৭:২৪
নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কোনো সদস্যকে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে এই বার্তা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাইকিং করছেন। তিনি বলছেন, “সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।”

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেছেন, এই আহ্বানের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।


যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১২:০৬:৫৪
যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন বৃহস্পতিবার। এদিন রাজধানী ঢাকায় মানুষের ভিড় অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি থাকে। তার ওপর আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। একইসঙ্গে, আগামীকাল শুক্রবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের আটটি বিভাগীয় শহর থেকে পরীক্ষার্থীরা আজই ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন। এই দুই কারণে আজ রাজধানীতে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (ড. আহমদ আব্দুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপা—এই সাতটি দল প্রায় অভিন্ন দাবিতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, দলগুলো বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, নাইটিংগেল ও শাহবাগ এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে এবং সেখান থেকে মিছিল শাহবাগ পর্যন্ত যাবে।

যানজটের ভোগান্তি

রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর কারণে সচিবালয়, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকার অফিসফেরত কর্মীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। এছাড়া, শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকলে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন হাসপাতালগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), ঢাকা মেডিকেল, বারডেম ও অন্যান্য হাসপাতালের রোগী আনা-নেওয়ায় সমস্যা হতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়, তখন ব্যাপক লোকসমাগমের কারণে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এতে অন্য সড়কগুলোতেও চাপ বাড়ে এবং অচলাবস্থা তৈরি হয়।’ তিনি আরও জানান, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ থাকে।


 বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১০:৫৬:০৫
 বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায় মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুইজবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

হত্যাকাণ্ড ও পুলিশি তদন্ত

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই তাদের বিস্কুটের কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি কারখানায় গেলেও মঙ্গলবার রাতে তার যেতে দেরি হয়। সে কারণে তার স্ত্রী লিলি কারখানায় যান। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা উত্তমকে হত্যা করতে এসেছিল। কিন্তু লিলি আক্তার তাদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “আমরা জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। নিহতের স্বামী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।”

আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের খবর

দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে:

কক্সবাজার: সদর উপজেলার খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে মোহাম্মদ সৈয়দ (৫০) নামে এক রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে হত্যার পর বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতোমধ্যে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে আটক করেছে। রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্বামী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপে পারিবারিক বিরোধের জেরে আলী হোসেন নামে ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। সন্দ্বীপ থানার ওসি শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত করা হচ্ছে।

রাজধানী: দোলাইরপাড়ে একটি আবাসিক হোটেল থেকে জহিরুল ইসলাম রাকিব (২০) নামে এক বাসচালকের সহকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশে তার মায়ের উদ্দেশে লেখা দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সুত্রঃসমকাল


গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০৯:২৪:৫৫
গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
ছবিঃ সংগৃহীত

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গ্রেফতারের পর থানায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে থানার হাজতখানায় ব্যারাক থেকে খাট এনে আসামিকে ‘ভিআইপি বিছানা’ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কথা বলার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশি নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিটন হাওলাদার (৪৮) একটি সিআর (২০১/২৪) মামলায় এক বছর দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন ওসি মাকসুদ আলম। তবে তাকে অন্য আসামিদের মতো হাজতে না রেখে আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধায় থানার একটি কক্ষে রাখা হয়।

পরের দিন আদালতে পাঠানোর আগে তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বেশ কিছু ছবি ফাঁস হয়ে যায়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, হাজতের ভেতরে একটি খাটে বসে সিগারেট হাতে নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন লিটন হাওলাদার। ধারণা করা হচ্ছে, গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা এসব ছবিই পরে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাকসুদ আলম দাবি করেন, “লিটন হাওলাদার অন্য একটি মামলায় জামিন নিয়ে থানায় দেখা করতে আসেন। তবে তিনি আরেকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে তাকে হাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, হাজতে খাট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ কে দিয়েছে তা তার জানা নেই। কেউ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ওসির ভাষায়, “মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, আমারও ভুল হতে পারে। তবে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আমি স্বীকার করি না। আমাদের থানার পাশেই একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে সেখানেই অসুস্থদের রাখা হয়।” সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন বলেন, “কোনো আসামি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার বিধান রয়েছে। থানার ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হলে সেটি অবশ্যই অনিয়ম। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”

তিনি আরও জানান, ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে থানার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-রফিক


সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১২:১২:২৭
সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো—

  • জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটার বাতিল
  • জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত আদালতের রায় বাতিল
  • ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন
  • ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই কোটার কারণে বহু যোগ্য শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবারও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও কোনো আশ্বাস না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণে সাতরাস্তা হয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অফিসগামীদের সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়।


বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ০৯:৪৫:৩৫
বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত

বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী অবশেষে বহুল আলোচিত ১৭ বিয়ে কাণ্ডে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপ বন সংরক্ষক) ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান মিঞাকে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি ইমেইল তারা পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কিত অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনিক শাস্তির রূপ পেল।

প্রতারণার অভিযোগ ও মানববন্ধন

মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হিসেবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া কিংবা সম্পত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি একে একে ১৭ জন নারীকে বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বিচারের দাবি জানায়। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন জেলার নারী ভুক্তভোগীরাও এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

আদালতে মামলা ও তদন্তের নির্দেশ

এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে মামলা দায়ের করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রথম আমলী আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক মো. সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু জানান, কবির হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা। কর্মজীবনে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অবস্থায় তিনি একে একে ১৭টি বিয়ে করেছেন। প্রতিটি বিয়ে প্রথম বিবাহ গোপন রেখে মুসলিম ফ্যামিলি আইন ভঙ্গ করে সম্পন্ন হয়েছে, যা ধর্মীয় মূল্যবোধ, সমাজব্যবস্থা ও আইনকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুতর অপরাধ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশের পর তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৪:০৩:৫১
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ
ছবিঃ সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে বসুরহাট জিরো পয়েন্ট এবং মুছাপুরের বাংলাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন শ্রমিক নেতা ওয়াসিম, মোহাম্মদ মিয়া, ধনা মিয়া ও এমদাদ হোসেনসহ আরও কয়েকজন। অভিযোগে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা বেবি টেক্সি, অটো টেম্পু, অটোরিক্সা চালক ও সহকারী ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-চট্ট-২০৪২) নামের সংগঠনের কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে ‘জিপি’র নামে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, মাসুদুর রহমান, বেলাল হোসেন ও শিপন নামের তিনজন নেতা বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চালিয়ে আসছেন। সংগঠনটি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছিল। তবে ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর জয়নাল আবদীন, আবুল মোবারক বাহার, বেলাল হোসেন ও ফেরদৌস আম্মেদ সেলিমের নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যালয় দখল করে নেওয়া হয়।

দখলদাররা বর্তমানে উপজেলার ৩-৪ হাজার সিএনজি থেকে প্রতিদিন ২৫ টাকা করে আদায় করছেন, যা থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অবৈধ চাঁদা আদায়ের কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শ্রমিকরা। সোমবার সকালে একদল সিএনজি চালক বসুরহাট জিরো পয়েন্টে এসে জিপির নামে টাকা আদায় বন্ধ করে দেয়। এর পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা দ্রুত বাংলাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে আরও দুজন শ্রমিক আহত হন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও সেখানে উপস্থিত থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বসুরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হবে। আশ্বাস পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শান্ত হন।

এর আগে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মো. রিপন নামের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা ক্যাম্প ও থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নিজেরাই চাঁদা আদায় বন্ধের চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা আবুল বাসার ও শ্রমিক মো. রিপন অভিযোগ করেন, পূর্বেকার কমিটিও অবৈধ ছিল এবং তারাও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বর্তমান দখলদার কমিটি একইভাবে শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে কিন্তু কোনো হিসাব দিচ্ছে না। এমনকি মৃত শ্রমিকদের পরিবারকেও নির্ধারিত টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে শ্রমিকদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে, দখলদার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জয়নাল আবদীন দাবি করেন, তাদের কমিটি বৈধ এবং জিপি নেওয়াও বৈধ। তিনি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি নিজে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বসুরহাট পৌরসভার জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইনও সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি আরও জানান, বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৩:৫৪:৩৯
‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’
ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ঘোষিত টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)।

সকালে ঢাকা–বরিশাল ও ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সকাল ৯টার দিকে পুখুরিয়া এলাকায় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অবরোধ পালনের চেষ্টা করেন। তবে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে তারা সড়ক অবরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন।

প্রস্তাবিত ভাঙ্গা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাফুর আহমেদ জানান, রেল চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। সকাল থেকে সকল ট্রেন নির্ধারিত সময়ে চলাচল করেছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, খুলনা থেকে নকশিকাঁথা কমিউটার ও জাহানাবাদ এক্সপ্রেস যথারীতি ঢাকায় পৌঁছেছে এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস খুলনার পথে গিয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ বলেন, পুলিশ সক্রিয়ভাবে মাঠে অবস্থান করছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সাধারণ মানুষ অযথা ভোগান্তির শিকার না হন। তিনি আরও জানান, পুখুরিয়ায় স্থানীয়রা মহাসড়কে বসার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের সরে যেতে বাধ্য করেছে, ফলে দুই মহাসড়কেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের মতে, এই আন্দোলন শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়; এটি ভাঙ্গার অস্তিত্ব, ঐতিহ্য এবং শিকড় রক্ষার আন্দোলন। তারা দাবি করেন, প্রশাসন যদি মনে করে তারা চুপ করে মেনে নেবে, তবে সেটি গুরুতর ভুল হবে।

তাদের ভাষায়, “আমরা জানি আন্দোলন মানেই মানুষের ভোগান্তি। কিন্তু ভাঙ্গাকে বাঁচানোর প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না। প্রয়োজনে রাতভর মহাসড়কে অবস্থান করব। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ হলেও অন্যায়-অবিচার হলে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হব। আলগী ও হামিরদী যেমন ভাঙ্গার ছিল, তেমনি ভাঙ্গারই থাকবে এটাই আমাদের চূড়ান্ত অবস্থান।”

-রফিক

পাঠকের মতামত: