আল-আকসার নিচে কী খুঁজছে ইসরায়েল? গোপন খননের ভিডিও ফাঁস

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৮:১৬:০৬
আল-আকসার নিচে কী খুঁজছে ইসরায়েল? গোপন খননের ভিডিও ফাঁস
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের নিচে গোপন খনন চালিয়ে ইসলামি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস করছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি প্রশাসনের অভিযোগ, আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে দিয়ে শহরটিকে ইহুদিকরণের ষড়যন্ত্র চলছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জেরুজালেমের গভর্নর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসার নিচে বেআইনি খনন কাজ চালাচ্ছে। এসব খননকাজের মাধ্যমে ইসরায়েল উমাইয়া যুগের ইসলামি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করছে, যা মুসলমানদের এই স্থানের ন্যায্য মালিকানার সুস্পষ্ট দলিল। গভর্নর কার্যালয়ের দাবি, আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে ফেলার এবং তাদের ‘টেম্পল মাউন্ট’ বর্ণনাকে জোরালো করার জন্য ইসরায়েল এই কাজ করছে।

গভর্নর কার্যালয় আরও সতর্ক করে জানিয়েছে, এই খননকাজ আন্তর্জাতিক তদারকি এড়িয়ে গোপনে করা হচ্ছে, যা মসজিদটির ভিত্তি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা অভিযোগ করেছে, এসব খননের মাধ্যমে ইসরায়েল ‘পূর্ব জেরুজালেমকে ইহুদিকরণের পরিকল্পনায় নতুন বাস্তবতা চাপিয়ে দিতে চাইছে’।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধানের একমাত্র অধিকার জর্ডান-পরিচালিত জেরুজালেম এনডাওমেন্ট কাউন্সিলের। ২০১৩ সালের মার্চে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যেখানে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের সব পবিত্র স্থানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জর্ডানকে দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরায়েল বহু বছর ধরেই আল-আকসার নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে, যা পূর্ব জেরুজালেমকে ইহুদিকরণের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং ১৯৮০ সালে তারা পুরো শহরটিকে সংযুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।

গভর্নর কার্যালয় আন্তর্জাতিক মহল, জাতিসংঘ এবং ইউনেস্কোকে অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে লঙ্ঘনগুলো বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছে।


৪৫ মিনিটের তুমুল গোলাগুলি আর রকেট লঞ্চারের আঘাতে তছনছ আফগান চেকপোস্ট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৮:৫১:৪১
৪৫ মিনিটের তুমুল গোলাগুলি আর রকেট লঞ্চারের আঘাতে তছনছ আফগান চেকপোস্ট
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের সেনাদের গত দুই দিনের হামলায় কমপক্ষে ২৩ আফগান তালেবান সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ৭ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ। বেলুচিস্তানের চামান সীমান্তে এসব সেনা নিহত হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুক্রবার মধ্যরাতে সীমান্তের জামান সেক্টরে আফগান সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে প্রথমে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি করে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানের সেনারা এর কড়া জবাব দেয়। প্রথমে হালকা অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি চলে। তালেবান সেনারা যেন পাল্টা জবাব দিতে না পারে সেজন্য পরে ভারী অস্ত্র মোতায়েন ও ব্যবহার করা হয় যার মধ্যে রকেট লঞ্চার কামান এবং ভারী মেশিনগান ছিল। পাকিস্তানের এই হামলায় আফগান তালেবান সেনাদের তিনটি সীমান্ত চৌকি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।

একটি সূত্র জানিয়েছে সাধারণ আফগান জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তবে প্রথম হামলার পর আফগান সেনারা জনবহুল এলাকায় চলে যায় বলে দাবি করেছে সূত্রগুলো। এরপর সেখান থেকে তারা আবার গুলি ছোড়ে। এর জবাবে ওই জনবহুল এলাকাতেও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয় যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে।


"সম্পর্ক যতই ভালো হোক, সীমান্ত হত্যা থামবে না"- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৮:১০:০৮
"সম্পর্ক যতই ভালো হোক, সীমান্ত হত্যা থামবে না"- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন যে বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক যতই ভালো হোক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে এমন প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ ভারতের নিজস্ব নীতি ও কার্যক্রম বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নীলফামারীতে চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে অতীতে যখন দুই দেশের সম্পর্ককে স্বর্ণযুগ বলা হচ্ছিল তখনও সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ হয়নি। সম্পর্ক ভালো হলে কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়তে পারে কিন্তু সীমান্তে গুলি বন্ধ হবে এমন নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন যে বাংলাদেশ প্রতিটি ঘটনার পর নিয়মিত প্রতিবাদ জানায় এবং ভারতকে এ ধরনের ঘটনা বন্ধের আহ্বান জানায়। তবুও এমন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষে জোর করে বা বল প্রয়োগ করে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই জনগণকে সীমান্ত এলাকায় আরও সতর্ক থাকতে হবে যাতে ঝুঁকির মধ্যে না পড়তে হয়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত যেখানে যুদ্ধাবস্থা নেই তবুও মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বাংলাদেশ সবসময়ই এসব ঘটনার নিন্দা জানাবে। তিনি যোগ করেন যে যদি বিজিবির সীমার ভেতরে কেউ ঢুকে এমন ঘটনা ঘটাত তাহলে বাংলাদেশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করত। কিন্তু যখন ঘটনাগুলো ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে তখন বাংলাদেশের কিছু করার থাকে না।

ভারতের চিকেন নেক করিডর সম্পর্কে তিনি বলেন যে এটি ভারতের বিষয় এবং বাংলাদেশ এ বিষয়ে কোনো পক্ষ নেবে না। ভারতের ভূখণ্ড দখলের কোনো উদ্দেশ্য বাংলাদেশের নেই। ভারত এবং চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তাদের নিজস্ব বিষয় এবং এটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বাংলাদেশ দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে চায়।

চীন বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল সম্পর্কে তিনি জানান যে নির্ধারিত জায়গাটি অত্যন্ত উপযোগী এবং সরকারি খাসজমি হওয়ায় কাজ দ্রুত শুরু করা সম্ভব হবে। চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছে যে নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে। হাসপাতালটি একটি উচ্চমানের রেফারাল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে এবং শুরুতে চীনারাই এর ব্যবস্থাপনা দেখাশোনা করবে। পরে ধীরে ধীরে এটি বাংলাদেশের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন যে দায়িত্ব শেষ হলে তিনি আবারও ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে যাবেন এবং তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। তিনি স্পষ্ট করে জানান যে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই এবং দায়িত্ব পালনের পর আগের জীবনেই ফিরে যেতে চান।

-ইসরাত/৮৮৯


ভারতে নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:০৩:৩৮
ভারতে নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর গোয়ায় একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে আগুন লেগে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন যাদের উদ্ধার করে গোয়া মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত রবিবার ৭ ডিসেম্বর ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে নিহতদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন পর্যটক ছিলেন এবং বাকি ১৯ জনই ওই নাইটক্লাবটির কর্মী।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে রাত আনুমানিক ১টার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা ছিল রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে গোয়ার পুলিশ মহাপরিচালক বা ডিজিপি জানিয়েছেন পরিদর্শনের সময় সিলিন্ডারগুলো অক্ষত পাওয়া গেছে যা ঘটনার কারণ নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা বের হওয়ার কোনো সুযোগই পাননি।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেন আজ গোয়ার সবার জন্য খুব বেদনাদায়ক একটি দিন কারণ আরপোরায় একটি বড় অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা দায়ী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান তিনজন দগ্ধ হয়ে এবং বাকিরা ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

রাতভর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল এবং আগুনে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে হতাহতদের শনাক্ত করতে এবং তাদের পরিবারকে খুঁজে বের করতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।


ভারতে শেখ হাসিনা কতদিন থাকবেন তা তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: জয়শঙ্কর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১৮:২৭:১২
ভারতে শেখ হাসিনা কতদিন থাকবেন তা তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারবেন কি না তা নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও এবং এডিটর ইন চিফ রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলেন।

যতদিন চান হাসিনা ভারতে থাকতে পারবেন কি না জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন এটি ভিন্ন বিষয় এবং তিনি এখানে একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এসেছিলেন। তিনি মনে করেন সেই পরিস্থিতি স্পষ্টতই তাঁর সাথে যা ঘটে তার একটি কারণ। তবে তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন যে এটি এমন একটি বিষয় যেখানে তাঁকেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেন ভারত তার প্রতিবেশী দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখতে চায়। তিনি বলেন বাংলাদেশে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন তারা অতীতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তাই যদি সমস্যা নির্বাচন হয় তবে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।

জয়শঙ্কর আরও বলেন ভারত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী এবং দুই দেশের সম্পর্ক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। তিনি মন্তব্য করেন যে তাঁরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত চায় জনগণের ইচ্ছা একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হোক।


শান্তি আলোচনা বিফলের পরই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলির খবর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:১৯:৪৬
শান্তি আলোচনা বিফলের পরই পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল গোলাগুলির খবর
ছবি: আল জাজিরা

সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর দুই দেশের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে দুপক্ষের মধ্যে ভারী গোলাগুলি হয় বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এই সংঘর্ষ এমন এক সময়ে ঘটল যখন মাত্র দুই দিন আগেই সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত নতুন একটি শান্তি আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

আফগানিস্তানের তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেছেন যে পাক সেনারা কান্দাহারের স্পিন বোলদাক জেলায় হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একজন মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি এক বিবৃতিতে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন আফগান বাহিনী চামান সীমান্তে বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়েছে। মোশাররফ জাইদি আরও বলেন আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় আছে।

সীমান্তে এই সংঘর্ষের প্রেক্ষাপট বেশ জটিল। সৌদি আরবের আলোচনায় কোনো ফল না এলেও দুপক্ষই ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু শুক্রবারের ঘটনায় তা কার্যত ভেঙে পড়ল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান বারবার তালেবান কর্তৃপক্ষকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে কাবুল ইসলামাবাদকে তার আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং অযথা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে।

দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ায় একে অপরকে দোষারোপ করার ঘটনাও ঘটেছে। অক্টোবরের গোড়ার দিকে সীমান্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং ওই সংঘর্ষের পর তুরস্ক এবং কাতার মধ্যস্থতা করার জন্য এগিয়ে এসেছিল। তবে শুক্রবারের এই নতুন সংঘাত দুই দেশের সম্পর্ককে আরও তলানিতে নিয়ে গেল।

সূত্র: রয়টার্স


গাজার মানবিক সংকট লাঘবে চীনের বিশাল অনুদান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১৪:৩৮:১৩
গাজার মানবিক সংকট লাঘবে চীনের বিশাল অনুদান
ছবি : সংগৃহীত

গাজা পুনর্গঠন ও চলমান মানবিক সংকট লাঘবের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ১০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে চীন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে ফিলিস্তিন অথরিটি বা পিএ বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই বিশাল মানবিক সহায়তার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে চিঠি পাঠিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে চিঠিতে ফিলিস্তিনের ন্যায্য অধিকার সমর্থন এবং পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব কমাতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন মাহমুদ আব্বাস। বেইজিংয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অনুদানের ঘোষণা দেন শি জিনপিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায় ফিলিস্তিনি ইস্যুর একটি সর্বসম্মত ন্যায়সংগত ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে ফ্রান্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের মধ্যেও দুই দেশের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি পারস্পরিক সহায়তা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি অটুট রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে খবরে বলা হয় গত সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে সহ সভাপতিত্ব করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করার লক্ষ্যেই সেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চীনের এই আর্থিক সহায়তা এবং ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে নতুন গতির সঞ্চার করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

সূত্র: রয়টার্স


মার্কিন চাপের মধ্যেই দিল্লিতে রুশ প্রেসিডেন্ট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ২১:৩৯:৩৮
মার্কিন চাপের মধ্যেই দিল্লিতে রুশ প্রেসিডেন্ট
ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। পালাম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রাতেই দুই নেতা নৈশভোজে মিলিত হবেন আর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক। শীর্ষ বৈঠকের আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে পুতিনকে দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা। পরে তিনি দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন এবং সেখানেই অবস্থান করবেন।

২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতে সফরে এলেন পুতিন। গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মস্কোয় গিয়ে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমান সময়টি দুই দেশের জন্যই বেশ চ্যালেঞ্জের। পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন চাপের মুখে আছেন অন্যদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ও রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে নানা নিষেধাজ্ঞা সব মিলিয়ে ভারতের জন্যও বছরটি কঠিন যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পুতিন দিল্লি সফরে এসেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

এনডিটিভি ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয় শুক্রবার সকালে পুতিন মহাত্মা গান্ধীর সমাধি ও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে যাবেন। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটি ইন্ডিয়ার উদ্বোধন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশগ্রহণ। শুক্রবার প্রায় রাত ৯টার দিকে পুতিনের ভারত ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই পুতিনের প্রথম ভারত সফর। স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। বিশ্লেষকরা বলছেন দুই দেশই বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম তৈরি ও বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। ক্ষুদ্র মডুলার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরও সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। পুতিনের সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আবারও নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া সামলেই ভারতকে এই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।


যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ২০:২৬:৩৫
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে: ফরাসি প্রেসিডেন্ট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বামে) ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে বলে ইউরোপীয় নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন নিরাপত্তার গ্যারান্টি সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট না করেই আমেরিকা ইউক্রেনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পিগেল ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে সাম্প্রতিক একটি ফাঁস হওয়া গ্রুপ ফোনালাপের বরাত দিয়ে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায় তারা কলটির সারসংক্ষেপসহ একটি ইংরেজি নোট পেয়েছে যা ইউরোপীয় রাজনীতির অন্দরমহলের উদ্বেগ সামনে এনেছে।

স্পিগেল জানিয়েছে ফোনালাপে ম্যাক্রোঁ আলোচনার উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তটিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য একটি বড় বিপদ বলে উল্লেখ করেছেন। ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস প্রতিউত্তরে বলেছেন ইউক্রেনীয় নেতাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করে মের্ৎস মন্তব্য করেন তারা আপনার এবং আমাদের সবার সাথেই খেলা খেলছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারাও এই আলাপে তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ফিনল্যান্ডের আলেকজান্ডার স্টাব বলেন আমাদের ইউক্রেন এবং ভলোদিমিরকে এই লোকদের সাথে একা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। এমনকি ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট যিনি জনসমক্ষে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন তিনিও বলেছেন আলেকজান্ডারের সাথে তিনি একমত যে আমাদের ভলোদিমিরকে রক্ষা করতে হবে।

এই ফাঁস হওয়া তথ্যের বিষয়ে জেলেনস্কির একজন মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এছাড়া জার্মান চ্যান্সেলর মের্ৎসের অফিস এবং ফ্রান্সের এলিসি প্যালেস ম্যাক্রোঁর উদ্ধৃতিগুলোর বিরোধিতা করেছে। কিন্তু ডের স্পিগেল তাদের প্রতিবেদনে অনড় থেকে জানিয়েছে তারা ফোনকলের বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণকারীর সাথে কথা বলেছে এবং তারা ফোনকলের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, পলিটিকো, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে


ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক উদারভাবে দেখতে হবে: রিয়াজ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১৫:২১:৫০
ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক উদারভাবে দেখতে হবে: রিয়াজ
ছবি: সংগৃহীত

ভারত–বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উদার ও বাস্তবমুখী দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। তাঁর মতে, দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তিতে রয়েছে আত্মিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা। ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশ একটি যৌথ সমৃদ্ধির পথনকশায় অগ্রসর হতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বুধবার কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ব্যবসায়ী সংগঠন মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (MCCI) আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিভিন্ন শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যায়ন করতে হবে এবং স্পর্শকাতর কিছু ইস্যু থাকলেও সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা সম্ভব। দুই দেশের মধ্যে যে বাস্তবিক সহযোগিতা চলছে, তা আগামী দিনের যৌথ ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

হাইকমিশনার জানান, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত–বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেন বর্তমানে ২৫ থেকে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণে দুই দেশের সরকারি সহযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিয়াজ হামিদুল্লাহ জানান, আগামী বছর দিল্লিতে বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর মতে, সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়লে শিল্পীরা আরও সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যৌথভাবে কাজ করতে পারবেন, যা দুই বাংলার সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরও জোরদার করবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে হাইকমিশনারকে স্বাগত জানানো হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহসভাপতি মনীষ ঝানজরিয়া। পুরো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, যারা ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত