যে কারনে আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কাসহ বহু নেতা

ভারতের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে কথিত আঁতাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। সোমবার সকালে দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিলের সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কয়েকজন সংসদ সদস্যকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের উদ্দেশে মিছিল শুরু করলেও পরিবহন ভবনের কাছে পৌঁছেই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে তাদের পথরোধ করে। পরে তারা স্লোগান দিয়ে অবস্থান নিলে পুলিশ ঘেরাও করে আটক করে।
বিরোধীদের এই কর্মসূচি মূলত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার তালিকা জালিয়াতি ও বিহারের ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধনী’ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা নিয়ে। কংগ্রেস, শিবসেনা ও এনসিপির অভিযোগ, বিজেপি নির্বাচনী কারচুপির অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও প্রভাবিত করছে। এই অভিযোগ প্রথম উঠে আসে গত বছরের মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পর, যেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়। কর্নাটক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়। গত সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে রাহুল গান্ধী প্রমাণ উপস্থাপন করে দাবি করেন, সারা দেশে ব্যাপক ভোটার জালিয়াতি চলছে এবং তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে খসড়া ভোটার তালিকা অনলাইনে প্রকাশের আহ্বান জানান।
বিহারের ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধনী’ প্রক্রিয়াও বিরোধীদের ক্ষোভের বড় কারণ। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণাকে তারা বেআইনি ও কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে বলে দাবি করছে। সমালোচকদের মতে, এতে প্রকৃত ভোটার বাদ পড়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং এটি বিজেপির রাজনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করার একটি কৌশল হতে পারে। আধার কার্ড বা নির্বাচন কমিশনের পরিচয়পত্রকে ভোটার যাচাইয়ের জন্য গ্রহণ না করার বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে কমিশনকে অনুমতি দিলেও শর্ত দিয়েছে, প্রকৃত ভোটার যেন বাদ না পড়েন এবং ইতোমধ্যে বাদ যাওয়া প্রায় ৬৫ লাখ ভোটারকে আপিলের সুযোগ দিতে হবে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং উদ্দেশ্য স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। কমিশন রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, তিনি যেন স্বাক্ষরিত হলফনামার মাধ্যমে তার অভিযোগের প্রমাণ দেন।
-রাফসান
দিনে গড়ে ১১৪ লিটার দুধ দিয়ে নজির গড়ল গরু
সাধারণত একটি গাভী প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ১০ লিটার দুধ দেয়। উন্নত জাতের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১২ থেকে ৩৫ লিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে ব্রাজিলে একটি গরু দুধ উৎপাদনে নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়েছে—এক দিনে দিয়েছে প্রায় ১২০ লিটার দুধ, আর তিন দিনে মোট ৩৪৩ লিটার।
গড় হিসাবে এই গরুটি প্রতিদিন প্রায় ১১৪ লিটার দুধ দিয়েছে, যা প্রচলিত গড় উৎপাদনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। এ সাফল্য বিশ্ব রেকর্ড হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে জিরোল্যান্ডো জাতের একটি গরু একদিনে ১২৭.৬ লিটার দুধ উৎপাদন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিল।
বিশ্বব্যাপী উচ্চ দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান জাতের গরু সাধারণত প্রতিদিন ৮৭ লিটারের বেশি দুধ দিতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাজিলের এই গরুর অসাধারণ উৎপাদনের পেছনে রয়েছে উন্নত জাত, জিরোল্যান্ডোর সঙ্গে সফল ক্রস প্রজনন, সুষম খাদ্য, যত্নশীল পরিচর্যা এবং আধুনিক দুগ্ধ প্রযুক্তির ব্যবহার।
/আশিক
দিল্লিতে বিক্ষোভে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নে বিক্ষোভ চলাকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র এবং একাধিক বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখা যায়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সড়কে বসে স্লোগান দিচ্ছেন, হাতে ব্যানার ও পতাকা নেড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অনেককে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে ধাক্কাধাক্কি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।
আটকের সময় রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারি না—এটাই বাস্তবতা। সত্য আজ জাতির সামনে এসেছে। এই লড়াই রাজনৈতিক নয়, এটি সংবিধান রক্ষার সংগ্রাম। এক ব্যক্তি, এক ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা একটি সঠিক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা চাই।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও একই সময়ে আটক করা হয়। আটক হওয়ার আগে তিনি বলেন, “ওরা ভীত। সরকার কাপুরুষ।” জানা যায়, বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ও নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের দিকে পদযাত্রা করছিলেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পার্লামেন্টের ‘মকর দ্বার’ থেকে পদযাত্রা শুরু হয় এবং নির্বাচন সদনের দিকে এগোতে থাকেন তারা। কিন্তু কিছুদূর যেতে না যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে মিছিল থামিয়ে দেয়। এ সময় তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেসহ কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলেই বসে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
পুলিশের দাবি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন এড়ানোর জন্যই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা অভিযোগ করেন, বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবে কাজ করছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু
ইসরাইলি পরিকল্পনা নিয়ে আরব লিগের সতর্কবার্তা
আরব লিগ গাজা উপত্যকার পূর্ণ দখল নিয়ে ইসরাইলের ঘোষিত পরিকল্পনাকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংস্থাটি এই পরিকল্পনাকে সব আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আগ্রাসন বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই অবস্থান জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরব লিগ জানায়, গাজা উপত্যকার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে আগ্রাসন, গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর ইসরাইলি পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনকে সরাসরি লঙ্ঘন করছে। এসব পদক্ষেপ শুধু আরব বিশ্বের জাতীয় নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য হুমকি নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিকেও মারাত্মকভাবে বিপন্ন করবে।
সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে অবিলম্বে কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ ও অনাহার নীতি পরিহারে ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য বিশ্বশক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
আরব লিগ মিসর ও কাতারের নেতৃত্বে চলমান মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থার মতে, আন্তর্জাতিক আইন ও রাজনৈতিক সমাধানের পথ অনুসরণ ছাড়া গাজা সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন যে তাঁর সেনাবাহিনী খুব শিগগির গাজা শহর দখল করবে এবং সেখানে একটি নতুন বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। এই ঘোষণাকে আরব বিশ্ব ইসরাইলের দখলদার নীতির প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখছে, যা অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করবে।
-রফিক
শুল্কে ধাক্কায় পোশাক খাতে ভারত হারাচ্ছে অর্ডার, যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তনে
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে ভারতের তৈরি পোশাক শিল্প মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের কারণে বিশ্ববাজারের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি ভারতে অর্ডার স্থগিত বা বাতিল করতে শুরু করেছে। অনেক ব্র্যান্ড তাদের অর্ডার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো শুল্ক কম দেশগুলোতে সরিয়ে নিচ্ছে। ভারতের নিটওয়্যার রাজধানী তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরের রপ্তানিকারকরা এই পরিবর্তন স্পষ্টভাবে অনুভব করছেন এবং ক্রেতাদের অর্ডার স্থগিত রাখার খবর দিয়েছেন।
নতুন শুল্ক কাঠামোর কারণে ভারতের কিছু নিটওয়্যার পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্ক হার ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা অন্য বিকল্প খুঁজছেন। তিরুপ্পুর, কোয়েম্বাটুর ও কারুর কারখানায় ১২ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন, যারা বছরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে এক থেকে দুই লাখ শ্রমিক চাকরি হারানোর ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম সুব্রাহ্মনিয়ান জানান, ক্রেতারা শুল্কের অতিরিক্ত বোঝা ভাগাভাগি করতে চায়, অথচ তাদের মুনাফা মাত্র ৫-৭ শতাংশ। মার্কিন বাজারে রপ্তানি কমলে পুরো শিল্পে বড় ধাক্কা পড়বে। এছাড়া হোম টেক্সটাইল খাতেও প্রভাব পড়ছে, যেখানে বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদির অর্ডার স্থগিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন বাজারে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় বিশাল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার শুল্ক ১৯ থেকে ২১ শতাংশের মধ্যে থাকলেও ভারতের শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বাজারে ভারতে ক্রেতাদের আগ্রহ কমিয়েছে। এতে রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শুল্কের পাশাপাশি তুলা আমদানি ও জিএসটি সংক্রান্ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ও মানের প্রশ্ন ভারতের টেক্সটাইল শিল্পকে আরও দুর্বল করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানো না হয়, তবে ভারতের রপ্তানি খাত বড় ধাক্কা খাবে এবং মার্কিন বাজার থেকে স্থায়ীভাবে বাদ পড়তে পারে।
মোট মিলিয়ে, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, যা শ্রমিকদের চাকরি নিরাপত্তা ও দেশের রপ্তানি রাজস্বের জন্য উদ্বেগজনক।
/আশিক
যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬
যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬
যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করায় লন্ডনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে পার্লামেন্ট স্কয়ার ও হোয়াইট হল এলাকায় এই বিক্ষোভে পুলিশ সাড়ে চার শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, রাত ৯টা পর্যন্ত প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থনের অভিযোগে মোট ৪৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনসহ আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বিকেলে পার্লামেন্ট স্কয়ারে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামে একটি প্রচার সংগঠন বিক্ষোভের আয়োজন করে, যেখানে হাজারো মানুষ পোস্টার হাতে যোগ দেয়। সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘গ্রেফতার ও কারাবাসের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছে। গাজায় অব্যাহত গণহত্যায় যুক্তরাজ্য সরকারের সরাসরি জড়িত থাকার কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত।’
বিক্ষোভে এক নারী পুলিশকে বলেন, ‘আপনাদের প্রিয়জন সবাই আছে, কিন্তু ভুল মানুষকে গ্রেফতার করছেন। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেফতার করুন।’ অন্য একজন বলেন, ‘রয়্যাল এয়ার ফোর্সের প্লেনে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের প্রতিবাদ সন্ত্রাস নয়, বরং ওই বিমানগুলোই সন্ত্রাসী, যা গাজায় শিশু হত্যা করেছে। আমি শুধু একটি কাগজের টুকরো ধরে আছি, যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে না। বরং ২০ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখা হলো, সেটাই আসল সন্ত্রাস।’
পুলিশি তৎপরতার প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই সংগঠনের প্রকৃত রূপ জানেন না, তবে এটি কোনো অহিংস সংগঠন নয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্য বিক্ষোভে শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, এটি মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন।
গত জুন মাসে ব্রিটিশ সরকার প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর কিছুদিন পর সংগঠনের কর্মীরা আরএএফ ব্রাইজ নর্টনে দুটি সামরিক প্লেন বিকৃত করেন। নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০০০ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, সংগঠনের সদস্য হওয়া বা সমর্থন দেওয়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
সূত্র: ইউএনবি
হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ আমি: টিউলিপ
বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ জানান, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। বিষয়টি প্রথম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
৪২ বছর বয়সী লেবার পার্টির এই নেত্রী বলেন, গত সপ্তাহে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে তাকে এবং আরও ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানির তারিখ ১১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনো তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন বা অভিযোগপত্র পাননি। তার ভাষায়, “আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী।”
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় প্রয়োজনে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলতে পারে।
টিউলিপ বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ের পর তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অর্থনীতিবিদ ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা শুরু হয়।
প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও আসে, যা তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্যের মালিকানাধীন বাসায় থাকার বিষয়েও সমালোচনা হয়। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেন।
টিউলিপের অভিযোগ, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনীতি’ চালানো হচ্ছে। তার ভাষায়, “এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল, আর আমি এর বলি হয়েছি। বাংলাদেশে যারা প্রকৃত অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই।”
/আশিক
‘বর্ণবাদী’ বার্তা প্রচারে চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড
চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা সুচেস মাসরাকে বিদেশি নাগরিকদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও বর্ণবাদী বার্তা প্রচারের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শনিবার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী।
মাসরা দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহামত ইদ্রিস ডেবির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। চলতি বছরের মে মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ডেবির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এর আগে প্রায় পাঁচ মাস তিনি ডেবির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চাদের প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ গত মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মান্দাকাওতে সংঘটিত এক সহিংসতার ঘটনায় মাসরার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ওই সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়।
আদালত মাসরাকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ বিলিয়ন সিএফএ ফ্রাঙ্ক (প্রায় ১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তার আইনজীবী জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন।
/আশিক
গাজা সিটি দখলকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ
ইসরায়েলের গাজা উপত্যকা দখল নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক বিরোধিতা ও বিক্ষোভ চলছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন গাজায় সামরিক অভিযান বাড়িয়ে ‘গাজা সিটি’ দখলের পরিকল্পনার প্রতিবাদে। গত শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রীসভা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য পাঁচটি নীতি অনুমোদন দেয়, যার মধ্যে রয়েছে গাজা শহরের ‘নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ’। দেশটির সেনাবাহিনীও গাজা সিটি দখলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা পাস হয়েছে। বর্তমানে গাজায় ৫০ জন জিম্মির মধ্যে আনুমানিক ২০ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, গাজা সিটি দখল করলে জিম্মিদের জীবন বিপদের মুখে পড়বে। তারা সরকারের প্রতি জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছেন।
গাজা দখলের পরিকল্পনার খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সামরিক অভিযান তাদের জিম্মিদের মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
জিম্মিদের পরিবারের এক প্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, গাজায় সামরিক অভিযান যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করবে এবং জিম্মিদের বিপদ বাড়াবে। ইসরায়েলের সাধারণ জনগণও তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না। জেরুজালেমে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে কারণ তাদের জিম্মিরা গাজায় বন্দি ও মৃত্যুর মুখে।
সেনাসদস্য ম্যাক্স ক্রেশ বলেন, তিনি শুরুতে গাজায় যুদ্ধের অংশ ছিলেন, তবে এখন রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধে যেতে চান না। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর যুদ্ধ তাদের বিপদে ফেলছে ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তেল আবিবে আইডিএফ সদরদপ্তরের কাছে বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে জিম্মি ও সৈন্য পরিবারের সদস্যরা সামরিক অভিযানের বিস্তারের প্রতিবাদ জানান। একজন জিম্মির মা দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকলেও প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন তা সমর্থন করবে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি নেওয়া হয়। এর পর গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা শুরু হয়, যা প্রায় দুই বছর ধরে চলছে। এতে গাজায় অন্তত ৬১ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকার প্রায় ২১ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ বাস্তুচ্যুত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক শনিবার বলেন, গাজা দখল পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট কার্যালয় নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে গণহত্যা ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়েছে। হামাস হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজা দখলে ইসরায়েলকে বড় মূল্য দিতে হবে এবং বাকি জিম্মিদেরও হারাতে হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও ইসরায়েলের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। জার্মানি গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে, চীন উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে।
সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গাজা দখলের বিষয়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
গাজা দখলের ঘোষণা আসার পর গত শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৫ সদস্যের পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা ছাড়া বাকি সবাই বৈঠকের আহ্বান জানায়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, তিনি এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন।
/আশিক
ভূপাতিত সু-২৭: ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার বার্তা
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সর্বশেষ উত্তেজনায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর একটি আধুনিক সু-২৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। শনিবার মস্কো থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে এই বিমানটি গুলি করে নামানো হয়।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, একই দিনে তারা দুটি গাইডেড এরিয়াল বোমা, মার্কিন-নির্মিত হিমারস মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম থেকে ছোড়া দুটি রকেট এবং ৪৫৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। মস্কোর মতে, এটি তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত তারা রাশিয়ার একটি ইস্কান্দার-কে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে এবং অন্তত ৩১টি রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে। কিয়েভের মতে, এসব আক্রমণ রাশিয়ার অব্যাহত চাপের অংশ, যা ফ্রন্টলাইন ও বেসামরিক এলাকায় সমানভাবে প্রভাব ফেলছে।
বর্তমানে জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভূপাতিত সু-২৭ বিমানের পাইলটের অবস্থান ও অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২২ সালে রাশিয়া খেরসন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে এসব এলাকা নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে। ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো এই গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে, যা এখনো বড় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্কের বিষয়।
এদিকে, যুদ্ধ থামাতে নতুন উদ্যোগ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, আলোচনায় ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রস্তাব থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা নেই।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমন প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন, “ইউক্রেনের এক ইঞ্চি জমিও রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে না।” তাঁর এই বক্তব্য শুধু রাশিয়ার প্রতি নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও স্পষ্ট বার্তা সার্বভৌমত্ব নিয়ে ইউক্রেন কোনো আপস করবে না।
পাঠকের মতামত:
- যে কারনে আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কাসহ বহু নেতা
- দিনে গড়ে ১১৪ লিটার দুধ দিয়ে নজির গড়ল গরু
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
- সালমান খানের জীবনে ফের আতঙ্কের ঝড়
- দিল্লিতে বিক্ষোভে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
- আজকের স্বর্ণের দাম তালিকা এক নজরে
- প্রেমের কথা স্বীকার করলেন জয়া আহসান, জানুন প্রেমিকের পরিচয়
- শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানি
- সেনাবাহিনী, বডি ক্যামেরা ও কড়া নজরদারিতে প্রস্তুত জাতীয় নির্বাচন
- ওমানে প্রবাসী নাগরিকদের জন্য সুখবর!
- প্রবাসীদের জন্য সোনালি সুযোগ, আয়ের সেরা গন্তব্য
- আইনের শাসন রক্ষায় চিফ প্রসিকিউটরের দৃঢ় বার্তা
- ইসরাইলি পরিকল্পনা নিয়ে আরব লিগের সতর্কবার্তা
- জামায়াত আমিরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
- সব বন্দর নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
- বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু
- "তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ হোন"
- সাগরিকাদের ইতিহাস: প্রথমবার অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
- তারেক রহমান: স্বৈরাচার হাসিনা দেশের মানুষকে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করেছেন
- শুল্কে ধাক্কায় পোশাক খাতে ভারত হারাচ্ছে অর্ডার, যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তনে
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬
- নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৬ দল উত্তীর্ণ
- জাতীয় সংসদে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে জামায়াতের আন্দোলন ঘোষণা
- দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য কার্যকর আমল ও দোয়া
- হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ আমি: টিউলিপ
- এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি লোডের প্রস্তুতি চূড়ান্ত
- ‘বর্ণবাদী’ বার্তা প্রচারে চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড
- ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জাবি ছাত্রদলের ১৩ নেতার প্রতি
- যশোরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- তিন দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ, দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
- রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলনে গান গাইলেন পলকের ভগিনীপতি
- প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের নির্দেশনায় আসছে নতুন ভোটার সহায়ক অ্যাপ
- আফরান নিশোর পায়ের লিগামেন্ট ছেঁড়ে গেছে
- টাকা ছাপানো ও বণ্টনে বিপুল খরচ, ক্যাশলেস লেনদেন বাড়াতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
- নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের ভুল খুঁজে পেলেন বাংলাদেশের আফসার আলী
- গাজা সিটি দখলকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ
- কলকাতায় আ.লীগের পার্টি অফিস নিয়ে প্রশ্নে, যা বললেন প্রেস সচিব
- সিলেটের এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণে নতুন আশা, ৬৩৬ পত্রে ফল বদল
- ‘পুলিশ এখনও কাঠামোগতভাবে কাজ করছে না’– শ্রম ও নৌ উপদেষ্টার অভিযোগ
- সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অব্যাহত হরিণ শিকার ও অবৈধ মাংস বিক্রি
- ‘মানুষ তৈরির প্রজেক্ট’ এবং রাজনীতি নিয়ে ছাত্রশিবির সভাপতির মতামত
- আগামী নির্বাচনে অরাজকতার আশঙ্কা নেই: নিরাপত্তায় বাড়তি প্রস্তুতি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- মায়ের অসুস্থতার প্রমাণ মেলেনি, আনিসার পরীক্ষায় বসার সুযোগ বাতিল
- হারানো অস্ত্রের তথ্য দিলে মিলবে নগদ পুরস্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা: কোন কোন সেবা পাবেন, কোনগুলো বন্ধ থাকবে
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির সময়মতো ডিভিডেন্ড
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?