ব্যবসায়ীকে হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ১০:১২:১১
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মির্জা ফখরুল

রাজধানীর পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে একজন ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ ঘটনাকে একটি ভয়াবহ ও পৈশাচিক নজির আখ্যা দিয়ে বলেন, অপরাধীর পরিচয় যাই হোক না কেন, তার স্থান কখনোই আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।

শুক্রবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “পুরান ঢাকার জনবহুল এলাকায় দিবালোকেই একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তার চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড কেবল একটি জীবনহানিই নয়, এটি আমাদের সমাজে আইনের শাসনের দুর্বলতা, বিচারহীনতার ধারাবাহিকতা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিহীনতার ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি।”

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পথচারী ও স্থানীয়রা আতঙ্কিত হলেও কোনো ধরনের প্রতিরোধ করতে সাহস করেননি। ঘটনার নৃশংসতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেরিতে উপস্থিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নাগরিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই ধরণের পৈশাচিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা দেশের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। জনগণ মনে করে, এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের পর বিচার না হওয়া বা অপরাধীদের রক্ষা পাওয়া মানে সমাজকে আরও গভীর অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি রাজনৈতিকভাবে উৎসাহিত হলে তা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকেও প্রশ্রয় দেয়।”

আন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের অবিলম্বে নিরপেক্ষ, পেশাদার এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত নিশ্চিত করুন। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করুন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর প্রকাশ্যে এই ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাস, সহিংসতা এবং কোনো ধরণের বর্বরতার স্থান নেই। আমরা বিশ্বাস করি ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির পথেই একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

বিবৃতির শেষে বিএনপি মহাসচিব নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে তিনি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সমাজের সচেতন নাগরিকদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একযোগে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড, খুন, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক পালাবদলের পরও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগে ধীরতা সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, নিরপেক্ষ প্রশাসন এবং বিচার বিভাগকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।


বিএনপির হাতেই বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত: আবু নাসের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ১১:৫২:৪৮
বিএনপির হাতেই বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত: আবু নাসের
ছবি : কালবেলা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকার কথা তুলে ধরে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর টাউন হলে আয়োজিত দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এরপর এরশাদের সময়ে সেই গণতন্ত্র আবারও হত্যা করা হয়, যেখান থেকে বেগম খালেদা জিয়া দেশকে উদ্ধার করে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে দেশের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবেই এ বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তার মতে, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশে পুনরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।

আবু নাসের রহমাতুল্লাহ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘যতবার বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশজুড়ে শান্তি বিরাজ করেছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা পেয়েছে। সুতরাং বিএনপির হাতেই দেশ থাকবে সুরক্ষিত ও নিরাপদ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আপস করে দল ভারী করার চেষ্টা করছে, তারা বিএনপির উপকারের বদলে ক্ষতি করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, এসব অপকর্ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। একই সঙ্গে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন এবং সদস্য নুরুল আমিনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম।


মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়: নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুললেন  ওসমান হাদি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ১১:৩৪:০৩
মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়: নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুললেন  ওসমান হাদি
ছবি: সংগৃহীত

গণআন্দোলনের মুখপত্র ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার অনুসারীরা। হাদি নিজেও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টায় তিনি এই পোস্টটি দেন।

ফেসবুকে হাদি লিখেছেন, “মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে নয়, আসমানে হয়।” তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহল থেকে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দখলদারদের আগ্রাসন যতদিন থাকবে, ততদিন এই মাটির সন্তানেরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। তার মতে, “আমাদেরকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই লড়াই কোনোদিন বন্ধ হবে না।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ওরা এক আবরারকে হত্যা করলে ফের লক্ষ আবরার জন্মায় এই জমিনে।” হাদি আরও বলেন যে তিনি চলে গেলেও তার সন্তান এবং তার পরবর্তী প্রজন্ম এই লড়াই চালিয়ে যাবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমরা আমাদের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিব না।” তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পোস্টের শেষে তিনি বলেন, “মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা তো শাহাদাতের জন্যই মায়ের উদর হতে পৃথিবীতে পা রেখেছি।” তিনি তার পোস্টে আল্লাহর কাছে সাহস ও ইনসাফের জন্য প্রার্থনা করেন এবং ঘোষণা দেন, “লড়াই চলবে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।”

/আশিক


ফজলুর রহমানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারের দাবি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ১০:৫৬:১২
ফজলুর রহমানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারের দাবি
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের কড়া সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস প্রার্থী ও ছাত্রদল নেতা শেখ তানভির বারী হামিম। তিনি ফজলুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করারও দাবি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি টকশোতে হামিম বলেন, 'ওয়ান্স অ্যা আওয়ামী লীগ, অলওয়েজ আওয়ামী লীগ।' তিনি ফজলুর রহমানের অতীত রাজনৈতিক জীবনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমান বিএনপির হয়ে কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি এর আগে আওয়ামী লীগেরও এমপি ছিলেন। হামিম অভিযোগ করেন, ফজলুর রহমান ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে ছোট করে বলেছেন, '৫ আগস্ট কালো শক্তি।'

ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, ফজলুর রহমান তার মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ফজলুর রহমানের মতো নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে খাটো করছেন। হামিম বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কারণ তারা ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দল তাকে বহিষ্কার করবে।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে বিএনপি ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে।


আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ভারতের দল: রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২০:১৪:৪৫
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ভারতের দল: রাশেদ খান
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্টন মোড় অবরোধ করেছে দলটি। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়ে এসে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভিপি নুরের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেন।

‘হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার অবশ্যই হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা কেবল নুরুল হক নুরের ওপর নয়, বরং এটি একটি গণঅভ্যুত্থানের ওপর হামলা। এই হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

রাশেদ খান বলেন, “আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের দল নয়। এরা ভারতের দল। আমরা যেমন আওয়ামী লীগকে ভারতে পাঠিয়েছি, তেমনি জাতীয় পার্টিকেও ভারতে পাঠাতে হবে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, মেনন ও হাসানুল হক ইনুর মতো নেতারা গ্রেফতার হলে জিএম কাদের কেন গ্রেফতার হন না? রাশেদ খান আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।”

‘ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও আসবে’

রাশেদ খান জানান, তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ। তিনি বলেন, এই সমাবেশ তাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও ফিরে আসবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, এই সুযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি অংশ হামলার সুযোগ পেয়েছে। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, এই হামলার বিচার না হলে পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হবে। আজকের এই অবরোধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ঠান্ডা কথা সরকারের কানে ঢোকে না, যে কারণে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।”

এই কর্মসূচিতে দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।


চাঁদাবাজদের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না:  চরমোনাইর পীর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২০:০৭:১১
চাঁদাবাজদের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না:  চরমোনাইর পীর
ছবি : কালবেলা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “চাঁদাবাজদের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।” আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য তার দল কাজ করবে বলেও তিনি জানান।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর রায়পুরা পৌরসভার মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলছি যে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু যারা আমাদের বাংলাদেশকে ভারত বানিয়েছে, সেই চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার মানুষ সংসদে দেখতে চায় না।” তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ এখন সজাগ এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলন করতে প্রস্তুত। চরমোনাইর পীর বলেন, দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং এর জন্য পিআর (portional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া জরুরি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ আব্দুল মতিন শিপলু মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের নির্বাহী পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. বদরুজ্জামান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।


গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভে অচল পল্টন মোড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৯:০৯:৪২
গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভে অচল পল্টন মোড়
ঘটনাস্থল। ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর পল্টন মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ কর্মসূচি এখনো চলমান রয়েছে।

অবরোধ চলাকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ এবং ‘ভিপি নুরের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেন।

তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো:

১. গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার।

২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ।

৩. জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা বলেন, এ হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওপর বর্তায়। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।


পিআর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী: ‘জনগণ তো এটা চায় না’

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৫:০৮:০৮
পিআর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী: ‘জনগণ তো এটা চায় না’
ছবি: সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলই বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও র‌্যালির আগে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “ছাত্রদল হলো আন্দোলন, সংগ্রাম ও নীতি-আদর্শের দল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি অবাধভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে ছাত্রদলের প্যানেলই জয়ী হবে।”

বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে আলোচিত ‘পিআর’ পদ্ধতি (প্রportional Representation) সম্পর্কে তিনি বলেন, “হঠাৎ করে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতি নিয়ে অনেক কথা বলছে। পিআর পদ্ধতি কী? এ দেশের সাধারণ জনগণ বা গ্রামের মানুষ কি এর সম্পর্কে জানে?” তিনি প্রশ্ন রাখেন, “এটি তো জনগণ চায় না।”

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন, “আপনারা কি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান?” জবাবে কর্মীরা সমস্বরে ‘না’ বলে স্লোগান দেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ সরাসরি পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায়।

আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাক সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় সঞ্চালনা করেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল কবির এবং ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়ালসহ প্রমুখ।

/আশিক


নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে দেশ এখনও স্বৈরাচারমুক্ত নয়: দুদু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৪:৫৫:১৩
নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে দেশ এখনও স্বৈরাচারমুক্ত নয়: দুদু
ছবি-সমকাল

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেলেও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের ওপর হামলা প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর ও লুৎফরের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত।

বিএনপি নেতা বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ স্বাভাবিকভাবেই মনে করেছিল যে দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে এবং শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়েছেন। মানুষ ভেবেছিল দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক।”

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হতে পারে, ভালো নির্বাচন না হয়, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল ক্ষমতায় না আসে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যাতে প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন—এসব নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।” তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সবাইকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি জুতি, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি এবং জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।


অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে: সামান্তা শারমিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৪:২৪:৪৫
অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে: সামান্তা শারমিন
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আর অন্তর্বর্তী নেই, বরং এটি মূলত বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে। সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে সামান্তা শারমিন বলেন, “আমরা দেখলাম যে ছাত্রদলের মনোনীত ভিপি খুবই জনপ্রিয়তা পেলেন, এরপরই তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হলো। এটা এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি করে যে ছাত্রদল নির্বাচনে জিতবে কিনা।” তিনি মনে করেন, এই অবস্থা বিএনপির মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তারা সম্ভবত পরাজয়ের ভয় পাচ্ছেন।

এনসিপি নেত্রীর মতে, ছাত্ররা যাতে ভোট দিতে না যায়, সেজন্য একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হতে পারে। তিনি বলেন, “যাতে করে ভোট বানচাল হয় এবং দায়টা ভোটারের ওপর পড়ে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার কোনো সুযোগ নেই। যারা জাতীয় নির্বাচন চান, তাদের জন্যই ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করা আরো বেশি প্রয়োজন। সামান্তা শারমিন বলেন, “যদি তারা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন, তবে সেটা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।”

সামান্তা শারমিন অভিযোগ করেন, “সৈকত সাহেব বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি প্রগতিশীল ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে, নানা সময়ে আওয়ামী লীগকে নেগলেট করার কাজটি প্রগতিশীল বা যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করেন, তাদের যোগসাজশে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এ ক্ষেত্রেও দেখলাম যখন রিটটা করা হচ্ছে, রিট করার কোনো প্রমাণ হাজির করা যায়নি।”

পাঠকের মতামত: