রংপুরে চাপা উত্তেজনা: জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ মুখোমুখি

শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় পার্টি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে রংপুর নগরীতে দিনভর চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করায় জাতীয় পার্টি এবং গণ অধিকার পরিষদ—উভয় দলের নেতাকর্মীরাই মাঠে অবস্থান নেন। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো সংঘাত ছাড়াই দল দুটি তাদের কর্মসূচি পালন করায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
উভয় দলের কর্মসূচি
গতকাল রাতেই জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নেতাকর্মীদের সকাল ১১টার মধ্যে নগরীর দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে দুপুর ১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শাহী মসজিদের গলিতে জমায়েত ডাকা হয়।
দুপুরের পর গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দলের নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে নেন।
অন্যদিকে, সকাল থেকেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে শক্ত অবস্থান নেন। জাতীয় পার্টির অফিসে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা হামলা চালাতে পারে—এমন গুজব নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই খবর শোনার পর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আরও বেশি সংখ্যায় জমায়েত হন এবং প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
জাতীয় পার্টির বক্তব্য
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার মোস্তফা বলেন, “এখন যদি নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি সরকারে আসবে। বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, এ জন্য বিএনপিকে কিভাবে আলাদা করে রাখা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।” তিনি অভিযোগ করেন, ‘স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি’ বিএনপিকে কালিমা লেপনের চেষ্টা করছে। তার মতে, ‘মুক্তিযুদ্ধের শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা’ নির্বাচন পেছানো এবং বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার কাজে ব্যস্ত আছে।
বিকালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আরেক সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, “ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর তার কার্যকলাপের কারণে কোথাও গিয়ে আটক হচ্ছেন, আবার যেখানে সেখানে মার খাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “এই ভিপি নুর একসময় শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলে পা ছুঁয়ে সালাম করেছিল, অথচ এখন তারাই ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির হাতিয়ার। আমরা যারা নির্বাচন করেছি, তারা হয়ে গেছি ফ্যাসিস্টদের দোসর। এই হলো বর্তমান অবস্থা।”
রংপুরের রাজনীতি নিয়ে মোস্তাফিজার মোস্তফা বলেন, “কেউ যদি মনে করে রংপুরে জাতীয় পার্টি দুর্বল, তাহলে একবার এসে দেখুক। তাদের যদি শক্তিসামর্থ থাকে, আরও যদি তাদের কেউ থাকে, তাদের নিয়ে আসুক। তাদের হাত-পা ভেঙে দেব। আমরা অন্যায়কে বরদাস্ত করব না, আমরা কাউকে ছাড়ও দেব না।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পার্টি অফিস রক্ষা করব। এতে আমি জেলে যেতে পারি, আমি মারাও যেতে পারি, তবু অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিগত সময়েও জাতীয় পার্টি একাই নির্বাচন করেছে, আগামীতেও একাই নির্বাচন করবে। নিজস্ব শক্তিতে বলিয়ান হয়ে জাতীয় পার্টি মাঠে লড়বে।”
/আশিক
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বুধবার (১৫ অক্টোবর) নয়াপল্টনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি মন্তব্য করেন, গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
শীর্ষ নেতাদের অভিন্ন বার্তা
রুহুল কবির রিজভী মনে করেন, সময়মতো নির্বাচন আয়োজন না করলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, একই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গণসংযোগের মাধ্যমে এই অভিন্ন বার্তা দেন। তিনি বলেন:
“আর বিভাজন করবেন না, আর কোনো দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট, পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দিন, দেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি ভোট হতে দিন।”
রিজভী ও ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট, রাজনৈতিক জটিলতা এড়াতে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করা উচিত।
শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় অবরোধ শেষে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন।
অবরোধ ও দাবির চিত্র
শিক্ষকরা দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় অভিমুখে রওনা হন। পুলিশ প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দিলেও, শিক্ষকরা তা ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নেন, যার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দাবিসমূহ: মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীতকরণ এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি—এই তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা অনড়।
এনসিপি নেতার সমর্থন: এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দুর্দশাগ্রস্ত রেখে জাতির অগ্রগতি কখনোই সম্ভব নয়।”
আন্দোলনের ধারাবাহিকতা
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়েন। সেখান থেকে দেওয়া আলটিমেটামে তারা জানান, বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার দুপুরে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করলেও শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর শাহবাগ দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
দেশটাকে বাঁচান, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দয়া করে দেশটাকে বাঁচান, আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। নতুন করে দাবি তুলে, আন্দোলন করে আর নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না।” তিনি মনে করেন, এখন বিভেদ ভুলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠনে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া বটতলায় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত সুধিসমাজ, সনাতন ধর্মালম্বী ও মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
পিআর পদ্ধতি ও জনগণের ভোটাধিকার
মির্জা ফখরুল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতি নিয়ে চলমান বিতর্কের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন:
“দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না। পিআর হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রার্থীকে নয়, দলকে ভোট প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি তার প্রার্থীর কাছে না যেতে পারে, তার প্রার্থীকে না চিনতে পারে, তাহলে তারা যাবে কোথায়? সাধারণ মানুষ পিআর বোঝে না, আমরাও বুঝি না।”
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাই ভোট প্রদানের সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে, তবেই সঠিক প্রতিনিধি পাওয়া যাবে।
বিএনপির প্রতিশ্রুতি
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের জন্য যে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করবে, তার মধ্যে রয়েছে:
কর্মসংস্থান: এক লাখ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা: স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া।
ফ্যামিলি কার্ড: প্রতিটি পরিবারকে একটি করে কার্ড প্রদান করা হবে, যা নিয়ে নারীরা দেশের সকল সুবিধা ভোগ করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেগুলো বিষয়ে সম্মত হয়েছে, সেই সনদই আগামী ১৭ তারিখে স্বাক্ষর হবে। আর যেগুলোতে সম্মত হয়নি, সেগুলো সংসদে জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই পাস করা হবে।
সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকদের অভিযোগ, কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য, তৎপরতা ও কার্যক্রমে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিএনপি মনে করে, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল-পদায়ন নিয়ে কিছু উপদেষ্টা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও উদ্বেগ
গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত: বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপি শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। সেখানে এই বিষয়গুলো অবহিত করার পাশাপাশি তাদের উদ্বেগের কথাও জানানো হবে।
নিরপেক্ষতার আহ্বান: বিএনপি নেতারা মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নিজেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে সাজানো, যাতে প্রশাসনিক বা সিদ্ধান্তগ্রহণমূলক কোনো কাজ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।
প্রশাসনে রদবদল: দলটির নীতিনির্ধারকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকারের লোকজনকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি, তেমনি আরও একটি বিশেষ দলের লোকজনকেও নতুন করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে।
জুলাই সনদ ও নির্বাচনী প্রস্তুতি
জুলাই সনদ: বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষরের দিন শতাধিক নেতার সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল যোগদান করবে। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সনদে স্বাক্ষর করবেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: বৈঠকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। বিএনপি নেতারা আশঙ্কা করছেন, সারা দেশে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার যে প্যানেল প্রস্তুত করা হচ্ছে, তার অধিকাংশ কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা নির্বাচনে একটি বিশেষ দলকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রচারণায় গতি: বিএনপি নেতারা মাঠ পর্যায়ে তাদের প্রচারে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন। এ লক্ষ্যে দলের মিডিয়া সেল ও কমিউনিকেশন সেলকে আরও সক্রিয় করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে ছড়ানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নতুন নতুন বক্তব্য (ন্যারেটিভ) দিয়ে তা মোকাবেলা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শাপলা প্রতীক না পেলে আদায় করে নেব: এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো আইনগত বাধা নেই। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে নির্বাচন কমিশন এসেছে, তারা অবশ্যই এ স্বেচ্ছাচারিতা করবে না। আমরা আশা করি, অবশ্যই শাপলা প্রতীক পাব, এ প্রতীকেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।”
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোনার জেলা সমন্বয় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি’র প্রতি অনাস্থার শঙ্কা
সারজিস আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ওপর আমরা আগামীতে আস্থা রাখতে চাই। সেই নির্বাচন কমিশন যদি তার আগে কোনো না কোনো চাপে আমাদের যে বৈধ অধিকার শাপলা প্রতীক দিতে পিছুটান বা চাপ অনুভব করে, তাহলে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনে আস্থা পাওয়া কিন্তু আমাদের কঠিন হয়ে পড়বে।”
শাপলা প্রতীক না পেলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এ নেতা বলেন:
“যদি না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আইনগতভাবে যেহেতু কোনো বাধা নেই, তাই শাপলা প্রতীক আমরা পাবই। না পাওয়ার কোনো অপশন নেই। আমরা এটা আদায় করে নেব। সেটা রাজনৈতিকভাবে বা অন্য যে কোনোভাবে আদায় করে নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।”
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও জোট
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি সারাদেশে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কাজ করছে এবং আসনভিত্তিক বিভিন্ন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অধিকাংশ প্রার্থী হয়তো দলের ভেতর থেকে আসবেন, আবার দলের বাইরেও স্থানীয়ভাবে অনেক যোগ্য প্রার্থী আসতে পারেন।
তিনি জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, “বিএনপি-জামায়াত বা এমন বড় দলে হলেই যে আমরা তাদের সঙ্গে ইলেক্ট্রোরাল কমিটমেন্টে যাব, এমনটা নয়। আগামীর বাংলাদেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষার সাথে যে দলের কমিটমেন্ট থাকবে সেই দলের সাথে নির্বাচনী ঐক্য হতে পারে এনসিপির। পরিবর্তনের কমিটমেন্টটা তাদের থাকতে হবে।”
তাওয়া গরম করছি: রাজপথে নেমে সরকারকে হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী (আমিনবাজার) পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, দাবি আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার, পর্যায়ক্রমে তারা সব করবেন।
‘তাওয়া গরম করছি’
উপস্থিত জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “তাওয়া গরম করছি। তাওয়া গরমে সময় লাগে, কিন্তু গরম হওয়ার পর যখন তাতে বুট দেবেন, তখন ফুটতে সময় লাগে না।”
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন।”
ষড়যন্ত্র ও নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা
সৈয়দ তাহের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি সময়মতো সাবধান না হন, তাহলে কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমরা জনগণের কাছে তাদের নাম প্রকাশ করব। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে।” তিনি বলেন, জামায়াত প্রশাসনকে সংশোধনের জন্য সময় দিতে চায়।
তিনি সম্প্রতি জনপ্রশাসনে একজন সচিব নিয়োগের বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেন:
“আমাদের সঙ্গে কথা বলার এক দিন পরেই এমন এক ব্যক্তিকে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে, যার অতীতের দুর্নীতির ইতিহাস অনেক লম্বা। সে একটি দলের প্রতি পরিপূর্ণভাবে অনুগত।”
এই জামায়াত নেতা যোগ করেন, তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পেরেছেন, প্রচণ্ড চাপ আছে কোনো একটি দলের লোকজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এরকম একটি পাতানো নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না।
জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুমসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
আগামী নির্বাচনের ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আগামী নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের বিকল্প নেই। গণতন্ত্রই গণতন্ত্রের বিকল্প।”
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও রুহিয়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সতর্কতা ও ফ্যাসিবাদের পতন
মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সামনে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে। রাজনৈতিক ভুল করার কারণে ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়া যাবে না এবং দেশে ফ্যাসিজম আর দেখতে চান না।
তিনি বলেন, দানবীয় দুঃশাসনের পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশে একটা গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, “অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। মিথ্যা মামলায় জেলে গেছি। এখন মুক্তভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারি। নেতাকর্মীরা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে।” এই গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেওয়া সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপিকে সময় বেঁধে দিল ইসি: শাপলার বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে হবে
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপিকে শাপলার বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এই সময়সীমার কথা বলেন।
‘বিকল্প না নিলে ইসি নিজেই প্রতীক দেবে’
আখতার আহমেদ বলেন, “১৯ তারিখের মধ্যে তাদের বিকল্প প্রতীক জানাতে হবে। নয়তো ইসি নিজ উদ্যোগে অন্য প্রতীক দিয়ে নিবন্ধন দেবে।”
ইসি সচিব আরও বলেন, শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা দরকার নেই বলে কমিশন মনে করে। তিনি বলেন, শাপলা ছাড়া নিবন্ধন না নিলে সেটা এনসিপি’র নিজস্ব বিষয়।
প্রসঙ্গত, এনসিপি শুরু থেকেই শাপলা প্রতীক দাবি করে আসছে, কিন্তু ইসি বলছে—শাপলা তাদের গেজেটভুক্ত প্রতীকের তালিকায় নেই।
চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে যে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। তিনি মনে করেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থার চেষ্টা চললেও তা বিঘ্ন করার বিভিন্ন অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খ্রিস্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তোলেন, হঠাৎ করে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির দাবি সামনে এনে আন্দোলন করার বিষয়টি কেন হচ্ছে? তিনি বলেন:
“পিআর পদ্ধতির দাবি নিয়ে আন্দোলন করার বিষয়টি যারা দ্রুত নির্বাচন চান, তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এখন যদি পিআর দেওয়া হয়, জনগণ বুঝবেই না এটা কী? বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে।”
বিএনপির প্রতিশ্রুতি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে সংসদের উচ্চকক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, চার কোটি বেকারের সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, দেড় বছরের মধ্যে এই সংকটের সমাধান সম্ভব।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফাদার আলবার্ট রোজারিও এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অনিল লিও কস্তা।
পাঠকের মতামত:
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- দেশজুড়ে টাইফয়েড টিকাদান অভিযানে সাড়ে ৩৮ লাখ শিশুর টিকা সম্পন্ন
- নতুন মহামারির আশঙ্কা! জাপানে ফ্লু-এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব, রোগী বেড়েছে চারগুণ
- সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: নির্বাচনী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
- ডিমেনশিয়া শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে নয়, বরং পা থেকে: স্নায়ু বিশেষজ্ঞের চমকপ্রদ তথ্য
- ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
- তিন গোয়েন্দা সিরিজের লেখক রকিব হাসান আর নেই
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল
- ১৫ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সবুজ শিল্পে নতুন মাইলফলক: আরও পাঁচটি কারখানা পেল লিড সার্টিফিকেশন
- আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
- দেশটাকে বাঁচান, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
- গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত পেরু: আইনশৃঙ্খলা পুনর্গঠনে তরুণ প্রেসিডেন্টের কঠোর পদক্ষেপ
- ‘আর যেন মিরপুরের মতো ট্র্যাজেডি না ঘটে’—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল
- সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
- স্বাস্থ্য থেকে ভূমি উন্নয়ন—বিভিন্ন খাতে অনিয়মে দুদকের হানা
- মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল
- ২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প