জুলাই সনদ অসম্পূর্ণ ও বিপজ্জনক!-জামায়াতের নায়েবে আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৯ ১৭:৫৬:৪০
জুলাই সনদ অসম্পূর্ণ ও বিপজ্জনক!-জামায়াতের নায়েবে আমির
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করে তবে তারা জুলাই সনদের খসড়াকে অসম্পূর্ণ ও বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করেছে। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সনদটি অসম্পূর্ণ এবং এর কিছু অংশ দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি বলেন, যদি এটি শুধুমাত্র একটি নমুনা হয়, তাহলে তেমন মন্তব্যের প্রয়োজন নেই, কিন্তু যদি এটি মূল পরিকল্পনা হয়, তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি জানান, জামায়াত একটি নতুন খসড়া সনদ তৈরি করে তা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেবে। সংলাপের মাধ্যমে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। তাহের প্রস্তাব করেন, দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় দুইটি পথ অনুসরণ করা যেতে পারে — একটি হলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনি কাঠামো তৈরি করে পরে নির্বাচিত সংসদে অনুমোদন দেওয়া, অন্যটি হলো গণভোটের মাধ্যমে জনগণের চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া।

তাহের জানান, তারা কার্যকর ও আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে ঐকমত্য গঠনের পক্ষে, অন্যথায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হবে বলে সতর্ক করেন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। প্রায় সব পক্ষ একমত হয়েছেন যে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি এ বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

তাহের জানান, প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী একটি পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করা হবে, যার মধ্যে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের প্রতিনিধি। তারা মোট ১২ জন প্রার্থী থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন। যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করা হবে, এরপর ‘ওয়ান চয়েস’ ভোটিং পদ্ধতি, প্রয়োজন হলে ‘র‍্যাঙ্ক চয়েস’ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এই ভোটারে থাকবেন পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একজন করে বিচারপতি।

তাহের বলেন, বিচারপতিরা যেন নিরপেক্ষ থাকেন এবং হর্স ট্রেডিংয়ের আশঙ্কা কমে, তাই বিচারপতি দুইজন রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, বিএনপির আপত্তি মূলত এই যে ঐকমত্য না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো উচিত। তবে জামায়াতসহ অধিকাংশ দল মনে করে, সংসদে পাঠালে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ সংসদে মাত্র পাঁচ-ছয় দল থাকলেও এই সংলাপে ৩০টির বেশি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, তাই এখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াই প্রয়োজন।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ