গভীর তাৎপর্যে ভরপুর আশুরা—এর পেছনের কাহিনি কি আপনি জানেন?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ১৫:০৮:৪০
গভীর তাৎপর্যে ভরপুর আশুরা—এর পেছনের কাহিনি কি আপনি জানেন?

ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম, যে মাসকে কোরআন ও হাদিসে ‘আল্লাহর মাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, তা শুধু একটি ক্যালেন্ডার শুরু নয়—বরং ইতিহাস, আত্মত্যাগ, এবং ইবাদতের এক বিশেষ সময়ও বটে। চারটি সম্মানিত মাসের (আল-অশহুরুল হুরুম) একটি হিসেবে মহররমকে আল্লাহ তাআলা স্বয়ং বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।

সুরা তাওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন—

“নিশ্চয় মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস... এর মধ্য থেকে চারটি সম্মানিত। এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন। সুতরাং তোমরা এ মাসসমূহে নিজদের উপর কোনো জুলুম করো না।”

এই আয়াতের তাফসিরে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বুখারি শরিফে (হাদিস ৩১৯৭) বলেন, “জিলকদ, জিলহজ, মহররম—এ তিন মাস পরপর সম্মানিত এবং রজব মাস এককভাবে সম্মানিত মাস।”

কেন হারাম মাস?প্রাক-ইসলামি যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। হজে আগমন, হজ পালন এবং নিজ ভূমিতে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার জন্য জিলকদ, জিলহজ ও মহররম মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ করা হতো। ইসলামে এসে এই প্রথাকে রূপান্তরিত করা হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মানিত সময় হিসেবে। রজবকে ওমরাহ পালনের জন্য নিরপদ সময় হিসেবে রাখা হয়। এভাবেই চারটি মাসকে ‘হারাম মাস’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

মহররমের রোজা: রমজানের পর শ্রেষ্ঠ ইবাদতনবিজি (সা.) বলেন:

“রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররমের রোজা।”(সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৬২৬)

এই রোজা নফল হলেও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ, বিশেষত মহররমের ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখে রোজা রাখাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এটি শুধু ইবাদত নয়, বরং ঐতিহাসিক তাৎপর্যে ভরপুর দিনও।

আশুরা: মুক্তির ইতিহাস ও নবিজিদের শিক্ষামহররমের ১০ তারিখ, যাকে আশুরা বলা হয়, সেই দিনেই আল্লাহ তাআলা নবি মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি দেন। মদিনায় এসে যখন রাসুল (সা.) দেখলেন, ইহুদিরা এ দিন রোজা রাখে, তখন তিনি বলেন:

“আমি মুসার (আ.) চেয়েও বেশি তার অনুসারী।”(সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৫৪৮)

তিনি নিজেও রোজা রাখেন এবং সাহাবাদেরও রাখতে নির্দেশ দেন।

মহররমের আরও তাৎপর্যইসলামের ইতিহাসে এই মাস শুধু ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের নয়, বরং আশুরার দিনে কারবালায় ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদত স্মরণেও শোক ও আত্মচিন্তার মাস। যদিও এ ঘটনাটি সরাসরি কোরআন বা হাদিসে উল্লেখিত নয়, তবুও মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে এটি এক বেদনাবিধুর স্মৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

মহররম মাসে আমাদের কর্তব্য শুধু রোজা রাখা নয়, বরং নিজেকে পাপ থেকে বিরত রাখা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাও একান্ত জরুরি।


আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ২১:৫৯:৩৬
আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৭ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে (AM), আসর ৪টা ০১ মিনিটে (PM), মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিটে (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৫ মিনিটে (PM)।

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে, আসর ৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ৪টা ১৩ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৫ মিনিটে, আসর ৪টা ১৫ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ৭টা ০০ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৩ মিনিটে, আসর ৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৩৪ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ৪টা ৩৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ১১ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ৪টা ৪০ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ৪টা ১২ মিনিটে, মাগরিব ৫টা ৪১ মিনিটে এবং ইশা ৬টা ৫৬ মিনিটে।


কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ২১:৩০:৫১
কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা

আজ থেকে বহু শতাব্দী আগেও মানুষ যখন কেবল নৌকা, জাহাজ, ঘোড়ার গাড়ি বা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করত, তখন কেউ যদি বলতো একদিন ধাতব এক যন্ত্র মানুষকে হাজার হাজার মাইল দূরে আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাবে, তা হয়তো মানুষের কল্পনারও অতীত ছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে উড়োজাহাজ, বুলেট ট্রেন, বিশাল জাহাজ, এমনকি মহাকাশযান ছাড়া আধুনিক ভ্রমণ চিন্তাও করা যায় না। বিস্ময়ের বিষয় হলো, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বহু শতাব্দী আগেই ভবিষ্যতের উন্নত যানবাহন সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে মিলে যাচ্ছে।

চতুষ্পদ জন্তু থেকে অজানার পথে

সুরা আন-নাহলের ৫ থেকে ৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য সৃষ্ট চতুষ্পদ জন্তুগুলোর উপকারিতা বর্ণনা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, মানুষ এই জন্তুগুলো থেকে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার লাভ করে, আহার গ্রহণ করে এবং গর্বভরে সৌন্দর্য অনুভব করে যখন গোধূলি লগ্নে তাদের ঘরে আনা হয় বা সকালে চারণভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই জন্তুগুলো মানুষের বোঝা বহন করে এমন সব দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যায়, যেখানে ভীষণ কষ্ট ছাড়া মানুষের পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক বড়ই দয়াময়, পরম দয়ালু।

এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটিতে আল্লাহ আরও বলেন, "তোমাদের আরোহণের জন্য ও শোভা-সজ্জার জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন অনেক কিছু যা তোমরা অবগত নও"।

কোরআনের বিজ্ঞানসম্মত ইঙ্গিত

এই আয়াতটিই ভবিষ্যতের উন্নত যানবাহনের প্রতি স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলে ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন। তাফসীরে আহসানুল বয়ানেও এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আল্লাহ ভূগর্ভে, সমুদ্রে, মরুভূমিতে এবং জঙ্গলে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করে থাকেন, যার জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কারো নেই। এর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত সকল বাহনও এসে যায়। আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে তারই সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরি করেছে যেমন বাস, ট্রেন, রেলগাড়ি, জাহাজ ও বিমান ইত্যাদি অসংখ্য যানবাহন। এমনকি আরও অনেক কিছু যা ভবিষ্যতে আশা করা যায়।

বর্তমানে আমরা যে আধুনিক গাড়ি, বুলেট ট্রেন, সমুদ্রে ভাসমান বিশাল আকারের জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, এমনকি নানা ধরনের মহাকাশযান দেখছি—এগুলোর কিছুই সেই যুগের মানুষের ধারণার মধ্যে ছিল না। কোরআন এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে শুধু অতীত বা বর্তমান নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিকেও দৃষ্টি দিতে শেখায়।

জ্ঞান আহরণের নির্দেশনা

এই সূরার ৪৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "আর আমি তোমার পূর্বে কেবল পুরুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহি পাঠিয়েছি। সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করো, যদি তোমরা না জানো"। এই আয়াতটি নির্দেশ করে যে, যখন মানুষ নতুন কিছুর মুখোমুখি হবে, তখন জ্ঞানীদের কাছেই উত্তর খুঁজতে হবে। যান্ত্রিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের কাছে, চিকিৎসা বিষয়ে ডাক্তারদের কাছে—অর্থাৎ প্রত্যেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে জ্ঞান আহরণ করতে হবে।

এই আয়াতগুলো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, আধুনিক যানবাহন কেবল মানুষের মেধা নয়, বরং আল্লাহ তায়ালারই একেকটি নিদর্শন। এর মাধ্যমে আল্লাহ যুগে যুগে প্রযুক্তি ও পরিবহনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে তাঁরই সৃষ্টি ও কুদরতের ফল হিসেবে তুলে ধরেছেন, যা তিনি বহু আগেই ঘোষণা করে রেখেছিলেন। এই আয়াতগুলো মানুষকে শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকেই উৎসাহিত করে না, বরং আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করতে শেখায়।


৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ২১:৫৫:২৩
৬ অক্টোবর, ২০২৫ (সোমবার) ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল:

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ৪টা ৩৭ মিনিট (AM), সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিট (AM), আসর ৪টা ০৮ মিনিট (PM), মাগরিব ৫টা ৪৩ মিনিট (PM), এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিট (PM)।

অন্যান্য বিভাগীয় শহর:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ৪টা ৪০ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট, জোহর ১১টা ৪৭ মিনিট, আসর ৩টা ৫৯ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪০ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৩ মিনিট।

খুলনা: খুলনায় ফজর ৪টা ৪১ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫৫ মিনিট, জোহর ১১টা ৫০ মিনিট, আসর ৪টা ০৫ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪২ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৭ মিনিট।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ৪টা ৪১ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৫৬ মিনিট, জোহর ১১টা ৫০ মিনিট, আসর ৪টা ১১ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৪৫ মিনিট এবং ইশা ৬টা ৫৯ মিনিট।

সিলেট: সিলেটে ফজর ৪টা ৩৩ মিনিট, সূর্যোদয় ৫টা ৪৬ মিনিট, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিট, আসর ৪টা ০২ মিনিট, মাগরিব ৫টা ৩৪ মিনিট এবং ইশা ৭টা ০৬ মিনিট।

দ্রষ্টব্য: এই সময়সূচি স্থানীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২২:০৪:১৪
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
ছবি: সংগৃহীত

রোববার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো।

ওয়াক্ত সময় (আনুমানিক)

ফজর / সুবহে সাদিক ৪টা ৩৮ মিনিট (AM)

সূর্যোদয় ৫টা ৫২ মিনিট (AM)

জোহর ১১টা ৫১ মিনিট (AM)

আসর ৪টা ০৩ মিনিট (PM)

মাগরিব ৫টা ৪৩ মিনিট (PM)

ইশা ৭টা ০ মিনিট (PM)

উল্লিখিত ঢাকা সময়ের সঙ্গে নিচের সময়গুলো যোগ-বিয়োগ করে নিতে হবে:

চট্টগ্রাম -৫ মিনিট (বিয়োগ)

সিলেট -৬ মিনিট (বিয়োগ)

খুলনা +৩ মিনিট (যোগ)

রাজশাহী +৭ মিনিট (যোগ)

রংপুর +৮ মিনিট (যোগ)

বরিশাল +১ মিনিট (যোগ)


রমজান কবে? জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার পূর্বাভাসে মিলল সেই ইঙ্গিত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৫:২৫:১৩
রমজান কবে? জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার পূর্বাভাসে মিলল সেই ইঙ্গিত
ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার শুরু হতে পারে। এই হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে আমরা রমজান মাস থেকে ঠিক ১৩৯ দিন দূরে আছি।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, রমজান মাস শুরু হবে নতুন চাঁদ ওঠার ভিত্তিতে। এই নতুন চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) আবুধাবির সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টা ১ মিনিটে ‘জন্ম নেবে’। তবে নতুন চাঁদ সূর্যাস্তের এক মিনিট পরই অস্ত যাবে। তাই সেই দিন সন্ধ্যায় খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। ফলে চাঁদ দেখা কমিটির আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের পর রমজানের প্রথম দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোজার সময়কাল ও আবহাওয়া

আল জারওয়ান জানান, আবুধাবিতে রোজা রাখার সময় শুরুতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট হবে এবং মাসের শেষের দিকে এটি ধীরে ধীরে বেড়ে ১৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে পৌঁছাবে। দিনের আলো শুরুতে ১১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট থাকবে এবং মাস শেষে ১২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে পৌঁছাবে।

আবুধাবিতে ওই মাসের শুরুতে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে। রমজানের শেষ দিকে তাপমাত্রা বেড়ে ১৯ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আল জারওয়ান আরও জানান, পবিত্র রমজানের পুরো মাস বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা মৌসুমি গড় আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সময় বৃষ্টির পরিমাণ ১৫ মিলিমিটার ছাড়াতে পারে।


ওমরাহ পালনে ১০টি নতুন নিয়ম: যা না মানলেই জরিমানা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:৪১:৩০
ওমরাহ পালনে ১০টি নতুন নিয়ম: যা না মানলেই জরিমানা
ওমরাহর নিয়মে ব্যাপক পরিবর্তন, মানতে হবে যে ১০ বিষয়

ওমরাহ পালন প্রতিটি মুসলিমেরই হৃদয়ের লালিত স্বপ্ন। কিন্তু এই স্বপ্নযাত্রায় ভিসা আবেদন থেকে আবাসন—সবকিছুই অনেক সময় জটিল হয়ে উঠত। তবে এবার সেই প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। উমরাহ যাত্রা আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করতে নতুন কিছু নিয়ম চালু করেছে সৌদি সরকার।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) খালিজ টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওমরাহ অপারেটরদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়। নতুন নিয়মে ভিসা আবেদন, পরিবহন, হোটেল—সবকিছুই সরকারি অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। নিচে ওমরাহ যাত্রার আগে প্রতিটি হাজির জন্য জানা জরুরি ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন তুলে ধরা হলো:

ওমরাহ যাত্রায় জানা জরুরি ১০টি পরিবর্তন

১. ভিসা আবেদনের সময়ই হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলক: এখন আর ভিসা পাওয়ার পর হোটেল বুক করা যাবে না। ওমরাহ ভিসার আবেদন করার সময়ই মাসার সিস্টেম বা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত হোটেল বুক করতে হবে। কেউ আত্মীয়ের বাসায় থাকলে তা ভিসা আবেদনের সময় উল্লেখ করতে হবে।

২. পর্যটন ভিসায় ওমরাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ: এখন থেকে পর্যটন ভিসায় কেউ ওমরাহ পালন করতে পারবেন না। অপারেটররা সতর্ক করেছেন, কেউ চেষ্টা করলে তাকে থামিয়ে দেওয়া বা এমনকি মদিনার রিয়াজুল জান্নাহয় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ওমরাহ গাইড শিহাব বলেন, “পর্যটন ভিসায় গেলে ঝুঁকি আছে।”

৩. আলাদা ওমরাহ ভিসা বাধ্যতামূলক: সব হাজিকেই এখন নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আলাদা ওমরাহ ভিসা নিতে হবে। এটি ই-ভিসা হিসেবে বা অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্টের প্যাকেজের মাধ্যমেও করা যাবে।

৪. আত্মীয়ের বাসায় থাকলে সৌদি আইডি নম্বর: যারা পরিবার বা আত্মীয়ের বাসায় থাকার পরিকল্পনা করছেন, তাদের সেই হোস্টের ইউনিফায়েড সৌদি আইডি নম্বর দিতে হবে। এই আইডিটি সরাসরি ভিসার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

৫. সফরসূচি বদলানো যাবে না: ভিসা আবেদন করার সময় সফরসূচি (ইটিনারারি) আপলোড করতে হবে, যা পরবর্তীতে পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। ওমরাহ অপারেটর কায়সার মাহমুদের মতে, ফেরার তারিখ পিছিয়ে দিলে প্রতি হাজির জন্য কমপক্ষে ৭৫০ সৌদি রিয়াল জরিমানা দিতে হয়।

৬. বিমানবন্দরে বুকিং যাচাই: সৌদিতে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নুসুক বা মাসার প্ল্যাটফর্মে থাকা হোটেল ও পরিবহন বুকিং যাচাই করবে। কোনো তথ্য অনুপস্থিত থাকলে যাত্রা থামিয়ে দেওয়া বা জরিমানা করা হতে পারে।

৭. কেবল অনুমোদিত ট্যাক্সি ও পরিবহন ব্যবহার: সব হাজিকেই নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে। এখন থেকে অনুমোদিত যানবাহন ছাড়া কেউ বিমানবন্দর থেকে মক্কা বা মদিনায় যেতে পারবেন না।

৮. নিয়ম ভাঙলে কড়াকড়ি জরিমানা: অনুমোদনবিহীন ট্যাক্সি ব্যবহার, নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান বা বুকিং না করা—সব ক্ষেত্রেই জরিমানা শুরু হবে ৭৫০ দিরহাম থেকে।

৯. অন-অ্যারাইভাল ভিসা: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও শেনগেন অঞ্চলের ভিসাধারী বা সেসব দেশে বসবাসকারী মুসলমানেরা নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেতে পারেন।

১০. ট্রেন সেবা ও সময়সীমা: হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর চালু থাকে না। যারা দেরিতে পৌঁছান, তাদের আগে থেকেই বিকল্প অনুমোদিত যানবাহন বুক করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন এই নিয়মগুলো ওমরাহ প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ, স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করতে তৈরি করা হয়েছে।


নূহ (আ.)-এর প্রতি তার জাতির ৫টি অভিযোগের জবাব

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১৪:৫৫:৫৭
নূহ (আ.)-এর প্রতি তার জাতির ৫টি অভিযোগের জবাব
নবী নুহের (আ.) দাওয়াত ও অবিশ্বাসীদের ৫ অভিযোগ। ছবি: ক্যানভা

হজরত আদম (আ.)-এর ইন্তেকালের কয়েকশো বছর পর যখন মানুষ শয়তানের ধোঁকায় ধীরে ধীরে মূর্তিপূজা ও শিরক করতে শুরু করে, তখন আল্লাহ তাআলা তাদের মাঝে নবী হিসেবে পাঠান হজরত নূহ (আ.)-কে। কোরআনে তার নামে একটি সুরা রয়েছে এবং মোট ২৮টি সুরায় ৮১টি আয়াতে তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

হজরত নূহ (আ.) সাড়ে নয়শো বছর বেঁচে ছিলেন এবং এই দীর্ঘ সময় ধরে অক্লান্তভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে যান। তিনি তার জাতিকে বলেন, “হে আমার জাতি, তোমরা আল্লাহর এবাদত করো, তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নাই। তবু কি তোমরা সাবধান হবে না?” (সুরা মুমিনুন: ২৩)। কিন্তু তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তার দাওয়াতে সাড়া না দিয়ে কানে আঙুল দিয়ে, নিজেকে কাপড় দিয়ে আড়াল করে সটকে পড়েছে।

কোরআনে হজরত নূহের (আ.) জাতির অবিশ্বাসীরা যে পাঁচটি প্রধান অভিযোগ এনেছিল, তা তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যেক নবীর প্রতিই অবিশ্বাসীরা এই পাঁচটি অভিযোগ করেছে এবং আল্লাহ তাআলা প্রতিটি অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।

নূহ (আ.)-এর প্রতি অবিশ্বাসীদের ৫টি অভিযোগ ও জবাব

১. প্রথম অভিযোগ: নবী তো রক্ত-মাংসের মানুষ

অবিশ্বাসীরা বলত: তুমি তো আমাদের মতোই রক্ত-মাংসের মানুষ, কোনো ফেরেশতা নও। তাহলে তোমাকে আল্লাহর নবী হিসেবে মানতে হবে কেন?

জবাব: আল্লাহ যাকে নির্বাচিত করেন, তিনিই নবী হন। আল্লাহ মানুষের জন্য মানুষের মধ্য থেকেই নবী নির্বাচন করেন। কোরআনে বলা হয়েছে, কাফেররা সব সময়ই সংশয় প্রকাশ করে, আল্লাহ যদি কোনো ফেরেশতাকেও নবী বানিয়ে পাঠাতেন, তবুও তারা সংশয় করত। (সুরা আনআম: ৯)

২. দ্বিতীয় অভিযোগ: বাপ-দাদার মতাদর্শ ত্যাগ

অবিশ্বাসীরা যুক্তি দিত: তুমি যেসব কথাবার্তা বলো, বাপ-দাদা কারও মুখে এমন কথা শুনিনি। বাপ-দাদার মতাদর্শ ত্যাগ করে তোমার নতুন মতাদর্শ আমরা কেন গ্রহণ করব?

জবাব: পূর্বপুরুষদের মতাদর্শ শুনলেই তা ঠিক হবে এমন নয়। জ্ঞানচর্চায় ভুল প্রমাণিত হতে পারে। মৌলিকভাবে দেখতে হবে যিনি কথা বলছেন তিনি সত্যবাদী কিনা। (সুরা আরাফ: ৬১-৬২)

৩. তৃতীয় অভিযোগ: ক্ষমতার লোভ

তারা অভিযোগ করত: তোমার আসল ধান্ধা হলো ক্ষমতা, তুমি আমাদের নেতা হতে চাও।

জবাব: হজরত নূহ (আ.) এই অভিযোগের জবাবে বলেন, “এই দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোনো ধন-সম্পদ বা বিনিময় চাই না। আমার পুরস্কার তো শুধু বিশ্বপালকের নিকটেই রয়েছে।” (সুরা শুআরা: ১০৯)

৪. চতুর্থ অভিযোগ: নিম্নশ্রেণির লোকজনের অনুসরণ

তাদের অভিযোগ ছিল: তোমার সঙ্গী-সাথী হলো সমাজের সব নিম্নশ্রেণির জাহেল লোকজন। অভিজাত লোকেরা তোমার ধার ধারে না।

জবাব: হজরত নূহ (আ.) বলেন, “আমি কোনো (দরিদ্র) ইমানদার ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দিতে পারি না। তারা অবশ্যই তাদের পালনকর্তার সান্নিধ্য লাভে ধন্য হবে। বরং আমি দেখছি তোমরাই জাহেল।” (সুরা হুদ: ২৯)

৫. পঞ্চম অভিযোগ: সম্পদশালী না হওয়া

তারা বলত: তুমি তো নেতা বা সম্পদশালী কেউ নও। তাহলে তুমি কীভাবে নবী হলে? আমরা তোমার অনুসরণ কেন করবো?

জবাব: হজরত নূহ (আ.) বলেন, “আমি তোমাদের বলি না, আমার কাছে আল্লাহর ধন-ভাণ্ডার আছে, আর না আমি গায়েব জানি এবং আমি এটাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা।” (সুরা হুদ: ৩১) অর্থাৎ, একজন নবীর মূল দায়িত্ব মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকা। আল্লাহ তার ইচ্ছা অনুযায়ী তার কোনো বান্দাকে নবী হিসেবে নির্বাচিত করেন।

শিক্ষণীয় বিষয়

এই প্রতিটি অভিযোগই ছিল মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে আসার অজুহাত। হজরত নূহ (আ.) অসীম ধৈর্যশীলতার সাথে তার দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। তার জীবন থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, মানুষ অভিযোগ করবেই, কিন্তু নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।


জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ২২:৩৮:৪০
জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামী শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৫-এর সেহরি, ইফতার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচী নিচে প্রদান করা হলো। দিনটি শুক্রবার হওয়ায় যোহরের সময় জুম'আর নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা: ৩রা অক্টোবর, ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

সেহরির শেষ সময়: ভোর ৪:৩১ AM

ফজর: ভোর ৪:৩৭ AM

যোহর (জুম'আ): দুপুর ১১:৫১ AM

আসর: বিকাল ৪:০৬ PM

ইফতার ও মাগরিব: সন্ধ্যা ৫:৪৯ PM

ইশা: সন্ধ্যা ৭:০২ PM

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

যেহেতু দিনটি শুক্রবার, যোহরের নামাজের সময় মসজিদে জুম'আর নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

আপনার স্থানীয় মসজিদের আজানের সময়ের সাথে এক বা দুই মিনিটের সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে। সবচেয়ে সঠিক সময়ের জন্য স্থানীয় মসজিদের সময়সূচী অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ২১:৫২:৫৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকালের ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিনের ইবাদতের জন্য নামাজের সময়সূচী একটি অপরিহার্য বিষয়। সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে এই সময় পরিবর্তিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক গণনাসূত্র অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আগামীকাল, ২রা অক্টোবর, ২০২৫ (বৃহস্পতিবার)-এর তাহাজ্জুদ, সেহরি, ইফতার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সম্ভাব্য সময়সূচী নিচে তুলে ধরা হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা: ২রা অক্টোবর, ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী

তাহাজ্জুদ: রাত ১:০০ AM থেকে ফজরের আজানের পূর্ব পর্যন্ত।(ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য সর্বোত্তম সময় হিসেবে গণ্য হয়।)

সেহরির শেষ সময়: ভোর ৪:৩৭ AM(রোজা রাখার জন্য এই সময়ের পূর্বেই পানাহার শেষ করতে হবে।)

ফজর: ভোর ৪:৩৭ AM

সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫০ AM

যোহর: দুপুর ১১:৪৯ AM

আসর: বিকাল ৩:০৯ PM

ইফতার ও মাগরিব: সন্ধ্যা ৫:৪৬ PM(সারাদিনের রোজা শেষে এই সময়ে ইফতার করতে হবে।)

ইশা: সন্ধ্যা ৭:০১ PM

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

সেহরির শেষ সময় হলো ফজরের ওয়াক্ত শুরুর মুহূর্ত এবং ইফতারের সময় হলো মাগরিবের ওয়াক্ত শুরুর মুহূর্ত।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর (যেমন: গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার) সময় ঢাকার সময়ের সাথে এক বা দুই মিনিটের সামান্য পার্থক্য হতে পারে। সর্বাধিক নির্ভুলতার জন্য আপনার স্থানীয় মসজিদের সময়সূচী অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: