বরফে ঢাকা আর্কটিক এখন সবুজ, গবেষণায় প্রকাশ পেল বিপর্যয়ের চিত্র

আর্কটিকের শীতকালেও বরফের বদলে বৃষ্টি, সবুজে ঢাকা ভূমি—চরম জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন সতর্কবার্তা
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন তুষারপাত গবেষণার জন্য সুমেরু অঞ্চলে গিয়েছিলেন কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের একদল বিজ্ঞানী। তবে বরফে ঢাকা দৃশ্যের বদলে সেখানে গিয়ে তারা পেয়েছেন ভারি বৃষ্টি ও সবুজ ভূমি। বরফের বদলে বর্ষায় ভেজা জলাশয় দেখে গবেষকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। এই গবেষণার অভিজ্ঞতা শুধু তাদের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলায়নি, বরং আর্কটিক অঞ্চলের বিপর্যয়কর আবহাওয়ার পরিবর্তন সম্পর্কে নতুন করে সতর্ক করেছে বিশ্বকে।
নরওয়ের সভালবার্ড দ্বীপে চালানো এই গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে 'নেচার কমিউনিকেশন্স' নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে। গবেষণায় উঠে এসেছে, সভালবার্ডের তাপমাত্রা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় ছয় থেকে সাত গুণ বেশি গতিতে বাড়ছে। বরফে ঢাকা শীতকালের বদলে এখন সেখানে নিয়মিত উষ্ণ তাপমাত্রা, ভারি বৃষ্টি ও দ্রুত বরফ গলার ঘটনা ঘটছে।
গবেষণার প্রধান ড. জেমস ব্র্যাডলি জানিয়েছেন, তারা যখন বরফের প্রস্তুতি নিয়ে সেখানে পৌঁছান, তখন তাদের সঙ্গে থাকা ঠাণ্ডার পোশাক ও গ্লাভস ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। কারণ পুরো অঞ্চলজুড়ে ছিল বৃষ্টিপাত ও বরফ গলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল সদ্য পড়া তুষার বিশ্লেষণ করা, কিন্তু দুই সপ্তাহের পুরো সময়ে মাত্র একবার বরফ পড়েছে, তাও অল্প সময়ের জন্য।
ড. ব্র্যাডলির মতে, এই ধরনের পরিস্থিতি আগে কখনো কল্পনাও করা যায়নি। তিনি বলেন, “যেখানে ঘন বরফের আবহাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল, সেখানে আমরা দাঁড়ালাম সবুজ ভূমির পাশে, খালি হাতে বৃষ্টিতে ভিজে।”
গবেষণা দলের সদস্য লরা মোলারেস মনকায়ো বলেন, উষ্ণ এই আবহাওয়া শুধু তাদের গবেষণাকেই বাধাগ্রস্ত করেনি, বরং নিরাপত্তার ঝুঁটিও বাড়িয়ে দিয়েছে। বরফ গলে যাওয়ায় স্নোমোবিল ব্যবহার করতে না পারায় পোলার বিয়ারের মতো হিংস্র বন্যপ্রাণীর অঞ্চলে চলাফেরার জন্য নতুন পরিকল্পনা করতে হয়।
এই বরফ গলে যাওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা 'আর্কটিক অ্যামপ্লিফিকেশন' বলে বর্ণনা করছেন, যার অর্থ পৃথিবীর অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় অনেক দ্রুত হারে আর্কটিক উত্তপ্ত হচ্ছে। গবেষকরা কিছু পরিবর্তনের আশঙ্কা করেছিলেন বটে, কিন্তু বছরের সবচেয়ে ঠান্ডা সময়েও এ রকম উষ্ণ আবহাওয়া দেখতে হবে, তা ভাবেননি।
আরও উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়ে গবেষকরা বলছেন, এসব পরিবর্তনের প্রভাব শুধু গবেষণার জন্যই নয়, বরং আর্কটিক অঞ্চলের সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের জন্যই ভয়ংকর। শীতকালে উষ্ণতার কারণে বন্যপ্রাণীর টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে, বরফ গলে যাওয়া পার্মাফ্রস্ট থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়ছে এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন আরও জটিল হয়ে উঠছে।
তারা সতর্ক করে বলেছেন, আর্কটিকের শীতকালীন আবহাওয়া নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, কারণ বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়টিকে এখনও সবচেয়ে কম বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অথচ জলবায়ুর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এখন এই সময়েই হচ্ছে।
গবেষকরা বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এসব পরিবর্তনের প্রভাব দেখেই থেমে থাকা যাবে না, বরং আগামী বছরের জন্য এখন থেকেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, আর্কটিকের শীতে যে অস্বাভাবিক উষ্ণতা দেখা যাচ্ছে, তা আর কোনো ভবিষ্যৎ আশঙ্কা নয়—এটি এখনকারই বাস্তবতা। এবং এই বাস্তবতা বদলে দিচ্ছে গবেষণা, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানুষের বসবাসের ধরন।
/আশিক
ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছর ৫১ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটি জানায়, ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। পবিত্র ওমরাহ পালনের নাম করে দেশটিতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে প্রায় ২৪ হাজার নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রায় ৬ হাজার পাকিস্তানিকে। এছাড়া আজারবাইজান থেকেও ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ২ হাজার ৫০০ জন পাকিস্তানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এফআইএর মহাপরিচালক জানান, অনেক পাকিস্তানি ওমরাহ পালনের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যান এবং সেখান থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। এ ধরনের অপচেষ্টার দায়েও অনেককে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুধু ভিক্ষাবৃত্তি নয়, পর্যটক ভিসার অপব্যবহারের চিত্রও উঠে এসেছে এফআইএর প্রতিবেদনে। চলতি বছর পর্যটক ভিসা নিয়ে ২৪ হাজার পাকিস্তানি কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১২ হাজার জনই আর দেশে ফেরেননি। একইভাবে মিয়ানমারে যাওয়া ৪ হাজার পর্যটকের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জনই নিখোঁজ বা অবৈধভাবে সেখানেই থেকে গেছেন।
তবে এফআইএ প্রধান দাবি করেছেন, কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে সামগ্রিকভাবে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অভিবাসনের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর অবৈধ অভিবাসনে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে পাকিস্তান থাকলেও, এ বছর সেই তালিকা থেকে তারা বেরিয়ে এসেছে।
অবৈধ অভিবাসন কমানোর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির পাসপোর্টের ওপর। পাকিস্তানের পাসপোর্টের বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং ১১৮তম স্থান থেকে উন্নতি হয়ে বর্তমানে ৯২তম স্থানে পৌঁছেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ৮ হাজার পাকিস্তানি অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছিলেন। তবে এ বছর সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে ৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে এফআইএ।
যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে
ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি পুরোপুরি অচল করে দিতে দেশটির ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আকস্মিক ঘোষণাকে সরাসরি ‘যুদ্ধোন্মাদ হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছে ভেনেজুয়েলা সরকার। বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্ককে সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার অভিযোগ, এই সরকার মাদক ও মানব পাচারের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত।
এই ঘোষণার কয়েক দিন আগেই ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থনীতি প্রায় পুরোপুরি তেলনির্ভর হওয়ায় এটিকে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এরপর আরও ৬টি জাহাজের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, ভেনেজুয়েলা এখন দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় নৌবহর’ দিয়ে ঘেরা অবস্থায় রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, পরিস্থিতি এমন হবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি।
গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি সমুদ্রপথে চালানো অভিযানে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ক্যারিয়ার সাগরে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডসহ হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতে চাইছে। জব্দ হওয়া ‘স্কিপার’ জাহাজটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাহাজটি চুরি করেছে এবং নাবিকদের অপহরণ করেছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জোয়াকিন কাস্ত্রো ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ‘সরাসরি যুদ্ধের শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে শত্রুতা বন্ধে প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ দিতে কংগ্রেসে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট আয়োজনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই সমুদ্রসৈকতে গত রোববার ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব চলাকালে বাবা ও ছেলের চালানো ওই হামলায় ১৫ জন নিহত হন।
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হামলাকারীদের একজন সাজিদ আকরাম ভারতের হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি জীবিকার সন্ধানে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান বলে নিশ্চিত করেছেন তেলঙ্গানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।
অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়ার পর সাজিদ সেখানে এক ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তান নাভিদ আকরাম জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। হামলার সময় সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করলেও তার ছেলে ব্যবহার করতেন অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে নাভিদ আকরাম হামলার ঠিক আগেই ফিলিপাইন সফরে গিয়েছিলেন। তারা কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং এর সঙ্গে হামলার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ তথ্য বিনিময়ে সম্মত হয়েছে।
ভারতের পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, সাজিদের বিরুদ্ধে নিজ দেশে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। অভিবাসনের পর তিনি মাত্র ছয়বার বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে ভারতে এসেছিলেন। তবে তাদের উগ্রপন্থায় জড়ানোর সঙ্গে ভারত বা স্থানীয় কোনো বিষয়ের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
গোলাগুলির ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ দ্রুত অভিযানে নামে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রধান অভিযুক্ত সাজিদ আকরাম নিহত হন এবং তার ছেলে নাভিদ আকরামকে জীবিত আটক করা হয়।
কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব
বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করেছে। একই সঙ্গে ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ঘিরে সাম্প্রতিক হুমকি এবং বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভারতবিরোধী বক্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিয়াজ হামিদুল্লাকে ডেকে পাঠানো হয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, এই বৈঠকে ভারত তার নিরাপত্তা উদ্বেগ এবং বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পাল্টা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপকে উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
দিল্লির এই পদক্ষেপের পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা এবং শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতে ভূমিকা রাখা ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যকে কেন্দ্রীয় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঢাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশ প্রয়োজনে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী শক্তি’কে আশ্রয় দিতে পারে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহকে, যা ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত, দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ করার সক্ষমতাও রাখে। এই বক্তব্য নয়াদিল্লিতে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।
এর পাশাপাশি, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় এক বিক্ষোভ চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাও কূটনৈতিক অস্বস্তি বাড়িয়েছে। ভারত এটিকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ হিসেবে দেখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
-
আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। এখন থেকে লেনদেনের জন্য এসএমএস বা ই-মেইলে পাঠানো ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপির ওপর আর ভরসা করছে না তারা। এর বদলে ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতর থেকেই লেনদেন অনুমোদনের নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফিশিং, সিম-সোয়াপ জালিয়াতি এবং ওটিপি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এসএমএসভিত্তিক যাচাইকরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। এসব নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতেই ব্যাংকগুলো নতুন এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।
নতুন পদ্ধতিতে গ্রাহকদের কার্ড পেমেন্ট সরাসরি ব্যাংকিং অ্যাপের ভেতরেই অনুমোদন দিতে হবে। মোবাইলে একটি পুশ নোটিফিকেশন আসবে এবং সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি বা স্মার্ট পাস পিন ব্যবহার করে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এতে বাইরের কোনো মেসেজের ওপর নির্ভর করতে হয় না, ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাংকের নিরাপদ সিস্টেমের মধ্যেই থাকে।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমিরেটস এনবিডি ইতিমধ্যে এই অ্যাপভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন অনলাইনে পেমেন্টের সময় কার্ডের তথ্য দেওয়ার পর আগের মতো আর ওটিপি পপ-আপ দেখা যায় না। এর বদলে পেমেন্ট স্ক্রিনে একটি বার্তা আসে, যেখানে অ্যাপ দিয়ে লেনদেন অনুমোদন করতে বলা হয়।
পেমেন্ট করার সময় ব্যাংক একটি এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহককে জানায় যে একটি লেনদেন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এরপর গ্রাহককে ব্যাংকের অ্যাপে লগইন করে ‘অ্যাক্টিভিটিজ’ বিভাগে গিয়ে সেই লেনদেনটি যাচাই করতে হয়।
অ্যাপে লগইন করার পর একটি নোটিফিকেশন বা ‘পেন্ডিং পেমেন্ট’ অপশন দেখা যায়। সেখানে ট্যাপ করলে লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য যেমন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম এবং টাকার পরিমাণ ভেসে ওঠে। গ্রাহক চাইলে এটি অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে এই ধাপে দুই মিনিটের একটি কাউন্টডাউন টাইমার থাকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে অনুরোধটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। গ্রাহক লেনদেনটি অনুমোদন করলে অ্যাপটি তার স্মার্ট পাস পিন চায় এবং পিন সঠিক হলে পেমেন্ট সম্পন্ন হয়।
গত ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকগুলো ধাপে ধাপে এই পরিবর্তন শুরু করেছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং নিরাপত্তা জোরদার করার অংশ হিসেবে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলো পুরোপুরি এসএমএস ও ই-মেইলভিত্তিক ওটিপি ব্যবহার বন্ধ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে
সূত্র : খালিজ টাইমস
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন
ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসন এই হামলাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটিতে হামাসের সামরিক শাখার উপকমান্ডার রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার পরই এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়।
হোয়াইট হাউসের ওই বার্তায় নেতানিয়াহুকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, আপনি যদি নিজের সুনাম নষ্ট করতে চান এবং প্রমাণ করতে চান যে আপনি চুক্তি মানেন না, তবে সেটি আপনার নিজস্ব ব্যাপার।
কিন্তু বার্তায় জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেহেতু গাজায় এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন, তাই যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই তার সুনাম নষ্ট হতে দেবে না।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রায়েদ সাদের ওপর চালানো ওই বিশেষ হামলার বিষয়ে ইসরায়েল সরকার ওয়াশিংটনকে আগে থেকে কোনো তথ্য জানায়নি বা কোনো আলোচনাও করেনি।
এদিকে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আল-হায়া টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তাদের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও শনিবারের এই বিমান হামলায় তিনি প্রাণ হারান।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বারবার চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বর্তমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে গভীর মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
গাজায় থামছে না মৃত্যুর মিছিল: এক বাড়ি থেকেই মিলল ৩০ লাশ
ফিলিস্তিনের পশ্চিম গাজা সিটির একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে একই পরিবারের ৩০ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহতা ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতকে সামনে এনেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে যে আল-রিমাল এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটিতে ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সালেম পরিবারের এই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা ওই ভয়াবহ হামলায় সালেম পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য নিহত হয়ে থাকতে পারেন যার মধ্যে ৩০ জনের লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধানে এখনো তল্লাশি চলছে।
সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে যে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে তারা যে নতুন ও সংগঠিত উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে তার প্রথম স্থান ছিল সালেম পরিবারের এই বাড়িটি। সংস্থাটি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে যে তাদের হাতে পর্যাপ্ত ভারী যন্ত্রপাতি নেই এবং মাত্র একটি এক্সকাভেটর ও অত্যন্ত সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা ধ্বংসস্তূপ সরানোর এই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে বর্তমানে গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ দখলে রয়েছে এবং গত ১০ অক্টোবর থেকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও দখলদার বাহিনী বারবার তা লঙ্ঘন করে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ভয়াবহ এই মানবিক বিপর্যয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এমন সহিংসতা এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দীর্ঘদিন পর একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজাবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রকৃতির দুর্যোগে গাজায় বাড়ছে দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়
অধিকৃত পশ্চিম তীরের আর-রাম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ওই এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি পশ্চিম তীরে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
একই সময়ে গাজা উপত্যকায় প্রবল ঝড়ের কারণে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় নতুন করে মানবিক সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ভেতরের বাস্তবতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বহু জায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় অস্থায়ী তাঁবু ও আশ্রয়স্থলগুলো পানিতে ডুবে গেছে, যা বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সংকটের প্রতিক্রিয়াও তীব্র হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আপিল বিভাগ ইসরায়েলের একটি আইনি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে গাজায় সংঘটিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছিল। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজায় সংঘটিত ঘটনাবলীর ওপর আন্তর্জাতিক তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার পথ আরও সুগম হলো।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গাজার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই বাহিনীতে আরও কয়েকটি দেশ যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ বাহিনীর কাঠামো ও কার্যপরিধি নিয়ে এখনো বিস্তারিত স্পষ্ট হয়নি।
চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ হাজার ৬৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন এবং প্রায় ২০০ জনকে জীবিত আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতার আশঙ্কাকে আরও গভীর করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
১৬ ডিসেম্বর শুধুই ভারতের জয় বললেন নরেন্দ্র মোদি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরকে ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করলেও বিস্ময়করভাবে একবারের জন্যও বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করেননি। ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী মিত্র হিসেবে যুক্ত হওয়ার কারণে ভারতও দিনটিকে তাদের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। তবে মোদি তার পোস্টে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ভারতীয় সেনাদের দিয়ে লিখেছেন যে বিজয় দিবসে তারা সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছেন যাদের অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল এবং তাদের এই বীরত্ব ভারতের বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে সেনাদের দৃঢ় মনোবল ও নিঃস্বার্থ সেবা ভারতকে রক্ষা করেছে এবং তাদের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মুহূর্ত তৈরি করেছে যা তাদের সাহসকে সম্মান জানায়।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন একপাক্ষিক বার্তার বিপরীতে দেশটির সেনাবাহিনী বিজয় দিবস উপলক্ষে যে পোস্ট দিয়েছে সেখানে তারা ঐতিহাসিক সত্যকে স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস কেবল একটি তারিখ নয় বরং এটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক যেখানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়েছে যে এই যৌথ সংগ্রামই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র নতুন করে অঙ্কন করে ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পুরো বাঙালি জাতির ওপর যে নজিরবিহীন নৃশংসতা ও নির্যাতন চালিয়েছিল এই যুদ্ধের মাধ্যমেই তার অবসান ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের পোস্টে উল্লেখ করেছে যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন ও বাস্তবধর্মী।
পাঠকের মতামত:
- ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
- বৃহস্পতিবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!
- পারফিউমের গন্ধ সারাদিন ধরে রাখার জাদুকরী কৌশল
- চুল পড়া বন্ধের ৬টি সহজ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
- নতুন অপারেশনের ঝুঁকি: হাদির চিকিৎসায় জটিলতা
- মামলা দেখার দরকার নেই, আ.লীগ হলেই অ্যাকশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে
- হাসনাতের প্রচারণায় আটক ২ ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তি
- ঋণের নামে লুটপাট: এস আলমের সাম্রাজ্যে দুদকের হানা
- অবশেষে কাটল জটিলতা: বইমেলার নতুন তারিখ ঘোষণা
- পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা: শরীরে বাসা বাঁধছে যে গোপন রোগ
- নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই, সবাই নিরাপদে চলছে: উপদেষ্টা
- ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
- নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ অগ্রহণযোগ্য: তৌহিদ হোসেন
- ১৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১৭ ডিসেম্বরের বাজারে লুজার শেয়ারের তালিকা
- আজকের বাজারে শীর্ষ দশ লাভজনক শেয়ার
- বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের স্পট ট্রেডিং সূচি ঘোষণা
- খালি পেটে পাকা কলা খাওয়া: উপকার, ঝুঁকি ও সঠিক নিয়ম
- কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব
- চার সরকারি বন্ডের কুপন রেকর্ড তারিখ ঘোষণা
- ডিএসইএক্স, ডিএসইএস ও ডিএস৩০-সবই লাল
- ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির চিকিৎসা নিয়ে নতুন তথ্য
- ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
- আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
- IPL 2026 নিলামে কে কোথায়, জানুন বিস্তারিত
- মানুষকে ‘ভিন্ন জগতে’ নেওয়া ৬টি প্রাণী
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার
- আজ ঢাকার যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে: জেনে নিন তালিকা
- ভিডিও এডিটিং এখন আরও সহজ: অ্যাডোবির ফায়ারফ্লাই নতুন রূপে
- আইপিএলে রেকর্ড গড়েও ব্যাটে শূন্য গ্রিন
- রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সুদের হারে শেয়ারবাজারের করুণ দশা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসইর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- বিমানবন্দর থেকে গুলশান: তারেককে বরণ করতে বিশাল শোডাউনের ছক
- প্রথম প্রান্তিকে জেনেক্সের আর্থিক চিত্র প্রকাশ
- ব্যাংক এশিয়া বন্ডের কুপন রেকর্ড তারিখ ঘোষণা
- আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- তিন কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
- এনএভি: কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
- বিজয় দিবসে বড় ঘোষণা দিলেন তারেক রহমান
- সকালের ৫ অভ্যাস যা আপনাকে সারাদিন এনার্জি দেবে
- ভোরের স্বপ্ন কি সত্যিই ফলে? যা বলছে বিজ্ঞান
- গয়না কিনবেন? স্বর্ণ-রুপার আজকের দরদাম জেনে নিন
- আজ সারাদিন টিভিতে খেলার মেলা: ক্রিকেট ও ফুটবলের সময়সূচি
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নরসিংদীর বিলে মিলল হাদিকে হত্যাচেষ্টা ব্যবহৃত সেই বিদেশি পিস্তল
- মেসি-এমবাপ্পে নয়, ফিফার বর্ষসেরা এবার দেম্বেলে
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ইউরোপা লিগ ও টি২০, আজকের সব ম্যাচ কখন কোথায়








