ওয়াকার-উজ-জামান কে নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্ট, যা বললেন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এই সময়ের সবচেয়ে মানবিক নেতৃত্বের উদাহরণ যদি কিছু থাকে, সেনাপ্রধান তা নিজের ভূমিকা দিয়ে প্রমাণ করে চলেছেন।’
রোববার (২৭ জুলাই) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সারজিস আলম সেনাপ্রধানের অব্যাহত মানবিক ভূমিকাকে তুলে ধরেন। পোস্টে তিনি লেখেন, “কয়েকটা আনপপুলার তথ্য দেই!” — এই বাক্য দিয়ে শুরু হওয়া স্ট্যাটাসে তিনি সেনাপ্রধানের তিনটি নির্দিষ্ট অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
প্রথমত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতি শনিবারই (কিছু ব্যতিক্রম বাদে) সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ঢাকা সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেখানে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আহত জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন। সারজিস আলম মন্তব্য করেন, “এই নিয়মিত ভিজিটের পরিমাণ, সরকারের উপদেষ্টাদের সম্মিলিত পরিদর্শনের চেয়ে অনেক বেশি।”
দ্বিতীয়ত, সারজিস আলম জানান, সবচেয়ে গুরুতর আহতদের জন্য ‘কোয়ালিটিফুল ট্রিটমেন্ট’ বা মানসম্মত চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে ব্যক্তিপ্রতি সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যয়ও হয়েছে সিএমএইচ-এ।
তৃতীয়ত, আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে দাবি করেন তিনি। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তায় সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং এর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
পোস্টটির মাধ্যমে সারজিস আলম কার্যত সেনাবাহিনীর মানবিক ভূমিকাকে স্বীকৃতি জানিয়ে জানান, রাজনৈতিক ও বেসামরিক উচ্চপর্যায়ের অনীহা যেখানে স্পষ্ট, সেখানে সেনাবাহিনী আহতদের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বা সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত আদেশের দায়িত্ব কেবলমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, এই আদেশ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কার্যালয় থেকে জারি করা হলে তা হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার ‘কফিনে শেষ পেরেক’।
রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও নৈতিক উত্তরাধিকার। সুতরাং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কোনো প্রশাসনিক বা সাংবিধানিক নির্দেশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেই জারি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি এই আদেশ তথাকথিত রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে জারি হয়, তবে এর কোনো রাজনৈতিক বা আইনি বৈধতা থাকবে না। বরং সেটা গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে।” নাহিদ ইসলাম সতর্ক করে বলেন, “প্রেসিডেন্ট চুপ্পু যদি এমন কোনো নির্দেশ জারি করেন, সেটা হবে রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর এবং সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।”
এনসিপি আহ্বায়ক মনে করেন, জুলাই সনদের উদ্দেশ্য ছিল জনগণনির্ভর একটি নতুন রাষ্ট্রচেতনা প্রতিষ্ঠা করা, যা কোনো নির্দিষ্ট পদ বা প্রথাগত ক্ষমতাকেন্দ্রের দ্বারা নয়, বরং জনগণের স্বার্থে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। তাই অধ্যাপক ড. ইউনূসকেই এই আদেশ জারি করতে হবে—এটাই গণঅভ্যুত্থানের যৌক্তিক ও বৈধ পরিণতি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গণভোট ও নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের চলমান মতবিরোধেরও কঠোর সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “সংবিধান সংস্কার ও জুলাই সনদের প্রস্তাবনার মূল বিষয় হওয়া উচিত সংস্কারের ধরন, আইনি কাঠামো এবং প্রধান উপদেষ্টার আদেশের প্রক্রিয়া। কিন্তু এর পরিবর্তে বিএনপি ও জামায়াত এখন বিতর্কে জড়িয়েছে গণভোটের সময় নিয়ে—গণভোট আগে হবে নাকি নির্বাচনের দিনেই হবে। এই দ্বন্দ্ব আসলে অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সংস্কারের বিষয়বস্তু ও প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য হলে গণভোট কখন হবে সেটা বড় বিষয় নয়। চাইলে আমরা নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করতে পারি, কিংবা তার আগেও করতে পারি। কিন্তু এ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে মূল সংস্কার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা আন্দোলনের লক্ষ্যকেই দুর্বল করছে।”
নাহিদ ইসলাম শেষে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ যে পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে, সেটি এখন বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে। তাই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই জনগণের আস্থা নির্ভর করছে, এবং জুলাই সনদের আদেশ তিনিই জারি করলে তবেই তা নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বৈধতা পাবে।
-শরিফুল
প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
প্রতীক 'শাপলা' নিয়ে প্রায় চার মাস নয় দিন ধরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে চলা টানাপড়েনের মধ্যে দলটি এবার নতুন কৌশল নিয়েছে। সম্প্রতি ইসি প্রতীক তালিকায় 'শাপলা কলি' যুক্ত করার পর; এনসিপি সেই প্রতীকসহ আরও দুটি প্রতীক চেয়ে ইসিতে নতুনভাবে আবেদন করেছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রতীক বরাদ্দের এই আবেদন জানান।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, তারা শাপলা, সাদা শাপলা এবং শাপলা কলি—এই তিনটি প্রতীকের মধ্যে যেকোনো একটিকে দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ চেয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেন, যদি শেষ পর্যন্ত 'শাপলা কলি' দেওয়া হয়, তবে এনসিপি তা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলও 'শাপলা কলি'কে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।
এনসিপি নেতা বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত যদি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও গডফাদারদের রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারে; তাহলে এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাবে। তিনি নির্বাচন যে দিনই হোক না কেন; গণভোট যেন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হয়, সেই দাবিও জানান।
৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন; সেই সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি; ঢাকা থেকেই আমি দাঁড়াব। কে কোন আসনে দাঁড়াবে, আমরা প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।" তিনি মন্তব্য করেন, বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা চলছে; রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগকে (নির্বাচনে আসার) সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিলে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "গণ-অভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে; ততদিন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।"
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, "যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে; কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।" তবে এখনও ঐক্যের সুযোগ আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
ডা. শফিকুর রহমান আবারও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো দলটির সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার; সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনের আমির নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে সদস্যদের কাছ থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম ভোট গণনা সম্পন্ন করে। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী; ডা. শফিকুর রহমান সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে ২০২৬-২০২৮ কার্যকালের জন্য আমির নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি কত ভোট পেয়েছেন বা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিলেন কি না, তা জানানো হয়নি।
ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) মাওলানা মওদূদীর হাত ধরে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মোট ছয়জন নেতা আমির নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন
মাওলানা আবদুর রহিম (১৯৫৬-১৯৬০)
অধ্যাপক গোলাম আযম (১৯৬০-১৯৭১ এবং ১৯৯২-২০০০)
আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত, ১৯৭৯-১৯৯২)
মতিউর রহমান নিজামী (২০০০-২০১৬)
মকবুল আহমদ (২০১৬-২০১৯)
ডা. শফিকুর রহমান (২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত)
ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার পর সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ এখন একরকম অনিশ্চিত সময় পার করছে; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত অপতথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর দিনটি আমাদের কাছে এবং গোটা জাতির কাছে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন; বিশেষ করে আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যখন মানুষ একটা অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে চলে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, "আমাদের যে বাংলাদেশের শত্রুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে, মাথা তুলে উঠতে শুরু করেছে"; তিনি উল্লেখ করেন, সময় যত যাচ্ছে, ততই পুরোপুরি একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। তিনি মন্তব্য করেন, দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা প্রচার দিয়ে বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, সকালে ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জুলাই সনদ ইস্যুতে সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, বিএনপি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মাঠে নেমে সরকারকে হুমকিতে ফেলতে চায় না; পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধৈর্য ধারণ করে তারা এই সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সতর্ক করে বলেন, "জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি প্রতিবাদের পথ বেছে নিলে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না।"
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত প্রকারান্তরে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, "গণঅভ্যুত্থান প্রশ্নে যতদিন ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন না করবে; ততদিন বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।"
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "যেদিন জুলাই সনদ স্বাক্ষর হয়েছে, সেদিনই জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হয়েছে।" তিনি অভিযোগ করেন, কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে; তবে এখনো ঐক্যের সুযোগ আছে।
তিনি অভিযোগ করেন, একদল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে; আরেক দল নির্বাচন পেছাতে চায়। তার মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচিত হলে গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও কোনো সমস্যা নেই।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে হবে, সেটা প্রধান সংকট নয়; তবে জুলাই সনদ অবশ্যই ড. ইউনূসকে জারি করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "প্রেসিডেন্ট যদি এতে স্বাক্ষর দেন, তা সংস্কারের কফিনে পেরেক মারা হবে।"
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের পক্ষে যদি কেউ না থাকে, তবে তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, কোনো একটি দলের চাপে সরকার বারবার সনদের টেক্সট পরিবর্তন করেছে। তিনি জানান, বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, তারা সেটিকে সমর্থন করেন; এর ব্যত্যয় হলে এনসিপি আদেশ সমর্থন নাও করতে পারে।
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কোনো ভয় থাকার কিছু নেই; অযথা বিতর্ক ও ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, 'শেখ মুজিবকে ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে; তার ছবি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা সংবিধানে থাকা সম্ভব নয়।'
প্রতীক ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, নতুন দল হিসেবে সহযোগিতার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, 'শাপলা কলির যে সিদ্ধান্ত, সেটি তারা এক মাস আগেও দিতে পারত; আমরা শাপলাই চাই।'
"মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রবিবার (২ নভেম্বর) দেশজুড়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে তার দল নীরব প্রতিবাদ অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, যদি বিএনপি সরাসরি প্রতিবাদে নেমে বা মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তাহলে সরকারের টেকসইতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, যার ফলে দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এই মন্তব্য তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
তিনি আগস্টে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রভাবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। তারা যেন জাতির সামনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপস্থাপন করতে পারে, এ প্রত্যাশা দলের। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে এবং সম্প্রতি দুই দিন আগেও দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের সময়সূচি যথাসময়ে কার্যকর হবে।” গয়েশ্বর আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের পূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে সকল অমীমাংসিত বিষয় সমাধান করা হবে।
দলের বর্তমান কৌশল ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তারা যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাই, তাই কঠোর প্রতিবাদ থেকে বিরত আছেন। গয়েশ্বর জানান, “যদি আমরা মাঠে নামে বা তীব্র প্রতিবাদ দেখাই, তাহলে সরকারের টেকসইতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে। তাই আমরা নীরবভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য বিএনপি অত্যন্ত ধৈর্যশীলভাবে কাজ করছে। দলের মূল লক্ষ্য হলো এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আশ্বাস দেন, “জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করার কোনো সুযোগ থাকবে না। জনগণ নিজেই এই ভ্রান্তি রোধ করবে।”
-রাফসান
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার (Caretaker Government) ব্যবস্থা বাতিলের রায়ই মূলত দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত ঘটিয়েছে বলে আপিল বিভাগের কাছে বিএনপির পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন রোববার (২ নভেম্বর) জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে দেশে অন্তর্ভুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি দেশীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।
রোববার সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
উল্লেখযোগ্য যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য চলমান আপিলের শুনানি ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলছে। এর আগে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিন ধরে আপিলের শুনানি সম্পন্ন হয়। ২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি সম্পন্ন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৩ অক্টোবর আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। ২২ অক্টোবর রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত প্রথম চ্যালেঞ্জ আনা হয় ১৯৯৮ সালে। অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল দেন এবং ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এরপর সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
২০০৫ সালে রিট আবেদনকারী পক্ষ আপিল করেন। আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ১০ মে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাশ হয়, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।
এরপর ২০১১ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ব্যক্তি রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। অন্যরা হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
সাম্প্রতিক সময়ে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। এছাড়া, গত বছরের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর রানীনগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রায় পুনর্বিবেচনার জন্য পৃথকভাবে আবেদন করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন আরও উল্লেখ করেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাতিল রায় ও তার পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এই রায়ের প্রেক্ষিতে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিতর্ক বৃদ্ধি পায় এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
-রফিক
বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে যে কোনো অসত্য সংবাদ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দুঃখজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। রিজভীর মতে, সাম্প্রতিক সময়ে যা কিছু ঘটছে, তার জন্য বিএনপির ওপর দায় চাপানো অনেকের নিত্যস্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
রিজভী স্পষ্ট করেন, সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর কোনো অংশগ্রহণ নেই। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম চালায়, তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি গণমাধ্যমকেও সতর্ক করেন যে, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অত্যাচার ও অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, যা জুলাই-আগস্টে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। জনগণ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে, তবে এখনও দেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আতঙ্কমুক্ত নয়।
রিজভী বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্ববাজারে গমের দাম কমলেও বাংলাদেশে তা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। রিজভীর মতে, জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের, এবং যদি সরকার এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তবে সামাজিক অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনা দেখা দিতে পারে।
সংক্ষেপে, রিজভী বিএনপি ও জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, দলটি শান্তিপূর্ণ ও সংবিধানিক পথে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে অটল রয়েছে, কিন্তু দেশের নিরাপত্তা ও ন্যায্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অপরিহার্য।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- বাড্ডায় দারোয়ান ও তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, মৃত্যুর রহস্যে ধোঁয়াশা
- ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
- প্রেসিডেন্টের আদেশ মানে জুলাই বিপ্লবের কফিনে শেষ পেরেক: নাহিদ
- ক্যান্সার কি আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে প্রাথমিক অবস্থায় দেখা যাওয়া ৫টি লক্ষণ
- আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান
- প্রতীকের বিতর্ক শেষ ইসির শাপলা কলি নিতে সম্মত হলো এনসিপি
- বার্সেলোনার তারকা ইয়ামালের প্রেম ভেঙেছে, বাবা দিলেন বিয়ের ঘোষণা
- ৩০০ আসনে প্রার্থিতার পরিকল্পনা করছে এনসিপি
- গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
- শফিকুর রহমানের ওপর আস্থা রাখল জামায়াত টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০২ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
- চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং
- বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
- ইউএই ভ্রমণ সহজ হবে, যদি জানেন এই ৭টি ভিসা চেকলিস্ট
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর
- "অপুর সঙ্গে কাজের বিরতি, কিন্তু সম্পর্ক এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ"
- উত্তরাঞ্চলে শীতের ঢেউ, আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা
- "মাঠে নামলে সরকার টিকবে কি?"
- দাম্পত্য জীবনে সম্পর্ক রক্ষার কৌশল ও নৈতিক দিকনির্দেশনা
- ডিএসই সার্কিট ব্রেকার রিপোর্ট – ২ নভেম্বর ২০২৫
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ ৩০ কোম্পানির হালনাগাদ মূল্যসম্ভার
- নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
- ডলারের যুগের অবসান? পাঁচ শতাব্দীর আর্থিক ইতিহাসে পুনরাবৃত্ত পতনের ছন্দ
- বিশ্বকাপের আগে অবসর: টি–টোয়েন্টি অধ্যায়ের ইতি টানলেন উইলিয়ামসন
- আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
- তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলই তৈরি করল সংকট: বিএনপি
- প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
- থাইরয়েড ও হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখার সহজ উপায়
- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতেই জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ: মানামা সংলাপে তৌহিদ হোসেন
- বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মের কোনো ছাড় নেই: রিজভী
- জ্বালানি বাজারে পরিবর্তন ও বৈশ্বিক প্রভাব প্রকাশ
- দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি শীর্ষে, ঢাকার অবস্থান যত
- শেষ মুহূর্তে মেসির গোলেও বাঁচল না মায়ামি, ন্যাশভিলের দাপটে সিরিজ সমতায়
- সুদানের গৃহযুদ্ধ: সেনা ও আরএসএফ সংঘাত ও তীব্র মানবিক সংকট
- সাত মিনিটে কোটি টাকার জুয়েল চুরি, আরও দুইজন আটক
- রিপাবলিক ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক (Q3) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- এক্সিম ব্যাংক এর তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- শাহরুখের জন্মদিনে পরিবার, বন্ধু ও নতুন ছবি
- ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ আন্দালিব রহমান পার্থের কঠোর হুঁশিয়ারি
- কেনিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ অন্তত ৩০
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ








