বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ৪০ জনের জামিন

সত্য নিউজ: ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় আরও ৪০ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এর আগে তারা একই ঘটনার হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
আজ সোমবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক (প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) ইব্রাহীম মিয়া এই জামিন আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জানান, এর আগে বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন আরও ১৭৮ জন খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তি। সব মিলিয়ে এই মামলায় জামিন পাওয়া আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ২১৮ জনে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা এবং মোট ৭৪ জন নিহত হন। ঘটনার পরদিন, ২৮ ফেব্রুয়ারি, লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
বিচারিক প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। এতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন এবং আরও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। এর মধ্যে ৬৯ জনের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। হাইকোর্টের রায়ে আরও ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল থাকে। ২০২০ সালে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা প্রায় ৯০টি আপিল ও লিভ টু আপিল বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার অবস্থা:বিচারিক আদালতে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ এখনও চলছে। সাক্ষীর সংখ্যা ১,৩৪৪ জন। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা এখন জামিন চাইছেন, যেহেতু তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি।
প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য:বিডিআর বিদ্রোহ ছিল দেশের সামরিক ইতিহাসে এক ভয়াবহতম ঘটনা। রাষ্ট্র ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংঘটিত এ বিদ্রোহের বিচারিক প্রক্রিয়া ছিল জটিল, দীর্ঘমেয়াদি এবং নজিরবিহীন। বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি এখনো সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়নি, তবে জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিচারের স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের স্বার্থে দীর্ঘসূত্রিতা এড়িয়ে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করাই হবে যথার্থ সম্মানজনক পরিণতি, যা রাষ্ট্র ও নাগরিকদের আস্থার জায়গা আরও সুদৃঢ় করবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ