"সমন্বয়কদের চাঁদা দাবির খবরে গভীর বেদনায় মির্জা ফখরুল"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৮ ১৪:২৮:৪৪
"সমন্বয়কদের চাঁদা দাবির খবরে গভীর বেদনায় মির্জা ফখরুল"
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের এক বছরও পার হয়নি, এরইমধ্যে এমন ঘটনা ঘটছে। যে তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ, তাদের মাঝেই এখন চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।"

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের আয়োজিত গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি আরও বলেন, "এই পরিস্থিতি যদি এখনই দেখা যায়, তাহলে সামনে কী অপেক্ষা করছে? দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি এখন আর জোর গলায় বলতে পারছি না—এই দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। আজকের পরিস্থিতি এমন যে, নতুনভাবে ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো আবার সুযোগ পেয়ে যেতে পারে।"

সরকার পরিবর্তনের পরও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, “প্রকাশ্যে যারা মানুষ হত্যা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত হয়নি। হাসিনার বিচারের কোনো অগ্রগতি নেই, এক বছর কেটে গেছে।”

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি সহযোগিতা করলেও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে ফখরুল বলেন, "যত চাপই আসুক, দেশের মানুষ জানে কীভাবে লড়াই করে অধিকার আদায় করতে হয়। অতীতে তারা তা করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। তারেক রহমান এখন ভাবছেন—কীভাবে এই দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা যায়।"

তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন কোনো একক দলের ছিল না। শিশু, বৃদ্ধ, নারী—সবাই অংশ নিয়েছিল। জনসম্পৃক্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই স্বৈরাচার পতনের পথ তৈরি হয়েছে।”

দেশ গঠনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামতের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, "যদি সত্যিকারভাবে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে হয়, তাহলে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, শ্রমিক, কৃষক—সবার কথা শোনার প্রয়োজন আছে।"

তরুণদের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই প্রজন্মের ওপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। তাদের হাত ধরেই সামনে এগোতে হবে।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের সংবাদমাধ্যমে নানা বিষয়ে লেখালেখি হয়, কিন্তু খালেদা জিয়াকে নিয়ে সেই মাত্রার আলোচনা দেখা যায় না। গণমাধ্যমকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার ভাষায়, "ডিবি অফিসে নিয়ে তাদের উপর জুলুম চালানো হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে যুবদলের ৭৯ জন ও ছাত্রদলের ১৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিটি অবদানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।"

শেষে মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রাখেন, “১৫ বছর ধরে যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, তাদের নেতৃত্বে পরিবর্তনের পরও কেন বিচার হচ্ছেনা সেই হত্যাকাণ্ডের, যার সঙ্গে হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠরা জড়িত?”

/আশিক


শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১৬:২৮:১৪
শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ভোট চলাকালীন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুটি বড় ছাত্রসংগঠনছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বর্জন ঘোষণা

বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী মওলানা ভাসানী হলের অতিথি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

ছাত্রশিবির সমর্থিত জোটের অভিযোগ

এদিকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটও একইভাবে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। ক্যাম্পাসে ভীতি ও অনিয়মের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”

তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন হলে বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা গেছে এবং ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছে। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, “কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে চলমান রয়েছে। যেসব কেন্দ্রে সাময়িক বিরতি ছিল, সেগুলোতে ভোটারদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।”

নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার সংখ্যা

এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন এবং পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন। মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পর তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।


জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১১:১৩:১২
জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিজের ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি মীর মোশাররফ হোসেন হলে ভোট প্রদান করেন।

ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার অভিযোগ, নির্দিষ্ট একটি ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, যা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার কৌশল হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভোট অবশ্যই ম্যানুয়ালি গণনা করতে হবে, যাতে কারচুপির সুযোগ না থাকে।

এসময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিবির সভাপতি হলে প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। দেশবিরোধী শক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে যারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, শিক্ষার্থীরা তাদের কখনোই মেনে নেবে না।

তার মতে, জাহাঙ্গীরনগর একটি প্রগতিশীল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এখানে পরাজিত শক্তির কোনো আশ্রয় নেই। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলকেই বিজয়ী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রশাসনের আচরণের সমালোচনা করে সাদী বলেন, গতকাল থেকেই প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে। অভিযোগ জানানোর পরও নির্বাচন কমিশন উদাসীন থেকেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেন যে ফলাফল যাই হোক না কেন, সেটি মেনে নেওয়ার মানসিকতা তার রয়েছে।

-রাফসান


নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:৫৪:১৬
নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রচণ্ড বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগের পর রাজনৈতিক শূন্যতায় পড়েছে নেপাল। এই সংকটময় সময়ে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ও প্রথম নারী সুপ্রিম কোর্ট প্রধান সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে দেখতে চাইছে তরুণদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ‘জেন জেড’-এর একটি অংশ।

বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ‘জেন জেড’ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন বলে জানায় সেনাবাহিনী। ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার হিমালয়কন্যা দেশটিতে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার পর সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি রক্ষ্যা বাম বলেন, “সুশিলা কার্কির নামই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে আলোচিত। এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।” তিনি আরও জানান, সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।

৭৩ বছর বয়সী সুশিলা কার্কি এএফপিকে বলেন, “বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা জরুরি। সংসদ এখনো বহাল রয়েছে এবং সেখান থেকেই সমাধান বের করতে হবে।”

তবে আন্দোলনের ভেতরেই নেতৃত্ব নিয়ে মতপার্থক্য স্পষ্ট। ডিসকর্ড প্ল্যাটফর্মে হাজারো তরুণ ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে নিজেদের এজেন্ডা ও সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেছেন। সাংবাদিক প্রণয় রানা বলেন, “এ ধরনের বিকেন্দ্রীভূত আন্দোলনে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। এখানে নানা স্বার্থ ও কণ্ঠস্বর কাজ করছে।”

এদিকে, বৃহস্পতিবারও সেনারা রাজধানীর রাস্তায় টহল দিয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দিলে এবং দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে তরুণরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংস রূপ নেয়। সরকার কঠোর দমন অভিযান চালালে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এরপর ক্রুদ্ধ জনতা সরকারি ভবনগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে, যার পর প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন।

-সুত্রঃ এ এফ পি


৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১ ১০:০৪:১৫
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস
ছবিঃ সংগৃহীত

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ১১ হাজার ৯১৯ জন শিক্ষার্থী এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৮ জন প্রার্থী।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ১,২০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে, যাদের মধ্যে অনেকেই সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তবুও তারা নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত।

মাদক, টাকা ও খাবার বিতরণের অভিযোগ

ভোটের আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মাদক সহজলভ্য হওয়ার অভিযোগ করেছেন। জনপ্রিয় আড্ডাস্থল যেমন তারজান পয়েন্ট, সিডনি ফিল্ড ও বিভিন্ন হল এলাকায় মাদক, মদ এবং বিরিয়ানি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। অনেকেই বলছেন, এসব ভোটার প্রভাবিত করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ সরাসরি অর্থ বিতরণের অভিযোগও করেছেন।

স্বতন্ত্র প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাকিল আলী বলেন,

“হলগুলোতে মদ ও মাদক সরবরাহ হচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটারদের বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে। এগুলো অন্যায্য এবং আচরণবিধি ভঙ্গ।”

‘সংসপ্তক পরিষদ’-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন,

“অনেক প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করেছিলাম সবাই নিয়ম মেনে চলবে, কিন্তু তা হয়নি।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন এসব অনিয়ম ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মনোনয়ন বাতিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার

নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী সাইদা আনন্যা ফারিয়া প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঐক্যের স্বার্থে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

এদিকে, আদালতের আদেশে ‘ঐক্য প্যানেল’-এর ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এতে ভোটের আগে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।

ডোপ টেস্ট নিয়ে বিতর্ক

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। তবে ভোটের মাত্র দুই দিন আগে টেস্ট শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত কম সময়ে সবাই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবে না। সময়সীমা বাড়ানো হলেও অনেক প্রার্থীর নমুনা সংগ্রহ এখনো শেষ হয়নি।

-নাজমুল হোসেন


ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১৯:১১:৩৪
ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনে শীর্ষ তিনটি পদে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান। এছাড়া ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে একই প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয় অর্জন করেন। বাকি তিনটি সম্পাদকীয় পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানান এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

জামায়াত আমির নির্বাচিতদের উদ্দেশে বলেন, “আমার প্রত্যাশা, তারা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রদান করেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এ নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন, আমি তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

ডা. শফিকুর রহমান তার বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেন, “জাতির এ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক সমাজ এবং নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”

এসময় তিনি ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় চ্যানেল এস-এর সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

-রাফসান


"ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১৯:০৫:৫২
"ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সহযোগী শক্তির পাশাপাশি আরেকটি রাজনৈতিক দলও প্রহসনের খেলায় অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সভায় সেলিমা রহমান আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে এবং এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “এখন থেকে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কে নমিনেশন পেলেন বা কে প্রার্থী হলেন সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট নিশ্চিত করা।”

তিনি দেশের বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেলিমা রহমান বলেন, “আজকের সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গেছে। শিশু ও তরুণরা অশালীন ভাষায় কথা বলছে, শিক্ষকের মর্যাদা নেই, মায়ের সম্মান নেই, বাবার সম্মান নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে আপনাদের মাধ্যমে।” তিনি আরও আহ্বান জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে এবং দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে তারেক রহমান প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

-রফিক


স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১০:০৬:৩৬
স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসকের পরামর্শ ও শিডিউল আগেই নির্ধারিত ছিল। সেই সময়সূচি অনুযায়ী তারা আজ সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি আরও জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল ও তাঁর স্ত্রী ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তবে, চিকিৎসা শেষে তারা কতদিন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করবেন, সে বিষয়ে শায়রুল কোনো তথ্য দেননি। পারিবারিক কারণে এ যাত্রা মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রিক, বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে নিজেও চোখের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। গত মাসেই তিনি চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন। এবার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য একই দেশে নিয়ে যাওয়া তাঁর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের একটি ধারাবাহিকতা বলেই মনে করছেন অনেকে।

-রাফসান


আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ০৯:৫০:৪৬
আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে এলাকাবাসী। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে স্থানীয়রা ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ ও আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়ক দুটিতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র রোদে কষ্ট এড়াতে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কের ওপর সামিয়ানা টানিয়ে দীর্ঘসময় অবস্থান করেন।

অবরোধে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভাঙ্গাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না। দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অচল রাখার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। স্থানীয়দের দাবি, আগে ফরিদপুর–৪ আসনটি গঠিত ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে, আর ফরিদপুর–২ আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল নগরকান্দা ও সালথা। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন দেশের ৪৬টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে যে গেজেট প্রকাশ করে, তাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে কেটে নিয়ে ফরিদপুর–২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই বিরোধ দেখা দেয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “আমরা অনেকটা অসহায় অবস্থায় আছি। এলাকাবাসী দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে উল্লেখ করে বলেন, “আন্দোলনকারীদের দাবি জাতীয় পর্যায়ের। স্থানীয় প্রশাসনের এখতিয়ার নেই। তারা যে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল, সেটি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।”

প্রসঙ্গত, ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে ফরিদপুর–২ আসনে যুক্ত করার গেজেট প্রকাশের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ৫ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসী দুই দফা সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করে ওই গেজেট বাতিলের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিএনপি নেতা মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান দুলালসহ পাঁচজনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি ভিন্ন। ৭ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইন অনুযায়ী সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত হলে তা নিয়ে কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে সতর্ক করে দেন, “বিক্ষোভ–আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।”

-রাফসান


বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৯ ১৬:২৯:৩৭
বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
ছবিঃ সংগৃহীত

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। এর মাত্র একদিন আগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দমন-পীড়নের ঘটনা।

রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে ৭৩ বছর বয়সী ওলি লিখেছেন, “আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি, যাতে রাজনৈতিক সমাধানের পথে আরও অগ্রসর হওয়া যায় এবং বিদ্যমান সংকট নিরসনের উপায় খোঁজা সম্ভব হয়।”

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপগুলো চালু করা হয়, তবুও বিক্ষোভ থামেনি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়, যাতে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায়।

ওলি গত বছর চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, যখন তার কমিউনিস্ট পার্টি মধ্য-বামপন্থি নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করে সরকার গড়ে। তবে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি ও ধীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে জনঅসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছিল।

হিমালয়ের এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি। এর মধ্যে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণরা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ। কিন্তু বেকারত্বের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি এবং মাথাপিছু আয় মাত্র ১,৪৪৭ ডলার। ফলে তরুণ প্রজন্ম ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছে।

২০০৮ সালে এক দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের পর নেপাল রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে ফেডারেল প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। মাওবাদীদের শান্তি চুক্তির মাধ্যমে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে বয়স্ক রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা দখলের পালাবদল, দলাদলি ও ঘনঘন সরকার পরিবর্তন জনগণের কাছে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আরও অবিশ্বস্ত করে তুলেছে।

গত শুক্রবার থেকে টিকটকে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, সাধারণ নেপালিদের দুঃখ-দুর্দশার বিপরীতে রাজনীতিবিদদের সন্তানরা বিলাসবহুল সামগ্রী ও বিদেশ ভ্রমণ প্রদর্শন করছে। এসব দৃশ্য বিক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ওলির পদত্যাগ নিঃসন্দেহে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে। তবে এই অস্থিরতা থেকে উত্তরণের পথ এখনো অনিশ্চিত।

-সুত্রঃ এ এফ পি

পাঠকের মতামত: