নেতানিয়াহুর ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ: ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১২ ১০:০০:৩১
নেতানিয়াহুর ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ: ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক কূটনীতিতে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে তাকে এ পুরস্কারের যোগ্য মনে করছেন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি এক বৈঠকে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে একটি চিঠি তুলে দেন, যা নোবেল পুরস্কার কমিটিতে পাঠানো সুপারিশপত্রের কপি। চিঠিটি হস্তান্তরের সময় নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্প একের পর এক দেশে, একের পর এক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন।

নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ইচ্ছা ট্রাম্পের বহুদিনের—এমন কথা বহুবার আলোচিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে শান্তি চুক্তিতে তার মধ্যস্থতা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছিল। শুধু ইসরায়েল নয়, পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সমর্থন জানিয়েছে। ২০২৫ সালের জুনে পাকিস্তান জানায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ২০২৫ সালের মে মাসে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় তার অংশগ্রহণ।

তবে ট্রাম্পের শান্তির দূত হিসেবে আবির্ভাব নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কারণ তার প্রশাসনের সময়ই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালানো হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার পাশাপাশি যুদ্ধের আশঙ্কাও তার সময়েই প্রবলভাবে দেখা দিয়েছিল। ফলে তার শান্তিতে নোবেল পাওয়া কতটা যৌক্তিক—তা নিয়ে বিতর্ক থাকা স্বাভাবিক।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সম্মান। এটি প্রয়াত সুইডিশ বিজ্ঞানী ও সমাজসেবী আলফ্রেড নোবেলের নামে প্রবর্তিত ছয়টি নোবেল পুরস্কারের একটি। এই পুরস্কার পরিচালনা করে নরওয়ের পার্লামেন্ট কর্তৃক নির্বাচিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি, যারা প্রতিবছর নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

যদিও শান্তি পুরস্কারকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, তবে অতীতেও এটি বহু বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই পুরস্কার কখনো কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ট্রাম্প যদি বিজয়ী হন, তাহলে সেটিও তেমনি একটি বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। কারণ তার প্রশাসন যেমন কূটনৈতিক অর্জন দেখিয়েছে, তেমনই সামরিক হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক বিভাজনের জন্যও সমালোচিত হয়েছে। তবুও, নেতানিয়াহু ও পাকিস্তানের মতো দেশের সমর্থন ট্রাম্পের প্রার্থীতা আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

বিশেষ প্রতিবেদন/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ