মালয়েশিয়ায় ‘উগ্র জঙ্গি আন্দোলনের’ জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
.jpg)
মালয়েশিয়ায় ‘উগ্র জঙ্গি আন্দোলনের’ সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল আজ শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সেলাঙ্গর ও জোহরে তিন দফা অভিযান
পুলিশের পূর্বপরিকল্পিত অভিযানের অংশ হিসেবে সেলাঙ্গর ও জোহর রাজ্যে গত ২৪ এপ্রিল থেকে তিন ধাপে এই অভিযান পরিচালিত হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে বাংলাদেশিদের একটি চরমপন্থি চক্রকে সনাক্ত করে নিরাপত্তা বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজনকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৬এ অনুচ্ছেদের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম ও জোহর বাহরুর দায়রা আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
বাকি গ্রেপ্তারকৃতদের ভবিষ্যৎ
বাকিদের মধ্যে ১৫ জনকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অন্য ১৬ জনের বিরুদ্ধে এখনো তদন্ত চলছে। তাদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা এবং নেটওয়ার্কে সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত চরমপন্থি সেল গঠন
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পুলিশের বিশেষ শাখার গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে চরমপন্থি দীক্ষা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি সেল গঠন করেছিল। তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তরুণদের চরমপন্থার দিকে ধাবিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থ সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করছিল।
আরও উদ্বেগজনক তথ্য হিসেবে জানা গেছে, এই সেলটির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল নিজ নিজ দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র। মালয়েশিয়ার মাটিকে তারা ব্যবহার করতে চেয়েছিল একটি নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে, যা সাইফুদ্দিনের ভাষায়, ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সরাসরি হুমকি।’
জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো আপস নয়
মন্ত্রী সাইফুদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “মালয়েশিয়া কখনোই কোনো বিদেশি উগ্রবাদী গোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল হতে দেবে না। এই অভিযান প্রমাণ করে, আমরা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করবো না। দেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা অবলম্বন করছে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, “মালয়েশিয়াকে চরমপন্থি আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তর করার যেকোনো চেষ্টা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য সতর্কবার্তা
এই ঘটনায় মালয়েশিয়া আবারও প্রমাণ করল যে, তারা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। একদিকে যেমন এটি প্রবাসী সম্প্রদায়ের জন্য সতর্কবার্তা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর জন্যও বিষয়টি অ্যালার্মিং।
ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৭ বাংলাদেশি
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাতজন বাংলাদেশির সবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নে।
৫ নম্বর ওয়ার্ড সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার বিবরণ
জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। নিহত সাতজন বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে: বাবলু, সাহাবুদ্দিন, আমিন সওদাগর, আরজু ও রকি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুকুম সিদরা এলাকার সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার সময় প্রবাসীদের বহনকারী গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বর্তমানে মরদেহগুলো দুকুম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি তদারক করছে।
ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
একটি মাত্র ফোন কল আর মুহূর্তেই প্রায় ৬৬ কোটি টাকারও বেশি অর্থ! এই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে দুবাইতে বসবাসকারী বাংলাদেশী প্রবাসী হারুন সর্দারের জীবনে, যিনি স্থানীয় এক আরব পরিবারের ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক সামান্য ড্রাইভার থেকে লটারির বদৌলতে কোটিপতি হয়ে ওঠা এই গল্প এখন প্রবাসীদের মুখে মুখে।
১৫ বছরের প্রবাস জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল বিগ টিকিট
৪৪ বছর বয়সী হারুন সর্দার গত প্রায় দেড় দশক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছেন। তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছিল প্রতি মাসে বিগ টিকিটের লটারি কেনা। বিগ টিকিট হলো আরব আমিরাতের একটি জনপ্রিয় লটারি ড্র, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের টিকিট কিনে কোটি টাকার পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। হারুন সর্দারও সেই আশাতেই প্রতি মাসে টিকিট কিনতেন, এই ভাবনা নিয়ে যে হয়তো একদিন তার ভাগ্য ফিরবে।
১৪ সেপ্টেম্বর তিনি ১০০০ দিরহাম (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০,২০০ টাকা) দিয়ে দুটি বিগ টিকিট কিনেছিলেন। তবে গল্পের মোড় নেয় অন্য দিকে – তিনি সরাসরি কেনা টিকিটগুলোতে জেতেননি। বিগ টিকিটের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি একই ধরনের দুটি টিকিট কেনেন, তবে বোনাস হিসেবে আরও দুটি টিকিট দেওয়া হয়। এই বোনাস টিকিটগুলোর একটিতেই হারুন সর্দারের ভাগ্য খুলে যায়!
একসাথে দশ জনের ভাগ্য বদল
অবশেষে তিনি প্রাইজ মানি হিসেবে জিতেছেন ২০ মিলিয়ন দিরহাম, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা তিনি একা পাচ্ছেন না। কারণ এই ১০০০ দিরহামের টিকিট তিনি আরও ১০ জন সঙ্গীর সঙ্গে যৌথভাবে কিনেছিলেন। তার দলের সদস্যরাও সবাই সাধারণ প্রবাসী—কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কেউবা নির্মাণ শ্রমিক। ফলে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের ১১ জনের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। প্রত্যেকের ভাগে পড়বে প্রায় ৬ কোটি টাকা করে, যা কোনো অংশেই কম নয়!
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: আরব আমিরাতেই ব্যবসা
হারুন সর্দার জানিয়েছেন, তারা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ দিয়ে কী করবেন। তবে তাদের ইচ্ছা এই অর্থ সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই একটি ব্যবসা দাঁড় করানো। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের আয় আরও বাড়াতে চান এবং ভবিষ্যতে নিজেদের টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে বাংলাদেশে থেকে আরব আমিরাতে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছেন।
উল্লেখ্য, হারুন সর্দার প্রথম কোনো বাংলাদেশী নন যিনি বিগ টিকিটের লটারি জিতেছেন। এর আগেও সবুজ মিয়া নামক একজন প্রবাসী বিগ টিকিটে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা জিতেছিলেন। হারুন সর্দারের এই জয় অন্যান্য প্রবাসীদের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে, যা প্রমাণ করে ভাগ্য কখন কার দুয়ারে কড়া নাড়ে, তা বলা মুশকিল।
আমিরাতে ধরপাকড় বেড়েছে, বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি কর্মী। গত বছর আমিরাতের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায়, তাদের এখন কারাভোগ শেষে দেশে নির্বাসিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশি কর্মী এক কাপড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, দেশীয় স্পন্সরকে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়ার পরও তাদের ভিসা নবায়ন করা হয়নি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা অবৈধ হয়ে পড়েন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মোহাম্মদ কামরুল প্রায় সাত বছর আমিরাতে কাজ করেছেন। তিনি জানান, শেষবার ভিসা নবায়নের জন্য বাংলাদেশি স্পন্সরকে সাত হাজার দিরহাম (প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা) দিলেও তার ভিসা নবায়ন করা হয়নি। দুই বছর অবৈধভাবে থাকার পর তিনি আটক হন এবং কারাভোগ শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে আরও ১৭ জন বাংলাদেশি ফিরেছেন।
দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ
বরিশালের মোহাম্মদ শাহীন এবং বগুড়ার বাবুল মিয়াও একই অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, বাংলাদেশি স্পন্সর দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভিসা নবায়ন করেননি, যার ফলে তারা অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন নোয়াখালীর জাকির হোসেন, চাঁদপুরের ছমির উদ্দিন এবং সিলেটের মোহাম্মাদ মিজানও।
মোহাম্মাদ মিজান জানান, আবুধাবির সুইহান কারাগারে বহু বাংলাদেশি আটক আছেন। তাদের কাউকে এক সপ্তাহ, কাউকে ১৫ দিন, আবার কাউকে এক মাস কারাভোগ শেষে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
দূতাবাসের তথ্য
আবুধাবি দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ উল্লাহ খান জানান, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দূতাবাসের আউটপাস নিয়ে ৫০২ জন দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ ৯ দিনে নির্বাসিত হয়েছেন ৭৯ জন।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জানান, “সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান দূতাবাসে নেই, সংখ্যাটি পরিবর্তনশীল।” তিনি বলেন, “ভিসা শেষ হওয়ার পর কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তবে তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। অনেকে নিজেরা ব্যবস্থা করেন।”
বাংলাদেশ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসের সাধারণ ক্ষমায় প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নিজেদের বৈধতা নিশ্চিত করেছিলেন।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোট নিয়ে নতুন আলোচনা, বিএনপিতে বিভাজন
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রবাসী ভোটকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গন। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার ও পোস্টাল ভোটে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মালয়েশিয়া শাখার তৎপরতা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট, দুর্বল সাংগঠনিক তৎপরতা
একসময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন ছিল মালয়েশিয়া বিএনপি। কিন্তু বর্তমানে এটি একাধিক গ্রুপে বিভক্ত। দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নেতৃত্ব সংকট এবং মনোনয়নকেন্দ্রিক ব্যস্ততার কারণে সাংগঠনিক তৎপরতায় স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় যুবদল প্রায় আট বছর ধরে নেতৃত্বহীন, এবং শ্রমিক দল ও স্বেচ্ছাসেবক দল কার্যত নিষ্ক্রিয়।
মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজি সালাহ উদ্দিন সরাসরি সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, “আমাদের সাধারণ কর্মীরা সচেতন নন। প্রবাসী ভোটে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি হাইকমান্ড এগিয়ে এসে এর গুরুত্ব না বোঝায়।”
সহ-সভাপতি তালহা মাহমুদ অভিযোগ করেছেন যে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম উপেক্ষা করছেন। এ সংকট নিরসনে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যদিকে, সভাপতি বাদলুর রহমান খানের সমর্থকরা বলছেন, বিদেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা আইনের মধ্যে পড়ে না। তাই যেটুকু করা সম্ভব আমরা করছি এবং মালয়েশিয়া বিএনপি সবচেয়ে সুসংগঠিত।
জামায়াতে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুশৃঙ্খলতা
সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সক্রিয় ভূমিকার পর প্রবাসেও সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছে জামায়াত। দলটির নেতারা দাবি করছেন, তাদের আদর্শভিত্তিক কার্যক্রম, জবাবদিহিমূলক রাজনীতি এবং কর্মীদের একনিষ্ঠ অংশগ্রহণ সংগঠনটিকে মালয়েশিয়ায়ও শক্ত অবস্থানে রেখেছে।
জামায়াতে ইসলামী মালয়েশিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক জানিয়েছেন, প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী ও সচেতন। প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলে তারা উৎসাহের সঙ্গে ভোট দেবেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন।
১৫ লাখ প্রবাসীর ভোট, কে পাবে সুবিধা?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীর ভোট বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিএনপির বিভক্তি, নেতৃত্ব সংকট ও সাংগঠনিক দুর্বলতা যদি কাটানো না যায়, তবে সংগঠিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জামায়াত পোস্টাল ভোটে এগিয়ে যেতে পারে।
আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা মিজানুর জামিন পেলেন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত ড. ইউনূসের প্রতিনিধি দলের সদস্য আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ করা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওয়াশিংটন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকার নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ডিম নিক্ষেপের ঘটনা
সোমবার ড. ইউনূসের প্রতিনিধি দলে থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে ডিম মেরে লাঞ্ছিত করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইট নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়। একইসঙ্গে তাসনিম জারাকেও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন।
সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
সৌদি আরবে অবৈধভাবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর এসেছে। দেশটির সরকার কর্মক্ষেত্র থেকে পলাতক (হুরুবপ্রাপ্ত) প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব প্রবাসী নতুন কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা খুঁজে কুয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে।
সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই হুরুবপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন। নতুন এই উদ্যোগের ফলে তারা বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুরুবপ্রাপ্ত প্রবাসীরা কুয়া প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নতুন কোম্পানি বা কফিল ঠিক করে আবেদন করতে পারবেন। এরপর কাফালা বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে। এই ট্রান্সফারের জন্য কত ফি লাগবে, তা আবেদন করার পরেই কুয়া প্ল্যাটফর্মে জানা যাবে।
উদ্যোগের সুবিধা
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা। তারা বলছেন, এতে এতদিন অবৈধভাবে থাকা প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং তাদের নানা সমস্যার সমাধান হবে। প্রবাসীরা মনে করেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সবাইকে বৈধ পথে ফিরে আসা উচিত। এতে তাদের জীবন যেমন স্বাভাবিক হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিও আরও শক্তিশালী হবে।
তবে কর্তৃপক্ষ একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে: যারা সৌদি আরবে আসার এক বছরের মধ্যেই কফিল কর্তৃক হুরুবপ্রাপ্ত হয়েছেন, তারা এই সুযোগের আওতায় আসবেন না।
জিরো থেকে পাবলিকেশন: গবেষণায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিল বিআরটিসি কোর্স
সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাডভান্সড রিসার্চ ট্রেইনিং সেন্টার (বিআরটিসি) আয়োজিত উন্নত গবেষণা প্রশিক্ষণ কোর্স ‘কমপ্লিট রিসার্চ ট্রেনিং: ফ্রম জিরো টু পাবলিকেশন’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ কর্মসূচিতে অনলাইনের মাধ্যমে অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও গবেষক, যা দেশ-বিদেশের গবেষণা আগ্রহীদের মধ্যে এক বিরল সাড়া জাগিয়েছে।
এই কোর্সের মূল বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য গবেষক প্রফেসর ড. মঈন উদ্দিন খন্দকার। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড রেডিয়েশন টেকনোলজিস বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর ফেলো এবং Elsevier–Stanford তালিকাভুক্ত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের অন্যতম। ইতিমধ্যে এসকোপাস ইনডেক্সড জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে, যা ২০ হাজার বারেরও বেশি উদ্ধৃত হয়েছে একটি অসাধারণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
প্রশিক্ষণে ড. খন্দকার অংশগ্রহণকারীদের শেখান কীভাবে গবেষণার সঠিক বিষয় নির্বাচন করতে হয় এবং গবেষণার মানোন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা যায়। তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন লিটারেচার রিভিউ-এর ওপর। তার মতে, এটি কেবল তথ্যসংগ্রহ বা সারসংক্ষেপ নয়; বরং সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ, গবেষণার শূন্যতা চিহ্নিতকরণ এবং নতুন গবেষণার দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করার একটি কার্যকর প্রক্রিয়া।
রোববার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শক্তিশালী ও বিশ্লেষণধর্মী লিটারেচার রিভিউ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফেসবুক, ইউটিউব ও জুম প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচারিত এই প্রশিক্ষণে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী রিয়েল-টাইমে যুক্ত হন। সব মিলিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের রেকর্ডিং প্রকাশের পরও এটি বিপুল সাড়া জাগায়।
কোর্সের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব। অংশগ্রহণকারীরা গবেষণা বিষয়কে নতুনভাবে উপস্থাপন, লিটারেচার রিভিউতে ফাঁকফোকর শনাক্ত, প্রবন্ধ রচনার কাঠামো নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করেন। ড. খন্দকার প্রতিটি প্রশ্ন ধৈর্য সহকারে উত্তর দেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ব্যবহারিক উদাহরণ উপস্থাপন করেন।
তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, গবেষণার কাজ শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহে সীমাবদ্ধ নয়; বরং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণ এবং নতুন জ্ঞান সংযোজনই গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে।
অংশগ্রহণকারীদের অভিমত, এই প্রশিক্ষণ তাদের গবেষণা যাত্রায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত করেছে। তারা উপলব্ধি করেছেন যে, লিটারেচার রিভিউ কেবল পুরোনো তথ্য সাজানো নয়; বরং এটি গবেষকের নিজস্ব চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং জ্ঞানের মৌলিক অবদান রাখার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
-রাফসান
ইতালির পথে আবারও ট্রাজেডি, ভূমধ্যসাগরে প্রাণহানি
একজন বাংলাদেশি অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছানোর সময় নৌকাতেই মারা গেছেন। ইতালীয় কোস্টগার্ড এবং আর্থিক পুলিশের সদস্যরা সোমবার রাতে ১০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। একই নৌকা থেকে আরও ৫১ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
সন্দেহ বিষাক্ত ধোঁয়া
কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, সম্ভবত নৌকাটির জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে
উদ্ধার হওয়া ৫১ জন অভিবাসীর মধ্যে মিসরীয়, বাংলাদেশি, ইরিত্রীয়, ইথিওপীয়, সিরীয় এবং সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে। তাদের সবাইকে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইমব্রিয়াকোলা জেলার অভিবাসনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে লাম্পেদুসার ফাভারোলো জেটিতে পৌঁছানোর পর অভিবাসীরা জানান, উদ্ধারকারীরা আসার আগেই তাদের একজন সঙ্গী সমুদ্রে পড়ে যান এবং তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অভিবাসী পরিস্থিতি
ইতালি সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে ২০২৪ সাল থেকে দেশটিতে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৪২,৯৯৯ জন, যা চলতি বছর একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩,৮৬০ জনে। তবে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় (১,১৪,৮৬৭ জন) এই সংখ্যা এখনো অনেক কম।
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে রয়েছে। প্রায় ১৩,২৭১ জন বাংলাদেশি এভাবে ইতালিতে পৌঁছেছেন। এরপরই আছে ইরিত্রিয়া (৫,৮১১ জন) এবং মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিকরা।
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস/আনসা
জার্মানিতে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জার্মানি বিএনপি। এ উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বার্লিনে স্থানীয় একটি হলরুমে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
দিনব্যাপী আয়োজনে অংশ নেন জার্মানির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী। এছাড়া অনেকেই ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা করেন যুবদল নেতা আবু তাহের। এরপর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পী তাহ্মিনা ফেরদৌসি।
সভাপতির বক্তব্যে আকুল মিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রগঠনের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক দলীয় বিভাজন ভুলে মিলেমিশে রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে একসাথে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সদ্য সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসিম শিকদার বলেন, “আমরা যে কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।”
ফ্রাংকফুর্ট থেকে আগত জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক উপদেষ্টা মিজানুর রহমান (ফিরোজ) তাঁর বক্তব্যে দলের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি কাজী রেজাউল হক সাঈদ, বার্লিন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল ব্যাপারী, বিএনপি নেতা মাশরুল আলম বাবলী, আনহার মিয়া, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদলকর্মী রুহেল আহমদে, রেদওয়ান আহমদসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতারা। মো. মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মিউনিখের সদ্য সাবেক সভাপতি রিয়াজ শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হোসাইন, এনআরভি’র সদ্য সাবেক সভাপতি গোলাম মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী, বাডেনবুর্টেমবার্গের সদ্য সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, হেসেনের সদ্য সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম এবং ফ্রাংকফুর্টের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল খান।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
- ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- মেজর সিনহা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে উঠে এল সেই রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা
- স্বাস্থ্য খাত ও বেকারত্ব দূরীকরণে বিএনপির মেগা প্ল্যান তুলে ধরলেন আমীর খসরু
- পাঠ্যবই থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাদ দেওয়া নিয়ে সোহেল তাজের কড়া সতর্কতা
- খামেনিকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র, দুই দেশের বিরুদ্ধে ইরানের গুরুতর অভিযোগ
- কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো কাজ হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে ফের চিঠি পাঠাল ঢাকা
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- অ্যাপোনিয়ার পর এবার তিশার বিরুদ্ধে কলকাতার প্রযোজকের গুরুতর অভিযোগ
- চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী
- রমজান ছাড়াও সারা বছর খেজুর খাওয়ার যে সাতটি বড় স্বাস্থ্যগুণের কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা
- ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: তারেক রহমান
- ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পেতে স্মার্টফোনের যে অপশনটি এখনই চালু করা জরুরি
- ঘন ঘন ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্যেই এবার সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা
- গান নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাউল ও তৌহিদি জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মানিকগঞ্জ
- লা লিগায় উত্তেজনার রাত: শীর্ষে ফেরার মিশনে রিয়াল মাদ্রিদ, টানা পঞ্চম জয়ের খোঁজে আতলেতিকো!
- রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত: রিজভী
- ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এক ভবনের ওপর হেলে পড়ল আরেকটি ভবন,এলাকায় চরম আতঙ্ক
- গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি
- টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় আবারও কেঁপে উঠল এশিয়ার দুই দেশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
- নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল
- শুক্রবার ও শনিবার মিলে ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বড় দুঃসংবাদ
- বড় ভূমিকম্প হলে তা মোকাবিলা নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৩০০ আসনের জন্য ১৪৮৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে এনসিপি শুরু করল বিশেষ কার্যক্রম
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে যে বড় বার্তা পেল নির্বাচন কমিশন
- দাদা-দাদী-নানা-নানীর অতিরিক্ত আদরে বাড়ছে 'সিক্স পকেট সিনড্রোম', জানুন বিস্তারিত
- ফোবিয়া: সহজে চেনা, সময়মতো চিকিৎসা জরুরি
- বিশ্বের ১০ দামী খাবার, চোখ কপালে তোলার মতো মূল্য
- কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
- আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
- সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
- ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV হালনাগাদ
- যতবার গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভয়ংকর রেকর্ড
- "প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
- গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
- বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
- রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
- বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
- টিভিতে ক্রিকেট–ফুটবলসহ একঝাঁক বড় ম্যাচ
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?








