সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১৯:৪০:৩৫
সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত
চিটাগং ক্লাব লিমিটেডের গেস্ট হাউজ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন অর রশিদের মরদেহ/ছবি সংগৃহীত

সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক-এর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। সোমবার (৪ আগস্ট) এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তার ফুফাতো বোন ও চিকিৎসক ডা. নজিবুন নাহার।

তিনি জানান, শুরুতে মরদেহ চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। পরে পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব লিমিটেডের গেস্ট হাউজ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, রোববার (৩ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ক্লাবের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন তিনি। এর আগে তিনি তারমামা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও সাখাওয়াত হোসেনের নন্দনকাননের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখান থেকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আবার ক্লাবে ফেরেন।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে ক্লাব কর্মীরা তার কক্ষে নক করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা খোলা হলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার ভাগনে সাংবাদিক আরিচ আহমেদ শাহ জানান, এক সপ্তাহ আগে মারা যাওয়া ফুফাতো ভাই দৈনিক বঙ্গবার্তার সম্পাদক কে এম শাখাওয়াত হোসেনের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে চট্টগ্রাম যান সাবেক সেনাপ্রধান। সেখানে আত্মীয়ের বাসায় নৈশভোজ শেষে চট্টগ্রাম ক্লাবে রাতযাপন করেন। সকালে নির্ধারিত সময়েও প্রাতরাশে না গেলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ দরজা খুলে তাকে মৃত অবস্থায় পান।

ঘটনার পর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা ক্লাবে উপস্থিত হন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এ হারুন অর রশিদ ২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ