জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এনসিপির জরুরি সংবাদ সম্মেলন আজ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১০:২৭:১১
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে এনসিপির জরুরি সংবাদ সম্মেলন আজ
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে নিজেদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির পক্ষ থেকে আজ বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বাংলামোটরের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন জানান, জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত ২৮ দফা, রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ থেকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত নানা বিষয় নিয়ে এনসিপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার ভাষণ ও ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানটি ছিল রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) এবং এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।

২৮ দফার এই ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সুশাসন ও রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার মতো মৌলিক বিষয়সমূহকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

-রফিক


মবোক্রেসি দমনে কঠোর হওয়ার বার্তা সালাহউদ্দিন আহমদের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৪:২৪:৩০
মবোক্রেসি দমনে কঠোর হওয়ার বার্তা সালাহউদ্দিন আহমদের
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে সংবাদপত্রের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দেশে উদ্ভূত ‘মবোক্রেসি’ বা বিশৃঙ্খল গণ-আচরণের তীব্র সমালোচনা করে একে সরকারের প্রশাসনের প্রশাসনিক শিথিলতার প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত করেন।

তাঁর মতে, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের উচিত কোনো প্রকার নমনীয়তা না দেখিয়ে অত্যন্ত কঠোর হস্তে এই অরাজকতা দমন করা। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, আধুনিক বাংলাদেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো কোনো সংস্কৃতির স্থান হতে পারে না এবং এটি রোধ করা বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন যে, সংবাদকর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে, তবে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে তাঁদের অবশ্যই নিরপেক্ষতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।

বিশেষ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলো যাতে আরও শক্তিশালী এবং মজবুত ভিত্তি পায়, সেই লক্ষ্য অর্জনে তিনি গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ ও গঠনমূলক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি মনে করেন, একটি কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রেস ও রাজনীতিকদের মধ্যে আদর্শিক মেলবন্ধন থাকা জরুরি।

পরিশেষে, তিনি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে পুনর্গঠনের জন্য সকল মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে, বিএনপির এই আহ্বান কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতায়নের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের মাধ্যমে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।

তিনি অতীতের সব তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্ধকার অধ্যায়কে ইতিহাসের শিক্ষা হিসেবে স্মরণে রাখার ওপর জোর দেন। ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি রোধে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে তিনি সাংবাদিকদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

-রাফসান


তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: বগুড়ায় উৎসবের আমেজ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৪:০৬:৫৯
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ: বগুড়ায় উৎসবের আমেজ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কাছ থেকে তারেক রহমানের পক্ষে এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর বগুড়া জেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র কয়েক দিন আগে তার এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আগামী ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমান দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তার আগমনের আগেই বিএনপি নির্বাচনী যাবতীয় কার্যক্রম চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে কাজ করে যাচ্ছে। জানা গেছে যে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭৭টি আসনে তাদের প্রাথমিক ও সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে আট দফার একটি বিশেষ নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ করে জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে যাওয়ার এবং যেকোনো মূল্যে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার ওপর তিনি জোর দেন।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান প্রবাস থেকে দেশে ফেরার আগেই যেন সারা দেশে একটি উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয় সেই লক্ষ্যেই এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপির এই ব্যাপক প্রস্তুতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের জন্য নিজেদের সাংগঠনিক ও কৌশলগতভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করেছে। বগুড়া সদর আসন থেকে তারেক রহমানের প্রার্থিতা নিশ্চিত হওয়া উত্তরের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৪:০১:৪৪
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে উদ্ভূত ‘মবোক্রেসি’ বা উশৃঙ্খল জনতার শাসনকে কঠোর হাতে দমন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই কড়া মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন যে দেশে মবোক্রেসি তৈরি হওয়া সরকারের দুর্বলতারই একটি স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ এবং এই সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দিলে গণতন্ত্রের ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এই বাংলাদেশে তিনি আর কোনোভাবেই উশৃঙ্খল জনতা কর্তৃক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার দৃশ্য দেখতে চান না।

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ‘জাতির জন্য লজ্জার’ বলে অভিহিত করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে কিছু গণমাধ্যমকে আগে থেকেই টার্গেট করা হলেও কেন সেই পরিস্থিতি আগে থেকে মোকাবিলা করা গেল না। সালাহউদ্দিন আহমদের মতে বিশ্ববাসীর সামনে এই ধরণের দৃশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলেছে এবং কেবল দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে এই কলঙ্ক মোচন করা সম্ভব নয়। তিনি সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও দেশের স্বার্থে সবাইকে নিরপেক্ষ না থেকে সরাসরি দেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

গণতন্ত্র বিনির্মাণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন যে জনগণের প্রত্যাশা এখন অনেক বেশি। দেশের মানুষ চায় সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে সেগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন যে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ ভবিষ্যতে বিএনপিকে দেয় তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সহযোগিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। অতীতের ভুলগুলো ভুলে সামনে এগোতে চাইলেও ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী সংবাদপত্রের ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছে তা স্মরণে রাখা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আসন্ন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন যে তার ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও মজবুত হবে। দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসিত ও কষ্টকর জীবনের অবসান ঘটিয়ে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে গণতন্ত্র শক্তিশালী করার কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। তিনি প্রত্যাশা করেন যে জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের এই যাত্রায় গণমাধ্যম দেশের হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মানুষ তাদের হারানো ভোটাধিকার এবং নাগরিক মর্যাদা ফিরে পাবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


তারেক রহমানের ফ্লাইটে বড় রদবদল: দুই কেবিন ক্রুকে অব্যাহতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১১:১২:৪৪
তারেক রহমানের ফ্লাইটে বড় রদবদল: দুই কেবিন ক্রুকে অব্যাহতি
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এরই অংশ হিসেবে তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে দুই কেবিন ক্রুকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে নিরাপত্তাজনিত কারণ এবং ভিআইপি যাত্রীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া দুই ক্রু হলেন জুনিয়র পার্সার মো. সওগাতুল আলম সওগাত এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস জিনিয়া ইসলাম।

বিমান সূত্র জানায় যে তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকা নিয়ে আসার জন্য নির্ধারিত বিজি–২০২ ফ্লাইটে এই দুই ক্রুর নাম থাকলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে তাদের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে যে তারা বিগত সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের সফরসঙ্গী হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতেন। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার এই তথ্য সামনে আসার পর ভিআইপি যাত্রীর সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে তাদের পরিবর্তে জুনিয়র পার্সার মোস্তফা এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আয়াতকে ওই ফ্লাইটে অন্তর্ভুক্ত করেছে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ।

আগামী বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে নিয়ে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতারও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২ মে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি ফ্লাইটেও অনুরূপ গোয়েন্দা সতর্কতার ভিত্তিতে আল কুবরুন নাহার কসমিক এবং মো. কামরুল ইসলাম রিপন নামের দুই ক্রুকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারেক রহমানের সফরের ক্ষেত্রেও একই ধরনের কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করছে কর্তৃপক্ষ।

তারেক রহমানের আগমনের খবরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক সমন্বয়ের কাজ চলছে। বিমানের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে যে ফ্লাইটের প্রতিটি বিষয়ের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। বুধবার সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তারেক রহমান দেশের মাটিতে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


হাদি কেন খুনের শিকার হলেন? রহস্য জানালেন জামায়াতে ইসলামী আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৯:৫৪:৩৩
হাদি কেন খুনের শিকার হলেন? রহস্য জানালেন জামায়াতে ইসলামী আমির
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান। তিনি বলেন যে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় এবং সেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটে তা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনে জামায়াতের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে আবেগঘন বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান শহীদ ওসমান হাদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে হাদির খুনিরা মূলত বাংলাদেশেরই দুশমন কারণ হাদি সবসময় দেশীয় সংস্কৃতি ও ইনসাফের পক্ষে কথা বলতেন। হাদি কারো ওপর জুলুম করেননি বরং শত্রুর প্রতিও ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন। জামায়াত আমির মনে করেন যে হাদির প্রতি সাধারণ মানুষের যে বিপুল ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল তা হয়তো কারো কারো জন্য সহ্য করা কঠিন ছিল এবং সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যার বিচারে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন যে এখন পর্যন্ত সরকার যা করেছে তাতে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট নয়। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে না পারলে কারো জীবনেরই নিরাপত্তা থাকবে না। তিনি আরও যোগ করেন যে বিপ্লবীদের হত্যা করে তাদের চেতনাকে দমন করা যায় না বরং তা কোটি তরুণের প্রাণে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। ‘জীবন দিবো তবুও চব্বিশ দিবো না’—হাদির এই সাহসী স্লোগান কেন ছিল তা দেশের মানুষ এখন স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য যে গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হয়। আজ হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াত আমির এবং এসময় ইনকিলাব মঞ্চের অন্যান্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


জল্পনার অবসান, বাগেরহাটে কাকে কাকে মনোনয়ন দিল বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৮:৫০:২৭
জল্পনার অবসান, বাগেরহাটে কাকে কাকে মনোনয়ন দিল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের জল্পনা ও রাজনৈতিক কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা পৃথকভাবে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী–মোল্লাহাট–ফকিরহাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মন্ডল। এই আসনে জোটগত সমন্বয়ের অংশ হিসেবেই তাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে, বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। আইন অঙ্গনে পরিচিত এই নেতাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে দলীয় তৎপরতা জোরদার হচ্ছে।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা–রামপাল) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলামকে। শিল্প ও বন্দরনির্ভর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে তাকে প্রার্থী করার মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ–শরণখোলা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। এই আসনেও জোটগত রাজনীতির প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

মনোনয়নপ্রাপ্ত চারজনই মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

-শরিফুল


ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া তারেক রহমান: ঢাকায় গোপন বৈঠক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৮:৪৮:৪৭
ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া তারেক রহমান: ঢাকায় গোপন বৈঠক
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে নিজেদের নির্বাচনী কার্যক্রম গুছিয়ে আনছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ২৭৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। যে কোনো মূল্যে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জনসম্পৃক্ত আটটি অতিগুরুত্বপূর্ণ দফা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য প্রার্থীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড।

গতকাল শনিবার দিনব্যাপী রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯০ জন এমপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃতীয় দফার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মূলত আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফেরার আগেই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায় দলটি। বৈঠকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার সঠিক তথ্য প্রদান এবং মনোনয়ন ফরম পূরণে আইনজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

নির্বাচনী প্রচারণার কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুত 'ফ্যামিলি কার্ড', 'ফারমার্স কার্ড' এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতা প্রদানের মতো পরিকল্পনাগুলো ভোটারদের সামনে ব্যাপকভাবে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছে। বৈঠকে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার তাগিদ দেন। প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে সাবেক সেনা ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজল এই বৈঠককে মূলত একটি 'ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম' হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এদিকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ও নতুনত্ব এনেছে বিএনপি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাগেরহাট-১ আসনে কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, বাগেরহাট-২ আসনে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাগেরহাট-৩ আসনে ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সোমনাথ দে মনোনয়ন পেয়েছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রার্থীদের প্রস্তুত করার এই প্রক্রিয়াটি দলের ক্ষমতার মসনদে ফেরার লড়াইয়েরই একটি অংশ।


মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৮:৩৩:৪৮
মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন যে প্রতীক বা মার্কা যাই হোক না কেন এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তই তার কাছে চূড়ান্ত। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে জনগণের সমর্থন থাকলে তিনি এই আসন থেকেই নির্বাচনে লড়াই করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি তার এই রাজনৈতিক সংকল্পের কথা জানান।

রুমিন ফারহানা সরাইল ও আশুগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন যে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে তিনি এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে দেশের বেশিরভাগ আসনে মনোনয়ন নিয়ে আনন্দ-উৎসব চললেও সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ এখনো জানেন না তাদের প্রার্থী কে। বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি এখনো ঝুলে থাকায় তিনি পরোক্ষভাবে দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে নিজের প্রচারণার ওপর জোর দিচ্ছেন। গত ১৭ বছর ধরে রাজপথে নিজের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন যে তার বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই তিনি রাজনীতি করছেন।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন যে গত ১৫ বছর এ দেশের মানুষ তাদের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি করছে তাতে বিএনপি আস্থা রাখতে চায় বলে তিনি জানান। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতে তিনি সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়ে বলেন যে নির্বাচনের আগে সারা দেশের সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসমূহ আইনের আওতায় এনে ভোটার এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। গত কয়েক মাস ধরেই তিনি এই এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছেন।


বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৫৭:৩৪
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বীর সেনানী ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার বীর উত্তম আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

এ কে খন্দকারের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে জাতি একজন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাহসী সামরিক নেতৃত্বকে হারাল।

শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছেন এবং এই অপূরণীয় ক্ষতিতে তিনি নিজেও গভীরভাবে ব্যথিত। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধে এ কে খন্দকারের অবদান ছিল অসামান্য ও ঐতিহাসিক।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মরহুম এ কে খন্দকার মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধান তথা ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একজন দক্ষ এয়ার ভাইস মার্শাল হিসেবে দেশগঠনে অবদান রাখেন।

শোকবার্তায় আরও বলা হয়, গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এ কে খন্দকার সাহসিকতা ও নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয় এবং ২০১১ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য এ কে খন্দকার যে ত্যাগ, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার আজীবন নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এ কে খন্দকারের চিরবিদায়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে মর্মাহত। এই বীর সেনানীর মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

শোকবার্তার শেষাংশে বিএনপি মহাসচিব মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন সেই দোয়া করেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত