এনসিপির জন্য শহীদ মিনার ছেড়ে দিল ছাত্রদল

জাতীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত ছাত্র সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির সহযোগী এই ছাত্রসংগঠনটি জানিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে ৩ আগস্টের সমাবেশ শাহবাগে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদল আগামী ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে একটি ছাত্র সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে একই তারিখে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।”
রাকিব জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাবেশের স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ জানানো হয়। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির স্বার্থে শহীদ মিনারে সমাবেশ না করে বিকল্প স্থান হিসেবে শাহবাগে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক ঐক্যের পক্ষে, সংঘাত নয়। তাই যৌথ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের দৃষ্টান্ত রাখতে আমরা শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশ না করে শাহবাগে সমাবেশ করব। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণ ও সম্মান জানানো এবং ছাত্রদের অধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে আওয়াজ তোলা।”
-রাফসান
উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ায় উত্তেজনা
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাধর নেতা কিম জং উনের বোন কিম জো ইয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়াকে "অপরিণামদর্শী শক্তি প্রদর্শনী" বলে অভিহিত করেছেন, যা "অপ্রীতিকর ফলাফল" ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম KCNA এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান আগামী সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের আশেপাশে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে। এই মহড়ায় নৌ, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কার্যক্রম একত্রিত হবে, যা পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি বাড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮,৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে এবং যৌথ সামরিক মহড়ার পাশাপাশি একটি টেবিলটপ এক্সারসাইজও অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই দেশের সামরিক সম্পদকে সমন্বিত করার চেষ্টা করা হবে।
কিম জো ইয়ং এই মহড়াকে “বিপজ্জনক ধারণা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তার বক্তব্যে বলা হয়েছে, “যারা (মিত্র দেশগুলি) এ অঞ্চলে বাস্তব ক্রিয়ায় শক্তি প্রদর্শন করছে, তারা ভুল জায়গায় এটি করছে। এর ফলে তাদের নিজেকেই অপ্রীতিকর ফলাফল ভোগ করতে হবে।”
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে এমন যৌথ সামরিক মহড়ার বিরোধিতা করে আসছে এবং এগুলোকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে অভিহিত করেছে। কিম জো ইয়ং-এর এই সতর্কবার্তা তার ভাই কিম জং উনের সাম্প্রতিক অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এসেছে। সেখানে কিম জং উন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া "পারমাণবিক ও প্রচলিত সামরিক শক্তি একযোগে এগিয়ে নেওয়ার নীতি অব্যাহত রাখবে"।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যর্থ শীর্ষ সম্মেলনের পর, উত্তর কোরিয়া বারবার ঘোষণা করেছে যে তারা কখনও পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়বে না এবং নিজেকে "অপ্রত্যাহারযোগ্য" পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
কিম জং উন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরও সাহসী হয়েছেন, এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমর্থন স্থাপন করেছেন। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়ার সফরের সময় রাশিয়া ও পিয়ংইয়াং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
-হাসানুজ্জামান
বোলসোনারোর ২৭ বছরের কারাদণ্ড: ব্রাজিলের রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণপন্থী নেতা জাইর বোলসোনারোকে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়ের পর দেশটির রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নতুন অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
৭০ বছর বয়সী সাবেক সেনা কর্মকর্তা বোলসোনারো আপাতত সরাসরি কারাগারে যাচ্ছেন না। আইন অনুযায়ী তিনি আপিল প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে বন্দি থাকবেন না। সুপ্রিম কোর্টের রায় সারসংক্ষেপ ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে এবং এরপর ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করবে আদালত। এরপরই বোলসোনারোর আইনজীবীরা আপিল করতে পারবেন। তিনি চাইলে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় সাজা ভোগের আবেদনও করতে পারেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় এক ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তার গুরুতর পেটের আঘাত লেগেছিল, যার চিকিৎসাজনিত জটিলতা এখনও রয়েছে।
বোলসোনারোর আইনপ্রণেতা পুত্র ফ্লাভিও জানিয়েছেন, তারা সংসদে একটি সাধারণ ক্ষমা আইন পাসের চেষ্টা করবেন যাতে শুধু বোলসোনারো নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ব্রাসিলিয়ায় সরকারি ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার দায়ে দণ্ডিত শত শত সমর্থকও মুক্তি পান। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা চাইলে এই আইন ভেটো করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের অন্তত দুই বিচারপতি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বোলসোনারোর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে ডানপন্থীদের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। বোলসোনারো ইতিমধ্যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা হয়েছেন, যদিও তিনি এই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর চেষ্টা করছিলেন। তবুও তার সমর্থকরা বলছেন, বোলসোনারোই তাদের প্রার্থী। তবে আড়ালে আড়ালে নতুন নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর ও সাবেক অবকাঠামুমন্ত্রী তারসিসিও দে ফ্রেইতাস এখন সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে শীর্ষে আছেন। তিনি নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হিসেবে বোলসোনারোকে ক্ষমা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, এই রায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলার জন্য রাজনৈতিক সুবিধা তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে তার জনপ্রিয়তা এক মাসে চার শতাংশ বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। লুলা এখনও ঘোষণা দেননি যে তিনি চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হবেন কি না, তবে সাম্প্রতিক কার্যকলাপে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বোলসোনারোর শাস্তি ব্রাজিলের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এটি শুধু ডানপন্থীদের জন্য নয়, বরং পুরো দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্যও একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হতে পারে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান তারেক রহমানের
ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন ও নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
পরিকল্পিত গণহত্যা
তারেক রহমান বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান দমন-পীড়ন, দখলদারত্ব ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ বরাবরই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সরকারের নতুন বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে তিনি ‘হৃদয়বিদারক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় বাধা।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি জনগণের ভূমি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও অস্তিত্বের ওপর যে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা একধরনের পরিকল্পিত গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের চেয়ে কম নয়। তিনি এই ঘটনাকে মানবতাবিরোধী এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন।
প্রবাসীর নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলে বহু বাংলাদেশি নাগরিক কর্মরত আছেন। ইসরায়েলি সরকারের এই দমননীতির ফলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।
তারেক রহমান ইসরায়েলি সরকারের বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনার নিন্দা জানান এবং এর বিরুদ্ধে কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি সরকারের হাতে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে দ্রুত রায় ঘোষণার অনুরোধ জানান তিনি, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের চলমান দুর্ভোগ আর না বাড়ে।
৪ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নামছে ৮ রাজনৈতিক দল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ চার দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচিতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আটটি রাজনৈতিক দল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবিলম্বে এই দলগুলো পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করার অভিযোগে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪–দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
ঐক্যের কারণ ও কর্মসূচির বিবরণ
কয়েক দফা বৈঠকের পর দলগুলো জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে এর আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে একমত হয়েছে। যুগপৎ কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আগামীকাল রোববার সংবাদ সম্মেলন করে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। একইভাবে ইসলামী আন্দোলনও সোমবার তাদের কর্মসূচি প্রকাশ করবে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায়। অন্য দলগুলোও সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে একমত। অভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলনের আলোচনা চলছে, তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি।”
ভিন্নমত ও অভিন্ন দাবি
আটটি দলই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন চায় এবং তা জুলাই সনদের ভিত্তিতে চায়। তবে পিআর পদ্ধতি নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা মতভিন্নতা রয়েছে। কোনো দল সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয় ক্ষেত্রেই পিআর চায়, আবার কেউ কেবল উচ্চকক্ষে পিআর চায়। এ কারণে দলগুলো নিজেদের মতো করে পিআরের দাবি উপস্থাপন করবে।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। তাদের মতে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করা জাপা ও ১৪–দলীয় জোটেরও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
গণপরিষদ বা হ্যাঁ-না ভোটের দাবি এবি পার্টির ফুয়াদের
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে দেশে কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার সকালে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফুয়াদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে গণপরিষদ নির্বাচন অথবা হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের পর আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করার জন্য ছাত্র-জনতা জুলাই যুদ্ধে প্রাণ দেয়নি।”
সভার শুরুতে তিনি বরিশাল-৩ আসনের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজের ভূমিকা ও পরিকল্পনার বর্ণনা দেন।
পরে জাতীয় রাজনীতি প্রসঙ্গে ফুয়াদ উল্লেখ করেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভোটারদের প্রকৃত চাহিদা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বড় রাজনৈতিক দল। তাঁর মতে, এ নির্বাচনে রাজনীতির প্রচলিত ধারা আসলে পরাজিত হয়েছে। চাঁদাবাজি, মাস্তানি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসের মতো নেতিবাচক রাজনীতিরও পরাজয় ঘটেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্তমান প্রজন্মের মানসিক চাহিদা উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিএনপি এখন সংবিধানের কথা বলছে। কিন্তু দেশ কি বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী চলছে? ইতোমধ্যে অন্তত ৫০টি ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। তখন কেন তারা সংবিধানের কথা বলেনি?”
তিনি আরও বলেন, “প্রয়োজন হলে জাতীয় সরকার গঠন কিংবা হ্যাঁ-না ভোট আয়োজন করে হলেও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। এরপরই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। অন্যথায় এবি পার্টি সেই নির্বাচন গ্রহণ করবে না।”
মতবিনিময় সভায় বরিশাল জেলা ও মহানগর এবি পার্টির সদস্য সচিব জিএম রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
-শরিফুল
ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য
ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার ড. পিনাকী ভট্টাচার্য সাম্প্রতিক ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক দীর্ঘ ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি ছাত্রশিবিরের বিজয়কে কেবল একটি সংগঠনের অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের মজলুম জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে দেখেছেন। তাঁর মতে, এ বিজয় বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শিবিরের বিজয় ও পূর্বাভাসের বাস্তবতা
পিনাকী ভট্টাচার্য ভিডিওতে উল্লেখ করেন, আগস্ট মাসেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ছাত্রশিবির ডাকসুর ভিপি ও জিএসসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ী হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে শিবিরের জয় হবে ব্যাপক এবং ভোটের ব্যবধান হবে বিরাট। তাঁর মতে, এই বিজয় শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি “ফেনোমেনাল” পরিবর্তনের সূচনা। তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন যে, শেষ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিতের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারত; তবে তা হয়নি এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামপন্থীরা যে বিপুল সমর্থন লাভ করেছে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
বিএনপি ও ছাত্রদলের ভরাডুবির কারণ
বিএনপি ও তাদের ছাত্রসংগঠনের অবস্থান নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের সমালোচনা ছিল সরাসরি। তাঁর মতে, ছাত্রদলের এই ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী ছিল না, তবে তাদের অদূরদর্শী কৌশল, অপরিপক্ব রাজনীতি এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাদের এই অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি বারবার আওয়ামী লীগের দেওয়া ন্যারেটিভ গ্রহণ করেছে এবং জামায়াতকে দুর্বল করার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেদের এন্টি–ইন্ডিয়া ভোট ব্যাংক হারিয়েছে। এর ফলে তারা প্রগতিশীল ভোট কিছুটা পেলেও নিজেদের মূল সমর্থন হারিয়েছে, যা বড় ধরনের রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
ন্যারেটিভ যুদ্ধ ও ভারতবিরোধী ভোটের গুরুত্ব
ড. ভট্টাচার্যের বিশ্লেষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল ন্যারেটিভের লড়াই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির মূল দ্বন্দ্ব হলো ভারতীয় আধিপত্যবাদ বনাম জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের মতো মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে থাকে তবে সেটি তাদের জন্য আত্মঘাতী হবে। কারণ, এতে জামায়াত–শিবির বরং শক্তিশালী হবে, তারা এন্টি–ইন্ডিয়া ভোট ধরে রাখতে পারবে। পিনাকীর মতে, বিএনপি তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভুলভাবে চিহ্নিত করেছে, যার ফলে আজ তারা জনগণের আস্থা হারিয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য
ইতিহাসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডাকসুর নির্বাচন কখনোই কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগে তোফায়েল আহমেদ ও আসম আবদুর রবের বিজয় কিংবা ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের আগে আমানউল্লাহ আমানের জয় জাতীয় রাজনীতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তাঁর মতে, এবার শিবিরের জয়ও তেমনই একটি বার্তা বহন করছে—বাংলাদেশে নতুন এক রাজনৈতিক বাস্তবতা জন্ম নিচ্ছে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
তবে পিনাকী ভট্টাচার্য সতর্ক করেছেন, এই বিজয়ে আত্মহারা হলে হবে না। এখন থেকে শুরু হবে মূল সংগ্রাম—সঠিক ন্যারেটিভ ধরে রাখা, সেটিকে আরও বিস্তৃত করা এবং জাতীয় রাজনীতির ময়দানে রূপান্তরিত করা। তিনি বলেন, সেকুলার শক্তি, আন্তর্জাতিক স্বার্থ ও মূলধারার গণমাধ্যম এই বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করবে। তাই সংগঠনকে কৌশলগতভাবে প্রস্তুত হতে হবে এবং জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
নতুন দিগন্তের সূচনা
ড. পিনাকী ভট্টাচার্যের মতে, ডাকসুর এই ফলাফল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে ইসলামপন্থীরা আর প্রান্তিক শক্তি নয়; তারা এখন জনসমর্থনের বৃহৎ ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, “ডাকসুর এই বিজয় শুধুমাত্র একটি সংগঠনের জয় নয়, এটি একটি প্রজন্মের, একটি জনগণের এবং একটি আন্দোলনের বিজয়।” তাঁর মতে, ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ভারতীয় বয়ান নয়, বরং বাংলাদেশের নাগরিকদের মুক্তির বয়ানই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই জুলাই সনদের সমস্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে। তাঁর মতে, এই সনদে অন্তর্ভুক্ত প্রস্তাবগুলোই ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি শক্তিশালী করার প্রধান নির্দেশনা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিকভাবে গঠিত হয়েছে। তবে দলটি আহ্বান জানিয়েছে, সংবিধান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ না নিতে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল লিখিত মতামত জমা দিয়েছে। এর মধ্যে নির্বাহী আদেশ, অধ্যাদেশ জারি এবং অফিস আদেশসহ ছয় ধরনের মতামত পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির এই নেতা। সেখানে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর মতে, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের ইতিবাচক কিছু অর্জন থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে সেই অর্জনের মূল্য থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দিতে পারে। ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে এবং গণতান্ত্রিক বৈধতা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে।
শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ভোট চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি বড় ছাত্রসংগঠন—ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বর্জন ঘোষণা
বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত জোটের অভিযোগ
এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটও একইভাবে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। ক্যাম্পাসে ভীতি ও অনিয়মের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন হলে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা গেছে এবং ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, “কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে চলমান রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে সাময়িক বিরতি ছিল, সেগুলোতে ভোটারদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।”
নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা
এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পর তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি মীর মোশাররফ হোসেন হলে ভোট প্রদান করেন।
ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ, নির্দিষ্ট একটি ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, যা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার কৌশল হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভোট অবশ্যই ম্যানুয়ালি গণনা করতে হবে, যাতে কারচুপির সুযোগ না থাকে।
এসময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিবির সভাপতি হলে প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। দেশবিরোধী শক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে যারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, শিক্ষার্থীরা তাদের কখনোই মেনে নেবে না।
তার মতে, জাহাঙ্গীরনগর একটি প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে পরাজিত শক্তির কোনো আশ্রয় নেই। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলকেই বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রশাসনের আচরণের সমালোচনা করে সাদী বলেন, গতকাল থেকেই প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে। অভিযোগ জানানোর পরও নির্বাচন কমিশন উদাসীন থেকেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেন যে ফলাফল যাই হোক না কেন, সেটি মেনে নেওয়ার মানসিকতা তার রয়েছে।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ায় উত্তেজনা
- গুলিবর্ষণের পর প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেল দিশা পাটানিকে
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র লেনদেন
- গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা, নাসা থেকে বহিষ্কার চীনা গবেষকরা
- ছুটির মুডে অনন্যা পাণ্ডে: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা
- সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন ইলন মাস্ক, লন্ডনে বিক্ষোভ
- ন্যাটো সীমান্তে নতুন উত্তেজনা: রাশিয়ার ড্রোন অভিযান প্রসারিত
- ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর বড় সিদ্ধান্ত: সরকারি ছুটি কাটছাঁটের পরিকল্পনা বাতিল
- PRIME1ICBA ফান্ডের সাপ্তাহিক এনএভি প্রকাশ
- মেক্সিকো সিটিতে গ্যাস ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৩
- ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম জয় পেল আতলেতিকো
- এমবাপ্পের ঝলকে রিয়াল মাদ্রিদের টানা চতুর্থ জয়
- ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক, ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা
- ঢাকায় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল, শুল্ক কমানোতে নতুন আশার আলো
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তান সেনার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি
- ক্যাম্পাস হবে জ্ঞান ও নেতৃত্ব বিকাশের স্থান: শিবির
- এবার মন্ত্রী নির্ধারণে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেপালে
- আজকের ক্রীড়া সূচি (শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর)
- ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক
- শ্রীলঙ্কার ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ, ৩২ বল বাকি থাকতেই লঙ্কানদের দাপুটে জয়!
- কিংবদন্তি ফরিদা পারভীনের শেষনিঃশ্বাস: শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন
- জাকসু নির্বাচনে শিবিরের দাপট, ভিপি পদে স্বতন্ত্রের চমক!
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- বাজার ব্যবস্থাপনায় টেকসই সরবরাহই স্থিতিশীলতার মূলমন্ত্র: শেখ বশির উদ্দিন
- নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- অপারেশন থিয়েটারের আলো: ছায়াহীন বিস্ময়ের বৈজ্ঞানিক রহস্য
- আজকের মুদ্রা বিনিময় হারের বিশ্লেষণ
- বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর পাখি: সাউদার্ন ক্যাসোয়ারির রহস্যময়তা ও আতঙ্ক
- জাকসু নির্বাচনের ফলাফল দেওয়ার সময় জানা গেল
- দিশা পাটানির বাড়িতে গুলিবর্ষণ: আতঙ্কে পরিবার, কঠোর নিরাপত্তায় বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ
- ম্যানচেস্টার ডার্বির আগে রুবেন আমোরিমের হুঁশিয়ারি: "আমরা ভিন্ন দল"
- ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইতিহাস: ফিল সল্টের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ড জয়
- কিম জং উনের নতুন সামরিক নীতি: একসাথে পারমাণবিক ও প্রচলিত শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা
- মোদি বনাম ভাগবত: বিজেপি–আরএসএস সম্পর্কে ফাটল
- বোলসোনারোর ২৭ বছরের কারাদণ্ড: ব্রাজিলের রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা
- ভূমি মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ!
- জানুন নিয়মিত সাঁতারের ছয় বড় উপকারিতা
- রাশিয়ার উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল
- আজ রাতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ, টিভিতে আরও যা দেখবেন
- ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান তারেক রহমানের
- নিহত সাংবাদিক শিবলীর পরিবারের পাশে দাঁড়াল ছাত্রশিবির
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- সংসদ ভেঙে দিলেন নেপালের নতুন নারী প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
- ৪ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নামছে ৮ রাজনৈতিক দল
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কঠিন অঙ্কে ভারত
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সংকট
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট গণনা নিয়ে অনিশ্চয়তা
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি