শেখ হাসিনা–কামালের বিচার শুরু, রাজসাক্ষী হিসেবে আজ আদালতে মামুন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৪ ১১:৫০:০৫
শেখ হাসিনা–কামালের বিচার শুরু, রাজসাক্ষী হিসেবে আজ আদালতে মামুন
ছবিঃ সংগৃহীত

আলোচিত জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সোমবার সকালে রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করা হয় সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে, যিনি এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন, পরে রাষ্ট্রপক্ষের স্বার্থে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হন।

এর আগে রোববার মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং চীফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তারা শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। প্রসিকিউশন বলছে, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ছিল একটি সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় অপারেশন, যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন শেখ হাসিনা।

রোববারের শুনানিতে আহত প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার শিকার ব্যক্তি খোকন চন্দ্র বর্মনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, “আমি নিজ চোখে দেখেছি কীভাবে নিরস্ত্র মানুষের ওপর সেনা ও পুলিশ বাহিনী হামলা চালায়। ৫ আগস্ট সকালে শাহবাগে আমার পায়ে গুলি লাগে। সে মুহূর্তে আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি।” তিনি স্পষ্টভাবে শেখ হাসিনাকে এই গণহত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করে বিচারের দাবি জানান।

এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী পরিচালিত গণআন্দোলন দমন করতে পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয় হত্যাকাণ্ড, গুম, ধর্ষণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ সব ঘটনা। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। অন্যদিকে তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কারাগারে আটক থাকাকালীন রাষ্ট্রের সাথে চুক্তিতে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন। মামলাটি জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ