শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশটা: মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২০:৩৬:২৬
শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশটা: মির্জা আব্বাস
জাসাস আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে গেছে। তার ভাষায়, "আগে শেখ হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, আর এই সরকার চব্বিশটা বাজিয়ে দিয়েছে।"

শনিবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাসাসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, তার কাছে দেশের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। “বলার মতো অনেক কিছু আছে, কিন্তু আমার বর্তমান অবস্থান থেকে এখনই বলতে চাই না। দেশের কতভাবে ক্ষতি হয়েছে, কে কোথায় আত্মসাৎ করেছে, কত টাকা লুট হয়েছে—সবকিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে,” বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে নানা অরাজকতার সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। “যেখানেই খুন, লুটপাট, চাঁদাবাজি—সেখানেই বিএনপির নাম বলছে একটি মহল। জনগণের কাছে বিএনপিকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে,” মন্তব্য করেন তিনি।

নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনারা যেমন ক্ষমতায় যেতে চান, আমরাও চাই। জনগণ ভোট দিলে আমরা ক্ষমতায় যাব, না দিলে মেনে নেব। কিন্তু আমরা ভোট চাই। এই ভোট ও গণতন্ত্রের জন্যই বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করেছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, কিছু রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে নির্বাচনের কথা বললেও অন্তরে তা চায় না, কারণ তাদের ধারণা—নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এসব দল নানা অজুহাত খুঁজে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তার ভাষায়, “বিএনপি কখনো দেশ শাসন করেনি, করবে না; তবে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করেছে, এবং তা অব্যাহত রাখবে।”

জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহত মিরাজের বাবা আব্দুর রব মিয়াসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে জাসাসের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

/আশিক


ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৬:২৬:৩৮
ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
ছবি: সংগৃহীত

রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া কলেজ অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মইন খান বলেন, ২০২৪ সালে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, সেটি কোনোভাবেই লুটেরা শ্রেণির দখলে গিয়ে দেশ লুটে ফেলার উদ্দেশ্যে হয়নি। যারা এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের রক্তের প্রতি কখনোই অবজ্ঞা বা বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। তাই দেশের সব নাগরিককে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ড. মইন খান আরও বলেন, “যদি আমরা অন্যায়, দুর্নীতি বা চাঁদাবাজিতে জড়িত হই, তাহলে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই আমাদের দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও মর্যাদাকে সর্বোচ্চ সম্মানে রাখা আমাদের কর্তব্য।”

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষকদলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তারা একমত হন যে, ২০২৪ সালের গণআন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথে এক গৌরবময় অধ্যায়, যা লুটেরা শ্রেণির দখলে যাওয়া যাবে না।

সব বক্তাই জোর দিয়ে বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে এবং শহীদদের রক্ত যেন কোনোভাবেই অপব্যবহার বা অবমূল্যায়ন না হয়। এ প্রত্যয় নিয়ে সবাইকে সতর্ক ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়।

স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্ব করেন এবং জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আইনজীবী আমিরুল ইসলাম ইমন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

-রফিক


নাটোরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুষ্ঠান বয়কট করলো জেলা বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৬:১৭:৪৯
নাটোরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অনুষ্ঠান বয়কট করলো জেলা বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

শনিবার সকালে নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় নির্মিত ১৪টি মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাটোর জেলা বিএনপি বয়কট ঘোষণা করেছে। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের অভিযোগ, তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে অপ্রত্যাশিত ও অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হন, যার ফলে তারা উৎসবমুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ ঘটনার পর জেলা বিএনপির নেতারা বাধার প্রতিবাদে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ত্যাগ করেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবলসহ জেলা বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতা ও কর্মীরা শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কানাইখালি মিনি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে যান, কিন্তু সেখানে উপস্থিত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাসিবুল্লাহ হাসিব তাদের প্রবেশে বাধা দেন। জেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেন, ডিবির কর্মকর্তার এই আচরণ ছিল নীতিগতভাবে অগ্রহণযোগ্য ও অনাদরসূচক। তারা বলেন, “আমাদের নেতাদের সঙ্গে এই ধরনের অসম্মানজনক ব্যবহার মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”

এরপর প্রতিবাদস্বরূপ জেলা বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠান থেকে সরে আসেন এবং সরকারি এই আয়োজন বয়কট করার ঘোষণা দেন। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তারা বলেন, রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সরকারি বা আধা সরকারি যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। তারা সরকারি দপ্তর, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রতি এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সাংবিধানিক মৌলিক নীতির পরিপন্থী।

নাটোর জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা উল্লেখ করেন, দেশের রাজনীতিতে যে কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক বা হীনমন্যতার আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ও স্বাধীন মতপ্রকাশ বাধাহীন হওয়া উচিত। যেখানে সরকারি বাহিনী বা প্রশাসন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করে বা দমন করে, সেখানে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ক্ষতি হয়।” তারা সরকার ও প্রশাসনকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি ন্যায্য আচরণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে রাজনীতিতে সামগ্রিক সমন্বয় ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

অন্যদিকে, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছু ধরনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ অবলম্বন করতে হয়েছে, যা যাতে কোনও সংঘর্ষের সম্ভাবনা না তৈরি হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।” তারা সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে সহিষ্ণু হওয়ার আহ্বান জানান।

-রাফসান


পার্বত্য এলাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিন আহমদের সতর্কবার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৬:১০:০২
পার্বত্য এলাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিন আহমদের সতর্কবার্তা
সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের ষড়যন্ত্র যাতে সফল হতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের অখন্ডতা বজায় রাখতে এবং পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে সবাইকে ‘সবাই বাংলাদেশি’ এই পরিচয়কে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী, উপজাতি ও আধা উপজাতিসহ আদিবাসী জনগণকে একত্রিত করে বাংলাদেশি পরিচয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যা শুধু একটি ভাষা, সংস্কৃতি বা ধর্মের সীমাবদ্ধতায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং দেশের সব ভাষাভাষী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেই একটি জাতি গঠনের পরিচায়ক।

তিনি দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে থাকা কোটা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং বলেন, কোটা ব্যবস্থা সমাজের মূল স্রোতে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলোকে ফিরিয়ে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, যা তাদের সমতা এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতে জনসংখ্যা ও সমাজের পরিবর্তন অনুযায়ী এ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়ন হতে পারে।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জাতিকে বিভক্ত করার চক্র চলমান রয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিদের আলাদা করার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে, যা সম্পূর্ণ অবান্তর, কারণ বিজয়ের পর তারা সেই ইতিহাস কখনোই অস্বীকার করেননি। তিনি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ভিত্তি যাতে দুর্বল না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কারণ ঐক্যই দেশের সংহতি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।

তিনি পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সবার সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার গুরুত্বও উল্লেখ করেন এবং বলেন, আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব। তাই এসব জনগোষ্ঠীর অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে চলাই সবার স্বার্থে। তিনি বলেন, শুধু এক বা দুই সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষাই যথেষ্ট নয়; বরং দেশবাসীর সামগ্রিক ঐক্যের মধ্য দিয়ে জাতির অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।

-শরিফুল


দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীন আটক হল যেভাবে 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৫:৫৫:৩৭
দীপু মনির ভাগ্নে রিয়াজ উদ্দীন আটক হল যেভাবে 
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জেলেপোতা গ্রামে শনিবার (৯ আগস্ট) স্থানীয়রা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ভাগ্নে ও ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। রিয়াজ উদ্দীনসহ আরও তিন দালালকে আটক করার বিষয়টি সীমান্ত এলাকায় বড় ধরনের গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ তারা ভারতের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে রিয়াজ উদ্দীন ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে অজানা কয়েকজন তাকে ধরে ফেলেন। এরপর তারা রিয়াজের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে মহেশপুর এলাকার পরিচিত দালালদের হাতে সোপর্দ করেন।

এই খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে মহেশপুরের জেলেপোতা গ্রামের বাসিন্দারা তিন দালালসহ রিয়াজ উদ্দীনকে গ্রেফতার করে পুলিশে দেয়। দ্রুত সময়ে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, রিয়াজ উদ্দীন ও তার সহযোগীদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের তথ্য মতে, রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে হত্যাসহ গুরুতর অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, “স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় এই সফলতা এসেছে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।”

-রাফসান


ছাত্রলীগমুক্ত হল - শিক্ষার্থীদের বিজয়ের রাতের গল্প

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৫:৪৫:২৬
ছাত্রলীগমুক্ত হল - শিক্ষার্থীদের বিজয়ের রাতের গল্প
ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ের গণআন্দোলনে নেমে এসেছিলেন এমন অনেক মানুষ, যারা আগে একে অপরকে চিনতেন না। কিন্তু সংকটময় মুহূর্তে অপরিচিতরাই পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেউ গুলিবিদ্ধ আহতকে কাঁধে তুলে নিয়েছেন, কেউ জীবন বিপন্ন করে সহযোদ্ধাকে রক্ষা করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব ও ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আখতার হোসেনের মতে, এই সময় জাতিকে এক সূত্রে বেঁধেছে, যা আন্দোলনের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আন্দোলনের সূচনা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাংগঠনিক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা কখনোই সম্পূর্ণ কোটা বাতিলের দাবি করেননি; বরং অনগ্রসর ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য যুক্তিসঙ্গত সংস্কার চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করে এবং পরিপত্র জারি করে। তখন থেকেই আশঙ্কা ছিল, বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ হলে ভিন্ন রায় আসতে পারে। ২০২৪ সালে সেই আশঙ্কাই বাস্তবে রূপ নেয়।

তার মতে, ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা আরও ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন এবং রাজনৈতিক দমননীতি কঠোর করেন। হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে পুনরায় কোটা ব্যবস্থা চালু হওয়াকে তিনি শিক্ষার্থীদের ত্যাগের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখেন।

রায়ের পরপরই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতারা বৈঠকে বসে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। তবে সরকার যাতে সহজে রাজনৈতিক রঙ দিতে না পারে, সেই কারণে আখতার হোসেন সরাসরি নেতৃত্বে না থেকে পেছন থেকে সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করেন। আন্দোলনকে দলীয় নয়, বরং সার্বজনীন প্ল্যাটফর্মে পরিচালনার কৌশল নেওয়া হয়, যাতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নাগরিক সবাই যুক্ত হতে পারেন। জুন মাস থেকেই সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের কাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।

জুলাইয়ে আন্দোলন পূর্ণতায় পৌঁছায়। ঢাকার মিছিলগুলো হলপাড়া অতিক্রম করে রাজু ভাস্কর্য ও শাহবাগে জড়ো হয়। শাহবাগ থেকে শুরু হওয়া অবরোধ ধীরে ধীরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, ফার্মগেট হয়ে এক্সপ্রেস হাইওয়ে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন দ্রুত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিস্তৃত হয়।

আখতার হোসেন বিশেষভাবে স্মরণ করেন ১৬ জুলাইয়ের রাতকে, যখন শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে বিভিন্ন হল থেকে বিতাড়িত করে। একের পর এক হলে ‘ছাত্রলীগমুক্তি’র খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজয়ের অনুভূতি ও নতুন সাহস যোগায়। তার ভাষায়, “এটা ছিল অন্যরকম আনন্দের রাত, আমরা অপেক্ষা করছিলাম কোথায় পরবর্তী পতন ঘটবে।”

সবশেষে আখতার হোসেন বলেন, জুলাই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল মানুষের মধ্যে অটুট ঐক্য সৃষ্টি। রাজনৈতিক, সামাজিক বা ব্যক্তিগত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ অন্যের জন্য দাঁড়িয়েছে এটাই তাদের সত্যিকারের জয়।


ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৪:৪৬:৪২
ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্ব এখন সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া শুধু দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চাকে জোরদার করছে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য যোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং জনগণনির্ভর নেতৃত্ব তৈরির পথও প্রশস্ত করছে। তার মতে, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা যত গভীর হবে, ততই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ড্যাবসহ পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য বিএনপির প্রস্তাবিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে চিকিৎসক, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। এই দফাগুলো শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিকল্পনা নয়, বরং অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। এর বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ছোট ছোট অবদান দিয়েই বড় পরিবর্তন সম্ভব। আজ যে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আড়াই বছর আগে বিএনপি সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সেসব জাতির সামনে তুলে ধরেছিল। জনগণের সমর্থন পেলে ক্ষমতায় গিয়ে এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হবে।”

তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করেন, সেদিন দেশের মানুষ “বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে” এবং এখন তারা গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকারের প্রত্যাশায় বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আশ্বাস দেন, ক্ষমতায় এলে গণতান্ত্রিক চর্চা শুধু দলেই নয়, রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে অব্যাহত রাখা হবে।

সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা, ড্যাবের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও কয়েক হাজার চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ড্যাবের জাতীয় সম্মেলনের মূল পর্ব শেষে দুপুর ১টায় কার্যনির্বাহী পরিষদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়—সভাপতি, মহাসচিব, সিনিয়র সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এই ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।

-রফিক


যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চান: শামসুজ্জামান দুদু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:৫৭:২২
যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চান: শামসুজ্জামান দুদু
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতি নিয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন, তারা মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভয়ভীতি অনুভব করছেন। তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি চাইবার পিছনে তাদের নির্বাচনে ভয়ের বাস্তব কারণও রয়েছে। বিশেষ করে ইসলামী দলের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইসলামী আন্দোলন। এই দলটি আওয়ামী লীগের সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও বরিশালের সাম্প্রতিক নির্বাচনে তাদের পীর রক্তাক্ত হওয়ায় এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা যদি মনে করে এটি খুবই জনপ্রিয় বিষয়, তাহলে নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ পিআর পদ্ধতি চালু করার জন্য সংসদের সমর্থন প্রয়োজন।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের যেসব দেশে পিআর পদ্ধতি চালু আছে, সেসব দেশে সরকার স্থিতিশীলতা হারিয়েছে; নেপাল তার বড় উদাহরণ। একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সরকারের স্থিতিশীলতা জরুরি, যা পিআর পদ্ধতিতে অর্জন করা কঠিন।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন দেশে সরকারি কোনো দল নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় যদি কোনো রাজনৈতিক দল স্বেচ্ছায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে সেটি তাদের ব্যর্থতা হবে। বিভিন্ন দলের দাবি থাকবে এবং সেসব দাবিকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো হবে। যদি দাবি জনপ্রিয় হয়, তবে তারা নির্বাচিত হবে, অন্যকে দোষারোপ করে বা সহিংসতা সৃষ্টি করে দাবির ভিত্তি গঠন করা ঠিক নয়।

এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:৪৮:২৮
তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানই হবেন। শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বা ভোটের অধিকারই নয়, দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উপমহাদেশের মধ্যে সেরা, কিন্তু সমস্যা সিস্টেমের দিক থেকে। দেশে পারস্পরিক হিসেব-নিকেশের সংস্কৃতি রয়েছে, যা সঠিক সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করছে এবং এই সংস্কৃতি দেশের উন্নয়নকে অবরুদ্ধ করছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তারেক রহমান যে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তা দেশের স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে যুগান্তকারী পরিবর্তনের শক্তি রাখে। মির্জা ফখরুল দাবি করেন, শুধুমাত্র ভোটাধিকার নয়, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাও জনগণের প্রতি দায়িত্বের অংশ হওয়া উচিত।

/আশিক


আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১১:১০:৫৭
আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে দেশে দাঙ্গা লাগানো দরকার। কারণ দাঙ্গার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন এবং নির্বাচন প্রভাবিত করা যায়।’ তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের বিহারি-বাঙালি বিরোধী দাঙ্গার কথাও উল্লেখ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পটু, প্রয়োজনে নিজের বাড়িতেও আগুন দিতে পিছপা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, কোনো মানুষ বা ধর্ম কখনো সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ চালানো হয়, যাতে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। ৮৮ সালের ঘটনা উদাহরণ দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, তখনও হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ একই কৌশল নিয়েছিলেন। গয়েশ্বরের মতে, সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মীয় নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ট্যাকটিক। ভারতে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে মুসলমানরা নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু। অনেক জমিদার বাড়িতে থাকা মন্দির দেবোত্তর না হওয়ায় তারা রক্ষা পাচ্ছে না। তাই সব মন্দিরকে দেবোত্তর ঘোষণা করে সীমানা নির্ধারণ করা জরুরি।’

সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় সামঞ্জস্য ছিল। তবে শেখ হাসিনা সরকার এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁর আমলেই অনেক দেবালয় ও প্রতিমা ধ্বংস হয়েছে, যার অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা-সমর্থকদের মাধ্যমে।’ রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ পলাতক অবস্থায় থেকেও দেশের বিরোধী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কলকাতায় তাদের অফিস থেকে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম সংগঠিত হচ্ছে।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।

/আশিক

পাঠকের মতামত: