পাকিস্তানে পালিত হলো ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১৩:০৪:২৫
পাকিস্তানে পালিত হলো ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পাকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগম্ভীরতা এবং ঐতিহাসিক তাৎপর্য নিয়ে উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদতবরণকারী ছাত্র-জনতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠের মাধ্যমে দিবসটির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ বিষয়ে নির্মিত একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। এতে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহীদদের আত্মত্যাগ এবং জনতার সাহসী অংশগ্রহণের চিত্র ফুটে ওঠে।

হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান তার বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানকে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুগান্তকারী বাঁক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৈষম্যমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক করতে হলে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।” গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা স্মৃতিচারণ করেন ২০২৪ সালের সেই ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের, যেখানে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে দীর্ঘদিনের নিপীড়নের অবসান ঘটাতে রাস্তায় নেমেছিল।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, দেশের শান্তি ও উন্নয়ন কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য এবং কিছু স্থানীয় পাকিস্তানিরাও অংশ নেন।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ