স্ত্রীর পদোন্নতির বোর্ডে সভাপতির আসনে স্বামী: কি করবেন এখন?

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৪ ১৭:০০:২৭
স্ত্রীর পদোন্নতির বোর্ডে সভাপতির আসনে স্বামী: কি করবেন এখন?

সত্য নিউজ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদোন্নতির বোর্ড ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও সমালোচনা। কারণ, বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম, আর প্রার্থীদের তালিকায় আছেন তাঁর স্ত্রী উপ-রেজিস্ট্রার সাবিহা ইয়াসমিন। ফলে একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা ‘স্বার্থের সংঘাত’ এবং ‘নৈতিক অবক্ষয়’-এর অভিযোগ তুলেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ১৩ জন উপ-রেজিস্ট্রারের মধ্য থেকে একজনকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি দিতে এই বোর্ড বসবে। প্রার্থীদের ইতিমধ্যে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৭ সালের প্রথম সংবিধির নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য থাকলে তিনিই বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। নিয়মটি মানা হলেও এবার বোর্ডে তাঁর স্ত্রীর অংশগ্রহণ থাকায় স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

একজন সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, “ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী বা অন্য নিকটাত্মীয় থাকলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে সরে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সহ-উপাচার্যের বোর্ডে থাকা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”

এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কোনো দিন বিধিবহির্ভূতভাবে কাজ করিনি। যেটা নিয়ম অনুযায়ী হবে, সেটাই করব। যারা অভিযোগ করছেন, তারা বলুক—বিধিসম্মতটা কী?”

তবে শিক্ষকমহলের অনেকেই এই উত্তরকে এড়িয়ে যাওয়া হিসেবে দেখছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন বলেন, “নৈতিকভাবে সহ–উপাচার্য এই বোর্ড পরিচালনা করতে পারেন না। কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির আশঙ্কা তৈরি হবে। তিনি চাইলে বোর্ড অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন।”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তা মহিবুল আহসান বলেন, “বোর্ডে যদি কোনো সদস্যের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক বা নিকটাত্মীয় প্রার্থী থাকেন, তবে সে সদস্যের বোর্ডে থাকা উচিৎ নয়। এটা অফিসিয়ালি এবং নৈতিকভাবে দুইভাবেই ভুল।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ