ছাত্রদল নেতার অভিযোগ: মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন জামায়াতের আমির

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির অভিযোগ করেছেন, মাইলস্টোন কলেজে দুর্ঘটনার ঘটনায় জামায়াতের আমির উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে ‘জুলাই শহিদদের স্মরণে সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
নাছির বলেন, “দুর্ঘটনার পরপরই জামায়াতের আমির এক গণমাধ্যমে বলেছেন, তার ধারণা অনুযায়ী ১০০ জনের বেশি মারা গেছেন। এটা এক ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব। আমরা জানতাম ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালায়। কিন্তু জামায়াতের একজন শীর্ষ নেতা সরাসরি এমন বক্তব্য দেবেন, তা ভাবিনি।”
তিনি আরও জানান, জামায়াত আমিরের বক্তব্যের ফলে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে মাইলস্টোন কলেজে ধর্মঘট করে এবং কয়েকজন উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা ধারণা করেছিল, মৃতের সংখ্যা সরকার গোপন করছে, বিশেষ করে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থার কথা জানিয়ে নাছির বলেন, “মৃতের সংখ্যা নিয়ে সেনাবাহিনী যেটা বলেছে, আমরা সেটার ওপর পুরোপুরি বিশ্বাস রাখি। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা লুকানো অসম্ভব। অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব কিছুর মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা সম্ভব।”
ছাত্রশিবিরের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের প্রকাশ্য রাজনীতি দেখা যায় না। কারণ এই ক্যাম্পাসে তাদের জায়গা হয়নি। তবে গণঅভ্যুত্থানের পরে কিছু সুযোগ নিয়ে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। এটা একটি গুপ্ত সংগঠন হিসেবে সক্রিয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. জহির রায়হান আহমেদ, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী এবং সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সর্দার রাশেদ আলী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরাও সভায় অংশ নেন।
/আশিক
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মোতাল্লেছ হোসেন নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।
প্রতারণার ধরন ও মামলার বিবরণ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অনুসন্ধানে জানা যায়, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে খালেদা জিয়ার ‘লিয়াজোঁ অফিসার’ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে।”
সিআইডি জানায়, মোতাল্লেছ হোসেনের ‘এম এল ট্রেডিং’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পাওয়া যায়নি। তিনি কখনো পোশাক কারখানার মালিক, কখনো চা-বাগান উদ্যোক্তা কিংবা ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে তিনি বিএনপি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেন।
মোতাল্লেছ হোসেনের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে থাকা ৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ধারায় রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা (নম্বর-১৯) করা হয়েছে, যেখানে মোতাল্লেছ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। টানা ৪৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে দলের সভাপতির পদে থাকা শেখ হাসিনা তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি 'সাকসেসন প্ল্যান' বা উত্তরাধিকার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে, এই পরিকল্পনার আওতায় তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হচ্ছে।
সায়মা ওয়াজেদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা
গত বছরের ৫ই আগস্ট ক্ষমতা হারানোর পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। এই পরিস্থিতিতে এবং বয়সের কারণে তাকে এখন দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে যাওয়ার পর সায়মা ওয়াজেদ এখন পুরোপুরি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। তিনি মায়ের সঙ্গে একই শহরে থাকায় সরাসরি তাকে সাহায্য করছেন। মায়ের ভাষণের খসড়া তৈরি, কর্মসূচির ক্যালেন্ডার স্থির করা এবং বাইরের দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করার কাজও তিনি করছেন।
‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল অনুসরণ
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনা ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের 'রাহুল-প্রিয়াঙ্কা' মডেল অনুসরণ করতে চাইছেন। এই মডেল অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যেমন তাদের মায়ের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করছেন, তেমনি শেখ হাসিনার ছেলে-মেয়েও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন। সজীব ওয়াজেদ দলের প্রধান মুখ ও মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন, আর সায়মা ওয়াজেদ সরাসরি মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কাঠামোতে পরিবর্তন
শেখ হাসিনা তার ছেলে-মেয়ের ওপর অনেক দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। দলের ভেতরেও ক্ষমতার কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই নতুন কাঠামোতে উপেক্ষিত, যিনি প্রায় দশ মাস ধরে ভারতে থাকলেও দলীয় সভাপতির দেখা পাননি। বরং শেখ হাসিনা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাসিম এবং জাহাঙ্গীর কবির নানকের ওপর বেশি ভরসা রাখছেন। এই তিন নেতা আপাতত কলকাতা থেকে দলের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে, সজীব ওয়াজেদ আমেরিকায় বসে দলের অনুকূলে 'ন্যারেটিভ নির্মাণ' ও বিদেশের সংবাদমাধ্যমে দলের বক্তব্য তুলে ধরার কাজটি করছেন।
আওয়ামী লীগ কী বলছে?
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বিবিসিকে এই 'রাহুল-প্রিয়াঙ্কা' মডেল অনুসরণের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, তারা কেউই এ বিষয়ে 'অন রেকর্ড' মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আরাফাত দাবি করেছেন, এই বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, “এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, সেই লক্ষ্যেই সব চেষ্টা নিয়োজিত করা হচ্ছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না: রুমিন ফারহানা
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, কিছু দল বলছে যে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতি ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। এর কারণ, তারা জানে যে ভোটে অংশ নিলে ১০টি আসনও পাবে না। এ কারণেই তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের শরীফপুর খোলাপাড়া বালুর মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না। আওয়ামী লীগের অত্যাচারীদের বিচার বিএনপিই প্রথম দাবি করেছে, কারণ সবচেয়ে বেশি নির্যাতন সহ্য করেছে এই দলের নেতাকর্মীরাই।”
তিনি আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের নেতাকর্মীরা সবসময় জনগণের সমর্থন পেয়ে এসেছেন। অতীতের সরকারের আমলে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা হয়েছিল। তার নিজের বিরুদ্ধেও ১০টি মামলা আছে, যার মধ্যে তিনটি খুনের মামলা। তবুও তারা দল ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।
“একদিনও মাথা নত করেননি”-খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশের জন্য অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একদিনের জন্যও মাথা নত করেননি। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের মানুষ এখন তারেক রহমানের দিকেই তাকিয়ে আছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং ভিশন ২০৩০–এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে দলটি এগোচ্ছে, যার লক্ষ্য হলো ভেঙে পড়া অর্থনীতি, দুর্বল রাজনৈতিক কাঠামো এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত ২৪ জুলাই ঢাকার রাজপথে হাজারো তরুণ, যুবক, নারী ও শিশু তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন। শুধু ঠাকুরগাঁও জেলায়ই গত ১৫ বছরে বিএনপির ১২ জন সহকর্মী শহীদ হয়েছেন এবং জুলাই মাসেই প্রাণ দিয়েছেন চারজন। তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ৭৫টি মামলা দিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে। অনেকে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন, ধানক্ষেতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং বহুজনকে কারাভোগ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের এই সম্মেলন যেমন আনন্দের, তেমনি দুঃখেরও। আনন্দের কারণ হলো মুক্ত পরিবেশে গণতান্ত্রিক দলীয় কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পাওয়া; আর দুঃখের কারণ হলো প্রিয় সহযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলা। এ সময় তিনি স্বাধীনতার ঘোষক এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, জিয়াউর রহমান এমন একটি দল গড়ে দিয়েছিলেন, যে দল সব সময় গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে এবং প্রাণ দিয়েছে।
সম্মেলনের মূল পর্বে বিকাল সাড়ে তিনটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
-শরিফুল
তারেক রহমানের নেতৃত্বে টেকসই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, সেগুলো শক্তিশালী করবে বিএনপি। এ জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।”
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি টেকসই গণতন্ত্র নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “গত ২৪ জুলাই ঢাকার রাজপথে হাজারো তরুণ, যুবক, নারী ও শিশু তাদের অধিকার ফেরাতে প্রাণ দিয়েছে। শুধু ঠাকুরগাঁওয়েই গত ১৫ বছরে আমাদের ১২ জন সহকর্মী শহীদ হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, এই জেলায় ৭৫টি মামলায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মী হয়রানির শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, “আজকের এই সম্মেলন আমাদের কাছে যেমন আনন্দের, তেমনি দুঃখেরও। আনন্দের কারণ—আমরা মুক্ত পরিবেশে দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারছি। আর দুঃখের কারণ—অনেক প্রিয় সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি।” বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, “জিয়া একটি দল গড়ে দিয়েছিলেন, যে দল গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংগ্রামের দিক তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। আবার গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধেও লড়াই করেছেন। একদিনের জন্যও মাথা নত করেননি।” তারেক রহমানকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ আজ তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে এবং ভিশন–২০৩০ এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করেছে। এখন ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতি, রাজনৈতিক কাঠামো এবং রাষ্ট্রের ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে দলটি এগিয়ে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু উপস্থিত ছিলেন। সাত বছর আট মাস পর এই দলীয় সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকে উৎসবমুখর ছিল ঠাকুরগাঁও জেলার নেতাকর্মীরা। পাঁচ উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার ৮০৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে জেলার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী
আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, সেনাবাহিনীর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা বা ভূমিকা এই নির্বাচনে নেই।
এর আগে সেনাবাহিনী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সোমবার সেনাবাহিনীর সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে আবারও একই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বারবার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে, যাতে নির্বাচনকেন্দ্রিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় এবং পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। সেনাবাহিনী এ ধরনের গুজবকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীর এই স্পষ্ট ঘোষণা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ভোটারদের মাঝে গুজবের প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
-সুত্রঃডেইলি সান
রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন–২০২৫-এর ১৩ দিনের প্রাণবন্ত প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে শনিবার রাত ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী এখন অপেক্ষা করছে বহুল প্রতীক্ষিত ভোটগ্রহণের জন্য, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এইবারের ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের সৃজনশীলতা ও কৌশল ছিল চোখে পড়ার মতো। পোস্টার, লিফলেট ও প্রচারণার ধরনে এসেছে অভিনবত্ব। কোনো প্রার্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ডলার কিংবা টাকার নোটের আদলে লিফলেট ছাপিয়েছেন, কেউ বানিয়েছেন গাছের আকারে হ্যান্ডআউট, আবার কেউ পোস্টারে ব্যবহার করেছেন ওয়াই-ফাই চিহ্ন। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বৃক্ষাকৃতির প্রচারপত্র বিলিয়েছেন, পরিবহন সম্পাদক প্রার্থী দিয়েছেন বাসের আদলে কার্ড, স্বাস্থ্য সম্পাদক প্রার্থী হৃদয়-আকৃতির পোস্টার বানিয়েছেন। এমনকি ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী বিতরণ করেছেন বিড়ালের আকৃতির লিফলেট। কেউ বুকমার্কের মতো ডিজাইন করেছেন, কেউ আবার ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রচারপত্র তৈরি করেছেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী লিগ্যাল নোটিশের মতো পোস্টার ছাপিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রচারণায় সৃজনশীলতার এক রঙিন ছোঁয়া ছিল।
প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রাণ সঞ্চার করেছে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনের উন্মুক্ত বিতর্কসভা। গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থীরা সরাসরি শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ভিশন ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন সেখানে।
প্রচারণায় অংশ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামঘরানার বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন (বিডিএসএ) এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য। প্রতিটি প্যানেলই মিছিল, পথসভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ইশতেহার উপস্থাপন করেছে।
ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রার্থীরা। আবাসিক হলগুলোতে দরজায় দরজায় প্রচারণার পাশাপাশি বাসে যাতায়াতরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলোচনাসভা আয়োজন করেছে কয়েকটি প্যানেল, যেখানে মেয়েদের প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তর দিয়েছেন প্রার্থীরা।
ভোটারদের প্রতিক্রিয়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, “এবারের ডাকসু নির্বাচন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উৎসবমুখর। প্রতিটি প্রচারপত্রই অভিনব ও আলাদা।” বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক শিক্ষার্থী শামসুল আলম জানান, “প্রার্থীরা যখন সরাসরি আমাদের কাছে এসে ক্যাম্পাস উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন ভালো লাগে। আসলে ডাকসু এক ভিন্ন মাত্রার সংযোগ তৈরি করে।”
ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের চেনে, তাই নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি। আমরা আগে থেকেই কাজ করেছি। আমাদের কথা ও কাজে সামঞ্জস্য ছিল বলেই শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্বাস করে।” তবে তিনি ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, যা অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারি হামিম বলেন, “শিক্ষার্থীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা দিচ্ছেন। আমরা অঙ্গীকার করছি নিরাপদ ও সবার জন্য সমান ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।” একইভাবে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আল সাদি ভুইয়া জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশায় তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ব্যালট বাক্স বিতরণসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন দিবসে ক্যাম্পাস বহিরাগতদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, বাইরের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এবারের প্রচারণা ছিল বর্ণিল, সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করবেন।
-এম জামান
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস আলম
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ে কুলি-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “এক চোর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যেই চোর এতদিন তাদের ছায়াতলে ছিল, সেই চোর এখন তাদের ব্যানারে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলছে।” তিনি অভিযোগ করেন, চুরি ও বাটপারি ছাড়া আওয়ামী লীগের কেউ নেতা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টির নেতা যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের’ গল্প বলছেন, এই আইডিয়া ভারতের দেওয়া।” তার মতে, এই খুনিরা কখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, “যেভাবে আওয়ামী লীগের সব দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেভাবেই তাদের বড় দোসর জাতীয় পার্টিরও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।” তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেন, “ফ্যাসিস্টদের প্রতি নমনীয় আচরণ আপনাদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করছে। আপনাদের কাজ হলো খুনিদের বিচারের মঞ্চে নিয়ে যাওয়া।”
সারজিস আরও অভিযোগ করেন, পঞ্চগড়ে ছাত্রদল স্কুলগুলোতে কমিটি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। তারা স্কুল শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চক্রে ঢুকিয়ে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি শুরু করবে।
একই অনুষ্ঠানে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা সরকারকে বলতে চাই, বিবৃতি থেকে বের হয়ে আসেন। যারা জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে, তারা দেশে নির্বাচন চায় না। তারা গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায়।” তিনি বলেন, “এখন বিএনপিকেও প্রমাণ করতে হবে, তারা জাতীয় পার্টিকে চায় কি না।
হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, হোন্ডা-গুন্ডা নির্ভর রাজনীতি আর চলবে না। তিনি বলেন, “১০টা গুন্ডা ২০টা গুন্ডা—নির্বাচন ঠান্ডা, এই দিন আমরা ৫ আগস্টেই শেষ করে এসেছি।”
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বড়কামতা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামে একটি উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যার পেছনে যত গুন্ডা, সে তত বড় নেতা। কিন্তু নেতৃত্ব ব্যাপারটা ভিন্ন। হোন্ডা-গুন্ডা দিয়ে নেতৃত্ব বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। নেতৃত্ব তৈরি হবে নেতার গুণাবলী থেকে।” তিনি বলেন, এনসিপি ইনসাফের পক্ষে। যদি কেউ ইনসাফের পক্ষে থাকে, তাহলে আমরা ধরে নেব সে এনসিপির পক্ষের লোক।
এই এনসিপি নেতা বলেন, “অপরাধ করতে শক্তির প্রয়োজন। রাজনৈতিক ব্যাকআপ নিয়ে স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মীরা অপরাধী হয়ে ওঠে। গ্রাম পর্যায়ে মানুষজন যদি অন্যায়ের বিপক্ষে সংঘবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়, তখন অপরাধীরা আর সাহস পাবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, অপরাধ দমনের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদেরই অপরাধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জনগণের পাশে থাকতে এমপি, চেয়ারম্যান বা মেম্বার হওয়ার দরকার নেই। সত্য কথা বলার জন্য আপনি মানুষ হলেই যথেষ্ট। আমরা চাই আপনারা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকুন। সত্য বলার জন্য রাজনৈতিক শেল্টারের প্রয়োজন নেই। তবে সত্য বলার পর কেউ যদি জুলুম করে, তবে আমি আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াব।
পাঠকের মতামত:
- ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে সরকার
- স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাইলেন শরিফ ওসমান বিন হাদী, পেলেন শর্ত
- অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন
- নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ
- খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা’ মডেল? পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলের দিকেই ইঙ্গিত
- নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান
- সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না: রুমিন ফারহানা
- সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার
- বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
- দুর্গাপূজা নিরাপত্তা নিয়ে কড়া বার্তা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- “একদিনও মাথা নত করেননি”-খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফখরুল
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে টেকসই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব: মির্জা ফখরুল
- যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ
- ‘প্রতিযোগিতা বাড়িয়েই উন্নত হবে সেবা’—উপদেষ্টা এস কে বশির
- ইউএস ওপেনে নতুন সম্রাটের দাপট: আলকারাজের দ্বিতীয় শিরোপা
- বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের রঙিন রাত: স্পেনের দাপট, জার্মানির জয়, ডিপাইয়ের ইতিহাস
- গুপ্ত রাজনীতি আর সন্ত্রাস নয়: উমামা ফাতেমা
- ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী
- কক্সবাজার সৈকতে ক্রিকেটার মুশফিকুরের ভাতিজার মর্মান্তিক মৃত্যু
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- হাঁটার জাদু: সপ্তাহে পাঁচ দিনেই দূরে রাখুন হৃদরোগ ও চাপ
- রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
- কপ-৩০ ঘিরে ব্রাজিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার অঙ্গীকার বাংলাদেশের
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথে নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস আলম
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের
- হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও মাসিক ভাতা দেওয়া হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
- চার দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে গ্রাহক
- সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
- চবিতে চতুর্মুখী আন্দোলন, উত্তাল ক্যাম্পাস
- শান্তির পুরস্কার চাইছেন, অথচ ঝামেলা পাকাচ্ছেন’ সালমানের খোঁচা ট্রাম্পকে
- ভিপি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী আবিদুল
- বিবিএসের প্রতিবেদন: ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি
- কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
- ওসমান হাদির নামে ভিন্ন যুগলের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ফুটেজ ভাইরাল
- আওয়ামী লীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি: বদরুদ্দীন উমরের বিস্ফোরক মন্তব্য
- সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে পাগলা ঘোড়া
- নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না কোনো শক্তি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব
- রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?
- ডাকসু নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থী ও সমর্থকরা
- পঞ্চগড়ের সফল মানুষ সারজিস আলম হয়ে যায়: জয়
- অবসরের পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মাতাবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ০২ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ