দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন জামায়াত প্রধান

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসার জন্য টানা ১০ দিন ভর্তি থাকার পর বাসায় ফিরেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার গাড়িবহর এবং রাস্তার দুই পাশে দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান।
গত ২ আগস্ট বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবিরের তত্ত্বাবধানে তার হৃদপিণ্ডের চারটি ব্লকের সফল বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। অপারেশনের পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
হাসপাতাল ছাড়ার আগে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, জামায়াত আমির সুস্থ আছেন এবং বাসায় ফিরছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহ তিনি বিশ্রামে থাকবেন। তবে এই সময়ে তিনি পরামর্শ দিতে পারবেন এবং আশা করছি তিন সপ্তাহ পর তিনি আবার দেশ ও জাতির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন।”
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে অবস্থানকালে অসংখ্য ব্যক্তি তাকে দেখতে চাইলেও সবার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। দলের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া কামনা করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের ডা. শহীদ আহমেদ চৌধুরী, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও বক্তব্য দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা‘ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলালম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সার্জারি ও চিকিৎসা চলাকালে দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দোয়া ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা ডা. শফিকুর রহমান এবং তার পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতারা আশা প্রকাশ করেন, তিনি শিগগিরই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসবেন এবং নেতৃত্বের দায়িত্বে পুনরায় সক্রিয় হবেন।
-রফিক
"আপনার কলিজাও খুলে ফেলব"
কুমিল্লা–১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়সার এবং কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রকাশ্য হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ভোলাইন বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ অভিযোগকে ঘিরে একটি অডিও রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে, যা গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। অডিওতে আবদুল গফুর ভূঁইয়ার কণ্ঠস্বরের পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলমের কণ্ঠও শনাক্ত করা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বড় ভাই ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীনকে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান সেই সুপারিশ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছে পাঠান। এর কিছুক্ষণ পরই সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া ফোন করে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ক্ষুব্ধ ভঙ্গিতে গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরদিন তিনি সরাসরি শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে চেয়ারম্যানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলেও জানা গেছে।
ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, গফুর ভূঁইয়া উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, “আপনার কত বড় কলিজা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আপনাকে কে বসিয়েছে, তার কলিজা খুলে ফেলব। আপনার কলিজাও খুলে ফেলব। বেয়াদবিরও একটা সীমা আছে।” তিনি আরও হুমকি দিয়ে বলেন, “আপনি এটা সুন্দরভাবে না করলে আপনার ক্ষতি হবে। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না, আইন জানি। কুত্তার বাচ্চা ডিসি, শুয়োরের বাচ্চা।”
ঘটনার পর বোর্ড চেয়ারম্যানের অনুরোধে ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন স্বেচ্ছায় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, “আমার সঙ্গে সাবেক এমপির কোনো সরাসরি কথা হয়নি। তিনি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং হয়তো তাকে গালিগালাজ করেছেন।”
শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, “সভাপতি পদ নিয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে নানা কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
অভিযোগ সম্পর্কে আবদুল গফুর ভূঁইয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।”
-রফিক
ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু
ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, অতীতে যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কারসাজি করেছে, তারা জনগণের আস্থা হারিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হয়, তবে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, যেখানে সকলে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুব সমাজের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
টুকু বলেন, “এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের জনগণের ভাষা বুঝতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি চায়, যা কেবল সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি সতর্ক করেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাই তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। “আমরা চাই একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও জনগণের বাংলাদেশ, যেখানে জনগণের স্বার্থে কাজ করা সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন হবে,” তিনি যোগ করেন।
তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, যা বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের সরকারকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে টুকু বলেন, “আপনারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার, কোনো ব্যক্তির সরকার নন। জনগণের আন্দোলনের ফসল হিসেবে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব হলো, যারা নতুন করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের নাম প্রকাশ করা এবং তারা কেন এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা জাতিকে জানানো।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের স্বপ্ন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নই হবে মূল লক্ষ্য। “আমরা সহনশীল ও ধৈর্যশীল থেকে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধান করব এবং একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব,” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুনা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের
বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ডাক্তার্স অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব)-এর সদ্য অনুষ্ঠিত কাউন্সিল ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পর সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি পরিষদের মধ্যে একজনের বিজয়ী হওয়া এবং অপরজনের পরাজিত হওয়া স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ।
বিজয়ী পরিষদ মোট ৫২.৮৮% ভোট পেয়ে জয়লাভ করায় তাদের প্রতি তিনি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, পরাজিত পরিষদও ৪৬.৯৪% ভোট অর্জন করেছে, যা প্রমাণ করে চিকিৎসক সমাজের একটি বড় অংশ তাদের প্রতি আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে উপস্থিত থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পরাজিত পক্ষকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
ডা. রফিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অদৃশ্য শক্তির মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। তাই বিদ্বেষমূলক মনোভাব পরিহার করে একসাথে কাজ করার মানসিকতা গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।
তিনি বিজয়ী পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য সুদৃঢ় করে ড্যাবের হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা উচিত।
একইসাথে, তিনি পরাজিত পরিষদের প্রতিও অনুরোধ জানান যে, তারা বিজয়ী নেতৃত্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা বজায় রাখবেন। তার মতে, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে সমুন্নত রাখতে প্রতিটি জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকের দায়িত্ব হলো মিলেমিশে একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে দল ও দেশকে এগিয়ে নেওয়া।
-রাফসান
"যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১৮টি আবাসিক হলে ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ১৮টি কমিটিতে মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন। তবে একই দিনই ওই কমিটিগুলো থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছয়জনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কমিটি ঘোষণার পরদিন রাতেই হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তাদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, আবাসিক হলে প্রকাশ্য বা গোপন কোনো ধরনের রাজনীতি করা যাবে না। এর ফলে হলে ছাত্ররাজনীতি কার্যত স্থগিত ঘোষণা করা হলেও, সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোপুরি থেমে যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য পাওয়া গেছে, শাখা ছাত্রদলের নেতারা হলে সিট দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ মেসেঞ্জার গ্রুপে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরারকে তার অনুসারীদের উদ্দেশে বলতে শোনা গেছে—যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জুনায়েদ আবরার স্বীকারও করেন, কমিটির ৪৮ সদস্যের মধ্যে অনেকেই হলে সিট পাননি এবং মেসে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “তাদের জন্য প্রভোস্ট স্যারের কাছে সুপারিশ করা যায় কিনা, সেই চিন্তা চলছে।” তবে তিনি এটিও জানান যে, এখনও প্রভোস্টের সঙ্গে তার কোনো সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি এবং সিট খালি না থাকলে প্রশাসন চাইলেও দিতে পারবে না।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের এই ৪৮ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মোসাদ্দেক আল হক শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান সৌরভ এবং সদস্যসচিব মো. জুনায়েদ আবরার।
বিষয়টি জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ আনেনি, বিষয়টি প্রথম আপনার কাছ থেকেই জানলাম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে কোনো লাভ হবে না, কারণ আমরা ইতোমধ্যেই নতুন সিট বণ্টন শেষ করেছি।”
-রাফসান
বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা
চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। হামলার শিকার চিকিৎসক ইকবাল হোসেন চট্টগ্রাম নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথা-মুখে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে রক্তাক্ত মুখে আতঙ্কিত ভঙ্গিতে ইকবাল হোসেন সাহায্যের আবেদন জানাতে দেখা যায়। ভিডিওতে তিনি বলেন,“আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ার পুরাতন চারতলায় আছি। আমাকে বিএনপির হারুন; ওদের সন্ত্রাসীদের টাকা দিই নাই বলে মেরেছে। এখন আমাকে মারার জন্য খুঁজছে। আমি লুকিয়ে আছি একটি ঘরে। ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি, ২০-৩০ মিনিট হয়ে গেছে, এখনও পুলিশ আসেনি। আমার ভাগনে-ভাগনিকে নিয়ে গেছে। আমাকে বাঁচান ভাই।”
ভিডিওটি প্রকাশের পর ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে পুলিশের বিলম্বিত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নুর বেগম জামে মসজিদের পাশে ইকবাল হোসেন একটি বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। এই নির্মাণকাজ নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে অন্য পক্ষের সঙ্গে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওসির দাবি, তদন্তে এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে ইকবাল হোসেন দৃঢ়ভাবে অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুনের নেতৃত্বে চাঁদা দাবি পূরণ না করায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, হামলার সময় তার ভাগনে ও ভাগনিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পুলিশ এ ঘটনার সব দিক তদন্ত করছে এবং চাঁদা দাবি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও ব্যক্তিগত বিরোধ সব দিক যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ ধরনের হামলা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তারা মনে করেন, কোনো নাগরিকের ৯৯৯-এ কল করার পরও দীর্ঘ সময় সহায়তা না পাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা ও অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
-শরিফুল
বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে বন্দর হস্তান্তর বন্ধের আহ্বান
বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে দেশের বন্দর ইজারাসহ জাতীয় কৌশলগত সম্পদ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনার কঠোর বিরোধিতা করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। সংগঠনের নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কোনো বিদেশি শক্তির স্বার্থে বা নির্দেশে বাংলাদেশের কোনো বন্দর ভিনদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৯ দফা দাবি আদায়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় এই ধরনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তাদের মতে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের নামে বিদেশি কোম্পানির কাছে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া জাতীয় কৌশলগত স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তাও মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর দেশে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এবং শ্রমিকদের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। তবে বহু কল-কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে, যা সরকারি উদ্যোগে দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। তিনি শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, অতীতে বিদেশি নিয়ন্ত্রণে যাওয়া কৌশলগত অবকাঠামো দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তাই এখনই জাতীয় সম্পদ রক্ষায় স্বতন্ত্র কমিশন গঠন, কঠোর আইন প্রণয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি।
শ্রমিক নেতারা সতর্ক করে বলেন, দেশের বন্দর ও অন্যান্য কৌশলগত সম্পদ বিদেশি স্বার্থে হস্তান্তরের যেকোনো উদ্যোগ প্রতিহত করা হবে। তারা দাবি জানান, উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় শ্রমশক্তি, প্রযুক্তি ও দক্ষতা সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিতে হবে।
-শরিফুল
বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মাগুরার নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বলেন, গত স্বৈরাচার সরকারের সময় হাজারো মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। সেই সময় হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব অপরাধে জড়িতদের বিচারের দাবি দৃঢ় করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সবখাতে হতে হবে। সঠিক সংস্কারের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে সরকার গঠন সম্ভব হয়, যেখানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ উপেক্ষিত থাকেন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দলের সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হতে পারবে না।
সমাবেশে তিনি বিএনপির কিছু নেতার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বড় রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের মধ্যে কোন্দলে লিপ্ত, চাঁদাবাজি ও অংশিদারিত্ব নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয় এবং নির্বাচনও হতে দেওয়া যাবে না।’
মাগুরা জেলা শাখার আয়োজিত এ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলার আমির মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিলুপ্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির জানান, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোট একত্রিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
সমাবেশ শেষে মাগুরা-১ আসনে নাজিরুল ইসলাম এবং মাগুরা-২ আসনে মোস্তফা কামালকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যায় এক মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
/আশিক
বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে আবার জাগিয়ে তুলতেই হবে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিন বছরের মধ্যে যা করেছিলেন, এমন নির্দেশনা তৈরি করে দেশের ভবিষ্যত ঠিকমতো গড়ে তোলা সম্ভব কি না—এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, অবশ্যই সম্ভব। দরকার হলে গ্রাম-গঞ্জ, হাঁটুতে-ঘাটে, খালের পাড়ে কিংবা খামার-বন্দরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের উজ্জীবিত করতে হবে। জনগণকে আবার জাগিয়ে তুলাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটাই সফল করতে হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি তরুণ প্রজন্ম সেই বিপ্লবকে সফল করবে।’
ফখরুল বলেন, ‘যদি আমরা জনগণের মন জয় করতে পারি, নির্বাচনে তাদের পক্ষে নিতে পারি, তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে। আর সরকার গঠনের পর আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করাই হবে প্রধান শর্ত।’
আলোচনা সভাটি ‘জাতীয়তাবাদী যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদল’ এই তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ এক যুগ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এগোতে হবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলকে এ কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।’
ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এবং অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। চাঁদাবাজি আর কখনো সহ্য করা হবে না। আন্তর্জাতিক যুব দিবসে আমরা নতুন বাংলাদেশের শপথ গ্রহণ করব।’
আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, নাট্য নির্মাতা ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
/আশিক
অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মানহানির মামলা চাপানো হয়। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজিত যুব সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হাবিবুর রহমান ও ফজলুর রহমানরা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা বলছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
এ সময় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে সরাসরি কিছু বলেননি। মিডিয়ার বিরুদ্ধে বলেইেন, ‘৫ আগস্টের আগের রূপ যে কোনো সময় ফিরে আসতে পারে। ওয়াশিংটন ডিসিতে যারা আছেন, মিডিয়া তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক করিয়েছে। আমরা চ্যানেলের নাম দেখে শান্ত থাকব না, দেখব মালিক কে।’
মানহানি মামলা দায়েরকারী ব্যক্তির আমলনামা প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেঁচো খুঁড়লে সাপ বের হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে গাজীপুর বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন। মামলাটি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ শুনানি শেষে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- জানুন আজকের সোনার বাজারদর
- "আপনার কলিজাও খুলে ফেলব"
- তরুণদের স্বপ্ন পূরণে দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ ড. ইউনূসের
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর!
- ঘনীভূত হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ
- রপ্তানি শুল্ক সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি
- সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি
- ভোটে ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনীতি থেকে মুছে যাবে: বিএনপি নেতা টুকু
- বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের
- হুথিদের ড্রোন আঘাতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত
- ভারত–চীনের সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পথে
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- "যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
- বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা
- টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্কে নতুন মোড়
- বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে বন্দর হস্তান্তর বন্ধের আহ্বান
- লুকিয়ে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহন বিতর্কে সৌদি জাহাজ
- কৃষিঋণ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর
- বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল
- অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত
- আগামীকাল জানাজার ঘোষণা দিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম
- আইপিএলে দল কেনার ব্যাপারে মুখ খুললেন সালমান খান
- মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন
- মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাবে
- নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কড়া মন্তব্য
- ‘জনগণের মন জয় করতে পারলেই সফলতা’ — মির্জা ফখরুল
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ভিপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা
- ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে মুখ খুললেন দেব, রাজ-রুক্মিণীর কাছে ক্ষমা চাইলেন
- খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা
- আন্দোলনের ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তারপর যা ঘটল…
- কিশোরগঞ্জের নিকলীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষ
- কুষ্টিয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানদারের কান কামড়ে ছিঁড়ে দিলো যুবক
- মাত্র ৭ বছরে ৮৮ দিনে কোরআন হিফজ করলো নবীনগরের ফাহিম
- আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর
- বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই
- খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
- মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
- ড. ইউনূস সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার পরামর্শে: রাশেদ খাঁন
- গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
- মাইলস্টোনে কোচিং বন্ধ ও বিধ্বস্ত দিনের সিসি ফুটেজ দেখার দাবিতে মানববন্ধন
- পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
- ৪৭২ কোটি আয়ের ‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়ক-নায়িকার পারিশ্রমিক যত