সুন্দরবনের পাশে শিল্প স্থাপন ঠেকাতে সরকারী প্রজ্ঞাপন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১২ ১৬:৩১:০৯
সুন্দরবনের পাশে শিল্প স্থাপন ঠেকাতে সরকারী প্রজ্ঞাপন

সত্য নিউজ: সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পরিবেশগত সম্পদ হিসেবে বিবেচিত এই ম্যানগ্রোভ বনকে রক্ষার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার (১২ মে) মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৫ ধারা অনুসারে, সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্ট সংলগ্ন ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনো নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে এই এলাকা ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ (Ecologically Critical Area - ECA) হিসেবে চিহ্নিত থাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কঠোর নীতিমালা অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ইসিএ ঘোষিত অঞ্চলে শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি থাকবে। এর মধ্যে থাকবে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মানোন্নয়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ নিষেধাজ্ঞা শুধু সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক হবে না, বরং উপকূলীয় বাস্তুসংস্থান, জলবায়ু সহনশীলতা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকাও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে।

সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর চারপাশে দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনটি সেই উদ্বেগ প্রশমনে সরকারের একটি সুস্পষ্ট অবস্থান বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত