বগুড়ায় জোড়া খুনে রহস্য, এলাকায় শোক ও আতঙ্ক

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৯ ১১:৫৮:৫৯
বগুড়ায় জোড়া খুনে রহস্য, এলাকায় শোক ও আতঙ্ক

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষীমন্ডপ গ্রামে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত হয়েছেন এক প্রবীণ ব্যক্তি ও তার পুত্রবধূ। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাদের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ আফতাব মিয়া ও তার বড় পুত্রবধূ। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় এলাকায় চরম শোক ও আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে।

বুধবার সকালে স্থানীয়রা প্রথমে বাড়ির ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আফতাব মিয়ার হাত পেছনে বাঁধা ছিল এবং শরীরে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। তার পাশেই পড়ে ছিল পুত্রবধূর মরদেহ, যার গলায় গভীর ছুরিকাঘাতের দাগ ছিল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. রায়হান সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। ডাকাতি, পারিবারিক বিরোধ অথবা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।

নিহত আফতাব মিয়া এলাকায় একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার পরিবারে বেশ কয়েকজন সদস্য ঢাকায় বসবাস করলেও তিনি নিজ বাড়িতে পুত্রবধূসহ থাকতেন। স্থানীয়দের মতে, পুত্রবধূ শান্ত স্বভাবের ও সংসারপরায়ণ নারী ছিলেন। এমন দুজন নিরীহ মানুষকে এভাবে হত্যা করায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং বাড়ির আশপাশে কোনো সিসিটিভি থাকলে তার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পারিবারিক ও আর্থিক পটভূমিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক নেতারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের একাধিক ইউনিট ইতোমধ্যে তদন্তে মাঠে নেমেছে।

এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারা এলাকায় চলছে আলোচনা ও উৎকণ্ঠা। এখন সবার দৃষ্টি পুলিশের তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের দিকে, যাতে শিগগিরই অপরাধীরা চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার হয়ে আইনের আওতায় আসে।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ