প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের নাদিন আইয়ুব

চলতি বছরের নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরে প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন আইনজীবী ও মডেল নাদিন আইয়ুব। এর মাধ্যমে কোনো ফিলিস্তিনি সুন্দরী প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
দ্য মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন (এমইউও) এক বিবৃতিতে নাদিনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিস ইউনিভার্স বৈচিত্র্য, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান ও নারীর ক্ষমতায়নকে উদযাপন করে।
নাদিন আইয়ুবকে বিবৃতিতে টিকে থাকা ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এবারের প্রতিযোগিতায় ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের সুন্দরীরা অংশ নেবে। চূড়ান্ত আসর অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ নভেম্বর, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে।
আবুধাবিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানায়, নাদিন ২০২২ সালে মিস ফিলিস্তিন নির্বাচিত হন। তিনি ইনস্টাগ্রামে জানান, তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের কণ্ঠস্বর হতে চান।
নাদিন লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত। ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় একের পর এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটছে। আমি তাদের কণ্ঠস্বর হতে চাই, যারা নীরব থাকতে অস্বীকার করেছে। আমি প্রতিটি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর প্রতিনিধি।’ তিনি আরও বলেন, তিনি চান সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের শক্তিমত্তার কথা জানুক।
ফিলিস্তিনকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুমতি এমন এক সময়ে দেওয়া হয়েছে, যখন বিশ্বজুড়ে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে, নতুন করে কিছু দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
/আশিক
পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াবে উত্তর কোরিয়া, হুমকি কিমের
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নৌবাহিনীর একটি জাহাজ পরিদর্শনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। কিম এই মহড়াকে ‘যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার স্পষ্ট প্রকাশ’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সপ্তাহে বার্ষিক ‘উলচি ফ্রিডম শিল্ড’ মহড়া শুরু হয়েছে। এই মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক সক্ষমতা মোকাবিলার প্রস্তুতি সমন্বয় করা হবে। এই মহড়া মোট ১১ দিন ধরে চলবে।
সিউল এবং ওয়াশিংটন এই মহড়াকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক বলে দাবি করলেও, পিয়ংইয়ং এটিকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঠেকানোর এজেন্ডা শীর্ষে থাকবে।
সিউলের কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের বিশ্লেষক হং মিন বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ গ্রহণে অস্বীকৃতি এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নত করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।’
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশটি আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে ৫ হাজার টনের ‘চো হিওন’ শ্রেণীর তৃতীয় ডেস্ট্রয়ার জাহাজ নির্মাণ করবে।
/আশিক
ট্রাম্পের কারণে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন জেলেনস্কি, সামরিক পোশাক ছেড়ে পরলেন স্যুট
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সামরিক পোশাককে নিজের রাজনৈতিক প্রতীক বানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর স্যুট পরবেন না। তবে এবার সেই প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন তিনি। আর এর কারণ আর কেউ নন, স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে জেলেনস্কি কালো স্যুট পরে হাজির হন। যদিও তিনি ফরমাল পোশাকের মধ্যেও সামরিক ছোঁয়া রেখেছেন; কালো স্যুট পরলেও পরেননি টাই।
এর আগে হোয়াইট হাউসে গিয়ে পোশাকের কারণে জেলেনস্কি রীতিমতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। সামরিক পোশাক পরে বৈঠকে যোগ দেওয়ায় ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাকে ‘অকৃতজ্ঞ’ ও ‘অসম্মানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি করে। মূলত সেই অভিজ্ঞতাই জেলেনস্কিকে পোশাক পরিবর্তনের দিকে ধাবিত করেছে।
নতুন রূপে হাজির হওয়া জেলেনস্কিকে এবার প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পপন্থি সাংবাদিক ব্রায়ান গ্লেন। আগে সামরিক পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করলেও এবার তিনি বলেন, ‘স্যুটে আপনাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে।’ জবাবে জেলেনস্কি রসিকতা করে বলেন, ‘আমি বদলেছি, কিন্তু আপনি একই স্যুটে আছেন।’ ট্রাম্পও এই পরিবর্তনের প্রশংসা করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর পোশাক ও আচরণে পরিবর্তন এনে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির এবারের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে।
সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
মোদি ও পুতিনের ফোনালাপ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ যা যা আলোচনা হলো
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার (১৮ আগস্ট) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এর মাত্র কয়েক দিন আগেই পুতিন আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন এবং ভারত এ ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি মোদি ও পুতিন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং দুই নেতা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
পরে এক্সে (পূর্বে টুইটার) মোদি লিখেছেন, “বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানাই ফোন করার জন্য এবং আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কে মতামত শেয়ার করার জন্য। ভারত সবসময় ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে এবং এই প্রক্রিয়ার সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে আসছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।”
উল্লেখ্য, এর ১০ দিন আগেও পুতিন ও মোদির মধ্যে ফোনালাপ হয়েছিল। তখন বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে, ভারত যদি রাশিয়া থেকে ডিসকাউন্টে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখে, তাহলে দিল্লির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, এই অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার তহবিল বাড়াচ্ছে।
এর জবাবে ভারত পাল্টা যুক্তি দিয়েছে যে, উন্নত পশ্চিমা দেশগুলো যেহেতু জ্বালানির ওপর তেমন নির্ভরশীল নয়, তারা সহজেই বিকল্প উৎস থেকে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে পারে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি চাহিদা এবং ব্যয়ের ভারসাম্য বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
পুতিনের এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন। আলাস্কার তথাকথিত ‘শান্তি সম্মেলনে’ তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এবার জেলেনস্কির সঙ্গে কূটনৈতিক সহায়তায় জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উপস্থিত থাকবেন।
/আশিক
গাজাবাসীর নতুন ঠিকানা আফ্রিকা? ইসরায়েলের বিতর্কিত পরিকল্পনা ফাঁস
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা এবং মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেই নতুন একটি বিতর্কিত পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজার লাখো বাসিন্দাকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ইসরায়েল ইতোমধ্যে উগান্ডা, মরক্কো, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এমনকি দক্ষিণ সুদান সরকারের সঙ্গেও এ সংক্রান্ত কথাবার্তা হয়েছে। যদিও দক্ষিণ সুদান সরকার এই খবর অস্বীকার করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে মিশর। কায়রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হলে তা হবে “ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কাজ”। মিশরের মতে, এ ধরনের পরিকল্পনা শুধু একটি ভয়াবহ শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করবে না, বরং ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয় মুছে ফেলার একটি অপচেষ্টাও বটে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি একাধিকবার গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আরব বিশ্ব অভিযোগ করছে যে, আবারও ১৯৪৮ সালের মতো ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র চলছে।
/আশিক
ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখছে ইসরায়েল:অ্যামনেস্টি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল গাজায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, গাজায় চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা জানিয়েছেন, অবরোধ ও হামলার কারণে বিপুলসংখ্যক শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পরিকল্পিতভাবে অনাহারে রাখার কৌশল ব্যবহার করছে, যা ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে। এএফপি জানায়, ইসরায়েল দুই বছর ধরে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪৮ জন মুক্তি পেয়েছেন। এখনো প্রায় ৫০ জন গাজায় আটক আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের অন্তত অর্ধেক আর জীবিত নেই। এএফপির অনুরোধে ইসরায়েলি সামরিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
হোয়াইট হাউজে আজ ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক, পাশে ইউরোপীয় মিত্ররা
আজ সোমবার ওয়াশিংটনে মুখোমুখি বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলতি বছরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউজে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার পর এটি তাদের প্রথম সরাসরি বৈঠক। তবে এবার বৈঠকের গুরুত্ব বেড়েছে এই কারণে যে, জেলেনস্কির সঙ্গে থাকছেন ইউরোপীয় মিত্ররাও। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারসহ একাধিক ইউরোপীয় নেতা উপস্থিত হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন।
এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের মাত্র তিন দিন পর। সেই বৈঠকে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসেনি। কেবল শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে কিছুটা আশাবাদ দেখানো হয়েছিল। বড় কোনো সাফল্য না আসায় ইউক্রেনকে সরাসরি আলোচনায় যুক্ত করে এই বৈঠককে এখন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা পরিষ্কারভাবে জানাতে চান, ইউক্রেনের অনুপস্থিতিতে দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চুক্তি করা যাবে না এবং যে কোনো সমঝোতাকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তার মাধ্যমে সুরক্ষিত করতে হবে।
মার্কিন এক দূত রোববার জানিয়েছেন, পুতিন ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো-সদৃশ নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘গেম চেঞ্জিং’ বলে আখ্যা দেন এবং দাবি করেন, রাশিয়া পাঁচটি বিতর্কিত অঞ্চলের বিষয়ে কিছু ছাড় দিয়েছে। তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ সংক্ষেপে লিখেছেন—“রাশিয়ার ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি হয়েছে। সাথে থাকুন।” তবে তিনি আর বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ওয়াশিংটনের এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। এত অল্প সময়ে আটলান্টিক পেরিয়ে একসাথে এতগুলো রাষ্ট্রপ্রধানের যাত্রা সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন, যা স্পষ্ট করছে সংকট পরিস্থিতির গভীরতা। কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, ইউরোপীয় নেতাদের উদ্বেগ হলো ট্রাম্প হয়তো জেলেনস্কিকে কিছু শর্তে রাজি করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। কারণ, মাত্র কয়েকদিন আগেই জেলেনস্কিকে বাদ দিয়ে পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ধরনের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেলেনস্কিকে জোর করে কোনো শান্তি চুক্তিতে রাজি করানোর গল্পটি আসলে “হাস্যকর মিডিয়া কল্পকাহিনি”। এদিকে গত ফেব্রুয়ারির বৈঠকে ট্রাম্প সরাসরি জেলেনস্কিকে বলেছিলেন, “আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন।” সেই মন্তব্য কিয়েভ-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে টালমাটাল করে দিয়েছিল। এরপর থেকে ইউরোপীয় নেতারা পর্দার আড়ালে সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এবং জেলেনস্কিকে পরামর্শ দিচ্ছেন যেন তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় কৌশলী ও সংযত ভাষা ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে দেশটির প্রায় পাঁচভাগের একভাগ ইউক্রেন হারিয়েছে। রুশ সেনারা ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে। যদিও সম্প্রতি ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি খনিজসম্পদ চুক্তি সই করেছে এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, তবু যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা রয়ে গেছে ভয়াবহ। এ অবস্থায় দ্রুত শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওও সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপের গত ৮০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের অবসান খুব দ্রুত আসবে, এমনটি ভেবে নেওয়া ভুল হবে। তাঁর ভাষায়, “আমাদের সামনে এখনও দীর্ঘ পথ বাকি।”
-রাফসান
দুই দশকের বেশি সময় ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের কৌশলে আটকে রেখেছেন পুতিন
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মোকাবিলায় অভিজ্ঞ ভ্লাদিমির পুতিন আলাস্কাতেও নিজের রাজনৈতিক কৌশলের ছাপ রেখে এসেছেন। রাশিয়ার এই দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্টকে ঘিরে আবারও আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক।
সাম্প্রতিক আলাস্কা বৈঠককে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন মন্তব্য করেছেন, সেখানে পুতিন ছিলেন ‘স্পষ্ট বিজয়ী’। তাঁর ব্যাখ্যায়- তিন ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প যা পেলেন তা শুধু ভবিষ্যতে আরেকটি বৈঠকের প্রতিশ্রুতি; কিন্তু পুতিন সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন। বোল্টনের মতে, এর মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট একদিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হয়েছেন, অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির কোনো চাপে পড়তে হয়নি।
ভ্লাদিমির পুতিন ২০০০ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে বিল ক্লিন্টন থেকে শুরু করে জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প- অন্তত পাঁচ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। ২০০১ সালে স্লোভেনিয়ায় প্রথমবার বুশের সঙ্গে সাক্ষাতে আলোচনায় উঠে এসেছিল অস্ত্র বিস্তার, ন্যাটো সম্প্রসারণ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বলকান অঞ্চলের সংঘাতের মতো জটিল ইস্যু। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গেও কঠিন আলোচনায় অংশ নিয়েছেন এই ‘লোহমানব’।
আলাস্কার বৈঠকে ‘থ্রি-অন-থ্রি’ ফরম্যাটে মুখোমুখি হন পুতিন ও ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়াবিষয়ক প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। অপরদিকে রাশিয়ার পক্ষে পুতিনের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেন, বৈঠক ছিল ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’, যদিও এখনো কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়ে গেছে। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনার কথাও জানান। তার মতে, শেষ পর্যন্ত যে কোনো সমঝোতা তাদের সম্মতির ওপর নির্ভর করবে।
অন্যদিকে, পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনিও আন্তরিকভাবে আগ্রহী। তবে তার মতে, যুদ্ধের ‘মূল কারণগুলো’ সমাধান করতেই হবে, যদিও ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
সব মিলিয়ে, আলাস্কা বৈঠকের পর বিশ্লেষকদের মতে ট্রাম্প তেমন কোনো দৃশ্যমান সাফল্য পাননি, কিন্তু পুতিন আবারও প্রমাণ করলেন- মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কূটনৈতিক খেলায় তিনি এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
গাজায় মানবিক সংকট: ত্রাণ বিতরণে বাধা, দুর্ভিক্ষে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও সাত ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা গেছে, মৃত ৭ জনের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১১০ জনই শিশু।
যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল ২০২৩ সাল থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়, যার ফলে ২৪ লাখ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজারে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষ।
চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে, যা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেয়। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ত্রাণ সম্প্রদায় প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে এই ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। এর প্রভাবে পসো অঞ্চলে প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয় এবং আশপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনবিপি) জানিয়েছে, এতে ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের নাদিন আইয়ুব
- বিজিবির অভিযানে জব্দ ২ লাখ ঘনফুট কালোপাথর, পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ
- মাইলস্টোনের নিহত শিক্ষকরা চিরস্মরণীয়: প্রধান উপদেষ্টা
- ওরা আমাদের সন্তানের বয়সী,বড় হলে লজ্জিত হবে: কটূক্তির জবাবে সেনাপ্রধান
- বিসিবির দুর্নীতি দমনে নতুন পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল, দায়িত্ব নিয়েই হুঙ্কার
- পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়াবে উত্তর কোরিয়া, হুমকি কিমের
- পিআর পদ্ধতি নয়, চাই দ্রুত নির্বাচন’: মির্জা ফখরুল
- জাল টাকার শিকার রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাসের ভালোবাসার পরশ
- জুলাইয়ের হত্যা মামলায় আসামির জামিন,আইন মন্ত্রণালয়ের দায় নেই: আসিফ নজরুল
- গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা: সাভারের সাবেক ইউএনও এখন রাজাপুরের ইউএনও
- কানাডার মন্ট্রিয়েলে ফোবানা সম্মেলনে মঞ্চ মাতাবেন জায়েদ খান
- ড. ইউনূসের সরকারের কাছে এটা আশা করি না: মব জাস্টিস নিয়ে রিজভীর ক্ষোভ
- ট্রাম্পের কারণে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন জেলেনস্কি, সামরিক পোশাক ছেড়ে পরলেন স্যুট
- দুদকের জালে এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তা: চাওয়া হলো সম্পদ বিবরণী
- প্রশাসন একটি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট: শিবিরের প্যানেলের ক্ষোভ
- এনসিপি’র শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে, জিএস প্রার্থী মাহিন সরকারের বহিষ্কার
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ১৯ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৯ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই: আসিফ নজরুল
- পূবালী ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন প্রদানের রেকর্ড ডেট ঘোষণা
- ডিএসই ঘোষণা: ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে লেনদেন বিরতি
- স্বামী-স্ত্রীর প্রকাশ্য মারামারির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা
- লিভার ডিটক্স পণ্য আসলেই কতটা কার্যকর? চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
- এক ফ্যান-দুটি বাতির ব্যবহার, বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা!
- স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দিল স্বামী
- শূন্যপদ আর অনিয়মে জর্জরিত শিক্ষা খাত, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী
- এনা পরিবহন কেলেঙ্কারি ও ভিডিও কাণ্ডে বিতর্কে বিএফআইইউ প্রধান
- শেকলবন্দি বাপ্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমান–বাবর খালাস রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
- দফায় দফায় লুট, জনরোষের মুখে বদলি হলেন সিলেট ডিসি-ইউএনও
- মুরাদনগরের ট্রিপল মার্ডারে নতুন মোড়: কাঠগড়ায় আসিফ মাহমুদের বাবা
- ‘ধর্ম নয়, যোগ্যতায় মানুষ মূল্যায়িত হবে’: জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা
- ১১ বগি রেখেই আশুগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করল মহানগর এক্সপ্রেস
- পাঠ্যবইয়ের বদলে রাজনৈতিক বই: ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুড়িয়ে দিলেন ৩০০ গ্রন্থ
- মব উসকে দিয়ে অধিকার হরণের চেষ্টা: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের অভিযোগ
- ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও জর্জিনার বিয়ে হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল!
- ভাগ্য খুললো জেলের: ১.৮৮ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হলো রেকর্ড দামে
- বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন কৌশল: বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন
- নির্বাচনী রোডম্যাপ চূড়ান্ত: শীঘ্রই আসছে ইসির পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা
- মোদি ও পুতিনের ফোনালাপ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাসহ যা যা আলোচনা হলো
- জাতির পিতা’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কৃত
- সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে নিজেকে মাপেননি: দুরেফিশান সেলিমের সাহসী মন্তব্য
- ‘জাতীয় পার্টি জিন্দা লাশ’: ফোনালাপে শেখ হাসিনার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ফাঁস
- চুনোপুঁটি নয়, এবার ‘বড় রুই মাছ’ ধরা পড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- গাজাবাসীর নতুন ঠিকানা আফ্রিকা? ইসরায়েলের বিতর্কিত পরিকল্পনা ফাঁস
- পারিবারিক সহিংসতা বাড়ছে: ৭ মাসে ৩৬৩ ঘটনা, স্বামীর হাতেই ১৩৩ নারী খুন!
- রামেকের ‘ভূতুড়ে শিক্ষক’: ক্লাস না করেও ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন
- মারধরের শিকার ইতালিপ্রবাসী: নেপথ্যে বিএনপি নেতার ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি
- উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ডাকসু নির্বাচনে নতুন স্বতন্ত্র প্যানেল
- শেখ মুজিব: দেবতা, ভিলেন নাকি রাজনৈতিক ট্রাজেডির নায়ক?
- ১৪ আগস্ট ব্লক মার্কেটে বড় চুক্তি
- ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া: গণতন্ত্রের আপোষহীন কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- চূড়ান্ত বিপ্লবের পথে: চিন্তার পুনর্গঠন ও আত্মার জাগরণ
- ১৪ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৪ আগস্ট সেরা দশ লেনদেনকারী শেয়ার
- ১৪ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আন্দোলনের ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তারপর যা ঘটল…
- জানে আলম অপুর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রহস্য, কেন ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ?
- শিক্ষকদের আলটিমেটাম: জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নতুন মোড়
- আজানের পর দরুদ ও বিশেষ দোয়া: হাদিসে ক্ষমা ও সুপারিশের সুসংবাদ
- "যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"